সুরাইয়া পারভীন

ক্ষণিকের অতিথি

সুরাইয়া পারভীন ১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ০১:০৭:০১পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৪ মন্তব্য
  জানি ভালো আছো তুমি, সময় তোমাকে ভালোই রেখেছে। ভালো রেখেছে কাছের মানুষ। আমি দূরের মানুষ রয়ে গেলাম দূরে। পথ ভুলে এসেছিলাম তোমার দ্বারে, ফিরিয়ে দাওনি আমায় ভুল পথের যাত্রী হিসেবে। আশ্রয় দিয়েছিলে তোমার হৃদয় নীড়ে, মূহুর্তের ভালো লাগায় ভালোবাসি বলেই দিলে। ক্ষণিক মোহ মায়ায় জড়িয়ে নিয়েছিলে বাহুডোরে। বুঝতে দাওনি কখনো আমায়- ভালোবাসায় নয় করুণায় [ বিস্তারিত ]
দীর্ঘ কয়েক বছর আগে থেকেই চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদি এতো দিন ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া হতো, ঠিকঠাক মেডিসিন নেওয়া হতো এবং নিয়মিত ঘুম হতো তবে সেদিনের সেই সমস্যা ভয়াবহ যন্ত্রণায় পরিণত হতো না। আমার সবচেয়ে খারাপ এবং বদঅভ্যাস হচ্ছে প্রয়োজনীয় মেডিসিন গ্ৰহন না করা। চোখের সমস্যা দেখা দেবার পর থেকে প্রায় প্রতি বছর তিন থেকে [ বিস্তারিত ]

প্রেমের ফুল

সুরাইয়া পারভীন ১৭ মে ২০২০, রবিবার, ১২:৫৫:৫৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২১ মন্তব্য
  পাথরের বুকে ফোটাতে গিয়ে প্রেমের ফুল, কখন যে নিজেই পাথর বনে গেছি টেরই পাইনি! অনুভূতিহীন শূন্য কাঠখোট্টা গোছের- পাথরে পরিণত হয়েছে আমার প্রেম্নীল হৃদয়। এই শূন্য পাথর হৃদয় আর কারো জন্য হয় না ব্যাকুল, কারো ভালোবাসার পরশ পেতে আর হয় না আকুল, কারো প্রেমালাপে আর হয় না রোমাঞ্চিত, কারো আলতো স্পর্শে আর হয় না [ বিস্তারিত ]
  দক্ষিণা বারান্দায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে দেখছি, মধ্যরাতের নিস্তব্ধ শহরটাকে। কোলাহলময় শহরে  এখন কেমন যেনো শুনসান নিরবতা করছে বিরাজ। মনে হচ্ছে শতবর্ষ প্রতীক্ষারত ব্যাকুল প্রিয়সী, প্রিয়তমের বিরহে শেষ অশ্রুবিন্দুটি দিয়েছে বিসর্জন, হয়তো এখন-ও যায়নি শুকিয়ে  সে অশ্রুচিহ্ন। ব্যাকুল প্রেয়সীও আজ কেমন যেনো শান্ত নিশ্চুপ, পুরো শহর জুড়ে থমথমে ভাব বিরাজমান, মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘটে যায় [ বিস্তারিত ]

টুথপেস্ট বিভ্রান্তি

সুরাইয়া পারভীন ১৪ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৭:৪৯অপরাহ্ন রম্য ২৩ মন্তব্য
বেসিনের আরশিতে আমি আমার বিশ্রী বদন খানি আনমনে দেখছি আর ব্রাশে টুথপেস্ট নিচ্ছি। ব্রাশে পেস্ট নেওয়া শেষ হলো তবুও আমার বদনখানি দেখা শেষ হলো না। দেখছি তো দেখছিই। কি জানি কি এতো দেখছি! যা হোক  আরশিতে তাকিয়ে থেকেই ব্রাশ নিলাম মুখে। কি হলো! টুথপেস্টের স্বাদ এমন লাগছে কেনো? ভোরে যখন ব্রাশ করলাম তখনও তো ঠিকই [ বিস্তারিত ]
বিকেলে বই হাতে নিম গাছের নিচে পাতানো টংয়ের উপর যখন বসতাম তখন প্রায় দেখতাম হালকা পাতলা গড়নের মাঝারি সাইজের একটা শ্যামলা ছেলে মাঠের শেষ প্রান্তে রাখা গাছের গুঁড়ির উপর বসতো। প্রায় নয় রোজ বসতো। হাতে থাকতো জলন্ত সিগারেট।  সিগারেটে টানের পর টান দিয়ে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করতো তার চারপাশ। কয়েক ফুট দূরত্বে থেকে আমার সামনাসামনি বসতো। [ বিস্তারিত ]

অদেখা প্রেম

সুরাইয়া পারভীন ১২ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:০০:৩৪অপরাহ্ন ছোটগল্প ২০ মন্তব্য
তখন আমি নাইন অথবা ট্রেনের স্টুডেন্ট। পড়ালেখায় খুব একটা খারাপ নই তবুও সারাক্ষণ আমি বই নিয়ে বসে থাকতাম। না মানে শুধু বসে থাকতাম না পড়তামও। আমার পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিলো না। যখন তখনই পড়তাম। আমি যে ঘরটায় থাকতাম ওটার দক্ষিণ পাশে একটা জানালা ছিল। আর জানালা থেকে একটু পিছনে একটা বিশাল নিমগাছ আর নিম [ বিস্তারিত ]
  দিনের আলো নিভে গিয়ে সন্ধ্যা ঘোনালো, সন্ধ্যার আঁধার কেটে ফুটলো ভোরের আলো। এমনি করেই কেটে গেলো/যাচ্ছে শত সহস্র বছর, তবুও আলোক বর্তিকা হাতে তুমি আসোনি মোর দ্বারে। আসোনি আঁধারের বুক চিরে একমুঠো আলো দিতে। আমার চারপাশ জুড়ে খাঁ খাঁ করছে বৈশাখের তপ্ত দুপুর, বিভৎস তাপদাহে জ্বলছে, জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে- যাচ্ছে আমার স্বপ্নীল সুখের [ বিস্তারিত ]
গেরস্ত বাড়িতে বেড়ে উঠা আমার ছেলেবেলা। তিন ভাইয়ের এক বোন হওয়ায় বেশ আহ্লাদী আর আদুরেও। খুব বড় না হলেও নেহাতই ছোট ছিল না আমাদের পরিবার। বাবা-মা আর আমরা চার ভাইবোন মিলে ছ'জন মানুষের পরিবার আমাদের। আমি পরিবারের প্রাণকেন্দ্র। আমি প্রচন্ড চঞ্চল আর দুরন্ত ছিলাম আর আমার ভাইয়েরা একদম শান্ত সুস্থির ছিলো। আমি একাই পুরো বাড়ি [ বিস্তারিত ]
  ছেলেবেলায় আমার কোনো বিশেষ নাম ছিলো না‌। ছিলো না মনে বিশেষ নামের দরকার পড়েনি। বাবা মা আকীকা করে নাম দিয়েছেন সুরাইয়া পারভীন। এই নামটাকে যে যার মতো করে ডাকতে শুরু করলো। বিশেষ বিশেষ জন বিশেষ ভাবে ডাকেন। তাদের ডাকা বিশেষ নাম গুলো ১। ছেরিয়া ২। সুরিয়া ৩।সুনিয়া ৪। সুরা ৫। সুরাতুন ৬। ছুরি এবং [ বিস্তারিত ]
পথে পথে চলতে চলতে, যেদিন ক্লান্ত হয়ে থেমে যাবে। পথের শেষ প্রান্তে এসে, যেদিন হারিয়ে ফেলবে ঠিকানা। অনেকটা পথ হাঁটার পরে, যেদিন পিছন ফিরে দেখবে- কেউ নেই আর সঙ্গী হবার/সঙ্গ দেবার নিঃসঙ্গ লাগবে, শূন্যতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে, নৈঃশব্দ্যের ভয়াবহতায় খাঁ খাঁ করবে চতুর্দিক, ভয় পাবে, ভয়ে কুঁকড়ে যাবে হৃৎপিণ্ড! জেনে রেখো সেদিনও আমি- থাকবো তোমার [ বিস্তারিত ]
  সময়ের পরিক্রমায় বয়সের ভারে, ন্যুব্জ হয়ে গেছে অনেক কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নরা। চাইলেও ওরা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না, পারে না নব উদ্যমে অপরূপ সাজে সাজতে/সাজাতে। এই ন্যুব্জ হওয়া স্বপ্ন দিয়ে কি করে হবে ভালোবাসার চাষাবাদ বলতে পারো! ভালোবাসা নাঙা পায়ে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে, রঙিন প্রজাপতির মতো যেদিন উড়েছিল- বিচরণ করেছিল তোমার উঠানে। সেদিন তুমি [ বিস্তারিত ]

রূপোলী দেয়াল

সুরাইয়া পারভীন ৬ মে ২০২০, বুধবার, ০৫:৩৭:০৪অপরাহ্ন চিঠি ২৫ মন্তব্য
প্রিয় সমুদ্র, পথের শেষ প্রান্তরে রূপোলী যে দেয়ালটা তুমি আমার নামে করে দিয়েছিলে সেই দেয়ালটায় আমার ভালোবাসার ক্যানভাস ছিল। আমার স্বপ্ন আঁকার ক্যানভাস ছিল। কত রঙ বেরঙের স্বপ্নরা যে জায়গায় পেয়েছিল সেই ক্যানভাসে। সুযোগ বুঝে আমিও তখন মনের মাধুরী মিশিয়ে অজস্র রোমাঞ্চকর স্বপ্ন-ছবি এঁকে রেখেছিলাম। ভাগ্যিস রেখেছিলাম! জানো, রূপোলী ক্যানভাসে আঁকা সেই ছবি গুলো আজ [ বিস্তারিত ]
  আজ আকাশের ভীষণ মন খারাপ, পৃথিবীর অসুখে কাঁদো কাঁদো ভাব। এই বুঝি গলা ছেড়ে কাঁদবে এখনই! অজস্র অশ্রু বিসর্জিত করবে অঝোরে, আকাশের পবিত্র অশ্রুজলের স্নানে, ধুয়েমুছে যাবে পৃথিবীর সমস্ত মহামারী। বিশুদ্ধ এক নতুন পৃথিবীর হবে সৃষ্টি, নব সূচনায় হাসবে মানুষ, হাসবে প্রকৃতি। সবুজে সবুজে ছেয়ে যাবে রুক্ষ শুষ্ক- নিস্তেজ নিস্তব্ধ অরণ্য, লতাপাতা ও গুল্মরাজি। [ বিস্তারিত ]
হাড় কাঁপানো শীতের কুয়াশা কেটে গিয়ে দখিনা বাতায়ন বেয়ে আসা ফাল্গুনের প্রথম মৃদু-শীত মৃদু-উষ্ণ বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলে যেমন অদ্ভুত অন্যরকম এক শিহরণ জাগানো অনুভূতি অনুভূত হয়। তার প্রথম আগমনে ঠিক তেমনই এক অদ্ভুত অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিল আমার। আমার মনে হয়েছিল ফাল্গুনের ঐ প্রথম নাতিশীতোষ্ণ বাতাসটা ও। যে আমায় না ছুঁয়েও ছুঁয়ে গেলো অদ্ভুত ভাবে, [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ