আনমনা জল, ভেসে ভেসে চলে, গন্তব্য-অজানায়,
দোষাচ্ছি-না কাউকে;
অবিচল এক স্বৈরিণী চোখ, উষ্ণতার জল নিঃশ্বাসে
জাঁতা-পিষ্ট নিঃসঙ্গ বিমর্ষ মন গুঁজে-গুটিয়ে
অকারণ উচ্ছ্বাসের অট্টরোল তুলি।
এ এক অসম্ভব রানীময়তা শীতের,
অধৈর্যের এলাম-গেলাম অহংকারে;
বিচূর্ণ আয়নায় শুধু ফেলে রেখে ফেলে যাওয়ার
ক্ষয়িষ্ণু অবয়বের আলোহীন চোখ,
চোখে চোখ রেখে চোখ-কথার উদোম উদ্দাম নৃত্যে
পেছনে ফেলার নৃশংসতা, হাজারো উপমা ছড়িয়ে আছে
কলহের তিলক এঁটে।
১২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
শীত যে কত প্রকারের হয় আর কত কত রকম প্রভাব ফেলে তা জেনে নিলাম এই শীতে আপনার হাত-মনের ভাষায় পড়ে। ভালোতো ভালোই,,,
শীত আপনাকে ধরে রেখেছে না আপনিই শীতকে বন্দি করে রেখেছন তাই বুঝে আসছে না,,,
শীতের শেষ ধাক্কায় শীতার্ত হয়ে শুধুই পড়ে যাচ্ছি আপনার শীত-কথন।
ধুর ,,এখন ভালো লাগেনা খুশির ঠ্যালায় ঘোরতে। খালি শীত করে ☹☹
কপ্পো ভালো হয়েছে মহারাজ,,,,আপনার সু-স্বাস্থ্য কামনা করি :T
ছাইরাছ হেলাল
যার কাছে যে যেমন! শীতের প্রকার ভেদ জেনে নিলেন, কিন্তু শীত-শীত লেখা তো পাঠক পেলে না।
কে যে কাকে কখন বন্দি করে বা কে যে বন্দি হয়, এই যে বন্দি বন্দি খেলা, কেউ দেখে আনন্দ পায়,
কেউ অংশ গ্রহণে আনন্দ/বিরহ নেয়!
আমরা অপেক্ষায় থাকি বসন্ত বাহারের!!
জিসান শা ইকরাম
শীতকে তো আপনি বন্দি করে ফেলেছেন আপনার লেখার কারাগারে,
চলবে আরো?
ছাইরাছ হেলাল
কে যে কাকে বন্দি করে সেটি ভাবনার বিষয়।
বসন্তের ডাক শুনতে পাচ্ছি।
রিতু জাহান
এ কলহের তিলক কিসের? অসময়ে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুটলো বলে!
শীত দেখেন যেয়ে তাই আবার ফিরেও এসেছে। আপনার আকুতিভরা শব্দে শীত শীত শীতের নানী শুদ্ধ চলে এসছে।
আনমনে যা কিছু ভেসে যায় তা আসলে আর ফেরানো মুশকিল। মন এক আনমনা ঘোড়া।
ভালো লাগা রইলো গুরুজী।
ছাইরাছ হেলাল
চলে যাওয়ার সময় কিছু চোখজল/নাকজল থাকেই।
এতদিনের বাস গুটানো সহজ কথা নয়, কে চায় রাজ্য হারা হতে কৃষ্ণচুড়ার হাতে।
এমন ডাকে কেউ না এসে পারে!!
কিছুই আসে না ফিরে না-ফেরা থেকে।
আপনিও ব্যস্ততা নিয়েই ভাল থাকবেন।
রিতু জাহান
আসলেই ব্যাস্ততা যাচ্ছে গুরুজী। বড় ননদ হসপিটালে। এতো ছেলের পরীক্ষা পরীক্ষা করে কোনো মেহমানদারি করা হয় নাই। এখন করছি হালকা পাতলা। পাশেই শশুরালয় তো! বোঝেন অবস্থা। তবে হ্যাঁ, লেখালেখি চালু করার চেষ্টা করছি এর মধ্যেই। দোয়া করইরেন গুরুজী।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা-লেখি চালু থাকলেই সব মুশকিল আছান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
মোঃ মজিবর রহমান
আনমনা জল! দারুন কবি।
বিচূর্ণ আয়নায় শুধু ফেলে রেখে ফেলে যাওয়ার
ক্ষয়িষ্ণু অবয়বের আলোহীন চোখ, চেয়ে রই উত্তরীয় বায়ুর পানে ………………… আবার আসবেতো, উষ্ণতায় জড়াবেতো চেয়ে রইলাম অপেক্ষায় কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আবার আসুক, বারে বারে আসুক এ কামনা আমারও
অনেক ভাল থাকবেন আপনি।
সুরাইয়া পারভিন
অবিচল এক স্বৈরিণী চোখ, উষ্ণতার জল নিঃশ্বাসে
জাঁতা-পিষ্ট নিঃসঙ্গ বিমর্ষ মন গুঁজে-গুটিয়ে
অকারণ উচ্ছ্বাসের অট্টরোল তুলি,,, বেচারীও শীত এখন জিম্মি কবির কবিতার পাতায়
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত আগের একটি লেখা পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।