বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন এই রমজানে বাজার সাভাবিক থাকবে মানে কোনো কিছুর মূল্য বাড়বেনা কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আপনি কি জানেন এক মাস আগে থেকেই সব কিছুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে?
চানা, মটর, গরু, মুরগি, ছাগল, পিয়াজ, রসুন, মরিচ, ডাল সব কিছুর দাম এখন বাড়তি আর এই বাড়তি দামেই আমরা কিনছি আর কত বাড়বে বলুন?
বিদেশে রমজান, ক্রিস্টমাস, পুজা এলে সব দোকানে দোকানে মূল্যছাড়ের উৎসব চলে, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য কমে যায় আর আমাদের দেশে মূল্য বাড়ানোর উৎসব হয় যার কারনও আমাদের কাছে অজানা নয়, আমাদের অতি মুনাফার লোভ থেকেই মূল্য বাড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় যা আমাদের সরকার দেখেও দেখেনা, দেশে আইন আছে, প্রশাসন আছে আর এরপরেও সাধারণ জনগণ এই মুনাফাখোরদের হাতে নিশপেষিত হচ্ছে যা দিব্য সত্যর মত সরকারও যেন এদের হাতের পতুল হয়ে থাকে যা সত্যিকারের এদের বিরুদ্ধে কোন আইন আছে বলে মনে হয়না আর যদি আইন থেকেই থাকে তা হলে সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার যা কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত।
আর এরপরেই আসবে ঈদ আর এই সময় আরেকদফা বাড়বে নিত্যপণ্য আর বস্ত্রাদি, তাহলে বলুন সাধারণ জনগণ কই যাবে আর এইভাবে একটি দেশ চলতে পারেনা সুতরাং মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় দয়া করে নিত্যপণ্যের উল্লম্ফনের রাশ টেনে ধরুন।।
১৬টি মন্তব্য
অপার্থিব
লাভ নেই । রমজান মাসকে মুসলিমরা সংযমের মাস বলে দাবী করলেও আসলে এই মাসেই মানূষ ভোগ বা উদর পূর্তি তুলনামূলক বেশি করে। বাজারে যখন কোন পণ্যের চাহিদা বাড়ে তখন সেই পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া মার্কেট বাস্তবতায় খুবই স্বাভাবিক। সেটাই ঘটে।
ইনজা
লাভ নেই জানি কিন্তু সরকার কেনো কান দেয়না আমাদের আর্জিতে?
জিসান শা ইকরাম
সরকার কি করবে? আমাদের মানসিকতা কি সরকার পরিবর্তন করতে পারবে? আমরা কেন দাম বৃদ্ধি করি? একজন দুইজন না, সমস্ত ব্যবসায়ীই তো এমন করে। সরকারের তেমন কিছু করার নেই। জনতা পারে প্রতিবাদ করতে, কিন্তু তারা তা করবে না, তারা তাকিয়ে থাকবে সরকারের দিকে। খৃষ্টানরা বড়দিনকে ঘিরে সব কিছুর দাম কমিয়ে দেয় বিদেশে, তাদের কি সরকার বলে দেয় দাম কমাতে? তারা তো নিজেরাই দাম কমায়। আর আমাদের দেশের মুসলমানরা ঈদকে ঘিরে দাম বৃদ্ধি করে। এটিই সিষ্টেম এখন আমাদের দেশে।
শুভ কামনা।
ইনজা
এইসব মুনাফা লোভিদের সরকার কেন দমন করেনা আমার আশ্চর্যই লাগে ভাইজান।
মৌনতা রিতু
অবশ্যই ভাইয়া সরকারের দায়াত্ব আছে। সরকারী মনিটরিং বোর্ডে যারা থাকে তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। এই সব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই পণ্যের উর্ধমুখি দামের এই লাগামষটেনে ধরা সম্ভব। ব্যাক্তি পর্যায়ের কথক কেউই শোনেনা। দেখলেন না, এবার প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাবেননা, এবার সত্যিই অনেকেই খায় নাই। অথচ গতবার ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই বলেছিল, তাদের মৌলবাদ চিন্তা বলে তিরষ্কার করেছিল এই মানুষরাই।
তো সব কিছু উপর থেকেই করতে হবে।
ইনজা
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে আর এতে সরকারও বুঝতে পারবে যে আমাদের সমস্যা কি।
মোঃ মজিবর রহমান
লাভ নায়। খারাপ বলেন নায় বাণিজ্য মন্ত্রি। কারন রমজানে বাড়াবে না বাড়াবে রমজানের পূর্বেই বাড়াচ্ছে। রমজানে নয়!!!!!!!!!!!
এগুল ভন্ডাম ছাড়া কিছুই না। তবে আমাদের দেশে মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি শুধু নোংরামিতে বাস্তবে নায়।
ইনজা
সহমত।
লীলাবতী
আপনার লেখায় বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এর সমাধান কি?
ইনজা
সমাধান কি, কিভাবে হবে আমরা বলে লাভ কি আপু সরকার তো কানই নাড়েনা। 🙁
আবু খায়ের আনিছ
সরকার দমন করবে কিন্তু কিভাবে? পুজিঁবাদ-ই যেখানে সব কথা সেখানে কিছু করার থাকে না। হ্যাঁ সরকার ভিন্ন ভাবে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু সেটা কতজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? আর এই সব পুজিঁবাদী ব্যবসায়ীরা মেনে নিবে কিনা তাও সন্দেহ আছে।
সংযম এর মাস, মানুষকেই আগে সংযমী হতে হবে।
ইনজা
সরকার যদি কঠিন ভাবে হস্তক্ষেপ করে তাহলে এর সমাধান সম্ভব আর এতে সরকারের সৎ এবং কঠোরতায় যথেষ্ট।
নীলাঞ্জনা নীলা
সংযমের মাসেই আমরা বেশী অসংযমী হয়ে যাই…বেগম রোকেয়ার সেই প্রবন্ধ “রসনা পুজা” থেকেই জেনেছি এ কথাটি। ভাগ্য ভালো বেগম রোকেয়া এ যুগে জন্মাননি, তাহলে…
ইনজা
এই মতামতের সাথে আমি একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত আপু কারন কিছু কিছু সময় আসে যেমন রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা আর এই সময় সাভাবিক ভাবে মানুষের কিছু এক্সটা চাহিদা বাড়ে যেমন রমজানে চানা, চিনি, কাপড় আর কোরবানির পশু আর এইসবকে বাদ দিলে আমাদের উচিত মরুভূমিতে বাস করা যেখানে খেজুরই সম্বল, কোন কাপড়ের বালাই নেই আর কুরবানির পশু তো দূরের কথা।
মৌনতা রিতু
দারুন বলেছেন। সময় উপযোগি পোষ্ট।
ইনজা
ধন্যবাদ, পাশে থাকবেন। 🙂