আপনারা ঘরে থাকতে বলে আবার আপনারাই মানুষকে বাইরে ডেকে আনার ব্যবস্থা করছেন!

গত দুদিন আগে গার্মেন্টস মালিকদের হটকারিতায় লাখ লাখ শ্রমিকের মধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেল। আগামী মাসের আজকের দিনে কেমন বাংলাদেশ দেখা যাবে কে জানে!

দেশে কিছু একটা দুর্যোগ দেখা দিলেই তারা ভিক্ষার থালা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হয়ে যান, প্রণোদনা দেন, প্রণোদনা দেন বলে। প্রতিবছর ঈদেও আমরা তাই দেখি। তাদের নাকি ব্যবসা করে শ্রমিকদের বেতন দেয়ার পয়সাও থাকেনা। আজব! বছরের পর বছর এই শুনে আসছি। অথচ তারা পাজেরো হাঁকিয়ে চলেন, আমেরিকা কানাডায় বেগমপাড়া গড়ে তুলেন।

যাহোক, এই কাহিনী লিখতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে।

এই যে আপনাদের খাদ্য বিতরণ প্রক্রিয়া, সময়ের হিসাবে বর্তমানে এভাবে বিতরণ করা কী ঠিক হচ্ছে? আপনারাই যদি এমন করেন, তবে ক্ষুধাপীড়িতরা মানবে কেমন করে আর প্রাদুর্ভাব-ই বা ঠেকাবেন কেমন করে?

দেখা যায়, রিক্সাওয়ালা একজায়গা থেকে খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করে সেখান থেকেই খবর সংগ্রহ করে আরেক জায়গায় খাদ্য বিতরণ হচ্ছে। ফলে দূরবর্তী বলে রিক্সা নিয়ে রওয়ানা হয়ে পড়ছে, পথে আটকা পড়লে বলবে ঘরে খাবার নাই, তাই বেরিয়েছি।

কাজেই এসময়টায় চিন্তা করে কাজ করুন। খাদ্যসামগ্রী নিজেদের লোক দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে প্যাকেট করিয়ে ভ্যানে করে এলাকাভিত্তিক পাঠিয়ে দিন। তাইলে ভীড়ও হবেনা, সংক্রমণও বাড়বে না। প্রত্যেকে ঘরে পাবে, কেউ ঘর থেকেও বেরোবে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর এলাকাভিত্তিক করুন। প্রতি পরিবার পাবে, কেউ বেশিও নয়, কেউ পাওয়া থেকে বঞ্চিতও নয়। আর আপনি যে দিচ্ছেন সেটাও আপনার ভোটাররা জেনে গেল।

আরেকটা কথা, বাংলাদেশে এখন সমস্যা হচ্ছে, নেতার পেছনে পাতিনেতাদের ভীড়। এখন শোডাউনের সময় না। এখন নিবৃতে গণমানুষের দ্বারে দ্বারে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার সময়। তাই কর্মীদের যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিবে তাদেরও সংখ্যা ভাগ করে দিন। প্রতিদিন পাঁচজন বা দশজন করে। নতুবা এখানেও সংক্রমণ বাড়বে।

এদিকে দেখা যাচ্ছে, টিসিবির ট্রাকের সামনেও ঠাসাঠাসি লাইন। এখানেও যে শৃঙ্খলা দরকার।

যেহেতু পরিকল্পিত কার্যক্রমই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় সেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সতর্ক করার পাশাপাশি নিজেরাও সতর্ক থাকুন

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ