পাঁচ সুপার পাওয়ারের একটি দেশ ফ্রান্স। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার দেখতে বছরে কয়েক লক্ষ পর্যটক যান সে দেশে। ব্যবসা, বানিজ্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ দেশ হচ্ছে ফ্রান্স।সেই ফ্রান্সে বর্তমানে অস্থিরতা বিরাজ করছে চরম ভাবে।একের পর একটি ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ফ্রান্সে, একটির প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরেরটি ঘটছেঃ
* ইতিহাসের শিক্ষক সেমুয়েল প্যাটি তার ক্লাসে পড়ানোর সময় ক্লাসে উপস্থিত ছাত্রদের সামনে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর একটি ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করেন।
* এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে এক মসজিদের ইমাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন।
* ভিডিও বার্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এক যুবক ওই শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করে।
* ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো এই ঘটনায় অত্যন্ত  ক্ষোভ, নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ থামবে না বলে ঘোষণা দেন।
* যে মসজিদ থেকে ভিডিও বার্তা পোষ্ট করা হয়েছিল, ফ্রান্স সরকার ওই মসজিদটি বন্ধ করে দেন।
* এরপরে অন্য একটি মসজিদে হামলা হয়।
* ফ্রান্স সরকার অত:পর দেশের ৭৩ টি মসজিদ বন্ধ করে দেন। ঘটনাক্রম

ঘটনাক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ইতিহাসের শিক্ষক ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করার ফলেই এই অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে তিনি তো অবশ্যই জানতেন যে এমন ব্যঙ্গচিত্র অতীতে প্রদর্শন করার পরে কত জোড়ালো প্রতিবাদ হয়, মহানবী (দঃ) নিয়ে কটূক্তি বা ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন কারীকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষিত হয়, দেশে দেশে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়।সালমান রুশদীর কথা তো পাঠক মাত্রই মনে করতে পারবেন। সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া জানা সত্বেও উনি কেনো মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করলেন?

একটি প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, এসব কার্টুন একে প্রদর্শন করে এরা কি এমন ভালো কাজ করছেন? কি বুঝাতে চাচ্ছেন এনারা? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি যা খুশি তাই করা? বাসার মধ্যে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানোও অপরাধ, কারন এতে পাবলিক বিরক্ত হয়। এমন কার্টুন প্রদর্শনও তো একটি ধর্মের মানুষদের বিরক্তির কারন হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা অন্যদের মানসিক ভাবে আঘাত করার অধিকার কারো কি আছে? এমন ধরনের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা যায় না। কার্টুনের কি বিষয় বস্তু আর নেই? বিষয়বস্তু নির্বাচনে এমন বিষয়বস্তুকে নির্ধারন করা উগ্র তারই নামান্তর।

 


প্যারিসে সেমুয়েল প্যাটির স্মরণ সভায় লক্ষ লক্ষ জনতা উপস্থিত হয়ে এই হত্যা কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করা হয়। জমায়েত জনতার হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড বহন করেন। স্মরন সভা থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো না হলেও আগত সবার মনে যে মুসলিমদের প্রতি যে ঘৃণার জন্ম নেবে এতে সন্দেহ নেই। ইউরোপে মুসলিমরা অত্যন্ত উগ্রবাদী এমন একটি ধারনা প্রচলিত আছে। সে ধারনা আরো বদ্ধমূল হবে।
CGTN এর আপলোডকৃত এ সম্পর্কিত পোস্টে পাঠকদের বিভিন্ন মন্তব্যে ধারনা করা যাবে, যে কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে।

 


মহানবী (দ:) এর কার্টুন প্রদর্শনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবী জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে ফ্রান্সের পণ্য বর্জন আন্দোল বেগবান হয়েছে। ফ্রান্সের পণ্য  বর্জন কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফ্রান্সের প্রধান বিক্রয়যোগ্য পন্য হচ্ছে মটর যান, প্লেন এবং ঔষধের কাঁচামাল। মটর যান, প্লেন এতে সাধারণ জনতার অংশ গ্রহন নেই। ফ্রান্স থেকে দেশে কোন গাড়ি আমদানী হয় না, আর প্লেন রোজ রোজ ক্রয় করা হয় না। জীবন রক্ষাকারী ঔষধের  কাঁচামাল নিষিদ্ধ করা কতটুকু যৌক্তিক হবে? ঔষধের কাঁচা মাল বর্জন আদৌ কি যুক্তিযুক্ত হবে?

ফ্রান্সের উৎপাদিত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য যে দুটো পণ্য বর্জন করা যায় তা হচ্ছে চকলেট এবং পারফিউম। যা অত্যন্ত দামী। একটি ফ্রান্সের আসল চকলেট এর মূল্য এক থেকে দের হাজার টাকা। কতজন ফ্রান্সের চকলেট কেনেন এটি গবেষণার বিষয়। ফ্রান্সের পারফিউম বিশ্বের সেরা পারফিউম। অত্যন্ত উচ্চ বিত্তবানরা এই পারফিউম ব্যবহার করেন। বিভিন্ন কসমেটিক্স দোকানে সাধা্রণ বাংলাদেশিরা যে পারফিউম ক্রয় করেন তার অধিকাংশই বাংলাদেশের জিঞ্জিরায় উৎপাদন হয়। সুতরাং বাংলাদেশে ফ্রান্সের পন্য বর্জন অর্থ হচ্ছে দেশের জিঞ্জিরাকে বর্জন।

উইকিপিডিয়া ২০১৯ সনের World trade center এর তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্সের ত্রিশটি প্রধান রপ্তানীকৃত পণ্যের তালিকায় পারফিউম আছে ষোল নাম্বারে, যার অধিকাংশ রপ্তানী হয় ইউরোপ সহ অন্যন্য উন্নত দেশ সমুহে। ত্রিশটি পণ্যের তালিকা পড়লেই বুঝা যাবে বাংলাদেশে ফ্রান্সের পণ্য আমদানী হয না বলা চলে। List of exports products of France

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ইউরোপে মুসলিমদের ভবিষ্যত খুব খারাপ হবে। ইউরোপে মুসলিমদের জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন হবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিম নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হবে না। নাগরিকতার বিষয়ে মুসলিমদের আলাদা ভাবে দেখা হবে।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

  • মোঃ খুরশীদ আলম

    আপনি বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মানুষের ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করার মতো কিছু তেমন নাই। তার মানে এ বর্জনে ফান্সের কিছু আসে যায় না। তাহলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মুসলমানদের এখন কি করা উচিত বলে মনে করেন? একজন সাধারণ মুসলমান ও নবীর (স) এর ‍উম্মত হিসাবে আমার আপনার দায়িত্ব কি? বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ। ধন্যবাদ।

    • রোকসানা খন্দকার রুকু

      লেখক বলতে চেয়েছেন, আমরা ফ্রান্সের তেমন কোন পন্য ব্যবহার করিনা। ওষুধটাই আমাদের জন্য জরুরি। তাদের তেমন ক্ষতি হবেনা।
      ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে কথায় কথায় মহল গরম করার কি আছে? তাতে ক্ষতি আমাদের হবে কারন আমরা গরীব। গরীবদের নিজেদের স্বার্থের জন্য কিছু সময় চুপ থাকা জরুরি। পররাষ্ট্র নীতি তাই বলে।
      মুসলমান নামে মুসলমান। ঈমান,আকিদা,আখলাক আগে তৈরি করতে হবে। কেউ আমাকে অপমান করলে আমি নিজেকে আরও শক্ত পোক্ত করার চেষ্টা করি। নামাজ কালাম করি, নিজের নফস্ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি। খুনের বদলা খুন নয়, দাঙ্গার বদলা দাঙ্গা নয়। নিজেদের দাঙ্গা হাঙ্গামা কারী জাতি হিসেবে মুসলমান পরিচিতি করার মাঝে কোন মহত্ব নেই। বেশি উতলা হলে পরে সামাল দেয়া কঠিন হবে।
      ভুল বললেও বলতে পারি।
      শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।

    • জিসান শা ইকরাম

      লেখার একটি অংশের উপর আপনার নজর পরলো! এই অংশটুকু এখন পড়ুন ” ঘটনাক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ইতিহাসের শিক্ষক ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করার ফলেই এই অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে তিনি তো অবশ্যই জানতেন যে এমন ব্যঙ্গচিত্র অতীতে প্রদর্শন করার পরে কত জোড়ালো প্রতিবাদ হয়, মহানবী (দঃ) নিয়ে কটূক্তি বা ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন কারীকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষিত হয়, দেশে দেশে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়।সালমান রুশদীর কথা তো পাঠক মাত্রই মনে করতে পারবেন। সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া জানা সত্বেও উনি কেনো মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করলেন?

      একটি প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, এসব কার্টুন একে প্রদর্শন করে এরা কি এমন ভালো কাজ করছেন? কি বুঝাতে চাচ্ছেন এনারা? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি যা খুশি তাই করা? বাসার মধ্যে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানোও অপরাধ, কারন এতে পাবলিক বিরক্ত হয়। এমন কার্টুন প্রদর্শনও তো একটি ধর্মের মানুষদের বিরক্তির কারন হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অন্যদের মানসিক ভাবে আঘাত করার অধিকার কারো কি আছে? এমন ধরনের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা যায় না। কার্টুনের কি বিষয় বস্তু আর নেই? বিষয়বস্তু নির্বাচনে এমন বিষয়বস্তুকে নির্ধারন করা উগ্রতারই নামান্তর।

      একটি পোস্টের কিছু অংশ নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ নয়।
      নেটে সার্চ করে যে তথ্য পেয়েছি, তা এই পোস্টে দেয়া হয়েছে মাত্র। আমি একটি আন্দোলনে নামবো, তার আগে তো বুঝতে হবে এই আন্দোলন সত্যি তাদের ক্ষতি করতে পারব কি না?
      আপনি কি চান, অনেক অনলাইন এক্টিভিস্টের মত মিথ্যে প্রচার করি যে ফ্রান্সের পন্য বর্জন করে বিশাল ক্ষতি করে ফেলেছি ফ্রান্সের? ইসলামে মিথ্যের তো স্থান নেই।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    ফ্রান্সের মত দেশে অন্যধর্মকে বিদ্রুপকরা কতটুকু যৌক্তিক। মুক্তচিন্তা মানেই কি কোন ধর্ম, গোষ্ঠীকে ব্যাজ্ঞ প্রকাশ কতটা মানানসই।
    মুক্তচিন্তা মানে কি ইচ্ছামত যা ইচ্ছা তাই প্রকাশ করা।
    কেউ যদি অন্যধর্ম বা গোষ্ঠীকে মুল্যায়ন করে তবে কি তার কোন ইচ্ছাকে অন্যকেউ মুল্যায়ন করবে?

    ফ্রান্সের পণ্য বর্জন সমাধান নয় তার মানে এই নয় যে, কেউ আঘাত করবে আর মুখ বুঝে মেনে নিতে হবে?

  • মোঃ মজিবর রহমান

    ভিসা পাওয়া আর ধর্মকর্ম আলাদা। ফ্রান্স ভিসা না দিলে বা আবাসন না দিলে কি মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করব, না তা হতেই পারেনা। আমি মুস্লিম হিসেবে ধ্যানে, মনে এক আল্লাহকে স্বীকার করি।

    • জিসান শা ইকরাম

      শুধু ফ্রান্স নয়, সমগ্র ইউরোপের কথাই বলা হয়েছে লেখায়। এখানে কেবল কি কি সমস্যা ভবিষ্যতে হতে পারে তাই বিশ্লেষন করা হয়েছে। মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করতে বলা হয়নি।

      নিজের বাস্তব উদহারন দেই: আমেরিকায় ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলার পরপরই কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেছি আমি। শুধু মুসলমান হবার কারনে বেজিং এয়ারপোর্টে নেংটু হয়ে সার্চ হয়েছে আমার। ব্যংকক এয়ারপোর্টে ত্রিশ মিনিটের বেশি প্রশ্ন করেছে। অথচ আমি একজন মুসলমান। আমরা বহু পুরুষ হতেই মুসলমান। লাদেন বা অন্য উগ্র মুসলমান আসার পুর্ব থেকেই মুসলমান। একজন মুসলমান হিসেবেই মৃত্যুকে বরন করতে চাই।

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    কারো ধর্মের উপর কটাক্ষ করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
    প্রতিক্রিয়া ও স্বাভাবিক।
    তার প্রতীক্রিয়ায় হত্যাকান্ড সহ যা ঘটছে
    কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায় কে জানে।
    ফ্রান্স সহ ইউরোপের পোষাক রপ্তানীর প্রভাব না পড়লেই ভাল।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    অন্যের ক্ষতি চাইতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করা হয় এটা সব ধর্মেই উল্লেখ আছে। উগ্রতা, নির্মমতা, খুন, ধ্বংস,ব্যঙ্গ কখনোই মঙ্গলজনক নয় , ধর্ম সাপোর্ট করে না। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো

  • আরজু মুক্তা

    তবে, সভ্য দেশে এ ধরণের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
    বয়কট বড় না। জিন্জিরার ঐ পণ্য অন্য নামে চলে আসবে।
    আমরা আসলে কার কাছে শিখবো? সবখানেই মুসলমানদেরকে অবহেলিত করা হচ্ছে।
    মুসলিম কান্ট্রি গুলো একসাথে বসে নিশ্চয় একটা সমাধানে আসবে।

    • জিসান শা ইকরাম

      সভ্য দেশের এমন অসভ্য আচরনের অবশ্যই তীব্র নিন্দা জানাই।
      আমাদের মনে রাখা উচিৎ, মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।
      আমাদের রাসুল ( দ: ) কে সয়ং আল্লাহ সন্মানের উচ্চ আসনে আসীন করেছেন। কোনো মানুষ রাসুল ( দ: ) এর কার্টুন বানালেই কি তাকে অসন্মান করতে পারেন। আল্লাহর উপর কি আমাদের বিশ্বাস আস্থা নেই?

  • মনির হোসেন মমি

    লেখকের পুরো লেখার প্রতি সহমত পোষন করছি।আসলে তাই ফ্রান্সের পন্য বর্জনে কিছুই নেই শুধু ঔষধ ছাড়া।আর ঔষধের কাচামাল যদি বর্জন হয় তাহলে এ দেশের পাবলিকের মৃত্যুর মিছিল হবে।
    বলাবাহুল্য আমরা এ দেশের মুসলিম সমাজ অধিকাংশই ধর্মান্ধ।নিজেতো কিছু করার মুরদ নেই অন্যের উপর ভরসা করেই যাদের জীবন চলে বাস্তবতা কী তারা কখনোই ভাবে না।শুধু বসে বসে পরেরটা খেয়ে আল্লাহ রসূল জপলেই কী পেটে ভাত আসবে?আসবে না।এখন ধরেন যদি বিশ্বের বিধর্মী রাষ্ট্রগুলো মুসলিিম রাষ্ট্রগুলোকে বর্জনে ডাক দিল তখন আপনি অজ্ঞ মুসলিম কী করবেন? আপনার মুখে ঐ আল্লাহ রসূললের নাম ছাড়াতো আপনার পার্থিব জীবন চলার কোন অর্জনই আপনার নেই।বর্তমান বিশ্বে যত উন্নত প্রযুক্তি সবিইতো ঐ বিধর্মীদের আবিষ্কার।আপনি আমিি মুসলাম সারা জীবন কী কররলাম! শুধু পরেরটা খাইলাম আর হাগু দিলাম! এইতো? লড়তে হলে লড়ার সরঞ্জাম লাগে নতুবা অঙ্কুরেই আপনি মুখ থুবরে পড়বেন।আগে নিজেকে গড়ুন তারপর লড়ুন।নতুবা শুধু আপছোোষ করে যেতে হবে।

    • জিসান শা ইকরাম

      ঔষধের কাচামাল ফ্রান্স থেকে আনা বন্ধ করলে দেশে চাইনিজ কাচামাল আসবে। চাইনিজরা কি মুসলমানদের বন্ধু? উইঘোরে মুসলমানদের উপর চীনা সরকারের দমন পিড়ন কি আমরা ভুলে গিয়েছি?
      কিছু উগ্রবাদী মুসলিম এর কাজে সমস্ত মুসলিম সমাজ ধুকছে। আমি আপনার পিতা মাতা দাদা প্রদাদা সহ আমাদের পূর্ব পুরুষ তো মুসলমানই ছিলাম। কোনো লাদেন বা উগ্রবাদী মুসলমান আমাদের মুসলিম করেনি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই শান্তির ধর্মে লাদেন, তালেবানদের স্থান কোথায়?
      মুসলিমদের উচিত আল্লাহার উপর পরিপুর্ন আস্থা রেখে জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত শাখায় মনোনিবেস করা। যাতে অন্য ধর্মের মানুষের কাছে মুসলিমগন অনুকরনিয় হয়।
      বিশ্বে মুসলিম বলতেই এখন ধারনা করে সন্ত্রাসী। এই ধারনার জন্য কে দায়ী তা আমাদের বুঝতে হবে।
      আজ পত্রিকায় দেখলাম, এক ব্যাক্তিকে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইসলাম কি এমন ভাবে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়া সমর্থন করে? আমার তা মনে হয়না।

      ভালো থাকবেন মনির ভাই,
      শুভ কামনা।

  • তৌহিদ

    ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করলেই কেউ যেমন অসাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেনা। তেমনি ফেসবুকে বিশ্বব্যাপী প্রতি মিনিটে কোটি কোটি স্ট্যাটাসের ভীড়ে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া আমাদের সেই দুইলাইন তাদের চোখে পড়বে সেটা আশা করাও বৃথা।

    তারা বলছে ব্যাঙ্গচিত্র! কিন্তু নবীর ছবিইতো নেই সেখানে ব্যাঙ্গচিত্র হবে কি করে! উগ্রবাদী কিছু মুসলিমদের জন্য পুরো মুসলিম উম্মাহর বদনাম হচ্ছে পুরো পৃথিবীতে।

    ইউরোপ যদি একবার ঘোষনা দেয় যে এদেশের গার্মেন্টস থেকে তারা আর অর্ডার করবেনা দেশের অর্থনীতিতে যে বিরাট চাপ আসবে তা এদেশের আন্দোলনকারী জনগনের বুঝেও আসবেনা। হুজুগে মাতাল সব।

    সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চমৎকার একটি লেখা পড়লাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ