আমার লেখালিখির শুরু টা ক্লাস টু তে থাকতে।স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্য একটা কবিতা লিখেছিলাম।লিখে কাওকে না দেখিয়েই জমা দিয়ে দিলাম।প্রচন্ড ধড়িবাজ ছিলাম ছোটকাল থেকেই।কবিতাটা ছিল স্কুলকে নিয়ে লেখা।জানতাম এই টপিকে লিখলে ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। 🙁
যা ভেবেছিলাম তাই।ম্যাগাজিনে লেখাটা আসল।ম্যাগাজিনে কারোর লেখা ছাপা হওয়াটা রীতিমত গর্বের বিষয় ছিল।আম্মু তো অবাক।বান্ধবীরা অবাক।শুধু প্রশংসা আর প্রশংসা। \|/
কবিতাটা কিন্তু আসলে একটা বুলশিট ছিল।এখন বুঝি।কিন্তু ওই বয়সটাতে এত প্রশংসা শুনে আমি তো নিজেকে রীতিমত কি না কি ভাবতে শুরু করলাম। ধুমায়ে কবিতা লেখা শুরু করলাম।সবচেয়ে হাস্যকর বিষয়,এই প্রথম কাওকে বিষয়টা বলছি... আমি ভাবতাম আমি রবীন্দ্রনাথের থেকেও বড় কবি হবো! :p জীবনে কি আর করেছে রবীন্দ্রনাথ...ওকে ছাড়িয়ে যাওয়া আমার জন্য কোন ব্যাপার নাকি!
রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ বের হয় পনের বছর বয়সে।আর আমার বয়স তখন আট কি নয়।ভেবেছিলাম কয়েকদিন টানা লিখলে এগারো বছরের মধ্যেই আমারও একটা কাব্যগ্রন্থ বের হয়ে যাবে। হাহ...কোথাকার কোন রবীন্দ্রনাথ-আমার সাথে লাগতে আসে! এই জেদেই ক্লাস ফাইভে উঠতে উঠতেই আমার কবিতায় পাঁচছয়টা খাতা ভরে গেল।
শুধু কি কবিতা?রবীন্দ্রনাথ উপন্যাস লিখেছে।আমিই বা বাদ যাই কেন!উপন্যাস লিখতে শুরু করলাম।তাও একসাথে দুইটা শুরু করলাম।বাইরের কেউই জানেনা-বাসার কেউ জানে কিনা সেটাও শিয়্যোর না...আমার দুইটা অসমাপ্ত উপন্যাস আছে.. :p
কাওকে হারাতে হলে তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হয়।সেই উদ্দেশ্যেই মূলত রবীন্দ্রনাথ পড়া শুরু।গল্পগুচ্ছ শেষ করেছি ক্লাস ফোরে...তারপর আস্তে আস্তে উপন্যাস...কবিতা আরও পরে।ততদিনে আমি বুঝে গেছি রবীন্দ্রনাথ কি জিনিস...
তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চিন্তা কতটা বোকামী!মিথ্যা বলব না-খুব মন খারাপ হয়েছিল 🙁
রবীন্দ্রনাথের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর পড়তাম না।তাকে ভালোবেসে পড়তাম।
সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় "শেষের কবিতা" আমি পড়েছিলাম ক্লাস ফাইভে।তাও দুইদিনে।সেকালে সবটাই বুঝছিলাম...খুব ভালোভাবে বুঝেছিলাম।
তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে আরও একবার পড়তে গেলাম।এ যাত্রা পাঁচদিন লাগিয়ে পড়েছি।তাও মনে হয় অনেক কিছুই বুঝি নি।আরো একবার পড়লে আরও ক্লিয়ার হবে।
খটকা লাগে...'শেষের কবিতা' তো পাল্টায় নি...আমিই কি তবে জটিল হয়ে গেছি!?
মাঝে মাঝে ভাবি-আমার মেয়েবেলা টা একেবারে খারাপ ছিল না।মুভি ছিল না...ফেসবুক ছিল না...পিডিএফ ছিল না...ছিল না ল্যাপটপে "AMAR LEKHA" নামের ফোল্ডার টাও।
কিন্তু স্কুলব্যাগ ছিল... কবিতার খাতা ছিল...গল্পের বই ছিল...
আর একটা স্বপ্ন ছিল-রবীন্দ্রনাথ কে ছাড়িয়ে যাব! 🙂
এগারো পার হয়ে গেছে অনেক আগেই...তারপর কেটে গেছে আরও অনেকগুলো বসন্ত।আমার সেই কাব্যগ্রন্থ আজও বের করা হয়ে ওঠে নি... (-3
৪৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম সোনেলায় -{@
এখানে লেখুন নিজের সাইট ভেবে,
সোনেলাকে ভাবুন নিজের বাড়ির উঠোন হিসেবে।
লেখা নিয়ে মন্তব্য করবো আগামী কাল।
শুভকামনা।
পিউ
লেখা নিয়ে মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম…ধন্যবাদ! 🙂
শুন্য শুন্যালয়
পিউ? এই নামতো সোনেলায় আগে থেকেই বিখ্যাত, আপনি কি সেই পুতুলীর আম্মু পিউ?
সোনেলা আজ থরথর কাঁপছে, ভয়ে আনন্দে। বলে কি!! রবীন্দ্রনাথের থেকে বিখ্যাত কবি’র পা পড়েছে এইখানে? 😮
ক্লাস ২ তেই প্রথম ধড়িবাজের কবিতা প্রকাশ ম্যাগাজিনে? দেখুন দেখুন, আমি কিন্তু খুব হিংসিত হচ্ছি। আর অসমাপ্ত উপন্যাস? আজ পর্যন্ত এক অক্ষর লেখার সাহস পাইনি, অবশ্য আপনার জন্য এটা কোন ব্যাপারই না, কোথাকার কোন রবীন্দ্রনাথ এর সাথে জেদ, তার জন্য এটা ব্যাপারই না। ভোরবেলা এই লেখা পড়েই হি হি করে হেসেছি। প্রথম লেখাতেই এই মেয়ে দেখি চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে, দারুন লেখা পিউ।
স্বাগতম আমাদের সোনেলা বাড়িতে। -{@
ল্যাপটপে AMAR LEKHA নামে একটা ফোল্ডারের কিন্তু গন্ধ পাচ্ছি আমি, শিঘ্রই বের করুন। নইলে হ্যাক হবে।
শেষের কবিতা পাল্টায় না, পাল্টাই আমরাই, কিন্তু তাই বলে ক্লাস ফাইভে বুঝে গিয়েছিলেন? ^:^ আমি ক্লাস টেনে বসে পড়েও তিনবার না পড়ে বুঝিনাই 🙁 বুঝতে পারছি এক পিউ এর আবির্ভাব হয়েছে। ভালো থাকুন। ভালো থেকে খুব করে আমাদের জন্য লিখুন।
আবারো স্বাগতম পিউ।
পিউ
হ্যাঁ! আমিই পুতুলীর আম্মু! 🙂 😀
রবীন্দ্রনাথের থেকে বড় কবি!!!!হাহাহা… বিষয়টা চিন্তা করলেই আমার নিজেরই হাসি পায়! কি বোকাই না ছিলাম ছোটবেলায়…
লেখার চেষ্টা করবো…কতটুকু পারবো জানি না…দোয়া করবেন!
ভাল থাকবেন!! 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
শুভকামনা আপি। এই সোনেলা আপনার সঙ্গী রইল আর রইল একঝাক কর্তব্যপরায়ণ শ্রধ্বেয় ও শ্রধ্বেয়া।
আপনার খুরধার কলমে জয় করে নিন পাঠক এবং সকলের মন।
আসলে শেষের কবিতা একটা কবিতায় বটে
পড়লেন টুতে আবার বারতে বুঝলেন্না! তাঁকে কিন্তু চিনলেন।
হ্যা আমরা অল্পতে বুঝি বেশিতে না। এই হল বয়সের গ্যাড়াকল।
শুভেচ্ছা আপু। স্বাগত এই সোনেলায়।
পিউ
ছোটবেলাটা আসলেই অনেক সহজ ছিল!!! সহজ ছিল চিন্তাগুলোও!
ভালো থাকবেন! 🙂
জিসান শা ইকরাম
সহজ সরল বর্ননা, চমতকার উপাস্থপনায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ক্লাস টু থেকে কবিতা লেখা, ৫-৬ টি কবিতা ভর্তি কবিতার খাতা, দুটো অসমাপ্ত উপন্যাস, রবীন্দ্রনাথের পরাজিত করার জেদ আপনাকে এসব করিয়েছে। ছোট বেলার এই লেখার স্মৃতিকে খুব মজা করে জানালেন আপনি আমাদের। মনে হল সামনে বসে নিজেই মুখে বললেন।
আপনি যে ভাল লেখক তা প্রথম লেখা দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন।
পিউ নামটা পরিচিত লাগছে কেন এত? 🙂
অনিকেত নন্দিনী
পুতুলীর মায়ের নামও তো পিউ, তাই না? :p
পিউ
পিউ নামটা তো পরিচিত লাগবেই…পুতুলীকে মনে আছে তো!!!
আপনার রাজি হওয়াটাই কিন্তু বাকি…অন্যসব কিন্তু ঠিকঠাক…
জিসান শা ইকরাম
এবার মনে পড়েছে , পুতুলীর মা হচ্ছেন পিউ 🙂
কি দিনকাল আইলো, নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিজেই দেয় 😀
পিউ
Everything is fair in war and love!!!! 😀 (3
জিসান শা ইকরাম
Everything is fair in war and love!!!! – বাপরে, খাইছে। এমন বৌমাই তো চাই 🙂
পিউ
তারমানে রাজি!!!
ইয়েস!ইয়েস!
নাসির সারওয়ার
আপনি নির্ঘাত ভুল করে ভুল জায়গায় এসেছেন। সোলেনাতে একজনই কবি আছেন এবং তিনি হলাম আমি। এক বনে দুই বাঘ থাকতে পারেনি, থাকতে পারেনা।
ক্লাস ফাইভে “শেষের কবিতা”! তা অবশ্য ভালো। টক্কর দিলে চুনোপুঁটির সাথে কেনো! সাবলীল উপস্থাপনা, বেশ ধরে রেখেছেন প্রথম লেখাতেই।
এসেই যখন পরেছেন, থাকুন কিছু সাদা মনের মানুষের সাথে।
অনিকেত নন্দিনী
এহ! কবির উপরেও টিচার আছে, তাই না নবিশ? :p
আইজকাইল কাহিনী কী? বাত্তি জ্বালাইয়া খুঁজলেও পাইনা ক্যান? ^:^
নাসির সারওয়ার
কি যে কন টিচার। মা বাবার পরেই আপনার জায়গা।
হায় আল্লাহ, এ দেখি মাছ এ কোচ ধাওয়াচ্ছে!! কাল আপনাকে অনেক খুজেছিলাম এবং মিস করেছি।
অনিকেত নন্দিনী
বাপ্রে! এত্ত উপ্রে জায়গা দিলেন? পইড়া মাজা ভাঙবো নাতো? :p
মাছে আবার কোঁচ ধাওয়ায় কেম্নে? আমি তো জানতাম কোঁচের ভয়ে মাছই ছুটে পালায়। 😮
আসার ইচ্ছা ছিলো ব্যাপক। পরিস্থিতিভেদে আসা হয়ে ওঠেনি। 🙁
পিউ
একবনে দুই বাঘ থাকতে পারে না… কিন্তু বাচ্চা বাঘ একটা-দুইটা কিন্তু এক্সট্রা থাকতেই পারে…
আমি না হয় বাচ্চা বাঘই হবো!!!
আর অনিকেত নন্দিনী আপু…আমিও আপনার শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে চাই!!!
অনিকেত নন্দিনী
আমার পাঠশালা সোনেলার গাছতলায়। এসে গাছতলায় গ্যাঁট হয়ে বসে পড়লেই হলো। 😀
পিউ
বসে পড়েছি তো! 🙂
নাসির সারওয়ার
আচ্ছা। থাকুন। তবে বাচ্চা বাঘ কিন্তু বলে রাখলাম। হুম।
আর আমার টিচারও যখন বলছেন। টিচার হলো সেকেন্ড প্যারেন্ট, তার কথা তো অমান্য করা যাবেনা।
থাকুন থাকুন।।
ড্রথি চৌধুরী
বাব্বাআ ২ তেই কবি??!!! 😮 আপনার ঠকুমার ঝুলিতে কি কি আছে বের করুন পড়তে চাই জানতে চাই ” পিউ” কে!! 😀 পিউ নামের সাথে আমার খুব সুন্দর কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে! আজও মিস করি সেই আমার ছোটবেলার পিউ আন্টিকে 🙁 তার বিশাল এক কাল কুকুর ছিল ব্ল্যাকি নামের বন্ধু ছিল সে আমার ! আমি রোজ জেতাম তার বাসায় কত্ত আদর করত!! 🙁 সে হঠাত করেই হারিয়ে গেলে আমার আদরের ঘাটতি পড়ল!
;(
এবার আর এই পিউ কে হারাতে দিতে চাই না 🙂 সোনেলা পরিবারে স্বাগতম (3 -{@
পিউ
এবার তাহলে খুব শক্ত করে ধরে রাখুন আপু!!
যাতে কোনমতেই না হারাই!!
😀
অনিকেত নন্দিনী
সোনেলায় স্বাগতম। -{@
মাত্রই কিছুদিন আগে এক পিউ’র গল্প পড়েছি, তাকে কল্পনায় দেখেছি, ভাইয়ার কলেজ পড়ুয়া পুত্রের দিকে দুষ্টুমিভরা চোখে তাকাতে দেখেছি। আপনি কি তাকে চেনেন? নাকি আপনিই সে? ;?
আপনি তো দেখছি বিশাল মহারথী! 😮
ক্লাস টুতে পড়তেই স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা! ফাইভে পড়তেই শেষের কবিতা! প্রাইমারি স্কুল ছাড়াতে ছাড়াতে পাঁচ ছয়টা খাতা ভর্তি কবিতা! অসমাপ্ত দুইটা উপন্যাস!! নিজেরে তো চুনোপুঁটি মনে হচ্ছে। 🙁 ইয়ে মানে এইখানে কোনো দুষ্টু ছেলে ছিপ বড়শি নিয়ে তৈরি নেই তো! :p
পিউ
হাহাহা!আমিই সেই পিউ!
আর কি যে বলেন আপু!!!আপনি যদি চুনোপুঁটি হন আমার তো তাহলে অস্তিত্বই থাকে না!
অনিকেত নন্দিনী
কী কয় মাইয়া!
এই পিউ’র একটা কমন ভাইয়া আছে, পৃথু আছে, পুতুলী আছে, অসমাপ্ত দুই দুইখান উপন্যাস আছে, আমার কিচ্ছু নাই। ;(
আমি চুনোপুঁটি। তায় আবার দুষ্ট বালক ছিপবড়শি আর কোঁচ নিয়া পিছে লাগে। ;(
পিউ
চুনোপুঁটি আর কোঁচ হাতে দুষ্ট বালক!!!
অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পাচ্ছি!
অপার্থিব
আপনার লেখা উপরের অনেকের মত আমারও শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে। শেষের কবিতা আমিও স্কুল লাইফেও পড়েছিলাম , সম্ভবত ক্লাস সিক্সে। মোটামুটি বুঝেছিলাম, খুব একটা না ।প্রথম কবিতাও ক্লাস সিক্সে দেয়াল পত্রিকার জন্য । তবে শৈশবে একটা হাস্যকর কাজ করেছিলাম। বিভিন্ন বই পত্রে মনীষীদের নানা বাণী পড়ে আমার ইচ্ছে জেগেছিল কিছু বানী লেখার। কয়েকটা লিখেছিলাম।
ভাল লেগেছে পোস্ট।
পিউ
আপনার সাথে তো আমার মেয়েবেলার ভালোই মিল আছে দেখছি!!
ভালো থাকবেন আপনিও! 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
আমার ছোটবেলায় এক বন্ধু বলতো রবিন্দ্রনাথ যদি শেষের কবিতা না লিখত তবে সে রবিন্দ্রনাথ হতো না ……. যদিও কথা টা কথার কথা তবুও আমাকে ভাবায় এখনো…… এখনও সময় পেলেই শেষের কবিতা পড়ি,প্রতি বারই শিখি কিছু না কিছু
ঠিকই তো পাল্লা যদি ধরতে হয় তবে বড় না সবচেয়ে বড় এর সাথে ধরা উচিৎ.
ভাল লেগেছে আপু, সোনেলাতে আপনাকে স্বাগতম, সামনে নিশ্চয় ”আমার ফল্ডারের” লিখা দেখব !
ভাল থাকুন
পিউ
হ্যা…সব লেখাই আসবে আস্তে আস্তে…
দোয়া রাখবেন…আর অনেক ভাল থাকবেন! 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
প্রথমেই স্বাগতম -{@
শেষের কবিতা ফাইভে থাকতে দুইদিনে পড়ছেন? আবার সব বুঝছেন! :D)
অমিত, লাবন্য এতই সহজ! 😀
আমিও কেলাস টেন এ শেক্সপিয়ার সমগ্র শেষ করছিলাম আট দিনে।
তারপর তো একটা ভাব চইলা আসে।
ফ্রেন্ডস সার্কেল এ আমিই প্রথম।
তারপর শুধু হইছে! স্বপ্নে শুধু খুন, হাঙ্গামা, রক্ত আর রক্ত দেখতাম!! ;(
এর পর কয়েকমাস আর বই পড়ি নাই।
শুধু নাটক দেখছি। 😀
পিউ
ছোটবেলায় বুঝসিলাম…অমিত লাবণ্য তখন সহজ ছিল! 🙁 কারণ আমি নিজেই সহজ ছিলাম…
এখন মাথার উপর দিয়ে যায়…নিজেই কঠিন হয়ে গেছি যে! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি এখানে,
বাহ্, দেখে ভালই লাগল, এসেই মন কেড়েছেন আমাদের অনেকের।
আপনি তো দেখছি জাত লেখিয়ে, এত্ত এত্ত পিচ্ছি থাকতেই এত্ত কিছু!!
স্বপ্ন বাস্তবায়ন করুন, জলদি।
পিউ
ধন্যবাদ ভাইয়া!
কিন্তু বাস্তবায়ন তো সম্ভব না!!!রবীদ্রনাথ কে কি আর টপকাতে পারে কেউ!
অরুনি মায়া
সোনেলায় স্বাগত আপনাকে | যদিও আপনি মোটেও অপরিচিত নন 🙂 |
যাক রবীন্দ্রনাথ আপনাকে পিচ্চি বয়সেই কবি বানিয়ে দিলেন | আসলেই জেদ মানুষকে দিয়ে কত কিই না করায় 🙂 |
অসমাপ্ত উপন্যাস দুটোর সমাপ্তি চাই কিন্তু এবার | আর খাতার ভিতর যেগুলো লুকিয়ে রেখেছেন তাও দেখতে চাই | 🙂 -{@
পিউ
ধন্যবাদ আপু!জিদ আর কি করেছে জানি না…কিন্তু আমার ছোটবেলাটাকে সুন্দর করে তুলেছে অনেক অনেক বেশী!
উপন্যাস কখনোই ঝুলি থেকে বের করছি না …একেবারেই ছেলেমানুষি ওগুলো! :p
তবে বাকিগুলা আস্তে আস্তে সব আনব!
দোয়া রাখবেন!
নাজমুল আহসান
এগারো বছরের মধ্যেই আমারও একটা কাব্যগ্রন্থ বের হয়ে যাবে। হাহ…কোথাকার কোন রবীন্দ্রনাথ-আমার সাথে লাগতে আসে! :@
পিউ
ছোটবেলাটা আসলেই সুন্দর ছিল! রবীন্দ্রনাথ vs আমি!!! 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাবতে হচ্ছে কি বলবো! ক্লাশ টুতেই কবিতা স্কুল ম্যাগাজিনে! তারপর ক্লাশ ফোরে “গল্পগুচ্ছ”, ক্লাশ ফাইভে “শেষের কবিতা।” 😮
মাথা ঘোরাচ্ছে। ইন্টারভিউতে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো সকলকেই। আর শেষের কবিতা উপন্যাস না হয়ে হয়ে যেতো কবিতা। গুরুদেবকে আমি ডাকি “বুড়ো” বলে। বুড়োর প্রেমে পড়ে আছি সেই কবে থেকে…”কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, সে তো আজকে নয়…” আর আপনিও যখন। তাহলে তো বেশ হবে, জানতে চান কি? আরে মারামারি, ঝগড়া-ঝাঁটি।
স্বাগতম সোনেলা নীড়ে। ওহ পিউ নামটা আমার ধারাবাহিক অহম-তিরির একজন বন্ধু। তিরি চাইছে অহমের সাথে পিউর বিয়ে হোক। আপনি রাজি? 😀
আমি অনেক দুষ্টু, কখনো সিরিয়াসলি কিছু নিতে যাবেন না, তাহলে আমি ;(
লিখুন, আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি। -{@
পিউ
না না…অহমের সাথে আমার বিয়ে হওয়া চলবে না…
আমার বিয়ে তো অন্যখানে ঠিক…পৃথুর সাথে…সেই গল্পটা পড়েন নি?
লেখা আসবে… পরীক্ষা টা শেষ হোক! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে আমার এখন ব্লগে আসা হয়না। অনেক ঘটনা।
সেভাবে বসতে পারিনা বেশীক্ষণ।
সুস্থ হয়ে নিই তখন অনেক জ্বালাবো।
পরীক্ষা ভালোয় ভালোয় শেষ হোক। 🙂
ব্লগার সজীব
আমাদের অতি পরিচিত পিউ আপু এসে গেছেন? \|/ আপনি সোনেলায় আসার পূর্বেই তো পরিচিতি পেয়েছেন। কত ভাগ্য আপনার -{@ এমন মজার লেখা নিয়ে আসবেন রোজ। আপনি যে বয়সে লেখা শুরু করেছেন, ঐ বয়সে রবীন্দ্রনাথ লেখা শুরু করেননি। সেক্ষেত্রে কিন্তু হিসেবটা অন্যরকম :p
আপনার লেখা পড়ে একটি কথাই মনে আসলো, ” তোমাকেই খুঁজছে সোনেলা ” 🙂 -{@