
আমি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে বেশ কিছু লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, স্বাস্থ্যখাতের দৈন্যতা নিয়ে এবারের আয়োজন আনতে গিয়ে সত্যি আমি আতংকিত হয়ে গেছি।আতংকিত হয়েছি কেন নিশ্চয় আপনারা জানতে চান? আমি বুঝিয়ে বলছি।
এতোদিন স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমরা দেখছি যে, দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী, এমপি, শিল্পপতি, মালপতি (টাকা) সবাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান চিকিৎসার জন্য, তারা কেউ ভুলেও দেশের হাসপাতালের চিকিৎসা নেননা, কারণ কি?
কারণ হলো উনাদের দেশিয় চিকিৎসক, হাসপাতালের উপর ভরসা নেই।
ভরসা নেই কেন তা এতোদিন কোনো প্রশ্ন না করলেও জনগণ মনে করতেন উনারা নিজেদের একটা কিছু মনে করে অথবা উন্নত চিকিৎসার জন্যই নেতা খেতা, পাতি সাতি সবাই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান।
আবার যাদের কঠিন রোগ হতো, যেমন ক্যান্সার, হার্টের জঠিল অপারেশন সহ বড় বড় রোগের জন্য যেহেতু দেশে উন্নত চিকিৎসা নেই বলেই মধ্যবিত্তরাও পাশের দেশ ভারতে যান, উনাদের তো আর কাড়ি কাড়ি টাকা নেই, তাই ধার দেনা করে, নিজের জমি বিক্রি বন্ধক করে বিদেশে চিকিৎসা করতে যান।
কেন এতো দৈন্যতা আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে?
করোনা বা কোভিড-১৯ আমাদের চিকিৎসা খাতের জাত চিনিয়ে দিলো, স্বাধীনতার পাঁচ দশকে এই প্রথম চিকিৎসা খাতের জাত চিনিয়ে দিলো সাধারণ জনগণকে, জানলে অবাক হবেন স্বাধীনতা পরবর্তী এতো বাজেট হলো প্রতি বছর, কিন্তু এই প্রথম সবচাইতে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে চিকিৎসা খাত, এতোদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আল্লাহর ওয়াস্তে চলেছে।
যাও অল্প কিছু বরাদ্দ পেতো তা নেতা খেতা, চোর ব্যবসায়ীরা মেরে খেয়েছে।
জানেন কিনা, স্বাস্থ্যখাতে চুরি বললে ভুল হবে, এই খাতে সাগর নয়, মহাসাগর চুরি হয়েছে।
এই খাতে যা মেসিনারিজ আছে তার মূল্য কয়েকশো শতাংশ বেশি দামে কেনা হয়, এর কারণ হলো সংশ্লিষ্ট দফতরের সবাই টপ টু বটম এইখান থেকে ঘুষ খায়, এদের ঘুষ না দিলে আপনি কোনো যন্ত্রপাতিই তাদেরকে দিতে পারবেন না, এইজন্য ব্যবসায়ীরা সাপ্লাইয়ের আগেই কন্ট্রাকে যান, দফতর থেকেই বলে দেয়, এইসব যন্ত্রপাতিতে আমাদের এতো পার্সেন্ট দিতে হবে, নাহলে ফুটো।
ব্যবসায়ীরাও সেয়ানা, পাঁচ টাকার মাল পাঁচ হাজার টাকা দাম ধরে, এরপর ঘুষ, কমিশন ইত্যাদি ধরে তা এক লক্ষ টাকা হয়ে যায়।
বেশিদিন আগের কথা না, সরকার হার্টের রিংয়ের দাম ধার্য্য করে দেয়, তখন দেখা যায় যে আগে যেটা কিনতে দেড় দুই লক্ষ লাগতো, তার দাম অর্ধেরও কম দাম হয়ে গেছে।
এইতো গেলো যন্ত্রপাতির কথা, ইদানিং খবরে জানা যাচ্ছে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট চোররা হাসপাতালে যা দেয়, মানে প্লেট বাসন, চামুচ, বেডশিট, বালিশ, পর্দা সহ সবকিছুতেই তারা কয়েকশো গুণ, হাজার, বেশি দাম দিয়ে কিনছে কিন্তু দেখার কেউ নেই।
কেউ নেই কেন?
কারণ যারা দেখার, তারাই সব মেরে খাচ্ছে।
শুধু কি তাই, হাসপাতালের খাবার কখনো দেখেছেন?
যারা দেখেননি তারা বুঝতেই পারবেননা কতো জঘন্য সেইসব খাবার,,যা রুগী খেলে উল্টো অন্য রোগ হয়ে যাবে, ডালে ডালের দেখা নেই, মাছ মাংস যা দেয় তা দেখলেই বমি আসে, ডিম দিলে তা নিশ্চিত পঁচা ডিমই হবে, হাসপাতালে ফল সে যেন অমাবস্যার চাঁদ।
এ যেন আলিবাবা চল্লিশ চোরের চিচিং ফাঁক, কিছুই নেই।
হাসপাতালে রুগী ভর্তি করবেন?
তার জন্য স্ট্রেচার, উইল চেয়ার লাগবে, টাকা ছাড়া এইসব পাবেনই না, ভালো বেড চাই, আয়ার দরকার, সবকিছুর জন্য টাকা লাগবে।
হাসপাতালের বাথরুম, এ্যাঃহে একদম জঘন্য, হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, আয়াদের ব্যবহার দেখলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে, ওরাই হাসপাতালের বড় নবাব, ডাক্তারদের কথা না বললেই নয়, কচিত কোনো ডাক্তার যদি মায়া ভরে কথা বলে, তাহলে নিশ্চিত সে ফেরেস্তা ছাড়া আর কেউ নয়।
কোভিড-১৯ আমাদেরকে স্বাস্থখাতের চোরদের স্বরূপ একে একে সামনে নিয়ে আসছে, মাত্র দুইদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক পদত্যাগ করেছে, বলা যায় পদত্যাগ নয় বরখাস্তই হয়েছে, কারণ কি?
কারণ হলো উনার অতি চোর ভক্তি, উনি যে সাধু নন তার প্রমাণও ধীরেধীরে বেরিয়ে আসবে, উনি হাসপাতালের পারমিশন নাই এমনই হাসপাতাল দিয়ে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা, টেস্ট ইত্যাদি করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি, শাহবুদ্দিন মেডিকেলকে পারমিশন দিয়েছিলেন, যারা চিকিৎসা ও টেস্ট কম, ভূয়া চিকিৎসা ও টেস্ট করছিলো যা দেশে বিদেশে মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হয়ে গেছে, তাদের ভূয়া রিপোর্ট নিয়ে দেশ থেকে প্রবাসীরা বিদেশ গিয়ে ফেরত এসেছে।
শুধু কি তাই, যারা কোভিড পেশেন্ট নন তাদের পজিটিভ আর যারা পজিটিভ তাদের নেগেটিভ রিপোর্টের ফলে কত শত মানুষ যে আক্রান্ত হলো তা কি কেউ বলতে পারে?
এই কারণেই দোষি ব্যক্তিদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া এখন সরকারের কর্তব্য, যেন আগামীতে কোনো সাহেদ, সাবরিনা, শারমিন আর মাথা তুলতে না পারে।
কয়েকদিন আগেই ‘৭১ টিভির টক শো একাত্তর জার্নালে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা শুনে তব্দা খেয়ে গেলাম, তারা জানালেন যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উপকমিটি আছে যারা করোনা হানা দেওয়ার আগেই পঁচিশটি দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যা মন্ত্রণালয় একটিও নির্দেশনা ফলো করেনি, সবচেয়ে দুঃখজনক কি জানেন, এই কমিটিতে যারা আছেন তারা সবাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
দুঃখজনক হলেও সত্য কি জানেন, এই বিশেষজ্ঞদের কথা কেন মন্ত্রণালয় শুনেনি জানেন, যাস্ট ব্যবসা, উনারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে যাস্ট ব্যবসা ভাগানোর জন্য।
আমার ক্ষমতা থাকলে আমি নিশ্চয় এদের সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলাতাম।
সবচেয়ে দুঃখজনক যে স্বাস্থ্যখাতের দূর্বলতার জন্য একক ভাবে সরকার, বা গত পঞ্চাশ দশকে যত সরকার ছিলো তারাই দায়ী বলে আমি মনে করি, নাহলে কি ভাবে স্বাস্থ্যখাতকে এতো অবহেলা করে ও দূর্নীতিবাজদের আড্ডা হয়, সকল সরকার এতোদিন কেন এই ক্ষেত্রে নজর দেননি এটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ, কারণ মানুষ যেখানে স্বাস্থ্যসেবা ঠিক মতো পায়নি কেন তা সরকারের জবাবদিহি করা উচিত।
জনগণের জিজ্ঞেসা, কেন এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী একজন সামান্য মাস্টার্স পাশ ব্যক্তি হবেন?
মাস্টার্স পাশ ব্যক্তি স্বাস্থ্যখাত পরিচালনার কি জ্ঞান রাখেন তা আমার মতো সাধারণ মানুষের মাথায় আসেনা?
কথায় আছেনা আদার ব্যাপারি কিভাবে জাহাজের খবর রাখবে, তেমনি একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনিই হওয়া উচিত যিনি একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক এবং এ ব্যাপারে উচ্চতর জ্ঞান রাখেন, কিন্তু এমন ব্যক্তিকে মন্ত্রী না করে সাধারণ মাস্টার্স পাশ ব্যক্তি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়া মানে আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দৈন্যতা নয়তো কি?
ফলশ্রুতিতে বান্দর কিভাবে জানবে আদার স্বাদের মতোই অবস্থা হয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোনো বিষয়েই দায় নিতে রাজি নন, কেন স্যার আপনি কি ফেরেস্তা নাকি, আপনি স্বাস্থ্যখাতের সকল দূর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না, এ দায় আপনারই।
কয়েকদিন আগেই চায়না থেকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে আইসিডিডিআরবির কাছে যা এই দেশেই টেস্ট করার কথা একুশশো মানুষের উপর, তা মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে কোনো কারণ ছাড়া, কেন, কারণ কি, কার আশায় বন্ধ করলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনের জন্য কি?
জ্বি না, ভুলে যান, মন্ত্রণালয় যায় চিন্তা করুক, আমি দিব্য চোখে দেখছি যে তা আপনারা পেতে আরও তিন বছর লাগবে, তাও ফ্রি পাবেননা, সুতরাং যা সুযোগ পেয়েছেন তাই ব্যবহার করুন দ্রুত, নাহয় আমও যাবে, ছালাও যাবে, সাধু ঘুম থেকে জাগুন।
আমাদের তৌহিদ ভাই বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে এদেশের দুর্দশার কথা সবাই জানে তবু কোন এক অদ্ভুত কারনে কেউ প্রকাশ করেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একা কি করবেন। এ খাতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরাও যেন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন।
এই অবস্থার দ্রুত উত্তরণ না হলে সাধারণ জনগনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। করোনাকালীন সময়ে যত দুর্নীতিবাজ ধরা খেলো তা প্রশংসার যোগ্য কিন্তু মাথাগুলোকে পাকড়াও করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা যতক্ষণ জবাবদিহিতা চালু হবেনা কোন সেক্টরেই দুর্নীতি কমবেনা।
আমার মতামতঃ
আমার মতামত দিয়ে তো আর সরকার চলবেনা, তবুও বলছি, প্লিজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনুন একবার আমাদের কথা, আমাদের বুলেট ট্রেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন, মেট্রো ট্রেনের এখন দরকার নেই, নেই আন্ডারগ্রাউন্ড চলাচলের পথ, এইসব পরেও করতে পারবেন, দয়া করে স্বাস্থ্যখাতের সকল দূর্নীতিবাজদের এক রশিতে বেঁধে পিটান, এদের কঠোর শাস্তি দিন যেন আগামীতে কেউ যেন এইসব দূর্নীতি করতে দুঃসাহস না করে।
প্লিজ স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজান, প্রতিটি হাসপাতালে উন্নত চিকিসার ব্যবস্থা করুন, দরকার হলে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেশের চিকিৎসকদের শিক্ষা দিন যেন তারা উন্নত চিকিৎসা দিতে পারে, ব্রুমগ্রাদ, এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ডাক্তারদের দেশে আনুন কয়েক বছরের জন্য, দেবি শেঠির মতো ডাক্তারদের হায়ার করুন, উনারা এদেশে এসে সকল চিকিৎসকদের উন্নত চিকিৎসার শিক্ষা দান করুক।
এর সাথে সাথে দেশে আরও বেশি উন্নত হাসপাতাল করুন, প্রতিটি হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করুন, উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী দিন, সকল চিকিৎসা সরঞ্জামের ইম্পোর্ট টেক্স নেওয়া বন্ধ করুন, এতে চিকিৎসা সহজলভ্য হবে, দেশের সকল ঔষধ প্রস্তুতকারীদের উৎপাদিত সকল ঔষধের নির্ধারিত দাম করে দিন, ঔষধ প্রসাশনকে আরও উন্নত এবং সময় উপযোগী করে স্ট্রং করুন।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য হারে ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দান করুন, উল্লেখযোগ্য হারে টেকনিশিয়ান নিয়োগে তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নিন।
হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়, মেথর, আয়াদের ভালো বেতন দিয়ে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করুন।
বেশি বেশি বিশেষায়িত হাসপাতাল করুন, যেন ক্যান্সার, হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, লিভার সহ সকল চিকিৎসা যেন এখন থেকে দেশেই হয় এই ব্যবস্থা করুন।
সকল ডাক্তারদের নির্ধারিত ফির ব্যবস্থা করুন যেন তারা অযথা মানুষের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করতে না পারে তার ব্যবস্থা করুন।
তাহলেই হতে পারে সঠিক, উন্নত চিকিৎসা খাত, এসবে যেমন উন্নত হবে দেশের চিকিৎসা খাত, তেমনি বিদেশ যাওয়া রুগী কমে যাবে, দেশের টাকা দেশেই থাকবে, সাথে সাথে বিদেশ থেকেও রুগীরা আসবে উন্নত চিকিৎসা নিতে, এতে এই খাত থেকেও ভালো রাজস্ব আসবে।
পরিশেষে আমার শুধু একটিই কথা বলা আছেঃ
GET WELL SOON স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
৩২টি মন্তব্য
তৌহিদ
আপনার মতামতের সাথে সহমত পোষণ করছি ভাই। স্বাস্থ্যখাতে এদেশের দুর্দশার কথা সবাই জানে তবু কোন এক অদ্ভুত কারনে কেউ প্রকাশ করেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একা কি করবেন। এ খাতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরাও যেন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন।
এই অবস্থার দ্রুত উত্তরণ না হলে সাধারণ জনগনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। করোনাকালীন সময়ে যত দুর্নীতিবাজ ধরা খেলো তা প্রশংসার যোগ্য কিন্তু মাথাগুলোকে পাকড়াও করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা যতক্ষণ জবাবদিহিতা চালু হবেনা কোন সেক্টরেই দুর্নীতি কমবেনা।
সমসাময়িক বিষয়ে চমৎকার একটি লেখা পড়ে ভালো লাগলো ভাই। উচ্চমানের লেখা এটি যা আপনাকেই মানায়।
ভালো থাকুন দাদা।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই, আমি আপনার কমেন্টের কিয়দংশ আনার লেখাতে এড করে নিচ্ছি, সত্যটা উচ্চারণ করাটাই এখন মানুষবভয় পাই।
তৌহিদ
আমার মন্তব্য আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখায় যোগ করেছেন দেখে সম্মানিতবোধ করছি দাদা।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ইঞ্জা
ভাই, যা বলেছেন তা অতি সত্যই বলেছেন বলেই কমেন্টটি লেখাতে দিয়েছি ভাই।
ভালোবাসা জানবেন।
এস.জেড বাবু
দয়া করে স্বাস্থ্যখাতের সকল দূর্নীতিবাজদের এক রশিতে বেঁধে পিটান, এদের কঠোর শাস্তি দিন যেন আগামীতে কেউ যেন এইসব দূর্নীতি করতে দুঃসাহস না করে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তা পারেন- দল মত নির্বিশেষে এটা আমার বিশ্বাস।
তবে কতদিনে তিনি তা করার মতো মানষিকতায় পৌঁছাবেন তা বলতে পারছি না।
আপনার সাথে তাল মিলিয়ে আমিও একটা দাবী রাখবো সরকারের কাছে-
দুইটা মন্ত্রনালয় থেকে অসৎ লোকদের ঝাড়ু পেটা করেন
১। শিক্ষা মন্ত্রনালয়
২। স্বাস্থ মন্ত্রনালয়
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত, শুধু কেন এই দুই মন্ত্রণালয়, আমাদের দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ই দূর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমোজ্জিত, এখন সময় এসেছে সকল দূর্নীতিবাজদের ঝাড়ু পেটার।
ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য দিলেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান করোনা এসে চিকিৎসা খাতকে দেখিয়ে দিয়েছে। বড় লোকেরা প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে ডেলিভারী বা ক্লিয়ার করে ডোনেট করে কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যায় না।
আর সমাজের প্রতিস্তরে দুর্নিতী। স্বাস্থ্য খাতে যারা কাজ করে তারা এই সমাজের প্রতিচ্ছবি। সর্বাঙ্গে ব্যাথা মলম দেবো কোথা। যে টিচার স্কুলে সময় না দিয়ে কোচিং করায়।
যে ডাক্তার হসপিটালে সময় না দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করে। ঈদ বকশিষের জন্য নানা অযুহাতে কাজ ফেলে রাখে সেটাও দুর্নিতী।
হাজার ও উদাহরন আছে। পছন্দের লোককে প্রমোশন বা ডিমোশন বা সাসপেন্ড সব দুর্নিতী।আবার এ সমাজে আর এক শ্রেনীর প্রানী আছে যাদেরকে করুনা করে আর ব্যবহার করে। এগুলো আবার প্রমানের অভাবে ধরা ও যায় না বলা ও যায় না।
সমাজ এটা অনুমোদন করে বলে বলি প্রশ্রয় দেয় বলে দুর্নিতী হয়।
আজকে সকল সেক্টর সচল রাখার জন্য প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে একদিন এটিকে ও দুর্নিতী বলবে। আজকে যা বাস্তবতা আগামীকাল তা না ও হতে পারে।
এরকম হাজারো দেয়া যাবে।
যাক কাজের জন্য লিখতে পারি না আর আমি লিখলে ও পরিবর্তন হবে না।
বলতে পারি প্রমানসাপেক্ষ সকল দুর্নিতীবাজকে ধরা হবে দলীয় বিবেচনা না করে।
না জানি তখন হিতে বিপরীত হয় কিনা।
এই যে প্রাইভেট হাসপাতাল চিকিৎসা বন্ধ রাখলো কেন জানেন ? দর কষাকষির জন্য কারন সরকারী নির্ধারিত মুল্যে কাজ করবে না। এটা ও দুর্নিতী কিন্তু কিছুই করতে পারবে না। কারন ধর্মঘট করবে তখন জনগন বলবে সরকার ব্যর্থ তখন এই দুর্নিতীকে বৈধতা দিতে হবে।
রাজনীতি বড়ই জটিল ভাইজান।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা, আমাদের দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল অফিস দূর্নীতির আখড়া হয়ে গেছে, এদের সমূলে উৎপাটন এখন খুবই জরুরী হয়ে গেছে।
সময় উপযোগী এবং যথাযথ মন্তব্যের জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
হাসপাতালের এই করুণ দৃশ্য সবাই জানে। হাসপাতাল পাড়া বলতে ঢাকার শ্যামলি ও কলেজ গেইটকে বলে। এখানে পংগু, জাতীয় হৃদরোগ, কিডনী, মানসিক, শিশু হাসপাতাল, চক্ষু, বক্ষব্যাধি, সোরওয়ারদি হাসপাতাল সব হাসপাতালের নেতারা আলাদা করে ভাগ করে নেয়। এখান থেকে চাদা উঠে সাপ্তাহিক। এখানকার সিকিউরিটি, বুয়া, সবাই টাকা ছাড়া কাজ করেনা। আবার কিছু কিছু আয়া আছে তারা নিজেরা ছোট কাগজে ঔষধের নাম লিখে রোগির লোককে দিয়া আনায় আবার ঐ ঔষধ বাহিউরে বিক্রয় করে।
আমাদের মহামান্য সাবেক স্বাস্থমন্ত্রী নাসিক সাহেব থাকার সময় পাবনা হাসপাতালের কাহিনী সবারই জানা। কন্ট্রাক্টর লিস্ট করে কি কি মাল লাগবে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে ঐ মুহুর্তে যে ব্যাক্তি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন সে মালগুলি লাগবেনা বলে ডিনায় করে
এই অপরাধে তাকে সাময়িক বর্খাস্ত করা। হয়। সে ই ব্যাক্তির চাকরি ছিল এক বছর।
বুঝুন অবস্থা।
আর কিছুই বলবনা।
ইঞ্জা
দুঃখ তো এখানেই ভাই, স্বাস্থ্যখাতের দূর্নীতি বিষয়ে লিখতে গেলে এক পর্বে শেষ করা যায়না, কে নেই এই দূর্নীতিতে, সবাই, সবাই আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আছে দূর্নীতিতে, এদের সমূলে উৎপাটিত করাটা এখন খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে।।
যথাপোযুক্ত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
এইসব কাজ করতে হলে সরকারের একান্ত ইচ্ছাশক্তি লাগবে। তারসাথে সরকারের ভিতর থেকে সেই রকম চৌকস সেনা মানে সরকারের ভিতর অবশ্যই ঘাটি দেশ প্রেমিক ব্যাক্তি আছে সেগুল বেছে নিতে হবে। এবং তাদের সেই রকম কাজ করার পাওয়ার দিতে হবে।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন ভাই, অতি চৌকস ও আন্তরিক দেশপ্রেমিই পারবে দেশকে শুদ্ধিকরণ করতে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা ভাইজান তাই ই মনে হয়। আর এইরকম ব্যাক্তি অবশ্যই আছ্র। হবেও শুধু সরকারের চাওয়ার ক্ররুটি না থাকলেও চলবে।
ইঞ্জা
সেইদিনের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া আমার বাবাকে জানুয়ারীতে ঢামেক এ ভর্তি করিয়েছিলাম, হুইল চেয়ার দিয়ে যতবার ওঠানামা করিয়েছি ততবারই টাকা লেগেছে। এসব সরকারী হাসপাতাল গুলোতে আয়া, ওয়ার্ড বয় এরাই হর্তাকর্তা। এদের সাথে কিছুতেই দর কষাকষি করা যায় না। বেড চেঞ্জ করতে গেলেও টাকা লাগে। মাত্র নতুন বিল্ডিং করেছে তার অবস্থা দেখলে বমি আসে। প্রতিটি সেক্টরেই দূর্নীতি, টাকার খেলা। একটা ওষুধের জন্য তিনজন লোক কয়েকবার গিয়েছি সময়মত দেবার জন্য,তাও নার্সরা ঠিকমত দেয়না। ওখানে আমার ছোট মামী আছে , পরিচিত আরো অনেক আছে তবুও ওরা কেয়ার করে না কাউকে। প্রতিটি মানুষের ব্যবহার ই জঘন্য আর অপেশাদার। আয়া, ওয়ার্ড বয়রা সবখানেই টাকা পায় , চেয়ে নেয়। ওরাই কিন্তু বেড ডিস্ট্রিবিউশন থেকে শুরু করে হাসপাতালের সবকাজে হর্তাকর্তা। এখানে সবাই অসহায় কারন আপনি রোগীকে ভালো রাখতে, বাঁচাতে মরিয়া বা সবকিছু করতে বাধ্য এরা এটার ই সুযোগ কাজে লাগায়। সমসাময়িক বিষয় তার উপর স্বাস্থ্যখাত নিয়ে অনেক তথ্য পেলাম । বোধদয় হোক মন্ত্রনালয়ের, এই সেবা খাতের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট সবার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
দেখলেন আপু, আপনি ভুক্তভোগী বলেই আমার বলা কথা গুলো বললেন, তাহলে বুঝুন আমাদের স্বাস্থ্যখাতের দূর্নীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, এই জন্যই আসুন সমস্বরে বলি Get Well Soon স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সময় উপযোগী মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
আমি বেশি কথার মাঝে নেই! বর্তমান সময়ে বলতে চাই, এই উদিত হওয়া করোনাভাইরাস আমাদের দেশে বেড়াতে এসে অনেক চোর-ডাকাত, সাধু-অসাধু সন্ন্যাস-সন্ন্যাসী, পুরুষ-মহাপুরুষ-বীরপুরুষের পরিচয় করে দিয়েছে। এঁদের পরিচয় আগে আমাদের জানা ছিল না। ওঁরা যে ভেতর-ভেতরে কী যে করতো, তা এতদিনে বাংলার জনগণের খেয়াল হয়েছে। আর এই করোনা’র আগমণের কারণেই সরকার দিশেহারা হয়ে স্বাস্থ্যখাতে কারি-কারি অর্থ বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছে। এই প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থ কতটুকু স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়, তা দেখা যাবে সামনের দিনগুলোতে।
সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা, এই জন্যই বলেছি করোনা এইবার স্বাস্থ্যখাতের জাত চিনিয়েছে, যানিনা ভবিষ্যতে কি হবে, শুধু বলবো এ থেকে নিস্তার পেতে হলে এই খাতকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ দাদা।
আরজু মুক্তা
জবাবদিহিতা না থাকলে যা হয়। একা প্রধানমণ্ত্রী কি করবেন। চোর সবখানে। নৈতিকতা নাই।
দারুণ হয়েছে লেখাটা
ইঞ্জা
হাঁ আপু, সত্যই বলেছেন, জবাবদিহিতা না থাকলে দূর্নীতি সেখানে হবেই।
যথাপোযুক্ত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ একটি জ্বলন্ত বিষয় দারুন ভাবে উপস্থাপনের জন্য।
খুব সহজে বললে বলতে হয়, শিকড় উৎপাটন না করতে পারলে যেভাবে চলছিল সে ভাবেই চলবে, একটু অপেক্ষার পরেই।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইজান, আপনাদের উৎসাহ না পেলে এমন লেখা কি আর আসে।
সত্যি ভাইজান শেকড় সহ উৎপাটিত না করলে দূর্নীতি থামবেনা, বরঞ্চ রন্দ্রে রন্দ্রে দূর্নীতি চলতেই থাকবে।
আলমগীর সরকার লিটন
শুধু লাল স্যালুট জানাই বাস্তবতার মুখোমুখি লেখেছেন দাদা শুধু স্যালুট————-
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অফুরান ভাই, এখনই সময় আমাদের প্রতিবাদের।
মনির হোসেন মমি
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মন মত একটি পোষ্ট পড়লাম খুব ভাল লাগল।সত্যি বলতে কি এ দেশে কেউ দায় নিতে চায় না স্বেচ্ছায় পদত্যাগতো দুরের বাত।যদিও কখনো কখনো বরখাস্ত হয় তাও দোষীদের আড়াল করতেই হয়।সব আমাদের এ দেশের ঘুনে ধরা রাজনৈতিক নৈতিকতা পরিলক্ষিত।স্বাস্থ্যখাতে এ বেহাল অবস্থা শুধু এ মন্ত্রীর বেলায় নয়;দায় এড়াতে পারেন না সাবেক প্রয়াত স্বাস্থমন্ত্রী নাসিমও।এক জরিপে দেখলাম এ দেশ হতে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকায় প্রায় প্রতি মাসেই পাচার হচ্ছে বিদেশে তাহলে এ সব কী সরকার বাহাদুরদের নজরে নেই! অবশ্যই তাদের(সরকার) সুনজরেই এ সব হচ্ছে।
কীছুই বলার নেই-এখন সব নষ্টদের দখলে-রুখতে হলে শুরু করতে হবে প্রথমে আমলাদের দিয়ে যা অসম্ভব প্রায়।
ইঞ্জা
হাঁ ভাই, শুধু প্রয়াত নেতার কথা বলছেন কেন, গত পাঁচ দশকে প্রায় সব নেতাই দেশকে গিলে খেয়েছে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া, কিন্তু উনি একা কয়দিকে চালাবেন, দেশের রন্দ্রে ভ্রন্দ্রে যে দূর্নীতি রোপিত হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ ভাই, লেখাটি ভালো লেগেছে যেন সম্মানিত হলাম, ভালোবাসা জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
বাধ্য হয়ে ছেলের একটি মাইনর ইনজুরি নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাই ছোট একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিলো।
আপনার কথাগুলো অক্ষরেে অক্ষরেে সত্যি।
যে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষিত সে দেশের চিকিৎসা খাত কিভাবে ঠিক থাকবে।
ধন্যবাদ এমন সময়োপযোগী লেখা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ইঞ্জা
অবিরাম ধন্যবাদ আপনাকে, জানেন কি, বিশ্বের সকল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গণ, অথচ আমাদের দেশে দেখুন আদার ব্যাপারিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে যান যা অতি দুঃখজনক এই দেশের জনগণের জন্য, এই দেশে সামান্য ফোঁড়া পর্যন্ত দেশের চিকিৎসকরা ক্যান্সার ভেবে বসে, সেই দেশের চিকিৎসকদের কাছে আর কি আশা করবেন?
উপযুক্ত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আবারও।
আকবর হোসেন রবিন
সময়োপযোগী লেখা। ভালো লেগেছে। আমার নতুন কিছু বলার নেই, আপনার লেখা ও সবার মন্তব্যে অনেক কিছু উঠে এসেছে।
ইঞ্জা
অনিঃশেষ ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যই আমার একান্ত প্রাপ্তি। 😊
Md. Masudul Islam
গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি সোহরা ওয়ার্দি হাসপাতালে অত্যাধুনিক ল্যাবের কোটি কোটি টাকার মেশিন পত্র কর্তাদের ইশারায় গোডাউনে নষ্ট হতে চলেছে, যা সেট করলে প্রতি মিনিটে হাজার স্ক্রিনিং রিপোর্ট বেরিয়ে আসবে কিন্তু কর্তাব্যাক্তিদের ক্লিনিক ব্যাবসা চাঙ্গে উঠবে তাই অদৃশ্য আঙ্গুল আর হেলেনি, অত্যাধুনিক ল্যাব ও আর আলোর মুখ দেখেনি। আমারতো মনে হয় শুধু এই হাসপাতালেই না, খোঁজ নিলে প্রায় সব সরকাবি হাসপাতালের ই এই করুন চিত্র ধরা পড়বে। কাজেই নতুন ডিজি কে এই অনীয়মগুলি উদ্ঘাটন করে ল্যাবগুলো অতিদ্রুত চালুর ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি দোষিদের বিরুদ্ধে যথযত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ইঞ্জা
হাঁ ভাই, উপরের আঙ্গুল না হেলানো পর্যন্ত কোনো কাজই হত্না, জানিনা কবে এইসব দুস্কৃতিকারিদের কাছ থেকে আমরা নিস্কৃতি পাবো, তবে আমাদের সবার উচিত আমার লেখার মতোই লেখা বারেবারে লিখা আর শেয়ার করা, তাহলেই তাদের বিপদ হয়ে যাবে।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।