একঝাঁক শক্ত দুর্ভেদ্য অন্ধকার ছিঁড়ে-ছুঁড়ে
রাতভর ঝাঁঝালো বৃষ্টি আর গাঢ়-অন্ধকারের মনঃকষ্টেও
একলা-প্রহরের শেষ-রেশটুকু যায়নি মিলিয়ে এখনও,
শিখিও-নি বিষণ্ণতার কোন মন্ত্র, তাই
আমি আজ যাব-না কোথাও, নেই বিশ্রাম-বিরতি,
নেই উল্লাস-মত্ত ঝক্কি-ঝামেলা, পরম-আত্মীয়তার ঘ্রাণে;
ক্ষণে ক্ষণে শুধুই প্রতিক্ষণ, ঐ লাজপ্রভাত এলো বলে,
আজ কোথাও আর যাচ্ছি-নে; নিকুচি করি মহাকালের,
দীর্ঘতম নাতিশীতোষ্ণতায় লুটে নেব নিপুণ সৌকুমার্য।
প্রহরের শেষ আলোটুকু চোখে মেখে,
শেষ গন্ধটুকু শুষে নিয়ে
আমি থেকে যাব আমার অমরাবতীতেই;
সটকে পরবো না ছিঁচকে চোরের মত উর্দ্ধোশ্বাসে,
নির্বিকার অঙ্গীকার, চক্রবৃদ্ধি হারে, দ্রাক্ষাপিষ্ঠ ঠোঁটে;
২০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
বুঝেছি নিরেট অঙ্গীকার কবির। নড়াচড়া সবার সয় না, অনেকে আবার সয়ে যাক তাও চায় না।
দ্রাক্ষা শব্দের অর্থ খুঁজতে গিয়ে কি পড়েছি সব ভুলে গেছি। এক চোখ যদি রাখি পঙতিতে আরেকচোখ রাখতে হয় অভিধানে। যা পড়ি সব ভুলি।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই আবার নড়তে পারেও না, অঙ্গীকার সে আর এক বিশাল হ্যাপা,
আজকাল অভিধানের দিলে খুব নজর!!
আমিও শব্দটির অর্থ ঠিক-ঠাক খুঁজে পাচ্ছি না, আপনি পেলে আওয়াজ দিয়েন।
প্রহেলিকা
শব্দটির অর্থতো একটাই খুঁজে পেলাম আর তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা হলো পড়তে বসে অভিধানকে শত্রু মনে হয় কিন্তু। পড়ার স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তাও আবার কত খুঁজে খুঁজে।
ছাইরাছ হেলাল
Ars Poetica কবিতায় কবি আর্চিব্ল্ড্ ম্যাকলিস এর শেষ দুটি লাইন,
‘ A poem should not mean
But be”
আর অভিধান-ই সব না, সেখানে অর্থ লেখা থাকে, ভাব না।
মিষ্টি জিন
অপেক্ষার প্রহর শেষ করে ভোর একদিন আসবেই।
অংগীকারের কাছে দায়বদ্ধতা থেকেই যায়। অপেক্ষায় যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় ,পালিয়ে বেড়ানোর মধ্যে তা মেলা দায়।
এবারের কবিতা নিয়ে কেন জানি দুষ্টামি করতে ইচ্ছে করছে না।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত দিন পরে এসে ভারী ভারী করে বললে হবে!!
অপেক্ষা আনন্দ-যন্ত্রণার, তবে তা সবাই পায় না।
নীহারিকা
কঠিন অঙ্গীকার। ছিঁচকে চোরের মত যে সটকে পড়বেন না তা বুঝতে পেরেছি।
ছাইরাছ হেলাল
মারহাবা, মারহাবা,
কে বলেছে অবুঝ আপনি!!
হচ্ছে-তো, হবে-ও।
নীহারিকা
হইছে হইছে, আর হাততালি দিয়ে কাজ নেই। এ তো কবিতা নয়, এ যে একান্ত অনুভুতি। তাই তো কিছু কমন পড়লো। নইলে সাদা খাতা জমা দিয়েই বেড়িয়ে যেতুম। হু
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, কবিতা ল্যাক্তারিনা,
তাই অনুভুতি-ই সই!!
সাদা খাতার দিন শেষ, এখন সব নকশি-কাঁথা!!
নীহারিকা
আফনের লগে কি কতা কইয়া জিতুন যাইবো? হাসতে হাসতে মরলাম। নকশী কাঁথা হইবো তবে পুলাপানের কাঁথা আর কি। তুলে রাখা কাঁথা বানাইতে খবর আছে। সে আর হইতো না।
ছাইরাছ হেলাল
হপে হপে একটু লেগে থাকলেই।
জিসান শা ইকরাম
এমন অঙ্গীকারেই থাকা ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
অঙ্গীকার রক্ষা খুব কঠিন কাজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো কঠিনভাবে না লিখলেই কি নয়? ওই গানটা গেয়ে ফেললেই তো হতো, “কথা দিলাম, আমি কথা দিলাম…।” সাথে যোগ করতেন এভাবে ওয়াইন খেয়ে একেবারে টাল-মাতাল হলেও প্রতিশ্রুতি থেকে একচুলও নড়চড় হবেন না।
নাহ বেশি বলিনা আজকে। এমনিতেই আমি মেধাবী/জ্ঞানী না। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আগে-ভাগে মনে করিয়ে দিতে হবে তো,
মাতাল হলেও টাল খেয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা যাবে না!!
মেধবীজ্ঞানী না হওয়াই উত্তম!!
শুন্য শুন্যালয়
কতো নম্বর অংগীকার চলছে? জানতে পারলে টুকে রাখতাম, যেইভাবে চক্র বৃদ্ধিহারে বাড়ছে, শেষে সব ভুলে গেলেও খাতা মেলে ধরে আপনাকে উদ্ধার করে দিতে চাই।
অমরাবতীতে এতোকিছু থাকলে আবার কিয়ের বিশ্রাম? দৌঁড়ে পালাবার দরকারই পড়বেনা। বরং চেপে ধরে দড়ি দিয়ে আচ্ছামতো বেঁধে মারধোরের ছলে আদর সোহাগ। ছোট তরুন মানুষ, খায়েশ অংগীকার বৃহৎ।
ছাইরাছ হেলাল
খাঁটি অঙ্গীকারের প্রভাব চক্রবৃদ্ধি হারের মতই ব্যাপক।
অমরাবতী একটি-ই, তাই এক অঙ্গীকারেই সই,
পা হড়কালে-ও উদ্ধারকারী আছে জেনে আনন্দ হতেই পারে।
মারধোরের ছলে অন্য কিছু পেলে আরও ভাল, অমরাবতী বলে কথা, এটি এমনিতেই আনন্দাশ্রম।
এরাদা কম রাখতে নেই!!
অরুণিমা
এটা ভালো লাগল
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।