খুব ছোট বেলায় যখন আমি তেমন কিছুই বুঝতাম না পেয়ার বা মহব্বত কি,ঠিক তখন এক রাতে আমার সারা শরীরের পশমে পরশ বুলিয়ে যায় তার উষ্মতর স্পর্শ যা এক অজানা ভাল লাগার অনুভূতি ছড়ান আমার দেহ মনে।তখন মনে হতো জগৎতের সকল সূখ মনে হয় তাহার স্পর্শের মাঝে আবদ্ধ।যখনি লাঞ্চ কিংবা রাতের খাবারের জন্য টেবিলে বসতাম তখনি সে আসত অতি চুপি চুপি কেউ যেন বুঝতে না পারেন বিশেষ করে আমার মরহুম পিতা।পিতাকে সে খুব ভয় পেত কেননা এক রাতে তাকে আমার রুমে আমার সাথেই শুয়েছিল কখন যে অতি সূখে দু,জনে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি।ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি সে নেই,কোথায় গেল কখন গেল কেউ কিছুই বলতে পারল না সে দিন থেকেই সে দিল ফাকি হঠাৎ কওয়া নেই বলা নেই সে আর আসছে না,আসে নাই আর।
বয়সের ভারে মাথা নত হতে হতে কর্মের ব্যাস্ততায় জীবন সব ভূলিয়ে দেয় কি প্রেম কি ভালবাসা।হৃদয়ে এখন আর প্রেমময় সূখকর অনুভূতির ডামা ঢোল বাজে না তার পরও প্রেম আসে অতি নীরবে আবার নীরবেই স্বর্গে চলে যায়।
কত দিন পরে এলে গানটির মতো সে আবারো এলো নীরবে রাতের আধারে।শেষ রাতে মাতাল জানালার কার্নিষে বাশির সূরের মৃদু শব্দে তার আগমনের বায়না বুঝতে পেরে দু-হৃদয়েই হৃদয়ে মান-অভিমানের ঢেউ উঠে।আমি জানি যদি সে বুঝতে পারে আমি জেগে তবে সে ঢুকবে না ঘরে তাই আচ্ করতে পেরে আমি ঘুমের ধরলাম।সে ঘরে ঢুকবার সঙ্গে সঙ্গে জেগে গেলাম।
-কতদিন পরে এলে তাও…দূরে দূরে….কাছে এসো লক্ষীটি..।
-না আমি আসবো না,এলে তুমি আমার সর্বোনাস করবে।
-তাতো করবোই,তুমিইতো বলেছিলে তোমার সব কিছু আমার আর সব কিছু তোমার….এসো,এসো বলছি…কি আসবে না,ঠিক আছে-এই আমি তোমাকে ছাড়াই ঘুম দিলাম।সকাল সকাল উঠতে হবে অফিস আছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকে আর পেলাম না তবে তার পায়ের আওয়াজ,মুখের মধুর শব্দ শুনে বুঝেছি সে এ ঘরেই আছে।তাকে তালা মেরে অফিসে গেলাম।রাত্রী দশদায় বাড়ী ফিরে দরজা খুলে দেখি তার কোন সারা শব্দ নেই।চিন্তায় পড়ে গেলাম তবে কি সে না বলে চলে গেল!তা কি করে হয় সব দরজা জানালাতো লক করাই ছিল।
তাকে দেখবার অপেক্ষার সাধ আর নেই তাকে মুক্ত বিহঙ্গে স্বাধীন ভাবে উড়ে যাবার অদম্য ইচ্ছায় দরজা জানালাগুলো খুলে রাখলাম নাহ্ দুপুরেও তার দেখা মিলল না।ফের অফিস যাবার বেলায় দরজা জানালা গুলো লক করার সময় হঠাৎ শব্দ এলো আছি আমি এখনো বেচে।মনে খুশির জোয়ার এলো পর্দাটা এবার পুরোপুরি খুলে রাখি যাতে সে তার আপন ভূবনে নির্বিগ্নে যেতে পারে।মনে এক প্রকার চাঙ্গা ভাব নিয়ে অফিস করে বাসায় ফিরে যখন ঝাড়ু দিচ্ছিলাম তখন খাটের তলে প্রিয়ার নিথর দেহটি সামনে চলে আসে।নিজেকে নিজেই অপরাধী মনে হলো কি দরকার ছিল তাকে আটকে রাখবার সে তো আর আমাদের স্বজাতি না যে প্রেম ভালবাসা বুঝবে,ওদের জগৎ আর আমাদের জগতের সামাজিকতার মাঝে বিস্তর ফারাক।ভেবেছিলাম পোষ মানাব কিন্তু সে যে এ ভাবে হঠাৎ না ফেরার দেশে চলে যাবে তা কখনো ভাবিনি।অপরাধী আমি ক্ষমা করো বন্ধু।
প্রথম ভালবাসা ছিল পোষ মানা একটি “বিড়াল”
দ্বিতীয়টি ছিল একটি সবার পরিচিত “চড়ুই পাখি….যার পরিণতি ছিল মৃত্যু।
ভাল লাগা আর ভালবাসার বিয়টি কোন মানব মানবি নয়।মানবের প্রেম ভালবাসা যে শুধু মানব কেন্দ্রিক তা কিন্তু নয় এর বাহিরেও আছে প্রেম ভালবাসার রচিত অসংখ্য কাহিনী এই আমাদের সোনেলায় আছেন….. ;?
জিসান ভাইয়ার পাখি প্রেম,
তাজ আপুর এ্যাকশান
নন্দিনী আপুর ত্রাস প্রেম
লীলা আপুর আড্ডা প্রেম
খোজ নিলে আরো অনেক বন্ধুর প্রেম ভালবাসার ভিন্ন ভিন্ন রূপ জানা যাবে কিংবা বেরিয়ে আসতে পারে, কি পারে না বন্ধু?
ধন্যবাদ সবাইকে”
১৫টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
🙂 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ কবীর ভাই ভাল থাকবেন। -{@
লীলাবতী
বিড়াল আর চড়ুই পাখির কথা বলে পার পেয়ে যাবেন ভাবছেন নাকি ভাইয়া? আসল কাহিনী ঝাড়ুন, আসল কাহিনী জেনে গেলে বাসায় সমস্যা হলে থাক 😛 ভালোই লেগেছে পোষ্ট।
লিংক যে দিলেন, আমারই তো তিনটি লিংক 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কার মত আমি জানি না তবে এই ডিজিটাল যুগে খাটি প্রেম ভালবাসা বলে যদি কিছু থাকে এ ধরণীতে তবে তা পশুপাখিদের মাঝে এখনো বিদ্যমান সেই আগের মতোই।তাদের সাথে প্রেম হলে কেউ প্রতারিত হয় না তারা প্রতারনা বুঝেও না।সাথীর জীবন নিজের জীবনের চেয়েও প্রিয় মনে করে।
আসল কাহিনীতো সেই ১৯৯০-৯৭ ১৩ নং এ শেষ হয়ে গেছে এখন বাকী শেষ দৃশ্যের।লিংক তিনটিতে বিষয় বস্তুর ভিন্নতা ছিল জন্য ছিল ভাল লাগার আবেগ।ধন্যবাদ না বলে লিং তিনটি ব্যাবহার করাতে দিদি অনিকেত নন্দিনীর পাট্ নিলে আমাকে সোনেলা ছাড়তে হবে।ধন্যবাদ আপনার মুল্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
লীলাবতী
অনিকেত নন্দিনী আপু খুবই হৃদয় বতী একজন আপু। তাকে আমি খুবই পছন্দ করি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকেও।
ইনজা
সুন্দর লেখা, পড়ে ভালো লাগলো। :c
জিসান শা ইকরাম
“বিড়াল” “চড়ুই পাখি” তে আপনার ভালোবাসা শুরু। যার পরিণতি মৃত্যু।
এদের মৃত্যু দাগ কেটে যায় ভিতরে।
আমি বিড়াল পালিনি কোনোদিন, তবে পাখির প্রতি অগাধ প্রেম আমার ছোট বেলা হতে।
খুব ছোট বেলায় একটি শালিক মারা যাওয়াতে আমি তাকে কবর দিয়েছিলাম।
সেই পাখি প্রেম এখনো অটুট আছে………
একটি লিংক তো দিয়েছেন, আরো অনেক পোষ্ট আছে আমার পাখি নিয়ে।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জীবনের প্রথম যখন মন বুঝতে শুরু করল প্রেম ভালবাসা কি তখন হতেই পশু পাখিদের প্রতি প্রচুর টান ছিল আমার।জানি ভাইয়া আপনি পাখি প্রিয় মানুষ।আপনার আরো অনেক পোষ্ট আছে পাখিদের নিয়ে কেনো জানি এই পোষ্টটিই বেশী ভাল লাগল।ধন্যবাদ।
স্বপ্ন
পশু পাখির প্রতি প্রেম আপনার মায়াময় মনের পরিচয় বহন করে। লেখা ভাল লেগেছে ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম অনেক দিন পর এলেন।কেমন আছেন আপনি।শুভ কামনা রইল। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই একেবারে অন্যরকম লেখা লিখলেন দেখছি। ভালো লেগেছে খুবই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মাঝে মাঝে একটু টক ঝাল না মেশালে খাবার কেমন যেন পানসে পানসে লাগে তবে আপনার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে জানলে ভাল হত।ধন্যবাদ দিদি -{@
দীপংকর চন্দ
লেখার বৈচিত্র্য ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো উপস্থাপনের ধরনও।
শুভকামনা অনেক সুলেখক।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
খসড়া
যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙ্গল ঝড়ে। জানি নাইতো তুমি এলে আমার দাঁঁড়ে
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর মনে গেথে যাবার মতো -{@ধন্যবাদ আপু