ইসলাম প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে আল্লাহর রাসুল এবং খালিফাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সমরনেতা, বীর যোদ্ধা, দিগ্বিজয়ী এবং জিহাদযোদ্ধা মুজাহিদদের, যারা ইতিহাসের পট-পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ, যুবাইর ইবনুল আওয়াম, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, সা"ইদ বিন যাইদ, খলিদ বিন ওয়ালিদ সহ অনেক সাহাবা।
যাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে রোমান, পারস্য, আলবেনীয়, মিশর, উত্তর আফ্রিকা, আইবেরিয়ান পেনিন্সুলা, নুবিয়া, ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জ, সিরিয়া, আনাতোলিয়া, ফারস, সিস্তান, তাবারিস্তান, খোরাসান, ট্রান্স-অক্সানিয়া, মাকরান, বালুচিস্তান, সিন্ধ প্রদেশের রাজা-বাদশাদের তরবারিকে।
তারা যুদ্ধ করেছেন ঊঠ অথবা ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে। এক হাতে খোলা তরবারি অন্যহাতে ঢাল। তপ্ত মরুময় বিস্তর প্রান্তর কিংবা পাথরের কণ্টকাকীর্ণ ভূমিতে ঘাম ঝড়ানো সে ইতিহাস সৃষ্টির অন্তিমকাল পর্যন্ত পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
এখন ঢাল তলোয়ারের যুগ নয় আর তারাও তালহা, যাইদ, খালিদ নন। ১৪ শত বছর আগে সে সময়ে আধুনিক অস্ত্র ছিলোনা, হরতাল ছিলোনা, পিচ ঢালা পথ ছিলোনা। বিজ্ঞানের আবিষ্কার তখন সীমাবদ্ধ নির্দিষ্ট কিছু গন্ডিতে। তবুও ইসলামের বিজয় হয়েছে।
কারন এটি মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর অনেক আগেই নির্ধারণ করেছেন। যেমন নির্ধারণ করেছেন আজ ফেসবুকে তাদের গামছা পেঁচিয়ে ভাতের গামলাকে ঢাল বানানো ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া ছবি হাস্যরসের ভুমিকা পালন করবে। ইসলাম হাস্যরসের ধর্ম নয়।
রাজা-বাদশা নয়, এই যুগে এসে রাজপথে তাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকসহ আরো অনেককে। নিজেদের এখনো সেই ১৪ শত বছর আগের যুগের যোদ্ধা কল্পনা করে আধুনিক ট্যাংকবাহিনীর সামনে ঘোড়ার পিঠে বড্ড হাস্যকর লাগে এটা বুঝতে হলে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পড়াশোনা করতে হবে।
সৃষ্টির আদি থেকে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বারংবার। তবে জয়ী হয়েছে তারাই যারা নিজেদের হিসেব নিকেষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনগণের স্বার্থের কাছে মাথা পেতে দিয়েছে।
এসব যদি মেনে নিতে না পারেন তবে আবারো লিখবো, বারবার লিখবো।
১৭টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ইসলাম ধর্মে কখনোই অযথাই মানুষকে বিপদে ফেলা, দেশ অশান্তি করা, নিজ স্বার্থে অন্যকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শহীদ হওয়ার লোভ দেখায়, তারা কখনোই ইসলাম অনুসারে, আল্লাহর নিয়ম অনুসারে জাহান্নামের ভাগিদার হয়ে যায়, আল্লাহ কারিম কখনোই ওদের সহ্য করবেনা।
তৌহিদ
একদম ঠিকই বলেছেন ভাই। আল্লাহ সকলের বুঝ দান করুন।
ইঞ্জা
আমীন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবাই যদি ঠিকমত ধর্মের অনুসারী হতো, নিয়ম পালন করতো তাহলে এই হানাহানি মারামারি দেখতে হতো না। ধর্ম কখনোই অহেতুক, অন্যায়ভাবে কারো ক্ষতি সাধন করতে বলেনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
তৌহিদ
প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে আপু। নিজের স্বার্থে যারা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের জন্য করুণা হয়।
ধন্যবাদ জানবেন।
হালিমা আক্তার
ইসলাম শান্তির ধর্ম | অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেয়া ইসলাম সমর্থন করেনা | অনেক ধন্যবাদ | শুভ কামনা |
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়।
নার্গিস রশিদ
খুব ভালো লিখেছেন । দেশ এগিয়ে গেলেও এদের কার্জ কলাপ পিছু টানছে ।
তৌহিদ
ধর্মীয় গোঁড়ামি এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজ করছে। সচেতনতা জরুরি। শুভকামনা জানবেন।
আরজু মুক্তা
” শস্যের চেয়ে টুপি বেশি। ধর্মের আগাছা বেশি। “
তৌহিদ
একদমই তাই, বারো হাত বাঙ্গীর তেরো হাত বিচি এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে এখন।
পপি তালুকদার
ইসলাম শান্তির ধর্ম।শান্তির ধর্মে রাহাজানি, অস্থির নৈরাজ্য কাম্য নয়।সঠিক ঈমানদার ব্যক্তিগন এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকবেন।
তৌহিদ
এটাই কাম্য, ধর্মের নামে অরাজকতা কাম্য নয়। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হৃদয়ের কথা
ঘোড়ার পিঠে সওয়ারি এই প্রথম দেখলাম ভাই। ছবিটি নেটে দেখে ব্যাপক মজা পেয়েছি।
হেফাজতকে নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিৎ।
তৌহিদ
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন ভাই।
হৃদয়ের কথা
ঘোড়ার পিঠে ছাগল সওয়ারি এই প্রথম দেখলাম ভাই। ছবিটি নেটে দেখে ব্যাপক মজা পেয়েছি।
হেফাজতকে নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিৎ।
*প্রথম মন্তব্যে ছাগল শব্দটি ভুলে বাদ পরে গিয়েছিল।
তৌহিদ
আচ্ছা, ধন্যবাদ।