রূপ-কথার গল্প বলছি-না, রূপক করে –ও-না,
একবার একটি শিশু এসেছিল, বাবা-মায়ের কোলে-পিঠে চড়ে,
তাকে নাকি নামকরণ করে দিতে হবে!!
বলে কী! এ কেমন তর কথা!!
এ যেন ফট করে এসে পিৎজা পাস্তার বায়না,ব্লাক ফরেস্ট কেক,
চিপস, চকোলেট আর শেষে একটু খানি বেজায় ঝাল শুটকির আবদার!!
আমালকির আচার!
মাথা গুঁজে/খুড়ে মুষড়ে পড়ে নেতিয়ে ত্যানা ত্যানা হয়ে যাব!!
অন্ত্যমিলের ব্যাকরণ খুঁজে-খুঁজে!!
আদিখ্যেতার তেজ দেখিয়ে হু হু হুম হুম,হয়ে যাবে,হয়ে যাবে,এ আর এমন কি!!
শ্বেতপত্র তো নয় কোন, হয়ে গেল বলে, কোন ব্যাপার-না।
আমি তো কোন জাদুকর বা স্বপ্ন খেকো কবি/লেখক নই,
তাই স-উল্লাসে বলে দিতেই পারি,
এ সব হবে-টবে না, অন্য চেষ্টা দেখুন,সাজ-সকালের মায়া ছেড়ে,
খুব একটু ভাব-গম্ভীরের আগাম বায়না করে!
সপ্তপদি সুঘ্রাণ ব্যঞ্জন, সুগন্ধার ইলিশের দোপেয়াজা বা সরষে ইলিশ,
ফুসকা বা চালতার টক-মিষ্টি-ঝাল আচার!!উহ! সে সবে-ও-না!!কভি নেহি!!
ফোকলা দাঁতের নচ্ছার শিশুটি মুঠো পাকিয়ে শূন্য ঘুসি বাগিয়ে
খটখট করে হেসে দিয়েছে/ফেলেছে!!
ইশ, ইশশিরে …………………
ছবি নেটের
২০টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
নামকরণ ই তো চেয়েছিল
তা দিতে যদি করেন এতো কার্পণ্যতা
তবে তো ফোকলা দাঁতের নচ্ছার শিশুটি মুঠো-
পাকিয়ে শূন্য ঘুসিতেই করে দেবে কুপোকাত।
কিছু না বুঝলেও ঘুসি দেবার পর ফোকলা মুখের হাসিটুকু দেখতে পাচ্ছি
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সে নাম পাবে বুঝতে পেরে হেসে ফেলেছে,
লেখক ধরা পরে ইশ ইশশিরে বলছে।
ভাল থাকবেন।
শামীম চৌধুরী
ইশশশ শিরে ঘুষি দেবার পর ফোঁকলা দাঁতের হাসিটা যদি দেখতে পেতাম।
ছাইরাছ হেলাল
খেয়াল করলে আপনি অবশ্যই দেখতে পাবেন এমন হাসি।
ভাল থাকবেন ভাই।
কামাল উদ্দিন
নামকরণের কথা শুনে এতোটা রেগে নেতিয়ে ত্যানা ত্যানা হয়ে যাওয়া উচিৎ হয়নি। ইলিশের দোপেয়াজা বা সরষে ইলিশ,
ফুসকা বা চালতার টক-মিষ্টি-ঝাল আচার কি সব সময় রেডি থাকে? সময় তো দিতে হবে। অন্যথায় ফোকলা দাঁতের ঠুসি খাওায়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়………….শুভ রাত্রি।
ছাইরাছ হেলাল
শিশুকে নাম না দিয়ে কী উপায় আছে/থাকে!
আমরা দক্ষিণের মানুষ, ইলিশ কোন ব্যাপার না, বুঝতে হবে।
আমরা এখন ভাত খাইনা, ইলিশ মাছ খাই।
ভাল থাকবেন। আপনাকে কিন্তু কম কম পাচ্ছি।
সুপায়ন বড়ুয়া
হরেক রকমের বায়না
নাম দিয়ে হয়না।
ফোকলা দাতে ঘুসি দিয়ে
ইচ্ছে পূরণ হয় না।
বন্ধুর জন্য শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এমন ছন্দের মন্তব্য পেলেও
আর কিছু লাগে না। ভাল থাকবেন ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঐ পিচ্চি ঠিকই বুঝেছে এত কিছু ঘুস দিয়েও যখন কাজ হচ্ছে না , তাহলে ঘুসিতেই কাজ হবে। নামকরণ হোক বা নাহোক, পিচ্চিদের এতোও পিচ্চি ভাবা ঠিক নয় মহারাজ। মগজের উর্বরতা বাড়ান, ঘুস/ ঘুসি খেয়ে-ও 😉
ছাইরাছ হেলাল
আহারে কেউ বুঝল-না, কোন পিচ্চির জন্য এই লেখা!! আপনি-ও-না!!
আমরা ইলিশ দেশের মানুষ, আমাদের মন-মগজ কড়কড়া বুঝতে হবে।
আসলে পিচ্চি বুঝে গেছে অহেতুক আওয়াজ তুলছি, নাম সে পাচ্ছে-ই।
ভাল থাকুন না-লিখে-টিখে -ও।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কবিরা শব্দের সৌন্দর্যে প্রতিনিয়ত সাঁতার কাটে তাইতো শিশুর নামকরণে তারা অগ্রাধিকার পায়। আজকালকার পিচ্চিরা পিচ্চি না এরা পরিপূর্ণ বোধ নিয়েই বড় হয় তাই এদের সাথে চালাকিতে পারবেন না। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা অহর্নিশি
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বেশ গুছিয়ে বলে ফেলেছেন। যেমন আপনি সব সময় ই বলেন।
নামকরণ খুব মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ওরা আগে ভাগেই সব কিছু বুঝে ফেলে।
ভাল থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এমন শিশুই দরকার। আর দক্ষিনের মানুষের দখলে ইলিশ বলেই বুঝি আমরা পাইনা।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতা আমাদের ইলিশ খেকো করে বানিয়েছেন।
আমরা তাঁর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
শিশুরা মহৎ সব সময়।
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
এখনকার বাচ্চারা সব ইংলিশ খাবারের নাম জানে। অথচ মাছেভাতে বাঙালি তা ভুলে বসে আছে।
শিশুদের আবদার পূরণ না করলে অত্যাধিক জেদে নানাবিধ কান্ড করে বসে যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
শুভকামনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
শিশুদের অগ্রাধিকার সর্বাগ্রে এটি আমাদের মনে রাখতেই হয়।
কত কিছুই আমরা আমাদের শিশুদের কাছে যথাযথ তুলে ধরতে পারিনি।
ধন্যবাদ জানবেন।
আরজু মুক্তা
নাম ছাড়া তো চেনা যাবে না। যতোই খাবার দাবার থাক। একটা সুন্দর নাম সবকিছুর পরিচায়ক। এটা ফোকলা দাঁতের বাচ্চাও বোঝে। ” নামের মাঝে পাবে তুমি আসল পরিচয়! ”
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
নাম খুব গুরুত্বপূর্ণ , আরজু মুক্ত।
নামেই পরিচয় !!
ধন্যবাদ দিলাম।
আরজু মুক্তা
আপনাকে ও ধন্যবাদ অশেষ। আমার বাবা আমাকে মুক্ত বলতো। অনেকদিন পর এই নামটা কেউ বললো।
নস্টালজিক।
ছাইরাছ হেলাল
তাঁকে আমার ছালাম, ভাল থাকুন আপনিও।