স্বামী ২য় পর্ব

মাছুম হাবিবী ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ০১:৪৯:১৫অপরাহ্ন গল্প ৭ মন্তব্য

অারিফের বিয়ের আজ সপ্তমদিন। বিয়ের ছুটি কাটিয়ে অফিসে অাসতেই সব কলিগরা ফুলের শুভেচ্ছা জানায় অারিফকে। অারিফ তাদের সূক্ষ্ম ভালোবাসা দেখে মহাখুশি! অফিসে কাজের ফাঁকে অারিফ শেলিকে কল দেয়। নতুন বউয়ের মিষ্টি কথায় মাঝে মধ্যে সবার সামনেই হুহু করে হেসে উঠে অারিফ। খুব সুন্দর চলছে তাদের নব্য বিবাহিত জীবন। একজন আরেক জনের প্রতি ভালোবাসার সীমানেই! অফিস শেষে আরিফ বাসায় যেতেই শেলি আরিফকে গোসল করা পানি সহ যাবতীয় সাহায্য করে। অারিফও মাঝে মধ্যে দুষ্টুমির ছলে শেলির কাজে সাহায্য করে। তাদের এই সুন্দর সংসার দেখে অারিফের মা -বাবা সহ আত্বীয়স্বজন সবাই খুশি! তাদের উপর কারো কোনো অভিযোগ কিংবা অনুযোগ নেই!

 

অারিফ ও শেলির বিয়ের প্রায় এক বছর পূ্র্ণ হল। অাজ তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। বাড়ি জুড়ে রান্না-বান্নার অায়োজন। শেলি অারিফের পছন্দের সব খাবার রান্না করেছে অাজ। এদিকে অারিফও শেলির জন্য নীল শাড়ি আর একগাদা গোলাপ কিনে এনেছে। খুব হাসি মুখে বাড়ি ফিরছে আরিফ।।তারপর, নীল শাড়ি পড়ে অদ্ভুত এক বাহারি সাজে সেজেছে শেলি। আরিফ শেলিকে দেখে বিয়ের প্রথম দিনের কথা মনে করে। বিয়ের দিন শেলিকে ঠিক একই রকম সুন্দর লাগছিলো।

 

শেলিকে নিয়ে অারিফ কেক কাটছে! সবাই হাত তালি দিয়ে উইশ করছে দুজনকে। তারের মাঝ থেকে একজন মধ্যবয়সী মহিলা হেসে উঠে বলে বিয়ের তো একবছর হল একটা ছেলেপেলের মুখতো দেখান। এভাবে আর কতদিন, সবাইতো চায় একটা সন্তানের মুখ দেখতে। মহিলাটির কথা শুনে শেলির মুখ কালো হয়ে যায়। শেলি আরিফকে কেক খাইয়ে রুমে চলে যায়। আরিফ কিছুতেই বুঝতে পারছেনা হঠাৎ শেলির কি হল? তারপর অনুষ্ঠান শেষ করে আরিফ শেলির কাছে যায়। শেলির দিকে তাকিয়ে আরিফ লক্ষ্য করলো শেলির চোখে জল!

 

আরিফ একটু রেগেমেখে বলছে কী হইছে তোমার? এভাবে সবাইকে রেখে ঘরে এসে কাঁদছো কেন? শেলি চোখ মুছতে মুছতে বলে আমার কিছু হয়নি এমনি কাঁন্না করছিলাম! আরিফ শেলিকে বুকে জড়িয় বলে আমি সব বুঝি। কেন কাঁদছো সেটাও জানি। আরে বাবা আমার তো সন্তান চাইনা! কে কি বললো তাতে কান দিতে হবে নাকি? আল্লাহ যখন চাইবে তখনই আমাদের ঘরে সন্তান আসবে। তা নিয়ে কান্না করার কি অাছে?

'পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকুন'

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ