ফুলের পূজা
পূজো এলে মধুর-সুবাস-ফুলেরা
জেগে ওঠে,
এ-ফুল বলে আমাকে নেও
ও-ফুল বলে আমাকে-ও;
অন্যেরা বলে আমরা কেন বাদ হবো!
আমার ফুল হওয়া হয়-ই না!!
============================================
রেখার মসৃণতা
একটি লম্বমান তৈলাক্ত সরল রেখার গা-বেয়ে
ক্রমাগত উঠতে থাকি, উঠতেই থাকি;
অকস্মাৎ লম্বটি নড়ে উঠে,
ছিটকে নীচের গভীরে পড়ে যাই
আর উঠতে পারি না, ওঠা হয়-ও না
ভাঙ্গা পায়ে;
১৬টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
পূজোর ফুল কুড়াতে গেলে শতো শতো ফুলেরা হেসে ওঠে। দেবতার পায়ে লুটিয়ে পড়ার ইচ্ছেয় তারা খিলখিল করে ওঠে।
আমার তবু হতে ইচ্ছে করে না এমন ফুল হতে। একদিন গত হতেই যে ছুঁড়ে ফেলে আমায়। দেবতার পায়ে মানায় রোজ ফোটা নতুন ফুল।
সরল রেখা লম্বটি বরাবরই একটু নড়বড়ে। শক্ত হাতে ধরে থাকতে হয় তাই তাকে। তবু পড়ে যাই ফেলে দেয় বার বার।
দারুন হয়েছে গুরু।
ছাইরাছ হেলাল
ফুল তো উৎসর্গের জন্যই, আর প্রকৃত ফুল দেবতারা ছুঁড়ে ফেলে না।
সে ফুল রোজই নূতন হয়ে পূজোয় হাসে দেবতার সাথে!
সবার হাত শক্ত হয় -ই না।
ছোটখাট লেখা হলেও দিন। একটু পড়ি-টড়ি!
দারুন লেখাটি এখনো খুঁজেই পাইনি!!
মায়াবতী
এই দুনিয়ায় বাঁঁশের কি অভাব পরছে যে আপনি যুগ যুগ ধরে তৈলাক্ত বাঁশ আঁকড়ায় পাটিগনিত চর্চা করে যাইতেছেন !!! দুনিয়া টা বাঁশ বাগান , খালি বাঁশ আর বাঁশ 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাইরে ফুল-বাঁশের দেখা পাইনি-তো!! খালি খুঁজি আর খুঁজি,
মনোবল না হারিয়ে অপেক্ষা করছি।
শুন্য শুন্যালয়
আমার পূজার ফুল, ভালোবাসা হয়ে গেছে।
পূজার ফুল অনেককে যত্ন করে বই এর মাঝে রাখতে দেখেছি, কপালে ছোঁয়াতে দেখেছি। এজন্য কপাল লাগে, বুঝেছেন? চুল পড়ে পড়ে বড় হওয়া কপালে ফুল হবার আশা বাদ দিন। বরং বই হয়ে যান, কাজে দেবে।
আপনাকে তো জিরাফ বলে জানতাম। বানর হলেন কবে থেকে? এই আর্ট না জেনেই কাজে লেগে গেছেন? ভাঙা পায়ের যত্ন নিয়ে লেগে পড়ুন আবার। এতো সহজে হাল তো আপনি ছাড়বেন না জানি, আপনার নাকি আবার গরু আছে! কিপিটাপ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি মহা ভাগ্যবতী, ভালুবাসার দেবুতার সাক্ষাৎ পাই গেছেন!!
আচ্ছা আপনার কথা মেনে নিচ্ছি কায় মন বাক্যে!! যেন বই হয়ে গেলুম আপনার বর পেয়ে!!
তা কেউ পড়বে-টড়বে এমুন তো সম্ভবনা টের পাচ্ছি না, কিছু পাঠুক জুটিয়ে দিন প্লিগ!!
দেখুন আমার গুরুকে টিস্কারি দেবেন্না, (সেটা যে আপনি তা কিন্তু প্রকাশ্যে বলে দিব),
যদিও গুপ্ত বিদ্যা কিছুই শেখান-নি, শুধু আপনাকে নকল করে দিব্বি কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
জয় গুরু।
শুন্য শুন্যালয়
মনে করে দেখুন পরের লাইনটি। আমার পূজার ফুল, ভালোবাসা হয়ে গেছে তুমি যেন ভুল বুঝোনা।
এমন আকুতি কিন্তু ভয়ের ঠ্যালাতেই। ছুড়ে ফেলায় দিবে সেই ভয়। দেবতা কই পামু? অবতারই পাইলাম না এখনো।
আমার কথা মেনে নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে এমন নজির নেই, অতএব সাবধান। পরে ছারপোকায় ধরলে আমাকে দোষিয়েন না। নিজে থাকলে আবার পাঠক লাগে নাকি? আর শুনুন, পাঠক পেতে হলে বই হবার চিন্তা বাদ দিন। আজকাল কেউ পড়েনা, সবাই লেখে। কলম বা টাইপরাইটার হয়ে যান।
আমাকে নকল করে? বলেন কি? চুরিবিদ্যা তো ভালোই পারেন, এতদিনেও ধরা পড়লেন না। তবে বান্দর আর তৈলাক্ত বাঁশের কিন্তু একটা লেখা ছিলো আমার, সেই যে প্যাঁচাল 😛
আহা সেই আড্ডাবাজির দিনগুলা বেশ ভালো ছিলো। এখন খালি ঘুম আসে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
গুনটুকু শুধুই আমার, নো ভাগ দেয়া-দেয়ি।
দোষ সবটুকুই আপনার, আশপাশ থেকে ধার করে হলেও বেশি বেশি করে এনে দেব।
একবার বলবেন বই হতে আবার বলবেন কলম-ফাইটার হতে সেটা একটু কেমন যেন হয়ে গেল না।
আপনি যে আমার আজগুবি ল্যাহা পড়েন না (না মানে সমুই পান না তা তো জানি-ই) সেটি দেখতেই পাচ্ছি।
নিজের ল্যাহা এখন নিজেই পড়ি, আমি তো আবার ব্যাপক পাঠূক!!
আহারে সেই সব দিন!!! (বিশাল ইমো হবে), আপনার সেসব থেকেই তো অনু হয়ে প্রেরণা আসে!!
নকলময়তা কালে কালে এমুন করেই চলে আসছে, চলবেও!!
কন কী!! দেবতা/অবতার পান নি!!
আপনি নিজেই তো নয়া রাস্তা বানাইয়া দেবী হয়ে যাচ্ছেন (ইস!! বেশি বাড়িয়ে বলে ফেললাম নাতো)।
মোঃ মজিবর রহমান
কোন কালে কপালে জুটেছিল কিছু ফুল ডাইরী নেড়ে নেড়ে ভেসে গেছে সুমুদ্রে।
ধরজ্য শক্তি আছে বটে আপনার তা না হলে তৈলাক্ত বাশে উঠেন
আবার ধপাস
গভীরে
উথুন বসুন লেখুন পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
সমুদ্র-সাতার শিখুন, কিছুই ভেসে যেতে দেয়া যাবে না।
ধৈর্য সবারই হয়। বাঁশের পাল্লায় পড়লে।
মোঃ মজিবর রহমান
উপায় নায় বস। উপায় নায়। ধমকে দাড়াবার ও সময় নেই। চলতেই হই অবিরাম………………।।
ছাইরাছ হেলাল
চলতে চলতে-ই কিছু কাজ-কাম সেরে ফেলতে হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
গন্ধহীন ফুলে(ফুলে গন্ধ নেই, ভাবতেই পারিনা) কিন্তু পূজা হয়না, জানেন তো! অবশ্য এ নিয়ে তর্ক আমিও করি। জবাফুলে গন্ধ নেই, অথচ মা কালীর ওই ফুল-ই লাগে। তা আপনি কোন ফুল হতে চান?
শুনুন দেবীদের পূজার ফুল হবার জন্য যদি চিন্তা করেন, ধরা খাবেন। ফুল হয়ে যদি ফুটতেই চান, প্রার্থনা করুন দেবতাদের প্রতি। দেবতাদের পূজোতে নিশ্চিত ফুল হয়ে উঠবেন-ই। 😀
পাটিগণিতের এই অঙ্ক কেন আবার? উফ বাঁদর যে কেন তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠতে গেলো! আজও বুঝলাম না। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
দেবীদের পূজা-আর্চনাই তো ভালু, অনেক/নানাবিধ প্রাপ্তি থাকে।
যে দেবী যেমুন ফুল চায়, জবাফুল হলেই ভালু, খুন খারাবির আওতায় চলে আসতে পারব।
মওকা মত মহাদেব হতে পারলে সোনায় সোহাগা!!
বাঁশ তৈলাক্ত বলেই একটু আকর্ষন বেশি থাকে সবার!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বয়স জানি কতো হলো কুবিরাজ মহাদেবের?
ছাইরাছ হেলাল
মাত্র ২২/২৩!
এর থেকে একটুও বেশি/কম না।