||একটা বেহায়া সমীকরণ||

শান ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৩:২৪:৪৩অপরাহ্ন বিবিধ ৭ মন্তব্য

স্মৃতিগুলো যখন বর্গের ব্যস্তানুপাতিক হারে আমায় করতে চায় নস্টালজিক –
সুকান্তের ঐ পূর্ণিমার ঝলসানো চাঁদে আশ্রিত দন্তহীন বুড়িটাও হাসে – খিক খিক খিক !
বুড়িটা হঠাৎ ই তার সহস্রাব্দের কম্পনরত তাচ্ছিল্যের আঙুল তুলে দেয় চাঁদের- ঝলসানো রুটির মাঝে !
আমার অবচেতন উপদ্রুত চেতনার খাঁজে খাঁজে –
মস্তিষ্কের মৃত স্মৃতির নিউরণগুলোর ঠিক মাঝে – জমতে থাকে অগ্নুৎপাতের ফেনীল লাভা !
হিমাদ্রী শিখরে দিনশেষে অস্তমিত এক বুড়ো সূর্য্যের পান্ডুর আভা –
সমানুপাতিক হারেই আমায় করে তাচ্ছিল্য !
আমি এক সমানুপাতিক আর ব্যাস্তানুপাতিকের গোলক ধাঁধায় পড়ে যাই –
আশেপাশে তাকাই !
একি ? শূণ্যতা…….! কোথাও কেও নাই !
কল্পনা আর বাস্তবতার পাষবিক ধর্ষণে
অঙ্কের ফলাফল আসে –
‘ হে বেকুব ! নস্টালজিক কোন পিছুটান ই চেতনায় রাখতে নাই । ‘
আমি মুহূর্তেই গ্যাস ল্যাম্পে সস্তা সিগারেট জ্বালাই –
আমার অধর – ফুসফুসকে নিকোটিনে ভেজাই ;
পাকস্থলি আর যকৃতের পাঁচক রসে –
পূণ্য এক স্নানের জন্য – কুন্ডলীত ধোঁয়াগুলোকে গোগ্রাসে দেহের ভেতরে পাঠাই ।
ধোঁয়াগুলো ও পবিত্র স্নান সেরে পুণরায় ধেয়ে আসে অধরে –
আমি বুড়ো সূর্য্য আর বুড়ি চাঁদের দিকে সজোরে –
ফুঁ মারি সেই পবিত্র ধোঁয়া !
এত তাচ্ছিল্যে কি ছেলের হাতের মোয়া !!
ওরা মুহূর্তেই বেহায়া হাসি থামায় –
হয়তো বুঝে নেয় – জটিল সমীকরণ, সমানুপাত বা ব্যাস্তানুপাতের বিন্দুমাত্র স্থান নাই –
আমার উপদ্রুত এই বিদ্রোহী চেতনার মোর্চায় ।।

৪৬৪জন ৪৬৪জন
0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ