শবেবরাতের ক্ষণ শুরু হলেই আগেরদিনে সবাই গোসল করে মসজিদে যেতো। কোরআন পাঠ, নামাজ ও চলতো। কে কতো পরতে পারে প্রতিযোগিতা। এভাবে ফজর পড়ে ঘুম।
মা, সকালে উঠে চিল্লাচ্ছে। হায় হায় খোপরায় একটা মুরগিও নাই। আমরাও উঠে দেখি। সে কি একটাও নাই? আম্মা আমার ছোট ভাইকে খোপরায় ঢোকাল, বললো দেখতো ভালো করে। ও গিয়ে দেখে শুধু একটা দা। আম্মা ঐটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করে পাশের বাসায় গিয়ে বললো, দেখো রেখার মা, এটা তোমার দা কিনা? খালা ঐটা দেখে বলছে, এইতো আমার দা। কই পাইলেন? আম্মা তো খুশি। চোর ধরা পরছে। একে একে ওনার পাঁচ ছেলেকে হাজির করা হলো। খালু তো লাঠি নিয়ে দাঁড়াইছে। একজন স্বীকার করলো। ও এবং তার বন্ধু মিলে এই কাজ করছে। খালু জিজ্ঞেস করলেন, মুরগি কি করছো?
ও বলে, ঢাকা নিয়ে যাবে যে মুরগিগুলো, ওখানে বিক্রি করছি। খালু তে পিটন শুরু করলো।
আর মা লোক পাঠিয়ে দেখে, জবা পরিবহণ আমাদের মুরগি নিয়ে ততক্ষণে ঢাকা চলে গেছে।
কি আর করা।
আম্মা তার পরেরদিন ঐ ছেলেদের দাওয়াত করে খাওয়াইলো। আর বললো কখনো যেনো মুরগি চুরি না করে। আর পিকনিক করলে, আম্মাকে যেনো মুরগির কথা বলে।
স্মৃতি তুমি হাসাইও না!
২৮টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন তো। আপনার আম্মা খুব ভালো। চোরদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালো আবার পিকনিক করলে মুরগি দেয়ার কথা বললো। খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
আরজু মুক্তা
আম্মা পৃথিবীতে নাই। দোয়া করবেন তাঁর জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই দোয়া করি। তার মতো ভালো মানুষ রাই তাড়াতাড়ি ওপারে চলে যায় । ভালো থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভারী মজার তো।
হাসতে না বললে ও কি হাসি বন্ধ রাখা যায়।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হাসি হাসি রাশি রাশি
তৌহিদ
আপনার আম্মা অনেক উদার মনের মানুষ। আহা! চোর নিশ্চই লজ্জায় পড়েছিলো বেচারা।
স্মৃতিচারণ লেখা ভালো লেগেছে আপু।
আরজু মুক্তা
জি ভাই, আম্মা অনেক উদার মনের মানুষ ছিলেন।
দোয়া করবেন তাঁর জন্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
বেশ মজার স্মৃতি!
বেশ ভালো লাগলো দিদি।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ দাদা
বন্যা লিপি
একেই বলে ভদ্রচোররে ধইরা আইনা ভদ্র সাস্তি দেয়া। আপনার আম্মা( হিসাবে তো আমার…… কি হওয়ার কথা যেন? খারন এট্টু মনে কইরা লই….মমমমমমমম….আমি আপনার ফুফু, ভাবি হইবো না? আপনার আম্মা!!) ভাবিরে আমার লম্বা একখান ছালাম দিয়েন।
ভদ্র চোরেরা নিশ্চই এরপর থেকে আর চুরির চিন্তা করেন নাই।
স্মৃতী তুমি হাসাইও না……শিক্ষাও দিয়া যাও।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
না, আর চুরি হইনি।
মা নেই এই পৃথিবীতে। দোয়া করবেন তাঁর জন্য
ফয়জুল মহী
বেশ ভালো লাগলো ।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
সব পড়ছি, আপনি ভাল লেখেন।
আরজু মুক্তা
আলহামদুলিল্লাহ।
এখনও লেখা শিখা চলছে।
শুভকামনা ভাই।
রেহানা বীথি
দারুণ দারুণ! চোরকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর বিষয়টা ভীষণই ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
হা হা।
মা এমনি ছিলেন। দোয়া করবেন।
কামাল উদ্দিন
প্রথমে সাজা পরে মজা, মুরগী বিক্রির টাকাটা কি ফেরৎ দিয়েছিলো?
আরজু মুক্তা
ঐ টাকা দিয়ে পিকনিক করছে।
কামাল উদ্দিন
যাক ওদের কষ্ট তাহলে ওদের কষ্টটা বিফলে যায়নি 😀
শিরিন হক
আমহেগো খোপে মুরগী আলহে কয়ডা?
বেশ মজার ছিল আপনার মায়ের ভুমিকা।
শিক্ষাটা ভদদ্রতার ছলে দিয়েছেন এটাই বুদ্ধিমত্ততার পরিচয় দিলেন।
গপ্পো মজা লাগছে খুব
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপা
হালিম নজরুল
মায়ের জন্য দোয়া রইল।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা, খোপ থেকে সব মরগি নিয়ে বিক্রী করলো চোরা?
মাইরও তো খাইলো 🙂
মজা পেলাম,
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
মজা তো পাবেন। আপনি এইরকম কাজ করেননি?
হা হা
ভালো থাকবেন
সঞ্জয় মালাকার
খুব সুন্দর লিখলেন। আনন্দের স্মৃতি কথা ।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ দাদা