হনুমানের দেশে…………..

কামাল উদ্দিন ২৬ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ০১:১০:৪৬অপরাহ্ন ছবিব্লগ ২০ মন্তব্য


কেশবপুর থানার মোড়ে একদল হনুমান খেলা করছিল। পাশের এক দোকানী একটি হনুমানের লেজ কেটে দেয়। হনুমানরা দল বেঁধে কাটা লেজটি নিয়ে চলে যায় থানার ভেতর। থানার ডিউটি অফিসারের সামনে গিয়ে হনুমান গুলো চিৎকার শুরু করে দেয়। থানার ডিউটি অফিসারের দিকে হাতজোড় করে নিবেদন করে-এর বিচার চাই। অভিযোগ তাদের এক সতীর্থের লেজ কেটে দিয়েছে মানুষরূপী এক দানব। পুলিশ এসে ওই দোকানীকে ধরার চেস্টা করে। পালিয়ে যায় সেই দোকানী। কিন্তু হনুমান আর থানা থেকে বের হয় না। পরে ওসি এসে হনুমানদের খাবার দেয়। এরপর হনুমান গুলো থানা থেকে চলে যায়। কয়েক বছর আগে সত্যি সত্যি এমন ঘটনা ঘটে কেশবপুরে

.........এরূপ ঘটনা শুনে কেশবপুরে যাত্রা, বাকীটা কেবলই ছবি।


(২/৩) কেশবপুরে গিয়ে হনুমানদের খুঁজছিলাম, লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে করতে হনুমানের একটি দলকে পেয়ে গেলাম বন বিভাগের কার্যালয়ের আশেপাশে বিভিন্ন গাছের মগডালে।


(৪) কেউবা উঁকিঝুকি মারছিল মানুষের বাড়িঘরে।


(৫) কেওবা নিজের বাচ্চাকে নিয়ে অলস দুপুর পার করছিল।


(৬/৭) সাথে করে নিয়ে যাওয়া বিস্কুট ছুড়ে মারতেই নানা যায়গা থেকে ওরা ছুটে আসতে লাগল।


(৮/৯) প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও পরবর্তিতে দেখলাম ওরা আমাদের হাত থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছে অনায়াসেই।


(১০/১১) এক সময় ওরা আমাদের কাছে একেবারেই সহজ হয়ে গেল।


(১২) ওদের দেখে এখন আর মোটেও আমাদের কাছে দুর্ধর্ষ প্রাণী মনে হলো না।


(১৩) আমরা থাকতে থাকতেই চলে এল প্রতিদিন হনুমানদের খাবার সরবরাহকারি আতিয়ার রহমান। সরকারি বরাদ্দের কলা রুটি আর কাঁচা বাদাম ওদেরকে খেতে দিলেন তিনি।


(১৪/১৫) কলা রুটি মনে হলো ওদের খুবই প্রিয় খাবার।


(১৬/১৭) একবারে অনেক কলা পেয়ে ওরা ছলাকলা করছে।


(১৮) কাঁচা বাদামের কদরটা ওদের কাছে বেশ ভালো, তাই আতিয়ারের বাদাম দিয়ে আমরাও কিছুটা আপ্যায়ন করলাম ওদের।


(১৯) ওদের সাথে কিছুক্ষণ কাটানোর পর দেখলাম ছোট ছানাটাও আর আমাদের ভয় না পেয়ে হাত থেকে খাবার নিচ্ছে, অথচ প্রথম দিকে সে ভয়ে সিটকে থাকতো।


(২০) নিজ হাতে হনুমানদের খাবার খাওয়ানোর একটা প্রমান তো থাকা চাই B-)

13 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress