#স্বপ্ন পর্ব ৮
বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে মুষলধারে। ঘোলাটে আকাশটা কি যে অদ্ভুত সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে তা কেবল তারাই বুঝবে যারা আমার মতই বৃষ্টি বিলাসী!
আকাশের কান্নায় নিজেকে ভেজাবো ভাবছিলাম কিন্তু তা মোটেও সম্ভব নয় কেননা, জানালার পাশটা ছেড়ে এই অলস দেহ নিয়ে উঠতে আর ইচ্ছে হচ্ছিল না। চোখ দুটোও ধীরে ধীরে শীতল হয়ে আসছিল। সুপায়ন বড়ুয়া দাদার সোনেলা ব্লগে লিখা স্বপ্নটির কথা বার বার ব্রেইন এ ঘুর ঘুর করছে, আর আমারও ইচ্ছে হচ্ছে চট করে একটু স্বপ্নের দেশে ভ্রমণ করে আসি। কিন্তু হুট করে এবং চট করে কি করে স্বপ্ন দেখতে হয় তা আমার মোটেও জানা নেই তবে একটা বিদ্যা সম্পর্কে জানা রয়েছে যার মাধ্যমে স্বপ্নের তালা খুলে সে দেশে প্রবেশ করা যায়। তাহলে বলা যায় সে বিদ্যাটিই হয়তো স্বপ্ন দেশে প্রবেশের চাবি। বিদ্যাটি হলো -----Astra travel।
Astra travel এর অর্থ হলো 'আত্মার ভ্রমণ' এটির মাধ্যমে আত্মাকে নিজ শরীর থেকে পৃথক করে নিয়ে চোখের পলকে পুরো বিশ্বে ভ্রমণ করা যায় খুব সহজেই। এবং বিজ্ঞান বলছে, astra travel করে স্বপ্ন জগতে যা কিছু রয়েছে তার কিছু প্রতিফলন বাস্তব জীবনেও ঘটানো সম্ভব।
এসব ভাবনার মধ্য দিয়ে কখন যে আমার সুস্থ মস্তিষ্ক sleeping brain এ convert হয়ে গেছে তা কে জানবে......! যেহেতু আমি আর আমার ভেতরে নেই। দূর হতে ভাসা ভাসা কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল,
"এই 'পিচ্চি আপু, তাড়াতাড়ি এসো দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু, আমাদের খুব তাড়া আছে...........!
আমি ড্রেসিংটেবিলের আয়নায় কিছু সময় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম, কেন যেন আজ নিজের মুখখানি খুব বেশি প্রিয় মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে কত কত বছর ধরে আয়নার সামনে থাকা মানুষটা আমার নিঃসঙ্গ আত্মাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে, কত কত অবহেলা করেছি একে তবু কোন অভিযোগ নেই, আমার ব্যাথায় নিজের দুচোখ ভাসিয়ে কাঁদে আবার আমার সুখে অট্টহাসিতে আমাকে আনন্দ দিয়ে চলেছে।
আবারও সেই প্রতিধ্বনি......, "এই পিচ্চি আপু............"
আমি একটা ছাতা মাথায় নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম, বাড়ীর বড় দরজা অতিক্রম করতেই চোখে পড়লো এম ইঞ্জা ভাইকে, তিনি হাসি মুখে একটা টমটমের পাশে দাড়িয়ে রইলেন। তিনি একটু মুচকি হেসে বললেন, "এই বৃষ্টিতে সাদা টিস্যু শাড়ী পরে বের হয়েছো পিচ্চি আপু? সাথে সাদা পেন্সিল সুজ কাঁদার দাগ ভরে যাবে তো...!
নাহ্ ভাইয়া, আজ আমি অভয়া, একদম ওসব নিয়ে ভাবছিনা, একটু কাঁদা ভরলে কি ক্ষতি আছে তাতে..?
হঠাৎ আমি ইঞ্জা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হলাম, কারণ উনার পরিধানেও রয়েছে সাদা প্রিন্সকোট এবং তার মাথায় কোন ছাতা নেই তুমুল বৃষ্টির মাঝে তিনি দাঁড়িয়ে আছে অথচ বৃষ্টির এক ফোঁটা জলও তাকে স্পর্শ করছেনা।
এম ইঞ্জা ভাই : হুমমম, পিচ্চি আপু তুমি ঠিকই বলেছো, মাঝে মাঝে অভয় হওয়া ভালো এতে সাহস বৃদ্ধি পায়, তবে টাইম এর ব্যাপারে কিন্তু অভয় হওয়া একদম অনুচিত, কারণ আমাদের জন্যে এক ঝাঁক ঈগল অপেক্ষা করছে।
আমি একটু ভ্রু কুৃঁচকে তাকালাম এম ইঞ্জা ভাইয়ের দিকে। তার মুখে "এক ঝাঁক ঈগল" শব্দটি শুনে। কারা এই "এক ঝাঁক ঈগল?" বোঝার চেষ্টা করছি নিঃশব্দে ।
টমটমের একটি বন্ধ দরজা খুলে দিয়ে ইঞ্জা ভাই বললেন, "ভেতরের সীটে বসে পরো খুব সাবধান, এই টমটমওয়ালা নিজেও পাগলাটে এবং তার অশ্বগুলোও পাগলা, পাগলের মতো ছুটে চলবে আমাদের নিয়ে এক অন্ধকার রাত্রিতে কিছু সময়ের মধ্যেই।"
আমি টমটমের ভেতরে বসে পরলাম, ইঞ্জা ভাই ভেতর থেকে দরজা লকড করে দিলেন। ১ সেকেন্ডের মধ্যে একটা মেঘের গর্জন শুনতে পেলাম আর একটা ঝাঁকুনির মধ্য দিয়ে চলতে থাকলাম কোন এক অজানার উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য করলাম আমাদের মাথার ওপর একটি ঝুলন্ত হারিকেন আমাদের আলো বিতরণ করছে, হঠাৎই আমার ডান হাতে একটা আলতো স্পর্শে কেঁপে উঠলাম, ভীতু হৃদয়ে তাকাতেই আবিষ্কার করলাম আমার হাতের পাশে একটা রেড কালার শাড়ী পরে বসে আছেন সাবিনা ইয়াসমিন আপু আর তার পাশে আর একটা সুন্দরী গ্রীন কালার শাড়ী পরা মেয়ে বসে আপন মনে নিজের হাতের আঙ্গুলে নেইল পলিশ পরছে। মেয়েটিকে আমি চিনতে পারছিনা। কে এই মেয়ে! কেন যেন খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে তাকে!
সাবিনা ইয়াসমিন আপু কি যেন মেয়েটিকে ফিসফিসিয়ে বলছে আর সেই ছোট ছোট কথাগুলো টমটমের জানালা দিয়ে বাতাসের সাথে কোথায় যেন ভেসে যাচ্ছে। শুধু এতটুকু বাক্য শ্রবনে তুলে নিলাম, "এই মুক্তা মৃণালিনী, হাত দুটো মেখে যাবে তো! এবার রাখো....."
কোন এক গহীন অরন্যে গিয়ে টমটমটি থামলো। টমটম থেকে যখন নামলাম তখন আকাশ হালকা আবির রঙ্গে সুসজ্জিত হচ্ছে, সূর্য্যের কিছুটা আলো বিস্তৃত আকাশে ছড়িয়ে পরছে চিকচিকে বালিকণার মতো"।
ইকরাম জিসান ভাই ঠোঁটের কোণে মিষ্টি একটা হাসি নিয়ে এগিয়ে এলেন আমাদের দিকে।
ইকরাম জিসান ভাই : সুস্বাগতম মণি কাশফিতা, মুক্তা মৃণালিনী, সাবিনা ইয়াসমিন এবং এম ইঞ্জা ভাই। আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা, সামনেই অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য দারুণ সব সারপ্রাইজ, প্লিজ তোমরা সামনে এগিয়ে যাও।
মুক্তা মৃণালিনী : জিসান ভাই কিছুই তো দেখতে পাচ্ছিনা।
এম ইঞ্জা ভাই : আপু আমার সাথে চলো, আমি সব দেখিয়ে দিবো।
সাবিনা আপু, মুক্তা মৃণালিনী ও আমি এই তিনজনে চললাম রাজকুমারীর মতো ইঞ্জা ভাইয়ের পেছন পেছনে।
সামনেই একটি বিরাট ভুতুড়ে রাজমহল মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে প্রায় যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই। গুনে গুনে প্রায় দশটি সিঁড়ি ভেঙ্গে আমরা বিশাল আকারের লৌহ দরজার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করলাম রাজমহলে। অলরেডি আমার বুকে ধুকধুকানি শুরু হয়ে গেছে গায়ে সূচের মত কাটা বিধে উঠছে। হয়তো একঝাঁক কালো কুশ্রী বাঁদুড় উড়ে এসে আমাদের গাঁয়ে ঝাপিয়ে পরবে আর অমনি আমার এক চিৎকারে বুকের প্রাণ পাখিটা ফুড়ুৎ করে উড়ে যাবে আত্মাদের দেশে।
ভেতরে প্রবেশ করতেই সোনেলা ব্লগের এক ঝাঁক ব্লগারের দেখা মিললো, সত্যিই দেখে মনে হচ্ছে 'এক ঝাঁক ঈগল' কারণ, তারা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমাদের দিয়ে তাকিয়ে আছে।
তৌহিদ ভাই শবনম ভাবির পাশে গায়ে গা ঘেঁষে কানের কাছে মুখ নিয়ে কি যেন চুপিসারে বলছে আর দুষ্ট হাসিতে মেতে উঠেছে। এই তৌহিদ ভাইটাও না একদম বউ পাগলা টাইপ মানুষ আর শবনম ভাবিও তার এসব কিছুতে বেশ অভ্যস্থ।
অদূরে বসে সুরাইয়া পারভিন আপু কেন যেন খুব করে শাসিয়ে দিচ্ছেন তার এক মাত্র কন্যা তিতলি'কে। মেয়েটা ভীষণ চঞ্চল এবং চতুর, ঠিক যেন দেয়ালের টিকটিকিটার মতোই।
মেয়েটার নাম তিতলি না হয়ে টিকটিকি রাখলেও বেশ হতো।
তিতলি নামের টিকটিকিটা তার মাকে রেখে এক দৌড়ে চলে এলো মুক্তা মৃণালিনীর কাছে, "আন্টি, আন্টি ও আন্টি একটা কথার উত্তর দেবে আমায়?"
মুক্তা মৃণালিনী : হুম, কেন দেবোনা বলতো! অবশ্যই দেবো।
তিতলি : আচ্ছা আন্টি, মানুষ নিজের ভাগ্য বদলায় কিভাবে? ভাগ্য কি বদলানো যায়?
মুক্তা মৃণালিনী : মণি শোন! আমার তো সব ব্লগাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার আছে। এক কাজ কর তুই একটু তিতলিটাকে সময় দে!
এই বলে খুব চালাকির সাথে মুক্তা মৃণালিনী, তিতলিটাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন মনির হোসেন মমি ভাইয়ের কাছে।
তিতলি : আচ্ছা মণি কাশফিতা আন্টি, আমি কিভাবে নিজের ভাগ্য বদলাতে পারবো? প্লিজ বলোনা......!
আমি মনে মনে ভাবছি সুরাইয়া আপু এই অদ্ভুতুরে মেয়েটার জ্বালা কিভাবে সহ্য করে তা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানেন না।
তিতলি : প্লিজ আন্টি, প্লিজ......
আমি : আচ্ছা তিতলি সোনা, তুমি আমাকে এটা বলতো.... সূর্য কোন দিক থেকে ওঠে?
তিতলি : সূর্য পূর্ব দিকেই ওঠে।
আমি : নাহ, সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে না।
তিতলি : আন্টি আমার স্কুলে টিচার শিখিয়েছেন, "সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, এটা চিরন্তন সত্য"
আমি : তিতলি আমি আজ তোমার এই সত্যটাকে মিথ্যা করে দেবো আরও একটি সুন্দর সত্যের সাহায্যে এবং তখন তুমি শিখে যাবে কিভাবে ভাগ্য বদলানো যায়। তিতলি: সত্যি আন্টি.....??
আমি: একদম তাই। তুমি ভাবো একবার, তুমি তিতলি গোটা পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছো। তোমার মাথার ওপরে বিস্তৃত আকাশ। আর পৃথিবী সূর্য্যের চারপাশে ঘোরে।
তিতলি : হুমমমমমম, পৃথিবী সূর্য্যের চারপাশে ঘোরে। তারপর....... তারপর কি?
আমি : এবার তুমিই বলো, তাহলে সূর্য্য
পূর্ব দিক থেকে ওঠে এটা কি করে চিরন্তন সত্য হবে? সূর্য্য তো ওঠেই না। সূর্য্য নিজের জায়গাতেই থাকে বরং পৃথিবী তার চারপাশে ঘোরে।
তিতলি : ঠিকই তো আন্টি........!
আমি : এভাবে তুমি যখন old believe system গুলো চেঞ্জ করবে ঠিক তখনই তোমার thought pattern গুলো চেঞ্জ হতে থাকবে। আর তখনই তোমার কর্ম পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন আসবে।
এভাবেই তোমার ভাগ্য বদলাতে থাকবে। তুমি নিজেকে না বদলাতে পারলে ভাগ্য বদলাবে কি করে?
তিতলি ভীষণ রকমের খুশি হয়ে গেছে এক মুহূর্তেই। সে খুশির হাসি আর ধরে রাখতে পারছে না।
তিতলি : আন্টি আমি মা'কে গিয়ে বলবো সবটা.....?
হুমমম বলবে, সেই সাথে এটাও বলবে, মণি আন্টির জন্যে এক মগ বুলেট কফি চাই! বৃষ্টির পানিতে আন্টির আজ গা ভিজেছে, কফি ছাড়া চলবেই না আর।
তিতলি : ওকে আন্টি তুমি এখানেই থাকবে এই আমি যাবো আর দোয়েল পাখির মত ফুড়ুৎ করে আসবো।
আমি তিতলির বুলেট কফির অপেক্ষায় ওখানেই একটা পিলারের পাশে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পুরো মহলটাকে চোখ ঘুরিয়ে দেখছি, কয়েকশ বছরের পুরোনো একটা মহল এটি। বিশাল আকারের এক ঝাঁড়বাতির নিচে একটা বৃত্ত আকৃতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন কবি হালিম নজরুল সাহেব। কবি হালিম নজরুল সাহেবের ভাবখানা দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন বিশাল সৌরজগতের নেতা সূর্য্যি মামা, তিনি সকলকে তার নতুন গল্প 'ভূতের ছানা' থেকে কিছুটা গল্প পাঠ করে শোনাবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি শুরু করলেন এভাবে - "এক দেশে ছিল বাঁশ বাগানের বাঁশের মত লম্বা আকৃতির বিশাল এক ভূত। ভূতের ছিল ছোট্ট একটি 'ভূতছানা'। সেই ভুতছানার ছিল না কোন স্কুল, ছিল না কোন পড়াশোনা। কিন্তু ভুতছানা ছিল খুব বুদ্ধিদীপ্ত এবং খরগোশের মত নিরলস একটি শিশু। ভুতছানা সারাক্ষণ বাসায় একা থাকে বলে সে যা কিছু শিখতো সবটা ভুতবাবার কোলে বসে টিভি দেখেই শিখে নিতো। সে টিভি দেখে এই কয়েক মাসে অনেক কিছুই শিখে নিয়েছে এই যেমন ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র থেকে শিখে নিয়েছে নাচ, সারেগামাপা থেকে শিখে নিয়েছে গান। এই ভুতছানার লক্ষ্য কিন্তু একটাই নিজের বাবাকে ইমপ্রেস করা। কারণ, ওর বাবা ওর কাছে পুরো পৃথিবী এবং সব থেকে প্রিয়জন।"
কবি হালিম নজরুল সাহেব ক্ষানিকটা থেমে শুরু করলেন, " তোমরা কি জানো, এই ভুতছানা টিভিতে তার প্রিয় গোপাল ভাড়ের গল্প দেখে আজকাল সেও ফ্লোরে শুয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে-- রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের সিংহাসনে তার ভুতবাবা মাথায় মুকুট পরে বসে আছেন আর ভুতছানা গোপালভাড় হয়ে নিজের বুদ্ধি দিয়ে রাজা ভুতবাবাকে ইমপ্রেস করছে।"
কবি হালিম নজরুল সাহেবের গল্প শুনে এবার আমার ঘুম এসে যাচ্ছে, সত্যিই বুলেট কফিটা এবার দারুণ মিস করছি। পিলারের পাশটা ছেড়ে নেশা নেশা চোখে শায়লা বুবুর কোলে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছি......
নাকে এবার ঠিকই কফির পোড়া পোড়া একটা গন্ধ এসে লাগছে। কফি খাওয়ার যে তৃষ্ণা সেটা দশগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
"এই নাও তোমার জন্যে মগ ভর্তি বুলেট কফি।"
কণ্ঠটা তো তিতলির নয়?
একটা এডাল্ট মেয়ে'র তীক্ষ্ণ কণ্ঠ। কার কণ্ঠ এটা ? কণ্ঠটা এবার সিংহের মত গর্জে উঠে আবার বলছে, "মণি, এই মণি, এই নে কফি, চা পাতা নেই ঘরে। নেসক্যাফের কয়েকটা প্যাকেট পেলাম মসলার সেলফে ঐটা দিয়ে সুরাইয়া পারভিন আপুর টাইম লাইন থেকে বুলেট কফির রেসিপি দেখে কফি বানালাম। খেয়ে দেখতো ভালো হয়েছে কিনা?
আমি ফিল করছি আমি sleeping brain এ রয়েছি এবং কান দিয়ে সব শুনছি কিন্তু চোখ দুটো খুলতে পারছিনা এখনো।
আবারও সেই এডাল্ট কণ্ঠস্বর বলে উঠলো, "জানালার গ্রীলে মাথা রেখে ঘুমানোর কি দরকার আছে? বালিশটা টেনে খাটে শুয়ে পর তাহলেই হয়।"
আমি নিজের গায়ের সব শক্তি দিয়ে চোখ দুটো খুললাম এবং কিছু সময় মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলাম অদ্ভুতভাবে। একটা সুন্দরী মেয়ে সবুজ রঙ্গা জামা গায়ে ভেজা চুলে দাড়িয়ে আছে তার দুটি হাতে কফির দুটি মগ। ডান হাতে রাখা মগে কিছু সময় পর পর সে চুমুক দিচ্ছে। আমি হাত বাড়িয়ে তার বাম হাতে রাখা মগটি নিলাম।
সে বললো, সারাদিন আজকে পানি ছিলনা রে। এই মাত্র পানি এলো ওয়াশরুমে, গোছল করে ফেললাম তাই , তুই গোছল করলে করে ফেল, আমরা দুই বোন সন্ধ্যায় মার্কেটে যাবো, ভাবছি কিছু নেইল পলিশ কিনবো। এবার আমি আবিষ্কার করলাম এই সিংহী নারী আমার বড় বোন মুক্তা মৃণালিনী..........
৫৫টি মন্তব্য
তৌহিদ
ওয়াও! জাস্ট অসাধারণ লিখেছেন মনি আপু। আত্মার স্বপ্ন দেখার প্রকৃয়াটি আমাকেও শেখাবেন কিন্তু! সাদা পরী, সবুজ পরী দুইবোন যেন হরিহর আত্মা।
ইঞ্জা ভাই হচ্ছেন সাদা জ্বীন 😃😃
আমি মোটেই বউ পাগলা নই, তবে আপনার আপুর টেক কেয়ার করতে ভাল লাগে। তাঁকে সময় দিতে পারিনা ঠিকমতোন বলে কথার ঝুঁড়ির অন্ত নেই ☺
রাজকুমারীকে বুলেট টি খেতে দেখার স্বপ্নে মুক্তা আপু এসে যে সাধের ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলো এর জন্য তার শাস্তি পাওনা কিন্তু। সে সবাইকে স্ন্যাক্স তৈরী করে খাওয়াবে তাইনা?
অফ টপিকে বলি- সুকুমার নয় ওটা সুপায়ন বড়ুয়া দাদা হবে। ঠিক করে দিন।
স্বপ্ন পর্বে আপনার ক্ষুরধার লেখার আবারো প্রমাণ পেলাম। নিয়মিত লিখুন আপু। শুভকামনা সবসময়।
ভালো থাকুন।
মণি কাশফিতা
তৌহিদ ভাই, সত্যিই আমি আজকে খাওয়া, গোছল সবটা রেখে গল্প লিখতে বসেছি সেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই তাই সুপায়ন দাদার পরিবর্তে সুকুমার দাদা হয়েছে। ভাইয়া প্লিজ আমার স্বপ্নটা পূরণ করুন, একটু বউ পাগলা হোন প্লিজ 😀
তৌহিদ
কষ্ট তবে স্বার্থক হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসাধারণ অনবদ্য। মনে হচ্ছিল স্বপ্নের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। খুব খুউব ভালো লেগেছে। তৌহিদ ভাইয়ের বিষয়টি সত্যিই ভালো লেগেছে, বৌ পাগলা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
মণি কাশফিতা
দিদি আমিও ভীষণ খুশি এই জন্যে যে, আপনাকে আমার ডানায় ভর করে স্বপ্ন জগতে কিছুটা স্বস্তি দিতে পেরেছি। আপনিও ভালো থাকুন। বুক ভরা ভালবাসা রইলো অফুরান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হ্যাঁ আপু আপনি সার্থক আমরা সবাই স্বপ্নের জগতে প্রবেশ করেছি আপনার ডানায় ভর করে। আপনার জন্য ও ভালোবাসা অফুরন্ত
সুপায়ন বড়ুয়া
মনি আপা শ্বেত পরী সেজে ইঞ্জা ভাইকে নিয়ে
যেভাবে টমটমে করে শুরুটা করলেন। আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিল ইঞ্জা ভাই যেভাবে ঈগলের ভয় দেখালেন।
পরে বুঝলাম ঈদল বলতে ব্লগারদের বুঝাতে আশ্বস্থ হলাম।
গল্পের ফাঁকে এক এক করে সবাইকে নিয়ে আসলেন। ভাল লাগলো।
ও হ্যাঁ তৌহিদ ভাই কেয়ারি ম্যান বউ পাগলা নয়।
ভাল লাগলো। মিলন মেলা থেকে বেরিয়ে আনলেন।
শুভ কামনা।
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ সুপায়ন বড়ুয়া দাদা, আপনার হার্টবিট বেড়ে উঠায় আমি ঠিক বুঝতে পারছি আপনি নিজেও সে সময় একজন আত্মার ভ্রমণকারী হিসেবে নিজেকে খুব অনুভব করতে পেরেছেন।
ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি পড়।
ইঞ্জা
বাহ চমৎকার, আত্মাকে অন্য লেভেলে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে টমটমে করে সাবিনাপু, মুক্তাপু সহ সোজা রাজ প্রসাদে।
খুব সুন্দর লিখলেন পিচ্চি আপু, মন ভরে গেলো।
মণি কাশফিতা
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া। সত্যিই স্বপ্নগুলো এরকম অদ্ভুত হয় এবং কখনো অর্থবোধক কিংবা অর্থহীন, কখনো স্বচ্ছ কখনো ঘোলাটে। আর তাই আমিও একজন স্বপ্নপ্রেমি।
ইঞ্জা
স্বপ্ন প্রেমিরাই জীবনে উন্নতি করে তা নিশ্চয় জানেন, এগিয়ে যান আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
ম্যাজিকের মতো আপু আপনার স্বপ্নের ভেতর ডুকে পড়েছি, পড়তে পড়তে মন হচ্ছিল যেন সেখানটায় আমিও রয়েছি। দৃশ্য গুলো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ভাসছে।
দু’বার পড়েছি ভাবছি আবার পড়বো।
আমি দারুণ উপভোগ করলাম।
আপনা। চমৎকার লেখনশৈলী সমৃদ্ গল্পের মাধ্যমে আপনার সাথে পরিচিত হলাম সেই সাথে গুনমুগ্ধ।
আমি সোনেলাতে নতুন জয়েন করেছ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
মণি কাশফিতা
খাদিজা আপু আপনাদের একটা স্বপ্ন উপহার দিতে পেরে আমিও ভীষণ আনন্দিত। আপনার চোখে হয়তো কিছুটা শীতলতা এনে দিতে পেরেছি তা আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ, আবারও কোন একটি গল্প উপহার দেবো আপনাদের। যা দ্বারা দুচোখ শীতল হয়ে অন্তরেে প্রশান্তি এনে দিতে পারে ।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনার
নিতাই বাবু
বাঁচা গেলো! কোথাও কোনও চিরিত্রে আমার নাম দেখলাম না, তাই। যাক, তবুও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, বাড়ির পাশের মনির দাদা, আছে বলে। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
মণি কাশফিতা
দাদা আপনিও ছিলেন ঐ এক ঝাঁক ঈগলের মাঝে। তবে আপনাকে ওখান থেকে খুঁজে বের করতে আরও একটু সময় লাগতো কিন্তু ইঞ্জা ভাই যে আমাকে একটা টাইমার মেশিন সেট করে দিয়েছিল তাই খুঁজে বের করার টাইম অটোমেটিক শেষ হয়ে গেল। 😀
নিতাই বাবু
ভাগ্য ভালো আপনার আর আমার ওস্তাদ ইঞ্জা দাদার। সেসময় আমি বের হলে আপনার সমস্যা হতে পারতো। সাথে ইঞ্জা দাদারও। আমি তখন এলিয়েনদের সাথে এই পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করতে ছিলাম। ইশ! তখন যদি আমাকে খুঁজতে খুঁজতে এলিয়েনদের সামনে গিয়ে পড়তেন…!!!
মোঃ মজিবর রহমান
অসাধারণ গল্প। এই রকম গল্প পড়তে খুবই ভাল লাগে চলে যায় ঐ আত্বাতেই। আত্বাভ্রমণ অপুর্ব লাগল। মনি কাশফিয়া।
কতসুন্দর গল্পের অবতারনা করলে তা আমি অবাক হলাম। পুর্বের স্বপ্ন গুলির চেয়ে এটি আলাদা স্বাদ দিল মনি।
শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুন।
মণি কাশফিতা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আসলে
আপনি ঠিকই বলেছেন, আমারও কিন্তু বেশ ভালো লাগে এসব গল্পে ও স্বপ্নরাজ্যে বাস করতে। আত্মার প্রশান্তি পেতে হলে ঐ রূপ, রং ও প্রকৃতির সাথে কিছু সময় থাকা খুব প্রয়োজন।
মোঃ মজিবর রহমান
আত্মার প্রশান্তি পেতে হলে ঐ রূপ, রং ও প্রকৃতির সাথে কিছু সময় থাকা খুব প্রয়োজন
খুব ভাল কথা বলেছ বোনটি। সহমত আপনার কথায়।
প্রকৃতি মানুষকে দেখেই ভাবতে শিখায়, দাড়িয়ে থেকে থাকাও শিখায়। পাতা পরা দেখা, শুকনা পাতা পায়ের তলায় মুচুর মুচুর শব্দে ভাবতেও শিখায়। আবার রাতের পুর্নি ও অন্ধকার দেখায় না দেখায় বুঝতে শিখায়
সিকদার সাদ রহমান
সবার স্বপ্ন নিয়ে লেখা গুলো দেখে সত্যিই অবাক হচ্ছি। লেখকের শব্দ ভান্ডার অসীম। অনায়াসে তাই দিয়ে সাজিয়ে চলেছেন নিজ গল্প পর্যায়ক্রমে।
গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে । আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এতো এতো সুন্দর স্বপ্নের মাঝে আমার স্বপ্ন দেখা বিলীন না হয়ে যায়।
মণি কাশফিতা
ভাইয়া, দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। একদম রিফ্রেশ মাইন্ডে স্বপ্ন দেখুন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে ফেলুন। মনটাকে আকাশের মত বিশাল রাখুন। শুভকামনা রইল অফুরান।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লেখেছেন মনি আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল————
মণি কাশফিতা
ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল অফুরান।
রেহানা বীথি
হুট করে এসে হাট করে চলে গেল স্বপ্নের আত্মা, আর সেই আত্মার স্বপ্নে ভেসে গেল সবাই ভালোলাগায়।৷
সুন্দর লিখেছেন।
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ বীথি আপু। আমার স্বপ্নরাজ্যের এক মগ বুলেট কফির মিষ্টি শুভেচ্ছা আপনার জন্যেে এবং সেই সাথে অকৃত্রিম ভালবাসা উপঢৌকন রইল।
শবনম মোস্তারী
অনেক উচ্চমার্গীয় স্বপ্ন।
ভালো লাগলো।
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ গল্পের শবনম ভাবি অবশ্য বেসিকেলি আমি আপনাকে আপু বলে থাকি। আমারও ভালো লেগেছে আপনার উপস্থিতিতে স্বপ্নমহলে এবং এই মন্তব্য মহলেও।
উর্বশী
খুব ভাল লেগেছে তোমার লেখা সুইটি। স্বপ্নের মাঝে সবাই আনন্দের বন্যায় ভেসে গিয়েছে এক অপরুপ ভালোবাসায়।তবে ইঞ্জা ভাইয়ের সাদা টমটমে জায়গা ছিলনা বলেই হয়তো তোমাদের সফর সংগী হইনি।কিন্তু দূর থেকে রাস্তার মোড় ঘুরতেই আধো, আধো ছায়াতেঁ ,তোমাদের ভাল লাগা গুলো জড়িয়েছিলাম আমার কোমল মনের মায়াতে।
আমায় চিনতে পেরেছো তো? সাদা পরী,সবুজ পরীরা আমার এভাবেই ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকুক।দোয়া ও শুভ কামনা।
মণি কাশফিতা
বুবু তুমি উর্বশী নামে এখানে আছো আমি তো টের পাই নাই। হুমমম তুমি ঠিকই বলেছো টমটমেে তোমার জায়গা হয় নাই। সম্ভবত ঐ পাগলাটে টমটমওয়ালা তুমিই ছিলে গা ঢাকা দিয়ে। ইশ যদি টমটমওয়ালার মুখটা একবার দেখে নিতাম তাহলে হয়তো তোমাকে চিনতে ভুল হতো না।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
অপূর্ব লেখনী। আত্মার স্বপ্নে বিচরণ খুব ভালো লেগেছে।
মণি কাশফিতা
অশেষ ধন্যবাদ আপু। ভালবাসা ও শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি
ছাইরাছ হেলাল
লেখায় ভূত আর ভূতছানা এনেছেন দেখে ভালো লেগেছে,
ভূতদের আমার খুব পছন্দ।
স্বপ্ন স্বপ্ন গুলো না ভেঙ্গে গেলেই ভাল হতো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সমস্যা নেই ভাইয়া ভূতের সাথে বেঁধে রাখার আন্তরিক প্রার্থনা রইলো পরবর্তী লেখকের কাছে
মণি কাশফিতা
হুমমম ঠিকই বলছেন ভূতপ্রেমি ভাইয়া, স্বপ্নটা ভেঙে না গেলেই ভালো হতো। ভূতছানার আরও কিছু অদ্ভুত কাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারা যেতো। ভালো থাকবেন আপনি। আর ভালো থাকুক সেই ভূত ও ভূতছানা। সব স্বপ্ন পূরণ হোক ভূতছানাটার।
সাদিয়া শারমীন
বাপরে!! ভূতের স্বপ্ন! ভয়ে কিন্তু গা ছমছম করছিলো গল্প পড়ার সময়। চমৎকার হয়েছে গল্প।
মণি কাশফিতা
হি হি হি হি…👻👻. ভূত ও ভূতছানার পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা সাদিয়া শারমিন আপুর জন্য। আমাদের ভূতের পল্লীতে আপনাকে নেমন্তন্ন রইলো 🧟♂🧟♂হি হি হি হি
রেজওয়ানা কবির
এককথায় অসাধারন।খুব ভালো লাগলো এই পর্বটি।
মণি কাশফিতা
অজস্র ভালবাসা ও ধন্যবাদ রইলো রেজওয়ানা আপুর জন্য। ❤❤❤
শিরিন হক
এত এত স্বপ্নের মাঝে আমার স্বপ্নের ঠাঁই কি হবে 🙄
আত্মার স্বপে সবাইকে নিয়ে বেশে লিখেছেন।
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ শিরিন আপু আপনাকে। অফুরন্ত ভালোবাসা আপনার জন্যে রইলো ❤❤❤❤
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ শিরিন আপু আপনাকে। অফুরন্ত ভালোবাসা আপনার জন্যে রইলো ❤❤❤❤
রোকসানা খন্দকার রুকু।
কাল পড়েছিলাম হরহর করে।কারন বুলেট কফি পড়ে কফি তেষ্টা পেয়ে গিয়েছিল।আজ কফি নিয়েই বসেছি।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেকবার পড়লাম।কফির মতই স্বাদ শেষ হচ্ছে না আপু।মনে হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর লেখা পড়ছি।কি অসাধারণ পিচ্চি আপু তুমি।এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্মার্ট স্বপ্ন। ভীষন ভীষন ভালো লাগলো।
মণি কাশফিতা
এক মগ কফির মতো মিষ্টি ভালোবাসা রইলো আপু আপনার প্রতি এবং অসংখ্য ধন্যবাদ। আপু আপনার মনে হয়েছে আমার লেখা পড়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ছেন 😍 হুমমম
হতেও পারে হুমায়ুন আহমেদের সূতীক্ষ্ণ লেখনীর প্রতিফলন রয়েছে আমার লিখায়। 😘😘😘
সাবিনা ইয়াসমিন
এইরে,,,, লেখা পড়তে এসে প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা হয়ে গেলো। এই পর্ব্ব পড়ার আগে একটা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে ফেলেছিলাম 😥😥
দেখি, সকাল সকাল স্বপ্নের ইঞ্জা ভাইজান টমটম নিয়ে আমার বাসায় এলেন। আমি কেবল সকালের চায়ে একটা টোস্ট বিস্কিট ডুবিয়েছি! অমনি সে হাজির। লাল শাড়ি পরে তার ভুতুড়ে টমটমে উঠে বসতে বললেন। বসতে গিয়ে দেখি মৃনালিনী আগেই বসে ঠোঁটে তিন কালারের লিপস্টিক মাখছে!
প্রথমে ভাবলাম লাল টুকটুকে শাড়ি পরে মুক্তা মৃণালিনীর সাথে কোনো বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পরে দেখলাম টমটম গাড়ি গিয়ে হাজির হয়েছে তোমার বাড়ির সামনে। মৃণালিনী সেজেই যাচ্ছে, আর এইদিকে ইঞ্জা ভাইজান আমাদের একদম কথাবার্তা বলতে নিষেধ করে দিয়েছেন 🙄🙄
অবস্থা দেখে আমি ভেবে ছিলাম আমরা হয়তো কাউন্ট ড্রাকুলার প্রাসাদে যাচ্ছি, স্বেচ্ছায় ভুতনী হতে। এখন তোমার স্বপ্নে বাকিটা দেখতে পেয়ে মনের ভয় কেটেছে 🙂 🙂
অপুর্ব একটা পর্ব লিখেছো মণি,, দারুন এবং অসাধারণ একটা লেখা। গল্পের থীম, ট্রাভেলার, আত্মা, তিতলী, বুলেট কফি, সোনেলা ব্লগার সবাইকে নিয়ে চমৎকার গল্প হয়েছে এটা। এক্সিলেন্ট!!
মণি কাশফিতা
সাবিনা আপু আপনার ভয়ংকর স্বপ্নটা আমার কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম উড়া ধুরা, পাগলু পাগলু, ভয়ংকর স্বপ্ন আমার ভালোই লাগে। ইদানীং খালি সুযোগ পেলেই চোখ বন্ধ করে রাখি যদি কিছু………..😍😍😍😍
মণি কাশফিতা
সাবিনা আপু, আমার কিন্তু একটা স্মার্ট
ভূতছানাও ছিল 😘😘😘 ভূতছানাটা কিন্তু আমার ভীষণ প্রিয় একটা ছানা। অনেক ভালবাসি ভূতছানাটাকে 😘😘😘
সাবিনা ইয়াসমিন
ভূত ছানাটিকে একদিন নিয়ে এসে আমাদেরও দেখতে দিও। পোষ মানা ভূত কেমন হয় আমরাও দেখতে চাই 🙂
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ আপু, অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।
সুরাইয়া নার্গিস
ভালো লাগছে লেখাটা।
মণি কাশফিতা
ধন্যবাদ আপু, অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো অফুরন্ত।
সুরাইয়া নার্গিস
স্বাগতম আপু,নিয়মিত এমন লেখা চাই।
ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
অদ্ভুত সুন্দর একটি গল্প পড়ে মন তৃপ্তিতে ভরে গেলো ছোট আপু। লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে আটকে রেখে পলকহীন ভাবে গল্প সমাপ্ত করার মত লেখা এটি। প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
Astra travel সম্পর্কে জানতে হবে তো। মজার একটা সাবজেক্ট পেলাম।
এত ভালো একজন লেখককে আমরা নিয়মিত সোনেলায় পাইনা, ব্যাড লাক আমাদের।
শুভ কামনা ছোটো আপু।
মণি কাশফিতা
ভাইয়া, প্রথমেই বলে নিচ্ছি very very sorry.
যথার্থ সময়েে আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারিনি। আমি বেশ কিছু দিন অনলাইনে অনুপস্থিত ছিলাম জণ্ডিসে আক্রান্ত থাকায়। এখন মোটামুটি সুস্থ হয়ে অনলাইনে এসে আপনার কমেন্ট পড়লাম। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার কমেন্ট পড়ে। আসলে কি ভাইয়া আমার ইচ্ছে থাকে এখানে আসবো সবার লেখা পড়বো এবং কিছু লিখবো কিন্তু কোন না কোন ঝামেলায় ইচ্ছেটা পূরণ হয়না।