হুমায়ূন আহমেদ
নীলগঞ্জ গ্রামে ১৯৭১ সালের পহেলা মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকারের একটি দল কাকডাকা ভোরে গিয়ে হাজির হয়। তার আস্তানা করে গ্রামের স্কুলে। সেখানে তারা কয়েকজনকে আটকে রাখে, স্কুলের একজন নিরীহ শিক্ষক, মসজিদের ইমাম তাদের বন্দি।
নীলগঞ্জের পাশের এক জলা এলাকায় মুক্তি বাহিনী লুকিয়ে আছে এমন খবর পেয়ে পাকিস্তানি আমি এসেছে। তারা জানতে চায় সত্যিই মুক্তি বাহিনী আছে কিনা। নিরীহ বন্দিরা মুক্তি বাহিনীর কোন খবরই জানতো না, তাই তাদের অমানুষিক, বর্ণনাতীত পাশবিক নির্যাতন করে।
রাতে তারা মুক্তি বাহিনীর লুকিয়ে থাকার যায়গায় অতর্কিতে হামলা করবে ঠিক করে। আর সারাদিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে বেরায় সারা গ্রামজুড়ে। নারীদের লাঞ্ছিত করে, আগুন দেয় বাড়ি-ঘরে। এমনকি তাদের অত্যাচার থেকে গ্রামের পাগলও রেহায় পায়না। রাতে হামলা করতে যাওয়ার আগে বন্দিদের ধরে পাশের জলা ধারে নিয়ে গিয়ে গুলি করে মারে। শেষে মারার ভয়ে একজন স্বীকার করে যে মুক্তি বাহিনী লুকিয়ে আছে। এভাবেই গল্প শেষের দিকে এগিয়ে চলে।
১। খিদের কষ্ট বড় কষ্ট।
২। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেবার মাঝে একটা আলাদা আনন্দ আছে।
৩। বিশেষ বিশেষ পরিবেশে খুব সাধারণ কথাও অসাধারণ মনে হয়।
৪। মৃত্যু একটি ভয়াবহ ব্যাপার। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে কে কি করবে তা আগে থেকে বলা যায় না।
৫। কোন কোন সময় মানুষের ইন্দ্রিয় অস্বাভাবিক তীক্ষ্ণ হয়ে যায়।
Thumbnails managed by ThumbPress
১৯টি মন্তব্য
তানজির খান
“মৃত্যু একটি ভয়াবহ ব্যাপার। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে কে কি করবে তা আগে থেকে বলা যায় না”
খাটি কথা।এপিগ্রাম ভাল লেগেছে। ছোট্ট রিভিউ কিন্তু ভাল লিখেছেন দস্যু।
মরুভূমির জলদস্যু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় তানজির খান ভাই।
কাহিনিটাই ছোট তাই রিভিউটাও ছোটই হলো। -{@
তানজির খান
বুঝতে পেরেছি ভাই। -{@
ছাইরাছ হেলাল
কাহিনী সংক্ষেপ ও এপিগ্রাম পড়লে বইটি সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা তৈরি হয়,
ভালই লাগে পড়তে,
মরুভূমির জলদস্যু
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় হেলাল ভাই।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
হুমায়ুন আহমেদ আমার সবসময়ের প্রিয় লেখক।তার এই গল্পটা পড়া হয়নি।কাহিনী সংেক্ষপটা পড়ে, বাকিটা পড়ার ইচ্ছা জাগলো। 😀
মরুভূমির জলদস্যু
হুমায়ুন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি উপন্যান এটি, পড়ে ফেলেন সুযোগ বুঝে।
নূরু
আমার সংগ্রহে আছে
পড়েছে বেশ কয়েকবার
যতবার পড়েছি ততবারই
নতুনত্ব খুঁজে পেয়েছি।
মরুভূমির জলদস্যু
আমিও কম করে ৩বার পড়েছি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
রিভিউটা ভালো হয়েছে। কাহিনী পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেলো।
মরুভূমির জলদস্যু
সময় করে পড়ে ফেলেন।
অরুনি মায়া
বই টি সম্পর্কে একটি ধারণা পেলাম | আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দস্যু ভাই
মরুভূমির জলদস্যু
মন্তব্যের জন্য অাপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় মায়া অাপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো ভালো লেখেন যে বই পড়া হয়ে যায়। (y)
২ এবং ৫ এ দুটোই আমার নিজের চরিত্রে আছে। 😀
মরুভূমির জলদস্যু
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় নীলা অাপু।
ভোরের শিশির
আপনার এইবারের এপিগ্রামগুলো পড়ে ভয় পাইসি। এইসব আমার জয় করতেই হবে ;?
আর সার০সংক্ষেপ? বরাবরের মতোই অনবদ্য ম.জ. ভাইয়া 😀
মরুভূমির জলদস্যু
এপিগ্রাম গুলি হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি।
-{@
ভোরের শিশির
হ্যাঁ, কিন্তু আপনি খুঁজে পেতে একেবারে পয়েন্ট টু পয়েন্ট নিয়ে আসছেন আমাদের কাছে 😀
মরুভূমির জলদস্যু
হুম, এখন চেষ্টা করতেই হয় না এমনিতেই চোখে পড়ে।