আমি মুক্তিযুদ্ধ কাছ থেকে দেখিনি

কিন্তু শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের জয়গাথা,
পড়েছি একাত্তরের চিঠি,
দেখেছি আগুনের পরশমনি,জয়যাত্রা আর গেরিলার মত চলচ্চিত্র।
শুনেছি,পড়েছি,দেখেছি আর উপলব্ধি করেছি।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এ স্বাধীনতা।
কিন্তু, ৪২ বছর পর, আজ সেই স্বাধীনতাকে বৃথা মনে হয়
যখন দেখি ভাতার অভাবে রিক্সা চালায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা।
কেউবা তার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে
কান্নাজরিত কন্ঠে দ্বারে দ্বারে হাত পাত।
যাদের হাত ধরে আজ আমরা নিজেদের স্বাধীন বলছি,
সেই স্বাধীনতায় যদি মুক্তিযোদ্ধার প্রতিদান কেবলই অবহেলা হয়
তবে আমি চাই না এমন স্বাধীনতা।

তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা।
৪২ বছর পর, আজ সেই স্বাধীনতাকে বৃথা মনে হয়।
যখন দেখি, আমার মা-বোনেরা রাস্তায় অবাধে চলতে পারে না,
পত্রিকার হেডলাইন হয় শিশু ধর্ষন, আর তাদের বিচার কেবলই প্রহসন।
লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে,মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করে
যখন দেখি অবাধে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরায় সেই নরপিশাচরা।
এটিই যদি হয় স্বাধীনতা,
তবে আমি চাই না এমন স্বাধীনতা।
বহু মায়ের উৎসর্গের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা।
সালাম জানাই সেই বঙ্গমাতা জাহানারা ইমামকে
যিনি দেশের জন্য তার সন্তানকে কোরবানী দিয়েছেন।
কিন্তু, ৪২ বছর পর, আজ সেই স্বাধীনতাকে বৃথা মনে হয়
রক্ত গরম হয়ে যায়, সকল অশ্রাব্য ভাষাও অর্থহীন হয়ে পড়ে,
যখন দেখি শুধুমাত্র বাহবা কুড়ানো জন্য
সংসদের মত স্থানে বঙ্গমাতার অপমান করা হয়।
যে স্বাধীনতায় সন্তানকে দেখতে হয় তার মায়ের অপমান,
তবে আমি চাই না এমন স্বাধীনতা।

----------------------------------------

সোহেল মাহামুদ

-----------------------------------------

 

 

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ