মেয়ে তাঁর বড্ড রাগী জেদী আর অভিমানী।

কোনো কারণে একবার যদি বলে না তো না-ই। আর কারো বাপের সাধ্য নেই হ্যাঁ করায়, মেয়ের বাপের ও না। তাই তো তিনি সারাদিন না খেয়ে কোরবানির কাজ শেষ করে রান্না হওয়া মাত্রই খাবার প্যাকিং করে নিয়ে ছুটলেন মেয়ের কাছে। হঠাৎ বাবার আগমনে মেয়ে হতভম্ব, অশ্রুসিক্ত। কোনো রকমে অশ্রু লুকিয়ে বাবা মেয়েতে মিলে একসাথে খেয়ে নিলেন।

হ্যাঁ আমি আমার বাবার কথা বলছি। আজকে ঈদের দিনে বাবার থেকে পাওয়া স্পেশাল উপহার। বেশ কয়েকমাস যাইনি বাবার বাড়ি। কাল মা ফোন করে বললেন আসতে। আমি আসবো না বলে দিলাম। আমি জানতাম আজও ফোন দেবে তাই ফোন এয়ারপ্ল্যান মুড করে রেখে দিয়েছি কারণ বার বার না বলতে বিরক্ত লাগছিল। সকাল থেকে ফোন দিয়ে না পেয়ে মা কান্নাকাটি শুরু করেছেন। পরে ছোট ভাই ইনবক্স কল দিলো। কথা হলো, আসবো না জেনে মা বললেন ছোট ভাইয়ের হাতে খাবার পাঠাবে। আমি না করে দিলাম। তারপর নেট অফ করে ঘুমে গেলাম। রান্নাবান্না করে সবাই খেয়েছে শুধু বাবা খাননি। তাঁর একমাত্র তনয়াকে না খাইয়ে তিনি খাবেন না পণ করেছেন যে। তাই তো রান্না শেষ হওয়া মাত্রই খাবার নিয়ে ছুটে চলে এলেন জয়পুরহাটে। তারপর একসাথে বসে খেয়ে নিলাম। হয়তো পৃথিবীর সমস্ত বাবারাই তাঁদের কন্যাদের এমনি করেই ভালোবাসেন! সামলে রেখেন তাঁদের রাগী জেদী কন্যাশ্রীদের।

ছবি-নেট

৫৩৭জন ৪২৯জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ