
এখন সিয়াম সাধনার মাস, মুসলমানদের জন্য অন্যতম পবিত্র মাস রামাদান(রমজান) চলছে। রোজার মাস এলেই প্রতিবছর এই সময়ে মনে কত উল্লাস উদ্দীপনা কাজ করতো। অফিস করে ক্লান্ত হয়ে বাসায় আসার পথে ইফতারি কিনে নিয়ে আসতাম। আম্মা, ছোটবোনেরা, আমার গিন্নী সবাই মিলে মুখরোচক বেগুনী, পেঁয়াজু, বুন্দি, খিচুড়ি, সেমাই, সুজি, হালুয়া, রুটি-পড়াটা, শরবত একেকদিন একেক পদের খাবার রান্না করতেন। ইফতারির আগে কিছু সময় আমরা দাবা, লুডু, ক্যারাম খেলতাম। এরপর নিম গাছের ডাল কেটে বানানো দাঁতন দিয়ে দাঁত মাঝতে মাঝতে উঠোনে হাঁটাহাঁটি করা হতো আমার। রাস্তা দিয়ে যারাই যেত ইফতারের দাওয়াত দিতাম। আমাকেও দিত অনেকেই।
এরকম অনেকবার হয়েছে দাওয়াত দেয়নি কিন্তু তাদের জন্য ইফতারি কিনে নিয়ে কোন পরিচিত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন কিংবা পাড়াপড়শির বাসায় হুট করে চলে গিয়েছি। প্রিয় মানুষগুলোর সাথে বসে ইফতার করবো, তাদের হাসিমুখ দেখতে পাবো এটা সৌভাগ্যের বিষয়। তারা হয়তো নিজেদের জন্য সামান্য রান্নাবান্না করেছে। আমি এসে বিপদে ফেলা! এ কারনেই ইফতারি কিনে নিয়ে যেতাম। হাসিমুখে সবার সাথে ইফতারি করার মাঝে অন্যরকম আনন্দ আছে। আমি ইফতারির পরে বলতাম তাহলে ভাত খেয়েই যাই। এদিকে এটা রেওয়াজ। যিনি ইফতার করান মাগরিবের নামাজের পরে অতিথিদের ভাতও খাওয়ান তারা।
এই দিনগুলিতে সবচেয়ে মজা হয় যখন নানাবাড়ি, খালাদের বাড়িতে যাই। তারাও আসেন আমাদের বাড়িতে। এ যেন অন্যরকম এক আনন্দঘন পরিবেশ থাকে পুরো মাস জুড়ে। আমাদের বাসায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন মিসকিন, এতিম খায়। এটা আব্বা বেঁচে থাকতে চালু করেছিলেন। রোজার মাসে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, এতিমখানার কিছু বাচ্চা পুরোমাস জুড়ে আমাদের বাসায় আনাগোনা থাকবেই। রোজাদারকে ইফতার করাতে মনে যে আনন্দ পাওয়া যায় সে খুশি অন্য কিছুতেই নেই।
আব্বার চাকরি, রাজনীতি, বিভিন্ন সংগঠন এসবকিছুর সাথে জড়িত থাকার সুবাদে আমাদের বাড়িতে প্রচুর লোক সমাগম হতো। রোজার সময় এলেই কি হিন্দু কি মুসলিম আমরা সবাই একই সাথে বসে ইফতার করতাম তখন। ছোটবেলায় সবচেয়ে আনন্দ হতো যখন বাসায় একমাসে অন্তত দশ থেকে বারোদিন ইফতার পার্টি হতো। গুড়ের জিলাপি আমার খুব পছন্দের। আর রোজার মাসে আব্বা প্রতিদিন নিজে আনতে না পারলেও মামা, খালু, খালাদের কেউনাকেউ আসতেনই জিলাপি নিয়ে। আব্বা মারা যাওয়ার পরেও এটি চালু ছিলো শুধু আমার জন্যে। আমার বড়খালা অত্যন্ত আনন্দ নিয়ে আমার জন্য বাসায় জিলাপি পৌঁছানোর কাজটি করতেন। একদিন পরপর দশ কি.মি রাস্তা অটোরিক্সাতে করে এসে তিনি জিলাপি আনতেন। বড়খালা মারা যাবার পরে আমার সেই জিলাপির আনন্দে ভাটা পড়েছে। ইফতারিতে জিলাপি খেতে গেলেই খালার কথা খুব মনে পড়ে।
রোজার মাসে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ঈদের কেনাকাটা করা। আম্মা প্রতি ঈদেই গরীব দুঃখীদের কাকে কি দেবেন তার তালিকা করেন। আমরা সবাই সেখানে নিজেদের সাধ্যমতো অংশীদার হই। সবাই মিলে বাজারে যাই, পছন্দমত জামাকাপড় কিনি। সবার নজর দোকানের কাপড়ের দিকে থাকলেও আমার নজর থাকতো আম্মার দিকে। তাঁর যে জামাটি পছন্দ হতো তিনি না নিলেও পরে গোপনে কিনে তাকে সারপ্রাইজ দিতাম। কারন আব্বা বেঁচে থাকতে আমি দেখেছি তিনি নিজের জন্য কিছুই নেননি কিন্তু আমাদের জন্য ঠিকই নতুন কাপড় কিনেছেন। আর আম্মাকে সবার আড়ালে শাড়ি উপহার দিতেন যদিও ধরা পরতেন আমাদের চোখে।
করোনার এই বিষণ্ণ সময়ে আরও কতো স্মৃতি মনে পড়ছে এই মুহূর্তে! অথচ এবারে সেসবের কোন বালাই নেই। কেউ কোথাও যেতে পারছেনা। কারো মনে আনন্দ নেই। তারাবীর নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে কত মানুষের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হতো, খোঁজখবর নেয়া হতো। অনেকদিন কারো সাথে দেখা নেই। কে কেমন আছে তাও জানতে পারছিনা। আমার বোধ হবার পরে এইবারই প্রথম বাসায় ইফতারির সময় কাউকে দাওয়াত দিতে পারছিনা। এর যে কি কষ্ট তা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।
আমার বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে মন খারাপ করা সময় যাচ্ছে এখন। রোজা এলেই বউয়ের চোখেমুখে হাসি ফুটে উঠতো। হরেক ইফতার বানানো, সন্ধ্যার পরে এক রিক্সায় দুজনে বাজারে যাওয়া-আসা সবই মাটি হয়েছে এবার। যেহেতু প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সমস্যা তাই খাবারের মেনুতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কত গরীব অসহায় দু’বেলা ঠিকমত খেতে পারছেনা সেসব কথা মনে হলে ইফতারিতে গলা দিয়ে খাবার নামেনা।
আমরা ঠিক করেছি, করোনায় দেয়া ছুটির পরে বাজার খুললেও এবারের ঈদে নিজেদের জন্যে কোন নতুন জামাকাপড় কিনবোনা। সেই টাকা দান করে দেব। আর যৎসামান্য যাকাত যা আসতো সেটা দিয়ে আগেই করোনা ছুটিতে ঘরবন্দি অসহায় কিছু পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, আলু কিনে বণ্টন করা হয়েছে। সামনে ঈদের সময়ে সেমাই, চিনি, মশলা কিনে দিতে হবে কিছু মানুষকে। এতটকু করি কারন তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলেই মানুষ হিসেবে স্বার্থক মনে হয় নিজেকে।
করোনা বিষণ্ণতায় জীবনের অমলিন এই স্মৃতিগুলোকেই আশার পরশ পাথর বানিয়ে
একেকটি দিন পার করছি। অন্ধকার কেটে একদিন আলো আসবেই। মাত্র অল্প ক’দিনের পৃথিবী! কি লাভ টাকা পয়সা অর্থকড়ি জমিয়ে রেখে। একজন মানুষের উপকারে আসতে পারলেও এটাই জীবনের স্বার্থকতা। আসলে করোনা মহামারীর এই বিভীষিকাময় ক্রান্তিকালে এর চেয়ে বড় কোন চাওয়া কিংবা প্রাপ্তি এই মুহূর্তে আমার কাছে আর কিছুই নেই।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
(ফিচার ছবি- নেট থেকে সংগৃহীত)
৩০টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরা ঠিক করেছি, করোনায় দেয়া ছুটির পরে বাজার খুললেও এবারের ঈদে নিজেদের জন্যে কোন নতুন জামাকাপড় কিনবোনা। সেই টাকা দান করে দেব। আর যৎসামান্য যাকাত যা আসতো সেটা দিয়ে আগেই করোনা ছুটিতে ঘরবন্দি অসহায় কিছু পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, আলু কিনে বণ্টন করা হয়েছে। সামনে ঈদের সময়ে সেমাই, চিনি, মশলা কিনে দিতে হবে কিছু মানুষকে। এতটকু করি কারন তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলেই মানুষ হিসেবে স্বার্থক মনে হয় নিজেকে। আমি অভিভূত আপনাদের এই সিদ্ধান্তে। ঈশ্বর আপনাদের সবার মঙ্গল করুন। এতো মহৎ উদ্দেশ্য বিফলে যেতে পারে না। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
আশাকরি সবাই গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়াবেন। একজনের মুখে হাসি ফুটলেও পরম প্রাপ্তি। ভালী থাকুন দিদিভাই। আপনার স্মৃতিচারণা লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা সবসময়।
কামাল উদ্দিন
খালাদের কথা বলে মনে করিয়ে দিলেন আমার ছোট খালার কথা। ছোট খালা আমার নানা বাড়িটাকে ফুলের বাগান বানিয়ে রেখেছিলেন। আর ফলের বাগানও ছিল বটে আমার নানা বাড়ি। রমজানে গেলে বৈঠক খানার বড় চৌকিটাতে ইফতারের পসার সাজাতেন, খেতে খেতে গলা পর্যন্ত খাওয়ার পর তা হজম করার জন্য আমাদের নিয়ে শূরু করতেন গল্প। ঠাকুর মার ঝুলি, রাক্ষস খোক্কস কিছুই বাদ যেতো না। আধো ঘুমো হয়ে গেলা জাগিয়ে মুখ ধুইয়ে আনতেন। তারপর সেহেরী খেয়ে দে ঘুম। কোন দিন দুপুর তো কোন দিন বিকাল।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমার ছোট খালা দীর্ঘ দিন ক্যান্সারে ভুগে এবারের ২য় রোজার দিন মারা গিয়াছেন
তৌহিদ
আপনার খালার কথা জেনে দুঃখিত হলাম ভাই। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন। আপনিও ভালো থাকবেন ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
খুব ভালো লাগলো এই করোনা কালে মানুষের পাশে
দাঁড়ালেন মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে
খোদা আপনার মঙল করুক।
তৌহিদ
মানুষ হিসেবে এতটুকু কর্তব্য মনে হয়েছে দাদা। আসলে লেখায় এসব বলতে চাইনি। স্মৃতিচারণায় এসেই গেলো। ভালো থাকবেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক
অমানুষ ফাঁক ফোকর খুঁজবে।
ইঞ্জা
মনটা এইবার সত্যি ভালো নাই, এইবারের করোনাকালে সবারই মন খারাপ।
আপনারা লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো ভাই।
তৌহিদ
মন খারাপ করবেননা দাদা। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা ভাই।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ ভাই
সাবিনা ইয়াসমিন
কারো বাসায় ইফতার করতে যাওয়ার সময় নিজ থেকে ইফতার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সামাজিক সৌহার্দ্য বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। রোজার দিনগুলোতে আপন পরের ভেদাভেদ ভুলে সবাই যার যার সামর্থ অনুযায়ী ইফতার, সেহেরিতে যোগ দেয়ার মাঝে শুধু পুণ্য নয়, মন অনাবিল শান্তিতে ভরে যায়। লেখাটি বেশ ভালো লাগলো। আরও ভালো লাগলো ঈঁদকে ঘিরে আপনার পরিকল্পনার কথা জেনে। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আপনার ইচ্ছেকে বাস্তবায়ন করার তৌফিক দেন।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইলো 🌹🌹
তৌহিদ
হ্যা আপু, আসলে উপহার সামান্য হলেও তা উপহার। এতে সম্প্রতি বাড়ে। এবারে তেমন কিছুই হয়নি। আমি জানি এই সমস্যা সবারই। কবে যে করোনামুক্ত হবো!
আসলে এসব পরিকল্পনার কথা কাউকে জানাতে চাইনি। মনের মধ্যে চাঁপা ব্যাথা হয়ে বিধেছিলো। তাই হয়তো লিখনিতে চলে এসেছে।
ভালো থাকবেন আপু। শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
ইফতারি আমাদের সবার জীবনেই একটি আনন্দ এবং সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে আসে।
আপনার পিতা, মাতা মহান মানুষ ছিলেন বলেই মানুষের উপকার করা, বিপদে পাশে গিয়ে দাড়ানোর গুন আপনার মাঝে চলে এসেছে।
জিলাপি আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু এবার আর পছন্দ মত ইফতারি আর হচ্ছে না।
আপনার স্মৃতি পড়ে ভালো লেগেছে খুব।
ঈদে আপনার পরিকল্পনা চমৎকার।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
জিলাপি আপনারও পছন্দ! বাহ! আসলে আব্বার অনেক কিছু আমার খুব পছন্দের। তবে তার আদর্শ ধরে রাখা খুব কঠিন। তবুও চেষ্টা করি ভাই।
আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যগুলিকে বিনষ্ট করতে চাইনা। তবে এবারে করোনার কাছে অসহায় আমরা সবাই।
এসব কথা কাউকে জানাতে চাইনি কিন্তু লিখতে লিখতে এসে গেলো। ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
যাদের ঘিরে স্মৃতি তারা না থাকলেও স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত গুলো আছে। আর তা রোমন্থনে বার বার ভিজে দেয় চোখ। আল্লাহ আপনার এমন মহৎ উদ্যোগের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অবশ্যই দেবেন ভাইয়া। আল্লাহ আপনার সকল মনোবাসনা পূর্ণ করুন।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
👏👏👏
তৌহিদ
হ্যা আপু স্মৃতি কাঁদায় মাঝেমধ্যে। আপনিও ভালো থাকুন আপু।
ফয়জুল মহী
ফেলে আসা স্মৃতি ভুলে থাকতে হয় সত্য । কিন্তু একটা চাপা কষ্ট নিয়ে l♥️♥️
তৌহিদ
আবার স্মৃতিরাও একসময় মনে উৎসাহ দেয় কিন্তু। ভালো থাকবেন ভাই।
নিতাই বাবু
মানবতার উদাহরণ! লেখা পড়ে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি দাদা। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার মঙ্গল করুক!
তৌহিদ
মানবতা নিয়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করি দাদা। আসলে এসব পরিকল্পনার কথা কাউকে জানাতে চাইনি। মনের মধ্যে চাঁপা ব্যাথা হয়ে বিধেছিলো। তাই হয়তো লিখনিতে চলে এসেছে।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
নদীর এপাড় বলে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপাড়ে আছে সব মিঠ- বিশ্বাস,
হাত পেতে দেখি শুধুই ছাইপাঁশ!
তৌহিদ
কোনপাড়েই সুখ নেই। তবুও আমরা আশায় থাকি, পারাপার করি এপাড়ে ওপাড়ে। না হলে চুপটি করে বসে বসে খাওয়া ছাড়া আর কিছু হতোনা ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
খাবারের মেনুতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কত গরীব অসহায় দু’বেলা ঠিকমত খেতে পারছেনা সেসব কথা মনে হলে ইফতারিতে গলা দিয়ে খাবার নামেনা।
আপনার এমন অনুভবের জন্য স্যালুট দাদা।
দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতারা তেলা মাথায় তেল দিতে অভ্যস্ত। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও খুবই মর্মান্তিক অবস্থা। আমরা এ শতাব্দীর প্রথম মন্বন্তরের মুখোমুখি হতে চলেছি।
চারদিকে সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের দুরবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারছি না।
.
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।
সৃষ্টিকর্তা সকলকে মঙ্গল করুক।
তৌহিদ
লেখাটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। শুভকামনা সবসময়।
বন্যা লিপি
কি মন্তব্য করি বলেন তো ভাই এমন লেখা পড়ে? এমন এক ক্রান্তিকালের সিয়াম সাধনার সময় যাপন করছি আমরা সবাই, যেখান থেকে সবার মানসিকতাই একইরকম ধারায় বইছে।
আপনার আমার আমাদের সকলের প্রত্যয় এমনই হোক, অন্তত একজনার মুখে হলেও যেন স্বস্তির হাসি দেখতে পাই।
আপনি খুব জিলাপী পছন্দ করেন তাইনা?😊😊😊 এবার বানানো শেখেন ভাবির সাহায্যে ঘরে থেকে থেকে। ভবিষ্যতের বংশধর আপনার স্মৃতীচারন করবে….. “আমাদের আব্বা আমাদের জিলাপী নিজ হাতে তৈরী করে ইফতারে খাওয়াতেন।😂😂😂😂
ভাই, এত্ত এত্ত মন খারাপের মাঝে হাসির খোরাক যোগান দিতে চাইলাম বলে মাইন্ড করবেন না যেন আবার😔😔
স্মৃতী অমলিন – ভালো লাগলো খুব।
শুভ কামনা আপনার প্রতিটি শুভ মনোবাঞ্ছার প্রতি।
তৌহিদ
আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম আপু। আসলে মন খারাপ করা সময়ে নিজের কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করে কিছুটা হালকা লাগছে।
জিলাপি বানা শেখানোর আইডিয়া কিন্তু মন্দ নয়। ছেলেমেয়ে বলতে পারবে আব্বার হাতের জিলাপি খাইছি 😃😃
সত্যি আপনার মন্তব্য পড়ে একটু নয় অনেক হাসলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন আপু। শুভকামনা সবসময়।
আতা স্বপন
স্মৃতিগুলো ফিরে আসে কিন্তু সময় ফিরে আসে না
এটইতো ট্রেজেডি এটাইতো বেদনা
ধন্যবাদ তথ্যবহুল স্মৃতির জন্য…………………….
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই, পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
হালিম নজরুল
আমার খালা-ফুফুদের কথা খুব মনে পড়ছে।
তৌহিদ
তাদের জন্য দোয়া রইলো ভাই। ভালো থাকবেন।