প্রখরতর রৌদ্র-দুপুরে,
ধানসিঁড়ি বয়ে যায় নীরব-নিভৃতে;
নিথর পুকুর শয্যায় একাত ও-কাতে ঘুমায়।
সামান্যতম এক জল-ফুঁ-য়ে নিভিয়ে দিতে পারে
তাবৎ সদম্ভ জল-বৈভব;
গাঢ়-মেঘ-ছাতায় ঢেকে দিতে পারে
রৌদ্র-উল্লম্ফন এক লহমায়,
দেয় না।
ভালোবাসার জলসিঁড়িতে পা-ভিজিয়ে
নিপুণ সাধকের মত শূন্যতার নিষিদ্ধ
খেলায় মাতে, বার্ধক্যহীন পুনর্জন্মে,
বিষণ্ণ বাউলের চুড়ো-বাঁধা চুলে।
১৬টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
পরকীয়ার গন্ধ পাই।।পুকুরে বেশি বর্ষণ হলে শ্যাওলা দূরীভূত হয়।।প্রখর রোদও কমে যায় শ্রাবণের শীতলতায়।।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, কোন গন্ধ নেই, নাক মুছে আবার দেখুন। মন দিয়ে পড়ুন আবার।
ধানসিঁড়ি এখানে সাধকের বেশে।
জিসান শা ইকরাম
কত ভাবে আর দেখাবেন ধানসিঁড়ি কে !
ছাইরাছ হেলাল
এ এক অনিঃশেষ দেখা!
যখন যা মনে আসে!!
মোঃ মজিবর রহমান
ভালবাসার জলসিড়ি হুম সাধকের ন্যায় ভাল বেসে ফেলেছেন এই জলের রাজ জলসিড়িকে তাই লিখে চলেছেন একের পরে এক কাব্য মহিমা।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক ধরেছেন মজিবর ভাই,
আমার বহু লেখায় এই ধানসিঁড়ি উঠে এসেছে,
ভালোবাসি বলেই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
বেশ ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
আবার ধানসিঁড়ি! এবার সাধু মুনির বেশে।
তবে জল ফুঁ থেকে সাবধান থাকতে হবে বুঝতে পারছি। এক ফোঁটা জলেও নিহিত থাকতে পারে সাত জনমের পঙ্কিলতা।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, কোন পঙ্কিলতাই এ ধানসিঁড়িকে ছুঁতে পারবেন, পারেনি যেমন আগেও।
এটি আসলে একটি সিরিজ লেখা বেশ কিছু পর্বে চালু থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ইয়ে….মানে বলেছিলাম, ধানসিঁড়ি পেতে হলে আরাধনা করতে হয়, নয়তো ফ্রিতে মিলেনা। আপনি দেখছি সাধনা করা শুরু করে দিয়েছেন !! ক্ষেপে গেলেন নাকি ! বিষন্ন বাউলের ঝু্ঁটিবাধা চুলে ক্ষ্যাপা বাউল বেমানান। জানেন ?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে বাউলের বিষণ্ণতা দিয়ে তার আকান্ত নিমগ্নতা বোঝাতে চেয়েছি।
আরাধনা কি না জানি না, তবে কাঠখড় অনেক পোড়াতে/পুড়তে হয় বলেই মনে হচ্ছে।
তৈরি থাকুন অনেক পর্ব পড়ার জন্য।
একটু ক্ষ্যাপামি না থাকলে অনেক পর্ব কেমনে লিখুম!!
সঞ্জয় মালাকার
ব্হ্ বেশ দারুণ লিখলেন ভাই ভালোই লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শাহরিন
কবিতা পড়া শিখে তারপর কবিতার মন্তব্য করবো কিন্তু এতো পানির কথা পড়ে ঠাণ্ডা ঠান্ডা বোধ করছি😔
এখানে অনেক গরম 😢
ছাইরাছ হেলাল
স্কুলের ঠিকানা দিলে আমিও না হয় আলাদা ভাবে কিছু শেখার চেষ্টা নিতাম,
সুন্দর করে করে মন্তব্য/মন্তব্য-উত্তর দেয়ার জন্য।
কোন গরম-ই চির গরম না, ঠাণ্ডা সমাগত থাকে সেখানেই।