অপূর্ণ ভোরে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছি
ধানসিঁড়ির গা-ঘেঁষে,
প্রকাণ্ড শিরীষের পাখা বেয়ে
বিরতীতে বিরতীতে ধীরে ধীরে,
শিশির চুইয়ে পড়ছে নরম নরম ভাবে
ক্ষীণতম শব্দ-তান তুলে টুপ টুপ করে,
খিন্ন গোল গোল ঢেউ তুলছে জড়িয়ে গড়িয়ে;
ঐ যে দিগন্ত-সূর্য উঁকি দেয়ার তাল খুঁজছে
উঠি উঠি করে, অপেক্ষার আগল ভেঙে।
অপেক্ষার এমন মোহন সৌন্দর্য-শব্দদের কালে
হঠাৎ এক-ধাড়ি-অসভ্য শব্দ তুলে,
একটু খানি পাড় ভাঙছে ব্যর্থ প্রচেষ্টায়, ভাঙনের সিঁড়ি
জেগে উঠার বিফল চেষ্টা, এক হীন-মজুরের কাঁধে চড়ে;
জোড়া টুনটুনি আর বাবুইয়ের বাসা
বাতাসে নিগুঢ় হয়ে ঐ যে দোল খাচ্ছে;
শুয়ে আছি ধানসিঁড়ির বুক জুড়ে
তীর ঘেঁসে বৃষ্টি-হীনতার খরতাপে
অপেক্ষার হাত ধরে।
-------------------------------------------------------------------
মন্তব্য দেব, নেবো-ও,
খিন্ন-বিরতীটুকু মার্জনায় আগলে রাখুন।
নগদে দোয়া করুন, দোয়ায় রাখুন।
৩২টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
লেখকের একান্ত অনুভূতি পাঠকে বুঝতে হলে কয়েকবার পড়তে হবে তারপর মতামত।
আমি পাঁচবার পড়েছি প্রায়য় মুখস্থ করে ফেলছি।
শুয়ে আছি ধানসিঁড়ির বুক জুড়ে
তীর ঘেঁসে বৃষ্টি-হীনতার খরতাপে
অপেক্ষার হাত ধরে।
.
ধানসিঁড়ির বুকে বৃষ্টি আসুক,
কবি আজ অপেক্ষারত।
খরতাপের গায়ে লাগুক শান্তি সুধাবারি।
..
ভালো লাগলো দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, আমার লেখায় এই প্রথম অনেক কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রথমেই দিলেন।
অনেক অনেক ধন্য বাদ।
বৃষ্টির জন্য অপেক্ষার আনন্দ নিয়েই লেখক অপেক্ষা করতে পছন্দ করে।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ !! ফিরলেন তাহলে !!!!
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর ইচ্ছেয়, আপনাদের দোয়ায়।
শাহরিন
সু স্বাগতম…… কোথায় যে হারিয়ে গিয়েছিলে!! আমি কত্ত জায়গাতে খুজলাম!!!
ফেসবুক, ব্লগ, ইন্সটাগ্রাম আরো কত পাইজে!!!!
এখন বলেন মনে মনে ও মানুষ কবিতায় কথা বলে!
ছাইরাছ হেলাল
হারানোর কাছে থেকে একটু ঘুরে আসলাম, হারালে কি আর কেউ খুঁজে পায়!!
আর আপনারা খুঁজছেন বলেই তো ফিরতে পারলাম।
আসলে মানুষের মন তো কবিতার মতই, তাই সে কবিতায়-ই কথা বলে, হয়ত সে ভাষা আমরা বুঝতে পারি না।
ভাল থাকবেন আপনারা।
নূতন যা হোক কিছু একটা লিখে ফেলুন। পড়ি একটু। কতদিন পড়ি না।
শাহরিন
জীবনে রক্তের সম্পর্ক ছাড়া ৪/৫ জনকে জানার সাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে ২/১ জন বাদ পরে গেছে। বাকি গুলোকে হারাতে চাই না তাইতো খুজি। এদের সারাজীবনই ধরে রাখার পণ করেছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।
শাহরিন
*গিয়েছিলেন ☺
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপারনা কুন!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আগলে রাখা শিশির কণা
বাস্পে পরিণত হতে কত দেরি ?
বৃত্তে জন্ম ,বৃত্তেই ফেরা
বৃত্তবন্দী জনমের শেকলে
আটকে থাকা ধানসিঁড়ির,
অপলক অপেক্ষায় উপহাসের সূর বাজে
বড্ডো বেসূরো তালে।
ভাঙনের সিঁড়ি পথহারা পথিকের দখলে….
ছাইরাছ হেলাল
পথিক আজ পথ খুঁজে পেয়েছে
এই ধানসিঁড়িটির তীরে,
শিকলের শৃঙ্খল আজ বাজছে
নুপূরের তালে, ধীর লয়ে ধীর লয়ে।
রাফি আরাফাত
ভালো লাগছে।
শুয়ে আছি ধানসিঁড়ির বুক জুড়ে
তীর ঘেঁসে বৃষ্টি-হীনতার খরতাপে
অপেক্ষার হাত ধরে।
—
যদি আমি পারতাম এমন একটা লাইন লিখতে!
শুভ কামনা
ছাইরাছ হেলাল
লিখে ফেলুন, এ এমন কিচ্ছু না!!
কোটি গুন ভাল লেখা ছড়িয়ে আছে এই পথের- প্রান্তরে!!
মনির হোসেন মমি
কেমন আছেন ভাইজান?অপেক্ষার শেষ আছেই তাইতো আবারো এলেন রোগশোক কাধে নিয়ে।দোয়া রাখি দোয়া করি পুরো ভোরটির যেন দেখা পাই অবিরত অনন্তকাল।
চমৎকার কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার/আপনাদের দোয়ায়-ই আল্লাহ ফিরিয়ে এনেছেন আপনদের মাঝে।
অনন্তকাল এমন করেই চলতে চাই।
অনেক ভাল থাকবেন।
তৌহিদ
এইতো আমার ভাইয়ে চলে আইছে। মনডা ভালা হইয়া গেলো। কেমন আছেন ভাইজান?
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ ভাল রেখেছেন বলেই ফিরতে পারছি স্বজনদের মাঝে।
আপনাদের দেখে আমার-ও ভাল লাগল।
তৌহিদ
ভালো থাকবেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও ভাল থাকবেন।
সঞ্জয় মালাকার
মন্তব্য কার মেধা আমার তেমন একটা নেই
তবুও পড়ে অনেক ভালো লাগলো,
আপরনে ফিরে আসছেন সকলের মঝে অনেক অনেক শুভ কামনা ভাই।
চমৎকার রচনাশৈলী কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
অপেক্ষার এমন মোহন সৌন্দর্য-শব্দদের কালে
হঠাৎ এক-ধাড়ি-অসভ্য শব্দ তুলে,
একটু খানি পাড় ভাঙছে ব্যর্থ প্রচেষ্টায়, ভাঙনের সিঁড়ি
জেগে উঠার বিফল চেষ্টা, এক হীন-মজুরের কাঁধে চড়ে।
বিমোহিত হলাম ভাইজান।
এখন কেমন আছেন, সবার মনে রাখতে হবে, আগে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে, এরপর সব করা যাবে, ভালো থাকবেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক কথা বলেছেন।
আল্লাহ অবশ্যই ভাল রাখবেন।
আপনিও ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
অপেক্ষা কখন বৃষ্টি হবে।ভাসিয়ে নেবে দুকূল।।
ছাইরাছ হেলাল
আমরাও ভেসে ভেসেই ভেসে যাব দূর বহুদূর।
জিসান শা ইকরাম
দিগন্তে সূর্য আসবেই বরাবরের মত সুন্দরদের সাথে নিয়ে।
মজুর হয়েছে রাজা, তার প্রজারা এতেই খুশি।
বাবুইয়ের বাসা শত ঝড়েও টিকে থাকে।
শুভ প্রত্যাবর্তন,
দোয়ায় ছিলেন সারাক্ষণই, থাকবেনও……
ছাইরাছ হেলাল
বাবুইরা টিকে থাকার জন্যই জন্মেছে।
ওরা টিকবেই।
সবার দোয়ায়-ই ফিরতে পেরেছি।
মাসুদ চয়ন
টিকে থাক মানবিক স্বচ্ছতা।সুন্দর লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সিকদার সাদ রহমান
প্রানের ধানসিঁড়ি। এখনও মনে হয় ট্রলার নিয়ে সেদিন ঘুরে এলাম মোল্লা বাড়ির ঘাটে। এখন সেখানে ধান চাষ হয়। নদী নাই। এখন ধানসিঁড়ি বেঁচে আছে কবিতায়। ভালো লিখেছেন ভাই। অসাধারন।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা হ্যা, মোল্লা বাড়ির ঘাট, ধানসিঁড়ি এখন শুধু কবিতায় নয়, বাস্তবেই অতীব
সুন্দর রূপে নব সাজে। আপনি-ও ভাল থাকবেন।