স্বিকারোক্তি –

বন্দনা কবীর ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৭:৫৬:৪৩অপরাহ্ন কবিতা, সাহিত্য ২৮ মন্তব্য

শুনেছিলাম সে আমায় ভালোবাসতো
সকাল বিকেল দুইবেলা বাড়ির পাশে ঘুরঘুর করতো
আমায় এক নজর দেখবার আশায়, পাত্তা দেইনি । এরকম রোমিও আরো
শতটা ঘোরে । নতুন করে কে পথ চাইলো কি পথে পড়ে রইলো
তার খবর নিতে আমার বয়েই গেছে, পথ তো আর আটকাচ্ছে না কেউ ।
ছিলাম বেশ, নিরস- নির্বিকার, হৃদয়হীন, বাড়ি থেকে বের হই ফিরি, পথের বাঁকে সে দাঁড়িয়ে থাকে
ভিখিরির মত । দেখি । অবজ্ঞায় তার দিকে ভালো করে চাই'ও না । বরং হাতে একটা থাল টাল থাকলে
দুটো পয়সা ফেলতে পারতাম, ভাবি । ভারি অহংকারে গ্রিবা আরো  দুই ইঞ্চি উপরে উঠে যায়  তাকে দেখতে পেলে ।
মাঝে মাঝে এটা ওটা পড়ে থাকে বাড়ির বন্ধ দরজার সামনে রঙ্গিন কাগজে মুড়ে ,
ছোট ছোট মাটির পুতুল, জরি চুমকি জড়ানো কাঁঠের ঘোড়া-হাতি, কাগজ মন্ডে তৈরী ছোট্ট নোট বুক;
তুলে তুলে রেখে দিতাম ঠিকই নিশ্চুপ, ফেলিনি কিছুই তার । কেউ ভালবেসে দেয়' এই সুখ
মনে মনে ।  পলাশ আমার প্রিয়' কি করে জেনেছিল কে জানে?
তবে খুব চমকেছিলাম সেবার । ভোর ভোর বাইরে বেরোবার মুখে দোর খুলে প্রায় পাড়াই দিয়ে
ফেলেছিলাম খবরের কাগজের পেট মোটা খিলিটাকে । হাঁটু মুড়ে বসে খিলিটা তুলে নিয়ে খুলতেই অবশ আমি ।
কমলা কমলা লাল ফুলের থোকাটাকে জ্যান্ত কলিজার মতন লাগছিল হঠাৎ । জীনবের মত দামি
সে উপহার পেয়ে নির্বাক,  কতক্ষন বসে ছিলাম জানিনে , হুশ ফিরতেই
ছুটে গেলাম গলির মুখে । নেই !
অহংকারি হৃদয়হীনাকে আস্ত এক হৃদয় উপহার দিয়ে সে
পথ থেকে সরে গেছে  ।

অনেকেই জানতো আমায় সে ভালোবাসতো,
আমিও যে বেসেছিলাম অগাধ, এটা তার
জানা হলনা এটাই যাতনার ।

0 Shares

২৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ