নারীর জন্ম জীবনটা একটা বৃত্তের মধ্যে থাকে। সে বৃত্তটা ধরলাম রাবারের। সে বৃত্তে থাকে বাবা-মা, ভাইবোন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে বৃত্তটাও বাড়তে থাকে। আর তা বাড়তে বাড়তে একসময় ছিড়ে যায়।
তারপর বৈবাহিক সূত্রে শুরু হয় আর এক বৃত্ত। এ বৃত্তটা অনেক বড়। স্বামী পুরুষটির ছেঁড়া এ বৃত্তটি গোছাতে গোছাতে, অর্থাৎ( দ্বায়িত্ব পালন, স্বামী পুরুষটির এলোমেলো জীবন, অবহেলা, অপমান) একসময় সংকুচিত হয়ে আসে। গৃহিনী নারী ধর্ম রক্ষা করতে করতে, স্বামী পুরুষটির সাথে ছোট এ বৃত্তে ভুলে যায় প্রেম, ভালবাসা, শরীর ও মনের কথা বলতে। স্বামী পুরুষটি তখন এই শেষবেলাতে ক্লান্তিতে হেলান দিতে সুবোধ সংগীর খোঁজে ছোট বৃত্তের মধ্যে। দয়িতের হৃদয়পদ্ম যত বড় কাম্য বস্তুই হোক, সারাজীবন তাকেই আঁকড়ে ধরে ভাবলোকে বিচরণ করলেও নারী চায় সন্মান, পুরুষ হৃদয়ের রানী হতে। কিন্তু পুরুষ হৃদয়ের যজ্ঞশালায় অমৃত বিতরণের আমন্ত্রনের এক অতিথী সে থাকে না। সে পুরুষ হৃদয়ে হাজার মনের অতিথী। পুরুষ বলে,” এ সংসার তোমার, এ চার দেয়াল তোমার, মনটাকে বড় করো, দেয়ালে যেন কোনো কালসিটে দাগ না পড়ে।” সে ভার পায় এ চার দেয়ালের সংসারের। কিছু দ্বায়িত্ব, কিছু কর্তব্য, এবং অসংখ্য সব ত্যাগ। সংসারের রৌদ্রতাপে ললাটে ফোটে তার স্বেদবিন্দু, তার অঞ্চল রয় ধুলিময়। পরিবারের প্রিয়মুখগুলির মলিনমুখ অমলিন রাখতে রাখতে জীবনের মধ্যম ও শেষদিকে সে নিঃশ্বাস ফেলে আবিষ্কার করে, স্মৃতিরভান্ডার বড় হলেও আমি নিতন্তই একা।
পুরুষ তার ঘরের গৃহিনীকে নাম দেয় ঘরণী। ভদ্রলোকেরা বলে, গৃহলক্ষী, গৃহের অধিষ্ঠার্থী দেবী। এমনি কতো কি! এসব মন ভোলানো মিথ্যে কথা। বাইরে বন্ধু সমাজে তার পরিচয়,”সে ঘরেই থাকে,কিছু করে না।” বা মেয়ে স্মার্ট কলিগ হলে শব্দটা হয়,”আমার বৌ এতো স্মার্ট নয়, গায়ে তার পারফিউমের গন্ধ ছোটে না,মুখে প্রসাধনির পলিশের সে জৌলুস নেই। ঘেমে নেয়ে বিদঘুটে জীবন যাপন তার।”
যে নারী গৃহকে গড়ে তোলে জীবন দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে কিন্তু এ গৃহ তার নয়। গৃহের দেবতা পুরুষ। তাই সে তার প্রিয়তম স্ত্রীকে পদে পদে অপমান করে। তার জন্য বরাদ্ধ রাখে অবহেলা, অনাদর, দিনশেষে ঘরে ফেরা কঠিন মুখের কর্মঠ এক পুরুষ। পুরুষ বোঝে তার পুরুষালী ইগোর বুদ্ধি দিয়ে। গৃহিনী বোঝে তার অস্তিত্ব দিয়ে। নারী বাঁচতে চায় তার এই অস্তিত্বের জীবনী শক্তির জোরে। সে অস্তিত্ব তার এই তথাকথিত সমাজের লোক লজ্জা এবং গর্ভের সন্তান।
নারীর জন্য সংসার এক পূণ্যক্ষেত্র। যদি তা সন্মানের হয়। কর্তব্যবোধ আঁকড়ে ধরে নারী শক্ত হয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। যদিও নারী জানে সে, বাড়ির উঠোনে লাগানো এক কদম ফুল। গাছে থাকতে সবুজ পাতার ফাঁকে ঘোমটা পরা এক বাদামী মুখি কিশোরী বৌ। যখন কোনো ভুলে সে নীচে পড়ে যায়, বরষায় ভিজে পঁচা গন্ধে বাড়ির মানুষের তখন আক্ষেপ,”এ গাছটি কেন এখানে!” শশুরকূল তো বলেই ফেলে,”এবার বাড়ির চৌকাঠটি পাল্টেই ফেলো বাবা।”
সংসারে নারী প্রবেশ করে স্বামী পুরুষটিকে ভালবেসে, হাস্যমুখে, আনন্দ নিয়ে, উচ্ছলতা নিয়ে ঠিক সদ্য মেঘমুক্ত রৌদ্রজ্জল প্রভাতের মতো। পরম বিশ্বাসের সাথে। সে বিশ্বাস করে এই মানুষটি তার হাত ছেড়ে দিবে না। কিন্তু সহসা সংসারের কুটিল রাজনীতির নির্মম অভিশাপে সে হয়ে যায় নিষ্প্রাণ পাথর। বার বার সে হোঁচট খেয়ে পড়ে তাই সর্বাঙ্গে বিরাজ করে বিষাদের মৌণ ছায়া। অন্তর করে রাখে উপবাসী। বয়সের আগেই বেড়ে যায় তার বয়স। ধারণ করে মরণাহত পাণ্ডুর রূপ। ঠোঁটের কোণে ভদ্রতার মিষ্টি হাসি টেনে ঢেকে রাখে স্বামী পুরুষটির হৃদয়ের ক্রোদানল। কারণ এ সমাজ ও বাপের বাড়ির কুলে ঘরের বৌএর কাজই তার স্বামী পুরুষটিকে মহান করে রাখা। প্রাণবন্ত শরীর সময়ের আগেই জরাগ্রস্ত হলে বেঁচে থাকার মানেই ফুরিয়ে যায়। এক সময় যৌবন সম্ভার, নয়নের তড়িৎ চমক, অন্তরে উদার আবেগ মাটিতে চাপা পড়ে। নারীর জীবনে শরীর সুখ হলো, মনও শরীর দুটোই। যতক্ষণ নরনারীর হৃদয়ে সত্যকার প্রেমের যোগ থাকে, ততক্ষণই বিবাহের এই সব সম্পর্কে প্রাণ থাকে। খেলে ওঠে শরীর ও মন। তাই বিবাহে প্রেম থাকা জরুরী। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফাটলগুলো একসময় গভীর গর্তে পরিণত হয়। তাই যখন নারী সব কিছু থেকে নিজেকে এই গর্তে গুটিয়ে নেয়, পুরুষ স্বামীটি ভেবে বসে,”অন্য কোথাও মন সাজেনি তো!” তবে কেন শরীর নড়ে না!” ফেলে আসা জীবন ও অনাগত জীবনের দীর্ঘপথের পানে তাকিয়ে দেখে সে, সবটাই রুক্ষ ও ঊষর, কোথাও নেই এক বিন্দু শ্যামলিমা।
পুরুষ তার অন্তরে, তার কন্ঠে এবং প্রতিদিনের আচরণ থেকে বিষ ঝরায় তাতে নারী অর্থাৎ তার গৃহিনীর জীবনকে জর্জরিত করে তোলে। একদিন হঠাৎ করে মেরে ফেলাই মেরে ফেলা না। তিলে তিলে পলে পলে মারাটাই সব থেকে বড় অপরাধ। সংসার জীবনে স্বামী পুরুষটির পদাঘাতের মোহোনিদ্রা থেকে জেগে ওঠে মুষ্টিমেয় কিছু নারী। অক্টোপাসরূপি বিরাটকার এই যে ধর্মীয় কর্তব্যের লোহার বাঁধনে ও সমাজে জড়ানো ওষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে মুক্তি কামনায় উঠে আসা নারীটিও হয় তখন এই তথাকথিত সমাজের চক্ষুশূল। আসলে এই সমাজটা করুণার শান্তনা বাণী শোনাতে তৎপর সব সময়। আবার যে নারী সংসার ও সন্তানের বৃহত্তর কল্যাণের কথা উপলব্দী করে মনে মনে ভাবে,” তার জীবন তো শেষ। উপর আল্লাহর নিয়ামত তার গর্ভের সন্তানটি একটা বন্ধনে বেড়ে উঠুক, সামাজিক মর্যাদা নিয়ে, খোকলা ভালবাসার বন্ধনে, তাকেও এই ফালতু সমাজ ভীরু বলে আখ্যায়িত করে।
কোনো নারী এই তপ্ত জীবনের মাঝে আসর জমানো মুষলধারে ক্ষণিক বরষনে যদি ভিজে তার শীতল পরশে কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমতে চায় তখনও নারী হয় নাকি ক্ষুধার পিয়াসী। নারী সেই সম্বিত ফিরে কুম্ভকর্ণের নিদ্রাও ভঙ্গ করে।
কাটিয়ে দেয় পাতার পরে পাতার উপর বিনিদ্র রজনী। রাত্রির নিভৃত অন্ধকারে অনেক কাহিনী এলোমেলো শব্দ লিখে ফেলে। ঐ যে বলে না,মানুষের চেয়ে কাগজের সয় বেশী। কাগজের বুকে কালির আঁচড়ে লেখা থাকে অজানা অনেক কথা। একটা শান্ত স্থিতধী মহিলার নিগূঢ় উপলব্দি। অবশেষে একদিন সে বুভুক্ষ-শীর্ণ অন্তরের রিক্ত রূপ তুলে ধরে কাগজের বুকে। সে জানে, এ সাদা কাগজ এক অনভিজ্ঞ অর্বাচীন, যার কাছে ব্যক্ত করা যায় সবচেয়ে গোপন সবচেয়ে মর্মান্তিক সত্য। এ সাদা কাগজ নিতে তা কখনোই কার্পন্য করে না।
একবার এক পৌঢ়া স্বশিক্ষায় শিক্ষিত এক নারীর সাথে আলাপ হয়েছিল সংসার জীবনের শুরুর দু’বছর পর। আমাকে প্রচন্ড স্নেহ করতেন। তিনি তার স্বামী পুরুষটির সাথে দীর্ঘ বিশ বছর কথা বলতেন না। একি বাড়িতে একি ছাদের নীচে থাকতেন। চারতলার রাজশাহী সাধুর মোড়ের এ বাড়িটি এখনো আমার খুব প্রিয়। এখন সে চলে গেছে এ পৃথিবী ছেড়ে। তিনি আমায় বলতেন,” স্বামীকে ডিভোর্স দিতে আমি রাজী নই। যতো যুদ্ধ সব তার পাশে বসেই করব। তার কোনো কিছুতে যে কিছুই আসে যায় না, এমন মনকে প্রতিনিয়ত বোঝাবো, এ ঘর ছেড়ে এক পাও যাব না। তার পাশে থাকব, কিন্তু সে আমাকে ছুতে পারবে না, কথা শোনার জন্য অস্থির হবে, কিন্তু শুনতে পারবে না, এ সন্তান তার নয়, একান্ত আমার গর্ভের। তাই এদের এখানে থেকেই খোকলা সমাজের বুকের উপর মানুষের মতো মানুষ করব।” নীরব থাকা এক বড় হাতিয়ার।
,,,,,,মৌনতা রিতু,,,,,,,,২১/৪/১৭.
২২টি মন্তব্য
আগুন রঙের শিমুল
নীরবতার অস্ত্র ভয়ানক 🙂
আর দিন বদলাচ্ছে, অতি সামান্য হলেও বদলাচ্ছে।
মৌনতা রিতু
হুম, দিন বদলাচ্ছে। তবে মফস্বলের অবস্থা এখনো ঠিক এরকম নয়। আমাদের জীবন যাত্রার মান দুই মুখি। উপরের শ্রেনীর মানটা নিন্ম শ্রেণীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
ভাল থাকবেন ভাই।
নীহারিকা
“আমার বউ কিছু করে না” শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়। আর মেয়েদের জীবনতো সে এক আজব জীবন। দুনিয়ার সকল মানুষকে সন্তুষ্ট রাখাই যেন তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
মৌনতা রিতু
ঠিক আপু। এই কাজটা শুধু মেয়েদেরই। পুরুষ তো বলেই খালাস, এটা এখন তোমার পরিবার। মনটাকে সব সময় বড় রাখবে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি জিন
আমরা যারা “হোম মেকার” তাদের কোন কাজ নেই। রান্না ? এটা কোন কাজ হোল, বাচ্চা দেখাশুনা? এটা কোন কাজের মধ্যে পরে। পুরো সংসারটা গুছিয়ে রাখা মানে সবদিক দিয়ে গুছিয়ে রাখতে কষ্ট আর হৃদয়ে যে কত রক্ত ক্ষরন হয় সেটা কেউ বুঝবে না। কিছু ব্যাপার মেনে নেব ,মেনে নিঁযেছি বিধায় মুখে জিপার লাগিয়েছি।
অনেক ভাল লিখেছো আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মিষ্টি আপু। অনেক ভাল থেকো। হাসানোর জন্য অনেকগুলো আদর নিও। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
অসম্ভব ভালো একটি লেখা রিতু ভাবী। একদম এ টু জেড তুলে দিয়েছ একজন নারীর।
তোমার সেই পছন্দের মানুষটিকে শ্রদ্ধা। তিনি নিরব থাকতে পেরেছেন, সব মেয়েরা তার মতো পারেন না। তাদের জন্য জীবনটা নরক হয়েই থাকে। সব অপমান সহ্য করে আঁটকে পড়ে থাকার পক্ষে আমি নই, কারন অই মানুষটির ওয়াইফ এই পরিচয়েই তাকে থাকতে হবে আজীবন।
কাগজ অনেক বড় অস্ত্র। অনেক কিছু বলা না গেলেও কাগজে তা তুলে ধরা যায়। এই অস্ত্র আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠুক। ধন্যবাদ প্রাপ্য তোমার এতো ভালো লেখার জন্য।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ননদিনী। আসলে অনেক মানুষ বোঝেই না কেন সে নীরব আছে। অনেকের এই বোধটাই থাকে না।
তোমার ভাল লেগেছে দেখে আমারও ভাল লাগছে।
ভাল থেকো সব সময়।
ইঞ্জা
দুর্দান্ত এক লেখা উপহার দিলেন প্রিয় আপু, একদম সঠিক কথা গুলিই তুলে আনলেন, নারীর প্রতি পুরুষদের এই একচোখা নীতির কারণেই নারীরা এখন ঘরের চার দেয়ালে বন্ধী কিন্তু একচোখা নীতি বদলাতে হবে পুরুষদের, তাদের বুঝতে হবে, নারীরা কোন অংশেই তাদের চাইতে কম না, সামাজিক ভাবে নারীদের ছাড় দেওয়া উচিত, নারীদেরও তাদের ঘর থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে, নিজেকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, তবেই না নারী জাগরণ হবে।
মৌনতা রিতু
না, ভাইজু আসলে নারী জাগরণ বলেও কিছু বিশ্বাস করি না আমি। আমি বিশ্বাস করি সংসার জীবনে সেকেলে সব তত্ত্ব মুছে ফেলতে। সংসারে মেয়েটিও যে একটি মানুষ তা বিশ্বাস করাতে। তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি প্রকৃতির নিয়মকে। সব কিছু থাকবে তার শৃঙ্খল মতো।
নারী প্রকৃতির মতোই। ভাল থাকবেন ভাইজু।
অনেক শুভকামনা।
অরুণিমা
খুব ভালো লাগল
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আবহমান বাংলার নারী-নিগ্রহের রূপটি সুন্দর করেই তুলে ধরেতে পেরেছেন।
ভয়ংকরতম অস্ত্রের প্রয়োগ সহ,
তবে, নদীর অপর পার-ও দৃশ্যমান,
মৌনতা রিতু
হুম তা কিন্তু সেই সমাজের উঁচু শ্রেনীর মানুষের বেলাতে প্রযোয্য। মফস্বল ও গ্রাম এবং মধ্যবিত্তদের বেলাতে এমন।
অনেক ধন্যবাদ কবিভাই।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের সমাজে নারী এমনই।
একজন নারীকে খুব ভালভাবেই প্রকাশ করেছ তুমি।
নিরব থেকে প্রতিবাদ করা অনেক শক্তির তবে নিরবে সব মেনে নিয়ে নিজকে কষ্ট দেয়া অর্থহীন। প্রতিবাদ করা উচিত নারীদের।
ভাল লেখা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া। নিরব অস্ত্রই বা কম কি!
শুভকামনা ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু দারুণ লিখেছো। তোমার এই লেখাটির জন্য আমার এই কয়েকটি লাইন ঠিক মানিয়ে যায়।
কি, ভালোবাসা চাই? আর একটুকুও যে নেই! তলানীও শূণ্য এখন।
মেয়েটি সে কথা শুনে ছুটে যাবার রাস্তা খুঁজছিলো,
–কি যাবে?
যেভাবে মাটির বুকে বিদ্ধ হয় তীব্র বাজ, ওভাবেই ঠিক হোঁচট;
হাতের মুঠো রক্তাক্ত,
ফিসফিস করে বলে উঠলো, “উফ ব্যথা!”
আমি মেয়েটিকে চাইনা, চিনিনা, চিনতে চাইওনা; উঠে দাঁড়ালো,
“পুরুষের আর কি কাজ, মানুষ হবার জন্য যুদ্ধ করতে তো হয় আমাকে।”
হাঁটু ছিঁলে গেছে, কাপড়ের আড়াল, কি জানি কোন পথে যেতে চায়, কিংবা যাবে!
‘সাহায্য চাই কিছু?’ বিদ্রূপাত্মক দুই চোখ নেচে উঠে বললো, “চাঁদের কোমর বাঁকা কেন জানো? তোমাদের জন্য!”
হাসছে মেয়েটি ডাইনির মতো, মারাত্মক কিছু কি হতে যাচ্ছে? কি জানি! হলেও বা আমার কি!?
মৌনতা রিতু
দারুন লিখেছো। নতুন শব্দ দিলে। দেখি কি করা যায় এই শব্দ নিয়ে। ভাল থেকো আপু। তীর্থকে আদর দিও।
-{@ (3
সঞ্জয় কুমার
অসাধারণ লেখনী । একজন নারী একটা পরিবারের প্রাণ । প্রতিটি বাঙালী নারীর মনের না বলা কথা গুলোই আপনি বলেছেন ।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। পাশে থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
লীলাবতী
আপনার এমন লেখার জন্য অপেক্ষা করি আপু। চিন্তা ভাবনা গুলো অসাধারন। আমাদের জীবন চক্র এমনই। নীরব প্রতিবাদ কি সবাই বুঝতে পারে?
মৌনতা রিতু
পারে, অবশ্যই পারে। যদি তুমি তোমার একটা জগৎ তৈরি করো। সেই জগৎটা অবশ্যই হতে হবে বিতর্ক ছাড়া। তুমি জান, আমি দেখেছি, কেউ যখন তার ভুল বুঝতে পেরে কাছে আসে তাকে লোক দেখানো হলেও মাফ করে চুপ থাকতে হয়। সেই মানুষটি তখন তোমায় মাথায় করে রাখে। তবে কি জান, সেখানে প্রেম থাকে না। থাকে অভ্যস্ততা। প্রেম ছাড়া কি বেঁচে থাকা যায়? হয়ত যায়।
ভাল থেকো। -{@ (3