বৃষ্টি এলো সুমধুর আলোয়

ছাইরাছ হেলাল ৩০ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ০২:৪৬:২৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৮ মন্তব্য

 

অবশেষে বৃষ্টি এলো অসম্ভব বাঁধার গিরি চাঙর ডিঙ্গিয়ে
সুস্থির শ্বাস ফেলে ফেলে, ক্ষিপ্রতার ঝড় ঝেরে মুছে,
দিগন্ত ধনুকের মত নিটোল পাখা মেলে
ভিড় ঠেলে/ভেঙ্গে মুঠোমুঠো মুক্তো ছড়িয়ে/বিছিয়ে,
ছল ছলে পূর্ণিমা তিথিতে, সবুজের গা ঘেঁসে
পাতাদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে টুপটুপ টুপটাপ করে করে
স্বপ্নে দেখা জিপসি মেয়েটির বেশে।

এখানে এই এখানে সোনা-মাটিতে (সোনেলায়)
দু’পায়ে দাঁড়িয়ে আছি অনেক অনেক কাল ধরে,
ঝড়ে ঝঞ্ঝায় অকুতোভয় সাথীদের সাথে;
হেঁটে/দৌড়ে বেড়িয়েছি গলি থেকে রাজপথে
বই-মেলা থেকে নানা উদ্যানে, পথ থেকে প্রান্তরে।
মেঘ বারান্দায় দাঁড়িয়ে সবাই মিলে গল্পচ্ছলে
চাঁদের দেশে যাওয়ার ছক মিলিয়েছি।

রক্তাক্ত হোঁচটের সাথে যূথ বেঁধে করেছি সম্মুখ যুদ্ধ,
সহসা কুৎসিত দুধ-সাপ-ঝড় এঁকে-বেঁকে সুযোগের
সন্ধানে উন্মুক্ত ছুড়ি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, শয়তানের উষ্ণ-অন্ধ নিঃশ্বাসে,
আহ্‌, ব্রুটাস প্রাণের বন্ধু আমার, তুমি!! তুমিও!! পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে!
অব্যর্থ নিশানায়!!

পাথর বুকে অপরীক্ষিত বন্ধুরা পূণ্য-বন্ধুত্বে পথ আগলে দাঁড়ায়!!
বাঁচিয়ে দেয়, বেঁচে যাই।

হায়, ব্রুটাস এই রক্ত লোলুপতা লুকিয়ে ছদ্ম-বেশে
এত কাল পাশে ছিলে!! ধিক বন্ধু-রূপী নর-ঘাতক!
তার থেকে এই ভাল, খোলা বুকে এই রাজপথে দাঁড়াই,
মা-কালীর সংহার বেশে এক হাতে খড়গ অন্য হাতে
পাখির খাঁচাটি নিয়ে মুণ্ডু কেটে নাও, এই মাথা বাড়িয়ে দিচ্ছি,
নাহ্‌, আমি শিব নই।
রক্ত-স্বাদে তৃষ্ণা মেটাও, শ্মশান-কালীর নূতন ঠিকানায়
দিব্যি বেঁচে থেকে;

প্রবল-প্রতাপে-সিংহ এবার নেংটি-ইঁদুরের ছোহবতে!!
বেদনা-ব্যথা-উত্তাল বন্ধ্যা-যন্ত্রণা চেপে!
তাও বলি ব্রুটাস, বন্ধু আমার, উলঙ্গতায় বড্ড বেমানান তুমি।
যেমন ছিলে আগেও।

বৃষ্টির দীর্ঘ ছায়া/মায়ায় উল্কারা বেঘোরে পা মচকায়,
ঠোঁটে শিস তুলে জিপসি মেয়েটি সবুজের ডানায়
ছলকে ছলকে যায় দুলকি চালে।

বৃষ্টি-বারান্দার জানলায় দাঁড়িয়ে, জিপসি মেয়েটি
শিশির-রোদে হাসে, সবুজের উষ্ণ চোখ মেলে।

0 Shares

৩৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ