আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২১ বছরের টগবগে একজন তরুণ যাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশের অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়া এখন সরগরম এরকম অমানবিক এমন একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। গণমাধ্যমে এসেছে ফেসবুকে নিজের মতামত পোস্ট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী। এমন একটি খবরে আমি ব্যথিত হয়েছি, মর্মাহত হয়েছি। নিজের বিবেকের কাছে করা প্রশ্নের উত্তরে তাই কিছু কথা আজ না বললেই নয়।
আপনাদের সাথে আমিও এই হত্যাকান্ডের বিরোধিতা করছি। ফাহাদের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখেছি তিনি সবসময় নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতেন, দেশের পক্ষে কথা বলতেন। যদিও এ সবই তার ব্যক্তিগত মতামত। তিনি যেমন কাশ্মীর ইস্যুতে ভুক্তভোগী নির্যাতিত কাশ্মীরের জনগনের পক্ষে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন যেখানে ভারতের মোদী সরকারের সমালোচনামূলক বক্তব্য ছিলো তেমনি দেশের পক্ষে দেশকে ভালোবেসেও অনেক কথা বলতেন বিভিন্ন ইস্যুতে তবে সেসব কথার অধিকাংশই কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডেএ তীব্র সমালোচনাও ছিলো।
তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কিছু চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার প্রশ্নে তিনি নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তার স্ট্যাটাসে ছবি নিচে দেখুন-
আমরা সবাই যারা দেশকে ভালোবাসি তারা অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে নানান মতের স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মতামত পোষণ করি। এটা দোষের কিছু নয়, সমস্যা হচ্ছে স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে দেশবিরোধী কোন কথা সেখানে প্রতীয়মান না হয় কারণ পুরো পৃথিবীর মানুষেরা সেসব দেখেন এবং আমাদের দেশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করেন। এখন আসি আবরারের কথায়। আবরার তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। যদি সেটা অন্যায় হয় তাহলে বলব আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে চলেছে যা একটি গণতান্ত্রিক দেশে মোটেই কাম্য নয়, হতে পারেনা। আবরারের হত্যাকান্ড যদি ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে হয় তাহলে ধরে নিচ্ছি ফেসবুকে পোস্ট কারীদের হত্যা এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে অচিরেই। অতীব দেশপ্রেম অনেকেরই মৃত্যুর কারণ হতে পারে কিন্তু!
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ছাত্রলীগের যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তারা শিবির সন্দেহে আবরারকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এরপর পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আশ্চর্য হয়েছি, মর্মাহত হয়েছি। হত্যাকান্ডে জড়িত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সুযোগ পাওয়া এসব মেধাবী ছাত্র এরা সবাই, কিন্তু মন-মানসিকতায় এরা কুয়োর ব্যাঙ এর মতই সংকীর্ণমনাই রয়ে গিয়েছে। একজন মানুষ ভিন্ন ধারার রাজনীতি করতেই পারেন। যদি সেটা অন্যায় হয় তার জন্য দেশের আইন আছে প্রশাসন আছে। তাই বলে হত্যাকাণ্ড? এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
যাদের ছত্রছায়ায় এসব ছাত্রলীগ নামধারী নেতারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আশার কথা হত্যাকান্ডে জড়িত কিছু ছাত্রকে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমরা চাই তাদের শাস্তি হোক।
মনে রাখা দরকার, সরকার যখন দেশের স্বার্থে বন্ধুপ্রতীম কোন রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করেন তা দেশকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নয়। এর পেছনে আমাদের দেশের অনেক স্বার্থ থাকে যা দেশের জন্য কল্যাণকর। তাই এসব বিষয়ে নিজের মত প্রকাশের আগে ভেবে দেখবেন আপনি আমি কিন্তু সরকার প্রধানের গদিতে বসে নেই। যিনি বসে আছেন তাকে সর্বদিক চিন্তাভাবনা করে এসব চুক্তি সম্পাদন করতে হয়। এদেশের সরকারপ্রধান তিনি নিজেই অনেক বিজ্ঞ। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সহনশীলতার রাজনীতি করেন। তবে তাদের দলের ছত্রছায়ায় যারা নেতাকর্মী সেজে এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো অনৈতিক কাজ করছেন তারা আদৌ এই সরকারের ভাল চান কিনা সেটাও ভাবতে হবে। এটি দলে অনুপ্রবেশকারীদের ষড়যন্ত্র হতে পারে কিংবা অতিক্ষমতা ও অতিভালোবাসা পাওয়ার বা দেখানোর লোভে তথাকথিত এসব ছাত্রনেতা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আদতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন কি না? -এ দিকটিও সেই দলের ভাবতে হবে কিন্তু।
আমরা সাধারন জনগন শান্তি চাই। আমরা দেশকে ভালবাসি বলেই নিজেদের মত প্রকাশ করি। তবে সেই মতামত প্রকাশ করা যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি এদেশ আমার নয়। এমন দেশ আমি চাইনি আর চাইওনা। দেশের বিরুদ্ধে কিছু হলে আমরা রুখে দাঁড়াবো এটা ঠিক, কিন্তু মনে রাখবেন সে রুখে দাঁড়ানো যেন অন্যায়ভাবে কারো জীবননাশের কারণ না হয়।
৫৪টি মন্তব্য
রেহানা বীথি
প্রত্যেকের নিজস্ব মত আছে। কারও মতের সাথে একাত্ম হতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যার পছন্দ হবে না, এড়িয়ে যাবে সে। তাই বলে মত প্রকাশকারীকে নির্মমভাবে হত্যা করতে হবে? এতটা হিংস্র হয়ে উঠছে কেন আজকের প্রজন্ম? এসবের শেষ কোথায়? বড় ভাবায় এ প্রশ্নগুলো।
তৌহিদ
আমারতো মনে হয় মত প্রকাশের স্বাধীনতার চেয়েও বড় বিষয় এসব উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের জন্য আমাদের কিছু মিডিয়া দায়ি। বিবিসির মত নিঊজ পোর্টাল ভূলভাবে সংবাদ উপস্থাপন করেছে চুক্তির বিষয়ে। যদিও পরে তারা সংশোধন করেছে তবে এর মধ্যে গুজব রটে গিয়েছে অনেক। সেই গুজবের শিকার আবরার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
রেহানা বীথি
একদম ঠিক
নিতাই বাবু
মর্মাহত হয়েছি আবরারের মৃত্যু খবরটি শুনে। এই হত্যাকাণ্ডে নিজে নিজেকে ঘৃণা করতে হচ্ছে। আর বর্তমান যুগের এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক ছেড়ে দিতে মন চাচ্ছে। একসময় সারাদেশব্যপী ব্লগারদের উপর চলছিল এমন গুপ্তভিযান। এখন চলছে সৎ-সাহসী ফেসবুকারদের দমন-পীড়ন। আবরারের এই ঘটনার পর ফেসবুকে আর থাকতে মন চাচ্ছে না।
সময়োপযোগী পোস্টখানার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। সাথে শুভ বিজয়াদশমীর শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
সত্যিই লজ্জিত দাদা, তবে আমাদের কলম চলবেই। সেটা ফেসবুক কিংবা ব্লগ যেটাতেই হোক।
বিজয়াদশমীর শুভেচ্ছা দাদা।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা, আমি কিন্তু এখন আর ফেসবুকে নেই। মানে ডিঅ্যাক্টিভ করে ফেলেছি। ভালো লাগে না, দাদা। সময়ও পাই না। তাই আর ফেসবুকে থাকছি না।
তৌহিদ
দাদা ফেসবুকে ফিরে আসুন। যোগাযোগের একটাইতো মাধ্যম আমাদের দাদাভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব কস্ট পেয়েছি। এই পোস্টের জন্যই যদি হত্যা করা হই। বেশি ক্ষমতায় থাকলে দলে বেশি বাড়াবাড়ি হই এটা তারই লক্ষন।
সরকার প্রধান বিজ্ঞ তাতে সন্দেহ নাই। তিনি এর পুরবে বলেচ্ছেন ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখতে হবে।
তার বিনিময়ে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে আমাদের শিধুই তেল মালিশ করে যাচ্ছি কিনা, ভাবুন ভাই
তাতে দেশের শ্বারধের দিকে নজর রাখার সময় কি ফুরিয়ে যাচ্ছেনা।
এই সিরকারের ছাত্র রাজনিতি কন্ট্রলে রাখতে পারছেনা। আমার মনে হই সরকার রাজনিরির প্রয়োজনে ছাত্রলীগকে বেশি ব্যাবহার করে ফেলছে। ছাত্রলীগ অনেক গুলি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
যেগুলি বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছে। বিচার ০.
তবে আশার কথা এবার গ্রেপ্তারে স্লো পইজন নাই।
প্রয়াওনিয় একটি লেখা।
তৌহিদ
ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সামনে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। দেশের স্বার্থে সব কিছু মেনে নেব কিন্তু অকল্যাণকর কিছুতেই মত দেবনা আমরা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সরকার এইসব ক্ষেত্রে কঠোর না হলে গায়ের বলে আর বাহুবলে ক্ষমতায় দীরঘ সময়া থাকা অসম্ভব বলে মনে হই।
আহমেদ ফাহাদ রাকা
আমার সন্তানের নামও আবরার, মনে হয়েছে কাল আমার সন্তানো তো এভাবেই পড়ে থাকবে,ওর মুখ দেখলেই বোঝা যায় কতটা ইনোসেন্ট একটা বাচ্চা ছিলো,এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,তবে এখানেই শেষ নয় এরকম অনেক আবরার প্রান হারাবে এই দেশে, শহীদ আবরার এর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন জান্নাত দান করেন,(আমিন)
তৌহিদ
আবরারের এমন করুন পরিণতি যেন আর কারো না হয় এটাই কাম্য। ব্যথিত হয়েছি ভীষণ।
ভালো থাকবেন ভাই।
রেজওয়ান
ছেলেটার মৃত্যু দেখে-
“ফেসবুকে লেখার জন্য কেউ কাউকে খুন করতে পারে!”
“এই দেশ আমার দেশ না!”
“আমি এই দেশে থাকব না!”
অবাক বিস্ময়ে, আবেগে আপ্লুত হয়ে এই টাইপের পোস্ট করা ভাই বোনেরাও কিন্তু এক সময় বড় গলায় বলেছিল-
“ফেসবুকে বা ব্লগে লেখার জন্য খুন করেছে, ঠিকই তো করেছে! কেন সে উত্তেজিত করেছিল অন্যের ধর্মীয় চেতনাকে?”
বা অন্তত বলেছিল-
“সেও তো ওদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছিল!” “ধর্মানুভুতিতে আঘাত কারিদের মেরে ফেলাই ভাল” এমন হাজারো কথা..
আমি অবাক হইনি! কারণ সোস্যাল মিডিয়ায় লেখার কারণে হত্যা করা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। মতের অমিল থাকলে বা কারো বিরুদ্ধে কথা বললেই হত্যার রেওয়াজ এই দেশের নষ্ট মানুষদের জন্য নতুন কিছু না। বাকস্বাধীনতা যতদিন এই দেশে প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন এই হত্যা চলতেই থাকবে।
নোংরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বললে আমাদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না। এটাই তিতা সত্য!! কিন্তু আমরা সবসময় সব রকম ভায়োলেন্সের বিপক্ষে বলেছি, বলি, বলব..এটাই মনুষ্যত্ব✌
তৌহিদ
মুক্তমত প্রকাশে আমরা সেই সংকীর্ণমনাই রয়ে গেলাম ভাই। এমন ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। যারা নিজেদের মত প্রকাশের কারনে নিজের জীবন বলিদান দিয়েছেন দিচ্ছেন তাদের এ ত্যাগ বিফলে যাবেনা নিশ্চিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে পুরো দেশ আজ সোচ্চার।
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা ভাই।
রেজওয়ান
যদিও ছাত্ররাজনীতি ই ছিলো বাংলার মুক্তির মাইল ফলক তারপরেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতি ব্যান করা উচিৎ✌আর যেকোনো পার্লামেন্ট সদস্য হতে হলে নূন্যতম অনার্স এবং মন্ত্রী হতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকতে হবে।
বাংলাদেশ যেদিন এইভাবে রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে সেদিন থেকেই উন্নত হবে আমাদের দেশ!!
তৌহিদ
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ভাই। শিক্ষিত নেতা চাই আমরা।
নাজমুল আহসান
এই পোস্টটা স্টিকি করার অনুরোধ করছি।
তৌহিদ
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এমন মৃত্যু আমাদের কাম্য নয় কোন ভাবেই।
তৌহিদ
মোটেও কাম্য নয়।
মনির হোসেন মমি
হত্যার চিহ্নিত আসামী যতদূর জানা যায় এ মামলা হতেও আড়াল করার চেষ্টা । এ আর কিছুই হবে না দুএকদিন চিল্লাচিল্লি তারপর ভুলে যাওয়া। শিক্ষাঙ্গণ হতে পেশাগত ছাত্ররাজনীতি তুলে না দেয়া পর্যন্ত এমনি চলতে থাকবে। আরবার মারা যাওয়াতে টনক নড়েছে আমাদের।আরবারের মত এমন কত সাঃ ছাত্র নির্যাতীত হচ্ছে অহরহ ক্ষমতাধর ধান্দাবাজ ছাত্রদের হাতে। বিদ্যালয়ে ঠিক মত থাকতে হলে তাকে মাষ্ট রাজনীতির ছায়ায় ঢুকতে হবে নতুবা তার লেখাপড়া করতে বেশ বেগপেতে হবে।তাই শিক্ষাঙ্গণে পেশাগত রাজনিতী বন্ধ করে হবে।
সমসাময়িক চমৎকার লেখা।
তৌহিদ
আমার মতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাই উচিত। এরা ভালোর জন্য রাজনীতি করে না করে ক্ষমতার জন্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইটি।
মনির হোসেন মমি
এটা পরিকল্পিত। যারা হত্যায় জড়িত তাদের প্রোফাইল ঘাটলে তাই বলে। ছেলেটা যা বলেছিলো তা ওদের গায়ে কাটার মত বিদে যায়।যার ফল কারো ইশারায় হয়তো এ হত্যা। এ রহস্য ভেদ করা দুষ্কর।এটা রাজনৈতীক সর্বোচ্চ নজরধারীর কাজ।তাছাড়া ছেলেটা বুয়েটের সাধারণ কোন কলেজ পড়ুয়া নয়।
তৌহিদ
অবশ্যই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এটি। অন্য কারও ইশারায় হয়েছে কিনা খুঁজে দেখা দরকার।
ইঞ্জা
এমন নির্মম হত্যাকান্ডকে কখনোই মেনে নেএয়া যায়না, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমরা আমাদের মতামত স্বাধীন ভাবেই রাখাটা অন্যায় নয়, কিন্তু ছাত্র নামধারী গুন্ডারা আমাদের সন্তানদের পিটিয়ে মেরে ফেলবে তা কখনোই মানতে পারবোনা।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই নির্মম হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আর এই হত্যাকান্ডে জড়িত সকল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করে যথা বিহিত শাস্তি দেওয়ার দাবী করছি।
তৌহিদ
আমিও তাদের শাস্তি চাই, সবাই চায়। ভাবতে অবাক লাগে পিটিয়ে মেরে ফেললো যারা তাদের কি বুক কাঁপেনি!! চোখের সামনে একজন মরে যাচ্ছে তাদেরই পিটুনিতে। আবরারের বাবা মায়ের সে কান্না জড়িত মুখ চোখে ভাসছে।
ইঞ্জা
ভাই বুক তো আমাদের কাঁপে, ওরা তো সাক্ষাত শয়তান, ওদের বুক কাঁপবে কি করে?
তৌহিদ
ভালো মানুষেরই বুক কাঁপে আসলে। যারা শয়তান তারা কসাই।
আরজু মুক্তা
তাকে হত্যা মানে, আমার সন্তানকে হত্যা। কলম কি থেমে থাকে?
রাজনীতি বুঝিনা। তবে, তিস্তা, পদ্মা শুকাবে আর আমরা উল্টা ফেনি নদীর পানি দিবো? ঐটার সমাধান আগে দরকার ছিলো। আর এইসব নোংরা রাজনীতি, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। এখন ছাত্রদের শুধু পড়াশোনা দরকার। রাজনীতি আর তেলনীতি আলাদা। মনে রাখতে হবে। এই সরকার যদি সঠিক পন্থায় আসতো, তবে অনেক কিছু চেন্জ হতো।
তৌহিদ
আপু তারা কি দিলনা আর আমরা কেন দিচ্ছি এসবের কথা বলতে গেলে আপনাকে আরও গভীরে যেতে হবে। সরকার যখন কোন চুক্তি করেন তা বুঝেশুনেই করেন। আপনি কি জানেন ফেনীর পানি ভারতের যে প্রদেশে যাচ্ছে সে প্রদেশই কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম আশ্রয় দিয়েছিলো ভারতে। এই পানি দেয়া মানে তাদের প্রতি কিছুটা ঋন শোধ করা। সরকার এভাবেই ভেবেছেন।
তৌহিদ
পোষ্ট স্টিকি করার জন্য ব্লগ মডারেটরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
এমন মৃত্যু কাম্য নয় কোনো ভাবেই,
ফেইসবুকে এমন স্ট্যাটাসের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটা মনে হয়না। এমন কথা তো অনেকেই লেখেন।
সিসিটিভি দেখে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে চরম শাস্তি দাবি করছি।
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
আমারও মনে হয়না এই স্ট্যাটাসের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার শেকড় অন্যজায়গার, সেটাই খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেখা যাক কি হয়।
তৌহিদ
আবরার কে প্রথমে আঘাত করা রবিনের পুরো পরিবার জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। এমনকি তার দাদা দাঁড়িপাল্লা মার্কায় নির্বাচন ও করেছিলেন।
অনুপ্রবেশকারীদের ভীড়ে হারিয়ে গেছে ছাত্রলীগ। বলেছিলামনা ঘটনা অন্য জায়গায়। শেকড় খুব গভীরে।
মাছুম হাবিবী
আবরার হত্যাকাণ্ডে খুব ব্যতিত হয়েছি ভাই। যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা সবাই শিক্ষিত, বিজ্ঞ এবং বুদ্ধিমান ছাত্র। আমার বুঝে আসেনা দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠে পড়ে তারা কি শিখলো? এর থেকে একটা কথা স্পষ্ট, শুধু বড় বড় ভার্সিটি কিংবা কলেজে পড়লেই সবাই মানুষ হয় নাহ। মাঝে মধ্যে মানুষের ভীরে কিছু অমানুষ তৈরী হয়। যাইহোক, একজন মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করে যারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে আমি তাদের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি!
তৌহিদ
এমন অমানুষ আমরা চাইনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতিরর বিপক্ষে আমি।
হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নাজমুল আহসান
অঃটঃ আপনার পোস্টে শিবিরের উল্লেখ আছে, কিন্তু ছাত্রলীগের নাম কোথাও নেই কেন? বারবার “নেতাকর্মী”, “হত্যাকান্ডে জড়িত ছাত্র” লিখেছেন, আবার পেশাদার রাজনীতিবিদদের মত “অনুপ্রবেশকারী” শব্দও ব্যবহার করেছেন! সরাসরি ছাত্রলীগের নাম বললেন না কেন?
আপনার নিজের কাছে খটকা লাগছে না?
তৌহিদ
এর কারন হচ্ছে যখন পোস্ট লিখেছিলাম তখনো শিওর ছিলামনা তারা ছাত্রলীগ করে কিনা? ছাত্রলীগ করে কিন্তু লীগের বদনাম করছে এরা যে আদতে ছাত্রলীগ করতো ভাবতেই লজ্জা হচ্ছে ভাই।
তৌহিদ
ছাত্রলীগ শব্দটি যোগ হয়েছে। অন্যায়কারীর নাম বলতে সমস্যা কি? সে যেই হোক।
মণি কাশফিতা
একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিটি সুনাগরিকের রয়েছে বাক স্বাধীনতা। প্রতিটি মানুষেরই নিজ নিজ মত প্রকাশের অধিকাররয়েছে
তৌহিদ
অবশ্যই আপু। প্রত্যেকের নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাক উচিত। না হলে আর কিসের গনতন্ত্র!!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
এম নির্মম হত্যাকান্ডকে কখনোই মেনে নেওয়া যায়না।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করে যথা বিহিত শাস্তি দেওয়ার দাবী করছি।
তৌহিদ
অবশ্যই শাস্তি চাই। এমন হত্যাকান্ড কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
শামীম চৌধুরী
সকল হত্যার নিন্দা জানাই।
তৌহিদ
তীব্র নিন্দা জানাই ভাইজান।
শবনম মোস্তারী
আমাদের রক্ষণশীল সমাজে স্বাধীন চেতা মানুষের পরিণীতি সব সময় খারাপ।
বিষয় গুলো খুব দুঃখ জনক।
অনেক ভালো লিখেছেন
তৌহিদ
সত্যি অবাক লাগে গণতান্ত্রিক দেশে কেউ এরকম করতে পারে! হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভিন
যদি আবরার দেশ বিরোধী কিছু লিখে থাকে,বলে থাকে তবে তার বিচার করবে দেশের আইন।
শিবিরই যদি করে তবে এটা দোষের কোথায়।স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক তার অধিকার রয়ে সে কোন দল সমর্থন করবে।সেখানেও যদি অন্যায় কিছু হয়
তবে প্রসাশন করবে তার বিচার। নেতাকর্মীদের দ্বারা এমন নৃশংস হত্যা কেনো?
মোহাম্মদ দিদার
আপনার সাথে সহোমত পোষণ করছি আপু
তৌহিদ
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা থাকবেনা এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। এরা আসলে ছাত্রলীগ নয়, ছাত্র নামধারী কলঙ্ক। এদের বিচার চাই।
মোহাম্মদ দিদার
আমরা মানবতা ভূলে, নীতিকথা বলে সকল অনৈতিক কাজের সৃষ্টি কর্তা হচ্ছি…
নির্লজ্জ আমরা…
তৌহিদ
মানবতা আছে, কিছু মানুষের কৃতকর্মের জন্য সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবেনা।
হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচার হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই হত্যা কান্ডটি আবারও প্রমাণ করেছে, স্বাধীন বাঙলায় আমাদের দেশ এখনো বাক স্বাধীনতা লাভ করতে পারেনি। আমাদের জন্যে এর চাইতে বড় লজ্জার আর কিছু কি হতে পারে!
অপরারাধীদের সঠিক বিচার হোক এটাই সময়ের দাবী।
তৌহিদ
শুধু বাক স্বাধীনতাই নয় আরো অনেক কিছুতেই আমারা শেকলবন্দী হয়ে আছি। এই ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করছে মনে।
অপরাধীদের বিচার অবশ্যই হবে আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 🌹