নাইক্ষংমুখ। যাহারা বান্দরবানের পাহাড়-পর্বত ট্র্যাক করে অভ্যস্থ তারা খুব ভালো করেই জানেন, এটাকে স্বর্গ বললেও কম বলা হবে। আমাদের রুট ছিলো সাজাই ভ্যালি থেকে সাত ভাই খুম, নাইক্ষংমুখ হয়ে আমিয়াখুম। খুব ভোরে সাজাই ভ্যালী থেকে রওয়ানা হয়ে পাহাড়ি দূর্গমতাকে অতিক্রম করে সাতভাই খুম পার হয়ে নাইক্ষংমুখ এসে পৌছি।
আমিয়াখুমের স্বর্গীয় জলপ্রপাত দেখতে হলে নাইক্ষংমুখ থেকে পতিত জলপ্রপাতের ভয়ঙ্কর শীতল জলে ভেলা ভাসানো ছাড়া উপায় নাই। কারণ দুই পাশেই আকাশ ছোয়া খাড়া পাথুরে পাহাড়, তার উপর মেঘের আনাগোনায় সেগুলো ভিজে ভয়ঙ্কর রকম পিচ্ছিল হয়ে আছে।
আমাদের গাইড বাঁশের ভেলা নিয়ে হাজির হলে আমরা দুজন করে পার হয়ে যাচ্ছিলাম, আমি যখন ভেলায় থাকবো সেই দৃশ্য ধারণ করার জন্য আমার সখের ক্যামেরাটা আমাদের মধ্যে সব চেয়ে শক্তপোক্ত সাহাদাত ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তো আমাদের ভেলা যখন সেই খড়স্রোতা পানি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ একটা ঝপাৎ শব্দ, পিছনে তাকিয়ে সাহাদাৎ ভাইকে আর দেখতে পেলাম না।
নোটঃ ১ম ছবিটা নাইক্ষংমুখের, ২য় ছবিটা সাত ভাই খুমের, ৩য় ছবিটা নাইক্ষংমুখ থেকে ভেলায় চড়ে যখন যাচ্ছিলাম, পিচ্ছিল পাথর থেকে নাইক্ষংমুখের খড়স্রোতা শীতল জলে পড়ে যাওয়ার আগে এই ছবিটা সাহাদাৎ ভাইয়েরই তোলা। পরে মৃত ক্যামেরার ম্যামোরি কার্ড থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। ৪র্থ ছবিটা আমিয়াখুমের।
২১টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি? জায়গাটা সত্যিই অসাধারণ। শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ক্যামেরা তো সাহাদাৎ ভাইয়ের গলায়ই ঝুলছিল, কিন্তু সাহাদাৎ ভাই সুস্থভাবে পানি থেকে উঠতে পারলেও আমার ক্যামেরাটা উঠেছিল মৃত অবস্থায় আপু……….শুভ সকাল।
মোঃ মজিবর রহমান
স্বাদের ক্যামেরা ধ্বংস্ব খুব কস্ট ও অনুতাপের বিষয়। তারপরও শাহাদত ভাই সুস্থ ফিরেছে এটাও ভাল খবর।
কামাল ভাই। আমি কোন ছবি দেখতে পারছিনা কেন জানিনা। ব্রাউজার চেঞ্জ করেও হল না।
কামাল উদ্দিন
আপনি কি ব্রাউজার ব্যবহার করেন ভাই। গুগলক্রোম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। একান্তই না হলে উইন্ডোজ মেরে নিয়ে দেখতে পারেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি গুগল ক্রমই ব্যাবহার করি। তারপর ফায়ারফক্স করলাম তাও ছবি দেখতে পাইনাই।
সুরাইয়া পারভীন
আহারে! গভীর শীতল ঠান্ডা জলে ঝপাং।
ছবি গুলো কিন্তু দুর্দান্ত। এ যেনো সত্যিই স্বর্গ
কামাল উদ্দিন
হুমম, আমি বলি এটা সত্যিই স্বর্গ। শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
ক্যামেরা নষ্টের কষ্ট জানিতো, রিক্সায় হাত থেকে পরে রাস্তায় ছিটকে গিয়েছিল!
প্রথম ছবিটি সত্যি সুন্দর।
কামাল উদ্দিন
সখের জিনিস বলে কথা। শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
শান্ত চৌধুরী
প্রিয় কিছু হারানোর বেদনা অনেক!!!
আমি গিয়েছি, নাফাখুম, আমিয়াখুম, সাতভাইখুম, দেবতা পাহাড়, সর্গীয় সুন্দর। নিজ চোখে না দেখলে বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
কামাল উদ্দিন
তাহলে আপনি তো স্বর্গ দেখে ফেরা ভাগ্যবান মানুষ। শুভ কামনা, সব সময়।
নৃ মাসুদ রানা
ক্যামেরার কোন দোষ নেই। সেকি সৌন্দর্য। বিমুগ্ধ হলাম।
কামাল উদ্দিন
ক্যামের দোষ তো আমিও দেইনি ভাই…….শুভেচ্ছা জানবেন।
নিতাই বাবু
যাক, কোনরকম বাঁচা গেল! ভ্রমণের সময় এমন টুকটাক আপদ-বিপদ স্মৃতি হয়ে থাকে। আপনাদের জন্য শুভকামনা থাকলো। সাথে ইংরেজি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা!
কামাল উদ্দিন
ঠিক বলেছেন দাদা, এমন কিছু স্মৃতি না থাকাটাই বরঞ্চ খারাপ……….আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা
সুপায়ন বড়ুয়া
অসাধারন ছবিগুলোর সাথে
স্মৃতি টুকু ও ভুলার নয়
শুভ কামনা
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
মাহবুবুল আলম
আপনার সবগুলো ভ্রমন কাহিনীই সুন্দর। শুভেচ্ছা জানবেন!
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবি গুলো দেখার পর আর কমেন্ট লিখতে মন চায় না। ছবি সুন্দর না জায়গা সুন্দর ওটাই ভাবতে থাকি।
আপনি এত জায়গায় ঘুরাঘুরির সুযোগ কেমন করে পেয়েছেন ভাই?
কামাল উদ্দিন
ওই যে বললাম এটাকে “স্বর্গ বললেও কম বলা হবে”
বাড়ি থেকে সুযোগ পেলেই পালাই আমি, তারপর কয়েকদিন পর আবার ভুস করে ভেসে উঠি আপু 😀