আমি এক অধম আমি এক নাদান। অফিসে কাজের মাঝে পত্রিকা পড়তাম এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতাম নেট জগতে। কিন্তু জানার ভান্ডার ছিলো জিরো আর শূন্য।

এর মধ্যে বিডিনিউজ২৪. কমে পড়ি। পড়তে পড়তে এই ব্লগে অপশন আসে, রেজিস্টার।  তাও করি। তা আনুমানিক ২০১১ সালের কথন।

এর মাঝে পড়তে পড়তে বেশ কয়েকজনের সাধে পরিচয় ঘটে। এই ব্লগের জন্মমাসে দাওয়াত পাই। তাতে যোগদানও করি। পরিচয় হয়, আইরিন আপু, অত্যান্ত স্নেহের নীল কন্ঠ জয়, মিঠুন, সুকান্ত সাহা, কবি ও সাহ্যিতিক নুরুন নাহার শিরিন আপু মনি।

সবার ইচ্ছে  মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য  প্রতিকি ইট কিনার নামে চাদা প্রদান। এখানে শ্রদ্ধেয়া শিরিন আপু, আইরিন আপু, নীলকন্ঠ জয়, সহ দেশের এবং প্রবাসি মিলে দশ হাজারের বেশি টাকা জমা করেছিলাম।

এর মাঝে এলো দেশের উপর কালো থাবা। যা পরে রুপ নি্লো শাহবাগ আন্দোলনে। আমরা বিডিব্লগ এর পক্ষ থেকে ঢাকা ক্যান্টন মেন্টের সাইটে আলুব্দি গ্রামে,  যেখানে কশাই কাদের মোল্লার হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে যে ইটভাটায় ফেলে রাখত সেখানে প্রতিকি ফাঁসি দেয়ার প্রোগ্রাম করি।

এই আন্দোলনেই যখন যার ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা নাই সেই দিল ফতোয়া যে , ব্লগাররা নাস্তিক। তখন আমি ও বুঝলাম ব্লগাররা যদি নাস্তিক হয় আমিও নাস্তিক। কিন্তু আমি দুর্বল স্বভাবের মনুষ সত্য বিধায় অনেককে বুঝাতে পারি নাই যে, ব্লগে লিখলেই সবাই নাস্তিক হয় না। তখন বুড়ো, বুড়ি বি এন পি পন্থী আলেম অ-আলেম সবাই কিন্তু মেনে নিল। তাতে তাদের কি আলেমত্ত্ব থাকলো, বলেন?

তখন আমি একজন ব্লগার তা বুঝলাম।

এই কাজ সমাধা করতে নীলকন্ঠ জয় কে হুমকি দিল ফোনে যেন না করা হয়। সবাই বললো মজিবর ভাই এই কাজের আনুসঙ্গিক উপাদান নিয়ে যাবে। নিলাম। কিন্তু জয় মত পাল্টালো যাবেই , সবাই গেলাম।

জয় হিন্দু জানতাম না। জানলাম তখন যখন জয়ের কাছ থেকে ফাঁসির জিনিসপত্র আনতে গেলাম তখন। নাস্তা করব তখন বুঝলাম।

একদিন আমাকেও ফোনে বলল যে আমি যেন ঐ কাজে  না যাই। আমার কয়েক বন্ধু নিষেধ করেছিল শুনি নাই।

প্রতিকি ফাঁসি দিয়েছি কাদের মোল্লার আইনি ফাঁসির পূর্বেই। এ নিয়ে একটি পোস্ট আছে কিন্তু আমি মোবাইলে লিংক করতে পারছিনা।

এর পর কি কারনে ব্লগ বন্ধ হল। ব্লগ কর্তৃপক্ষ জানাল কারিগরি সমস্যা। কিন্তু বাস্তবে অন্য সমস্যাও ছিল।

এর মাঝে যাযাবরের ন্যায় নেট দুনিয়ায় ঘুরপাক খি। একদিন কিভাবে যেন, আমার মনের অজান্তে ঢুকে পড়লাম এখন আমার প্রিয় ব্লগ সোনেলায়। এখানে এসে দেখি আমার জয়, মিঠু লেখে। আমি আমার প্রিয় শব্দ তন্দ্রা নামেই নিবন্ধন করি। কিন্তু জয় ও জানত না আমি মোঃ মজিবর রহমান। সেও সম্মোধন করল এক পোস্টে আপু বা আপা বলে। জয়কে জানালাম । বলল। আমি বলে ঠিক করে দেব।

তার মাঝে পরম শ্রদ্ধেয় জিসান ভাইকে স্যার সম্মোধন করে লগইন সমস্যা নিয়ে জানাই। সে অতি স্নেহের সহিত জানাল স্যার নই ভাই বললেই খুশি।

তারপর পথচলা আমার আপনার সকলের লেখার স্থল সোনেলায়। ছিলাম, আছি থাকব। ইনশাল্লাহ।

সব শেষে বলি সোনেলা একটি এমনই উঠান যার দেবার আছে , নেবার নাই।

নোটঃ
আমি মোবাইলে লিখতে অভ্যস্ত নই, তাই ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন নিজ গুনে।

0 Shares

৩৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ