ঘরের থেকে বেরুলেই রোদ পিছু নেয়,
নিচ্ছে/নেবে ক্রমাগত তা-ও আড়ে-ঠাড়ে বুঝিয়ে-ও দেয়,
দিনে ও রাতে নিরন্তর
ত্যাঁদড় এক নাছর বান্দার মত।
পিছু নেয়, ছায়া ফেলে, ছায়ার বেশে
যখন যেদিকে যেমন করে মন চায়, মনে চায়;
সে কী কোন ছায়া-বেশি কঠিন গুপ্তচর?
সে কী কোন বিষ-মাখা-ছুরি-হাতের নির্মম গুপ্তঘাতক?
নাকি
অসভ্য-সভ্যতার নহবতে লেপ্টে থাকা কোন প্রেমিক/প্রেমিকা?
ছায়ার সাথে উপচ্ছায়াদের নিয়ে মিলে-মিশে-থাকা অকাট্য ক্লীবতা?
আচানক গভীর ঘুম ভেঙ্গে যায়,
কিছু-একটা কেমন-যেন-একটা
অস্বস্তি ঘিরে ধরে ঘিরে রাখে,
টেনে খুলে ফেলি শীতনিদ্রা,
রগড়ানো বিষম-বিস্ময়-চোখ মেলে দেখি
শিয়রে বসে আছে অবগুণ্ঠিত-ছায়া!
বিমূর্ত-আধাবিমূর্ত নান্দনিক-প্রকাশে বলে ওঠে
‘ঘুমোও তো, উঠলে কেন আবার!!
পুরোটায় বসিয়েছি অগুনতি কড়া পাহারা।’
একাকীর ঘুমন্তকে কড়া পাহারায়!!
ভয়ে/অভয়ে উড়ন্ত প্রতিবন্ধকতার পাতাল-জল নিয়ে ভাবি,
সে কী কোন পাহাড়ি বন-বিড়াল/বিড়ালি?
নিকুচি করা ঘুম-অঘুম-ভাবনার রেশ কাটে
‘হাইয়া লাচ্ছালা, হাইয়া লাল ফালা’ ডাক শুনে।
১৮টি মন্তব্য
মায়াবতী
বন বিড়ালের ছায়া মায়ায় কি তার কায়া ও অনুভব করে? ঘুম অঘুম ভাবনার রেশ কাটানো আযানের সুর টা বড় ই মনোমুগ্ধকর লাগে যে।
কত যে অব্যক্ত অনুভবের অনুভূতি গুলো আপনি অবলিলায় প্রকাশ করে যান!!! ভীষণ ভীষণ ভাল লাগে….
ছাইরাছ হেলাল
আপনার/আপনাদের লেখা পড়ে-টড়ে অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা করছি মাত্র।
নবিশ হিসেবে উৎসাহ/উদ্দীপনা পাচ্ছি আঁখেরে এটাই তো অনেক।
আপনি-আপনারা পড়ছেন এটি-ই-ও অনেক প্রাপ্তি!! (ভেংচির ইমো হবে)।
মায়াবতী
:p 😀
ছাইরাছ হেলাল
এগুলাইন কি ভেংচি!!
দিন, দিন, দিতে থাকুন যত ইচ্ছে তত!!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঘুমের এতো বেগ!লেখাটা বেশ ভাল লাগল। -{@
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
ঘুম একদম ঘুমের মত-ই।
জিসান শা ইকরাম
অবগুণ্ঠিত-ছায়া!
যাক ভুত প্রেত পেত্নী নয়,
ছাইরাছ হেলাল
ভূত-প্রেত-প্রেতনী নয় তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে পাশে এসে বসে থাকে নচ্ছার স্বপ্ন
আসলে ওঁৎ পাতে;
কখন, কেমন করে জাঁকিয়ে ঘাড়ের উপর মাথার ভেতর ভাবনা হয়ে জায়গা করে নেবার
মায়াচ্ছন্ন করে রাখি, আদতে রাখায়
পরাবাস্তবের ভেতর থেকেই আচমকা উঠে আসে নান্দনিক প্রেম
এ-ও কি একধরণের কুহক জাল?
হয়তোবা!!!
নয়তো বা!!!
ছাইরাছ হেলাল
‘মায়াচ্ছন্ন করে রাখি’
আচ্ছা এ-সব কারবার-ও শুরু করেছেন!!
আপনাদের অশেষ জালের মাশাল্লা অভাব নেই, কুহকের জাল তার সামান্য নমুনা মাত্র!!
ফেলুন ফেলুন, বিস্তর নূতন নূতন চিরনূতন জালের কারিশমা দেখিয়ে অন্যদের কুপোকাত করুন!!
এই না হলে কুহক-রানী কুহকদের রানী!!
কবিতা দ্যান- না ক্যা!!
নীলাঞ্জনা নীলা
“আপনাদের” কই দেখলেন!!! 😮
আমি তো একলাই নিজেরে দেখতে পাইলাম। রানী-টানী না। শাঁকচুন্নী, ভুইল্যা গেলেন?
কবিতা আহে না তো, করমু ডা কি মনু? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা আহে না মনে!!
কবিতার ভুত সহ নেমে আসবে,
একটু ট্যারা চোখে তাকিয়ে দেখুন!!
শীত-পেত্নী!! ডরামু নাকি!!
মাহমুদ আল মেহেদী
অব্যাক্ত ভাবনাগুলির প্রকাশ দেখে মুগ্ধ হলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
অবগুন্ঠিত-ছায়া হয়ে বসে থাকা বিড়াল-বিড়ালির কম্ম নয়।
বন-বিড়াল বা পুশি বিড়ালতো নয়ইইই।।
চারদিকে কঠিন পাহারা দিয়ে আদুরে ভংগীতে ঘুম পারিয়ে দেয়ার কাজটা একজনই করে বলে জানি।
মনে মনে দিবা-রাতি তারেই ভাবেন এটা অনুমান করছি,,
বাকিটা জানেন আপনি।
মাঝে ঘুম থেকেও উঠতে হয় বৈকি !!
সে,যদি না বোঝে তাকে বোঝনোর কাজটা করার জন্যে হলেও ঘুম-অঘুমের নিকুচি করার বিকল্প নেই।
ছাইরাছ হেলাল
পাহাড়ি বিড়ালের কথা তো কিছু বললেন না।
আপনাকে অনুমান বিশারদ বলতে পারছি না!!
এটিতো ভূতের গপ্পো!!
ঘুমের নিকুচি দেখছি আপনিও করছেন!! তা সে কে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা ভুতের গল্প ছিলো!! হায়রে,,,,আমি ভেবেছিলাম এটা প্রেমের গল্প।
ঘুমের অ-ঘুম কে এবার বিদায় দিতেই হবে। এখন থেকে ঠিক ঠিক সময়মতো ঘুমিয়ে পরবো।
আর ভুল হবে না।😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আপনার মনের মত করে ভাবতেই পারেন!!
এটি ভূত-প্রেমের গপ্পো-ও ভাবতে পারেন।
অভ্যাস বলে কথা!!
পাল্টানো যায়!! না-পাল্টানোর মত করে-ও!!