
আদিযুগ থেকে আমরা একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করে থাকি। কেউ হাত উঁচিয়ে সালাম দিই! কেউ নিজের দু’হাত জোর করে নমস্কার জানাই। কেউ বুকে বুক মিলিয়ে কোলাকুলি করে থাকি। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা করে থাকি, সেটা হলো হাতে হাত মিলিয়ে হ্যান্ডশেক বা করমর্দন। বর্তমানে যে-সব নিত্যনতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বা দিচ্ছে, সে-সব রোগ বা ভাইরাস আগে ছিল না। এ-সব রোগ কিছু জটিল রোগ, কিছু সমসাময়িক। যে-গুলো সমসাময়িক, সে-গুলো নিত্যনতুন ছোঁয়াচে রোগ। মানে একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়।
বর্তমান মরণঘাতী নভেল কোরোনা ভাইরাস ঠিক এমনই এক সংক্রমণ। যা অনেকটাই ছোঁয়াচে রোগ। এটি ছিল গণচীনের উহান প্রদেশের একটা বাজারে। সেখান থেকে ছড়ায় মানুষের শরীরে। এটি শুরু হয় জ্বর দিয়ে। সাথে থাকে সর্দি, কাশি, হাঁচি, মাথাব্যথা সহ আরও অনেককিছু। বর্তমানে এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। যদিও এপর্যন্ত এই মরণঘাতী ভাইরাস আমাদের দেশে এখনো দেখা দেয়নি, তবু্ও এই মরণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে নিন্মলিখিত এমন কিছু নিয়মনীতি মেনে চলা জরুরি।
হাতে হাত মিলিয়ে ভাবের আদান প্রদান প্রায় আমরা অনেকেই করে থাকি। তবে এই হাত মেলানো যে স্বাস্থ্যের জিন্য যে কতোটা ক্ষতি করতে পারে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। হাতের তালুতে থাকা নানা ধরনের জীবাণু হাত মেলানোর সঙ্গে সঙ্গেই একহাত থেকে অন্য হাতে চালান হয়ে যায়। আর তার ফলেই কোন কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে তা জেনে নিন–
সাধারণ সর্দি-কাশি:
সাধারণত হাত দিয়েই আমরা কাশির সময়ে মুখ চেপে ধরি। ফলে এমন সময়ে হাত মেলানো একদম উচিত নয়। নিজের শরীরের নানা জীবাণু অন্যের শরীরে চলে যেতে পারে। এমনকি উল্টোটাও হতে পারে। এই সর্দি-কাশিও কিন্তু বর্তমান মরণঘাতী নভেল কোরোনা ভাইরাসের একটা লক্ষ্মণ।
আচমকা যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়া:
আপনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবসময়ই হাত দিয়ে মুখ কিংবা নাক চেপে ধরেন। সেখানকার জীবাণু সব হাতে চলে আসে। এমন ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালে যেকেউ এই রোগে আক্রমণ হতে পারে। আর এই সর্দি-সহ জ্বর জ্বর ভাব, বর্তমান সময়ে গণচীনের আবিস্কৃত নভেল কোরোনা ভাইরাসেরও একটা বিশেষ লক্ষ্মণ।
পেটের অসুখ বা পেটের পীড়া:
হাতে হাত মেলালে অন্যের হাতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আপনার হাতে চলে আসে। সেই হাত না ধুয়ে, সে হাতে খাবার খেলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতে পারে। এসব সংক্রমণ নভেল কোরোনা ভাইরাসের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্মণ।
পাতলা পায়খানা হওয়ার লক্ষ্মণ:
অন্যের সঙ্গে হাত মেলানোর পরে যদি আপনি হাত না ধুয়ে খাবার খান, তাহলে ডায়রিয়া-সহ বমি ইত্যাদি হতে পারে। যা নভেল কোরোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে এমনই নিয়ম মেনে চলা উচিৎ!
যেকোনো ক্ষতিকর ভাইরাসে সতর্ক থাকা:
বিশেষ করে যে-গুলো ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ, সেই রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর রোগ পুরোপুরি ভালো না হওয়া পর্যন্ত কারও সঙ্গে হাত মেলানো বা অন্য কোনো সংস্পর্শে যাওয়া উচিত নয়। ছোঁয়ায় এই রোগের ভাইরাস অন্যের শরীরে দ্রুত চালান হয়ে যায়। তাহলে মরণঘাতী নভেল কোরোনা ভাইরাসও দ্রুত ছড়াতে পারে নিশ্চিত!
তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিজেরমত করে লেখা।
৩১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
যাই কন, হাতে হাত না মিলাইয়া থাকতে পারুম না।
সময়োচিত লেখার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
বর্তমানে আমরা যা-ই করি-না-কেন, ডাক্তারের পরামর্শ খুবই গুরুত্বের সাথে মেনে চলতে হয়। তাই সবসময়ই দেখি, ডায়েবিটিস রোগীগণ সকাল-বিকাল, রাস্তা-ঘাটে, আগানে-বাগানে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। কারণ, আমরা সবাই ডাক্তারের কাছে আহাম্মকের মতো। তাই ডাক্তারি সাজেশন সবাই মেনে চলি। এটাও ডাক্তারি সাজেশন, শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ দাদা।
সবাই সুস্থ থাকুন, এই কামনা করি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা এমন একটি সতর্কবার্তা পোষ্ট করার জন্য। আশা করি সবাই এটা যথাসম্ভব মেনে চলবে নিজের ও আশেপাশের সবার ভালোর জন্য। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
নিতাই বাবু
বর্তমানে একটু সাবধানে থাকতে হবে, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুরাইয়া পারভীন
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দাদা। উপরোক্ত পয়েন্ট গুলো যথার্থ সচেতনতার সাথে মেনে চলা উচিত।
এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
নিতাই বাবু
বর্তমানে একটু সাবধানে থাকতে হবে, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইসিয়াক
অত্যন্ত সময় উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট্ ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
নিতাই বাবু
বর্তমানে একটু সাবধানে থাকতে হবে, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুপায়ন বড়ুয়া
হাত তো মিলাই সৌহার্দে
জীবন বাছাই আগে।
নিয়ম কানুন মেনে চলে
যাই কিছু লাগে।
আপনার বস্তুনিষ্ট লেখা ভালই হলো।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন!
ত্রিস্তান
হাত মেলানো বা মোসাবাহ করা মুসলিম রীতিতে সুন্নাত। যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। তবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত অজু করার পরে মনে হয় না কোন নামাজীর হাতে জীবাণু থাকতে পারে। সময়োপযোগী সতর্কতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
এগুলো ডাক্তার বলে। আমরাও ডাক্তারদের সাজেশন মতো চলি। তাই যাইহোক-না-কেন, আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
পোশাক এবং হাত সব সময়েই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ হয় এসব থেকেই। সুন্দর, সময়োপযোগী পোস্ট দিয়েছেন দাদা।
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
বর্তমান পরিস্থিতিতে একটু সাবধানে থাকতে হবে, দিদি। তাই সাবধানে থাকুন, নিরাপদে থাকুন!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি সাবধানে থাকি দাদা। কারো সাথে হ্যান্ডশেক করিনা,, স্বপ্নেও না 😀
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা এমন একটি সতর্কবার্তা পোষ্ট করার জন্য।
আপনার জন্য অজস্র শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন!
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
নুরহোসেন
বাঙ্গালীর আবেগ বেশী,
ঠিক এই কারনে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ঝুকিতে আছে।
নিতাই বাবু
ঠিক বলেছেন দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রেহানা বীথি
গুছিয়ে সঠিক কথাগুলো লিখেছেন দাদা।
সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
মোঃ মজিবর রহমান
অভ্যাস দূর কি হই সহজে। তই সুস্থ থাকি সবাই মিলে তাঁর জন্য চায় সুশৃঙ্খল চলা।
নিতাই বাবু
এই যুগে, আরও যে কত কত রোগের উৎপত্তি হবে, তা ঠিক করে বলা মুশকিল! তবে সব রোগের নিয়ন্ত্রক কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা। তিনিই রক্ষা করার মালিক।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা শ্রিস্টিকর্তা সব করে কিন্তু আমরা তাঁর পথ অনুসরণ না করার শাস্তিই আমাদের ভোগ করতে হবে দাদাভাই।
ভাল থাকুন।
ফয়জুল মহী
রামদা ,পিস্তল ও বন্দুকের যুগে এই করোনা আসায়, আপনি হ্যান্ডশেক করতেও বারণ করছেন দাদা। হাঃ হাঃ
নিতাই বাবু
ডাক্তার বলছে যে দাদা! আমি শুধু আপনার মতো একজন শ্রোতা! তারপরও কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যায় না। হিসেবে চলা ভালো। সুস্থ থাকুন সবসময়।
কামাল উদ্দিন
জটিল বিষয় বললেন ভাই, কিন্তু হাত না মেলানোর অভদ্রতাটা আসলে কতটুকু করা সম্ভব?
নিতাই বাবু
কেউ হাত বাড়িয়ে দিলে আমিও আর এড়াতে পারি না দাদা। এটা কী করে সম্ভব? এটা মনে হয় ডাক্তার নামের কসাইদের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে।
কামাল উদ্দিন
আমি আপাতত এই নিয়ম মানছি না দাদা। তবে যখনই কারো সাথে হাত মেলাই তখনি আপনার পোষ্টের কথা মনে পড়ে।
আরজু মুক্তা
অনেক কিছু জানলাম। গ্লাভস পরতে হনে মনে হয়।
নিতাই বাবু
সবসময় হাতমোজা পরতে হবে। তা খাবার গ্রহণের সময়ও। বলবেন, “তা কীভাবে?” কাটা চামচ বা ভোতা চামচ দিয়ে বিদেশিদের মতো করে খাবার খেতে হবে।