
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি, ঘুম আসছে না। অথচ ঘুম আসাটা বেশ জরুরি। নাহ্ কিছুতেই ঘুম আসছে না। জানেন তো এমনই হয়, মাথায় কিছু একটা ঘুরপাক খেলে সবার আগে আমার ঘুম যায় চটকে। বড্ড অধৈর্য কিনা! কিন্তু আজ তো স্থির হয়ে শান্ত মনে প্ল্যান করতে হবে। সবার স্বপ্ন গল্পে দেশ বিদেশ নামাদামী মানুষদের সাথে দেখা সাক্ষাত আলাপ আলোচনা হয়েছে। এই তো সেদিন আমাদের সবার প্রিয় সুপর্ণা দিদিভাই এর গল্পে ব্যাটা লুইচ্ছা ট্রামকে আচ্ছা মতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়লো। কিন্তু আমি এমন কিছু স্বপ্ন দেখতে চাই না বাপু। আমার মাথায় অন্য চিন্তা ঘুরঘুর করছে। যা হোক আগে তো ঘুমানো যাক।
মনে মনে যা পরিকল্পনা করেছি তা নিয়ে আগে জিসান ভাইয়ার সাথে আলোচনা করতে ফোন দিলাম ভাইয়াকে। ফোন রিসিভ করেই ভাইয়া বললেন
-ছোট আপু বলেন কী খবর?
-ভাইয়া আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর সেটা আপনাকে জানাতেই ফোন দিলাম।
– জ্বী ছোট আপু বলেন।
– ভাইয়া আমি সোনেলার সবাইকে আমার বাসায় ইনভাইট করতে চাই। আমি চাই সবাই আমার এখানে এসে আমার ছোট শহরের দর্শনীয় স্থান গুলো দেখুক। আপনি কী বলেন?
– ছোট আপু এটা তো ভালোই ভেবেছেন। কিন্তু আমি তো একা কিছু বলতে পারবো না। আচ্ছা আপনি একটু অপেক্ষা করুন আমি হেলালের সাথে কথা বলে জানাচ্ছি।
-ঠিক আছে ভাইয়া আমি আপনার ফোনের জন্য অপেক্ষা করছি।
ভীষণ টেনশন হচ্ছে ভাইয়া কী বলবে এই ভেবে? কিন্তু আমার মাথায় যখন এসেছে তখন যদি সবাইকে বাসায় না আনতে পারি তবে স্বস্তি পাবো না। ধুর! অপেক্ষার টেনশন একদম নিতে পারছি না। কখন যে ভাইয়া ফোন করবেন? একবার ফোন হাতে নিচ্ছি ভাইয়াকে কল দেবো ভেবে পরক্ষণে আবার মনে হচ্ছে ভাইয়া তো বলেছেন ফোন দেবেন তবুও যদি আগ বাড়িয়ে ফোন দিই খারাপ দেখাবে ব্যাপারটা। কি আর করার একটু অপেক্ষা করিই না হয়। এমন সময় ভাইয়ার ফোন এলো।
– ছোট আপু আমি হেলালের সাথে কথা বললাম। ও বললো যাওয়া যায় তবে এতো গুলো মানুষের দ্বায়িত্ব ঐ পিচ্চি মেয়েটি নিতে পারবে?
– ভাইয়া একদম চিন্তা করতে হবে না। আমি সবটা সামলে নেবো। কিন্তু আপনাকে একটা কাজ করতে হবে। সব ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিতে হবে ভাইয়া।
– সে ঠিক আছে ছোট আপু। আমি সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি সাথে কে কে যেতে আগ্রহী সেটাও আপনাকে বলছি।
– আচ্ছা ভাইয়া।
ভাইয়া সবার সাথে কথা বলে আমাকে কল দিলেন। বললেন
– ছোট আপু সবাই রাজী হয়েছেন। আমরা আসছি আপনার শহরে।
হিপ হিপ হুররে বলেই চেঁচিয়ে উঠলাম ফোন কানে ধরেই। ভাইয়া যে লাইনের আছে বেমালুম ভুলে গেলাম। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে শুধু মৃদু হাসির আওয়াজ পেলাম। কিছু টা লজ্জা পেয়ে ভাইয়াকে সরি বলে ফোন রেখে দিলাম।
এবার লিস্ট বানাতে বসে পরলাম। আগে সবার পছন্দের খাবার গুলো লিস্ট করতে শুরু করলাম।
প্রথমেই মনে পড়ে গেলো কালাভুনার কথা। কালাভুনা আমার দুটো প্রিয় মানুষের পছন্দ।
১। সাবিনা আপু সহ আরো একজনের জন্য কালাভুনা করতে হবে। আপু নিজেই বলেছিলেন যদি কালাভুনা করি তবে উনাকেও যেনো দিই। কতদিন খাননি বলেছিলেন। আহারে! আমার খুব ইচ্ছে ছিল আপুকে নিজের হাতে কালাভুনা খাওয়াবো। এবার সেই ইচ্ছেটা পূর্ণ হবে।
২। হেলাল ভাইয়া ও শামীম দাদাভাইয়ের জন্য চিকেন রোস্ট। উনারা কিটো ফিটো করেন তাই সেভাবেই রান্নাটা করতে হবে।
৩। বন্যা আপুর জন্য ভাবছি দুটো আইটেম করবো। ইংলিশ পোলাও আর ঝাল ঝাল চ্যাপা শুঁটকি ভুনা। আপুকে বলেছিলাম চ্যাপা শুঁটকি রেসিপিটা দিতে কিন্তু উনি এতোই ব্যস্ত যে ভুলেই গেছেন। কিন্তু আমিও কি ছাড়ার পাত্রী? ঠিকই শিখে নিয়েছি।
৪। তৌহিদ ভাইয়া ও ভাবীর জন্য রাজহাঁসের মাংস ভুনা করবো। সে বার যখন অর্ণবের জন্য রেঁধে নিয়ে গিয়েছিলাম ভাইয়া বলেছিলেন একা একা না খেতে।
৫। বিথী আপু আর দুলাভাইয়ের জন্য গরুর মাংস ভুনা।
৬। রুকু আপুর জন্য খাসির নলা। বেচারী আপু আমার নলা ভেবে স্বপ্নে কি সব খাচ্ছিল
৭। সুপর্ণা দিদি, সুপায়ন দাদা, নিতাই দাদা, সঞ্জয় দাদা, প্রদীপ দাদার জন্য খাসির রেজালা করবো সাথে দেশি মুরগির রোস্ট থাকবে।
৮। মমি ভাইয়া ও ইঞ্জা ভাইয়ার জন্য সব আইটেম ই থাকবে। উনারা নিজেদের পছন্দ মতো খাবেন।৯
৯। আরজু আপুর জন্য রসমালাই, রসমঞ্জুরী আর বগুড়ার স্পেশাল দই।
১০। কোবরা আপু অসুস্থ শুনেছিলাম। তাই আপুর জন্য বেশ স্বাস্থ্যসম্মত বোয়াল মাছের পাতলা ঝোল রাখবো।
নাজমুল হুদা, শামীনুল হক হীরা, উর্বশী , সুরাইয়া নার্গিস, দালান জাহান, আলমগীর সরকার লিটন, হালিম নজরুল ফয়জল মহী, মাহবুবুর রহমান, ইসিয়াক, কামাল উদ্দিন,কামরুল ইসলাম,মজিবর রহমান, খুরশীদ আলম পপি, তালুকদার, রেজওয়ানা কবির, মুহাম্মদ মাসুদ, শামসুল মাওলা হৃদয়,সাফায়েতুল ইসলাম,তোফাজ্জল হোসেন সহ সব ভাইয়া আপুদের জন্য চিকেন বিরিয়ানি,কাচ্চি বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস।
মাছের মধ্যে রুই মাছের কালিয়া, কাতল মাছের ভুনা, বোয়াল মাছের ঝোল, মলা মাছের চ্চড়ি, সিং মাছের ভুনা।
মিষ্টির মধ্যে থাকবে হাড়িয়া ভাঙ্গা, স্পঞ্জ, দুধকুমারী, লাড্ডু, মালাইকেক, নারিকেল সন্দেশ, ছানার মিষ্টি ইত্যাদি।
মোটামুটি এই হলো লিস্ট। লিস্ট হাতে নিয়ে নিজেই বেড়িয়ে পড়লাম বাজারে। কাউকে ভরসা করা যাবে না এবার। স্পেশাল মানুষের জন্য সব কিছু স্পেশাল হওয়া চাই। রিক্স না নিয়ে নিজেই বাজার করে নিলাম। ফিরে এসে একে একে সবকিছু রান্না করলাম নিজের হাতে। অবশ্য সবকিছু জোগান দেবার জন্য মেজভাবী ছিলো। রান্না বান্না শেষ করে গুছিয়ে রেখে অপেক্ষা করছি। এমন সময় জিসান ভাইয়ার ফোন এলো।
– ছোট আপু কোথায় আপনি? আমরা তো জয়পুরহাটে এসে গেছি।
– ভাইয়া আমি আসছি। জাস্ট দু মিনিট।
আমি সবাইকে রিসিভ করতে এসে সারপ্রাইজ হয়ে গেছি। জিসান ভাইয়া সবার সাথে অর্ণবকেও নিয়ে এসেছে। আমি বলিনি তবুও কী করে বুঝলো? এই মানুষটি উপস্থিতি আমাকে কতটা আনন্দ দেয় ,প্রাণবন্ত করে তোলে। মনে মনে অনেক ধন্যবাদ জানালাম জিসান ভাইয়াকে। দৌড়ে গিয়ে বন্যা আপুকে জড়িয়ে ধরলাম। আহ্ কি প্রশান্তি! একে একে সাবিনা আপু, বিথী আপু আরজু আপু, সুপর্ণা দি সবার সাথে আলিঙ্গন দেখে পুরুষ মহল বলে উঠলেন আপু আমরাও এসেছি। আমাদের দিকেও একটু খেয়াল করুণ। এই নিয়ে বেশ একটা হাসাহাসি হলো। সবাইকে নিয়ে চলে এলাম বাসায়। ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে লাঞ্চ সেরে নিলাম। তারপর যে তার মতো ভাত ঘুম দিলেন। সন্ধ্যায় চা নাস্তার আড্ডায় বসে ঠিক করা হলো পরের প্ল্যান কি? জিসান ভাইয়া বললেন ছোট আপু আপনিই বলেন পরের প্ল্যান কী? আমি বললাম চা চক্র শেষ করে পুরো জয়পুরহাট শহরটা ঘুরে দেখে বাসায় এসে ডিনার সেরে নিয়ে কফি আড্ডা। তখনই অর্ণব বলে উঠলো তোর মতলবটা কি রে! আজ কাউকে ঘুমাতে দিবি না। এমন সময় মহিলা মহল এক যোগে বলে উঠলেন সারাজীবন ঘুমিয়েছেন আজ না হয় নাই বা ঘুমালেন।
হেলাল ভাইয়া বললেন তারপর কী হবে?
কফি আড্ডার সাথে থাকবে নাচ গান কবিতা আবৃত্তি। তারপর দুটোর মধ্যে সবাই ঘুমে যাবো। ভোরে উঠে নাস্তা রেডি করে সবাই বেড়িয়ে পড়বো। এক এক করে জয়পুরহাটে থাকা সমস্ত দর্শনীয় স্থান ঘুরবো। প্রথমে শিশু উদ্যান, তারপর আলতা দিঘী, পাহাড়পুর, নান্দাইল দিঘী,,,,,
তৌহিদ ভাইয়া বলে উঠলেন আপু একদিনে এতো জায়গা ঘোরা সম্ভব! বিথী আপু বললেন একদিন কেনো আছি তো কিছুদিন। বন্যাআপু বললেন ঠিকই তো ছোট বোনের বাড়ি এসেছি থাকবো না কিছু দিন? সাবিনা আপু বললেন কী হচ্ছে ময়না মেয়েটিকে ভয় দেখাচ্ছো কেনো? হেলাল ভাইয়া বলে উঠলেন। ভয়! তাও সুরাইয়ার? এই মেয়েটি আদৌও ভয় পায় বলে আপনার মনে হয়? নাজমুল, শামীম ভাইয়া একযোগে বলে উঠলেন ঠিকই তো আমাদের আপু একদম ভয় পায় না। সুপায়ণ দাদা বললেন আপু কিন্তু বেশ গুছিয়ে আয়োজন করেছেন। কে বলবে উনি আমাদের ছোট?
এরপর সবাই এমন ভাবে বলতে শুরু করলো আমি বেচারী লজ্জায় মরে যাই উপক্রম। সন্ধ্যার আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। মনে হচ্ছে না এই আড্ডা ছেড়ে কেউ বের হতে চাইবে। আমিও চুপচাপ বসে বসে উপভোগ করছি আড্ডা। এমন সময় নিতাই দাদা বললেন চলেন এবার শহরটা ঘুরে দেখি। আমাদের সবার মধ্যমনি দুলামিয়াও বললেন চলেন চলেন। এমন সময় তিতলীর ডাক ডাক মাম্মাম হাঁটতে যাবে না? পাঁচ বেজে গেছে তো।
বিঃদ্রঃ সোনেলার সবার আমার বাড়িতে আসা এটা আমি সত্যি সত্যি স্বপ্নে দেখেছি আরো কয়েক মাস আগে। যখন দেখলাম স্বপ্ন গল্প লিখতে শুরু করেছেন সেদিনই ঠিক করেছিলাম আপনাদের নিয়ে যা স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটাই লিখবো। লিখেও ফেললাম।
৪৭টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
সহবগ্লারদের প্রতি অগাধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আপনার স্বপ্ন। শুভেচ্ছা ও আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রিয় সিস্টার। ডায়াবেটিস থাকার কারণে আপনার মুখরোচক খাবার খেতে বারণ। হাঃহাঃ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাইয়া আমার সাথে চলেন।
আকাশনীলা
আপু আপনিও
আহারে কী দুঃখ 😀😀
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
নাজমুল হুদা, শামীনুল হক হীরা, উর্বশী , সুরাইয়া নার্গিস, দালান জাহান, আলমগীর সরকার লিটন, হালিম নজরুল ফয়জল মহী,*****
লেবু পানি খাইয়ে আনি। আপনি ঠিকই তারপর খেতে পারবেন॥
আকাশনীলা
কী আর করা যাবে বলুন
সবাই খাবে আর আপনি বসে বসে থাকবেন 😁
ভালো থাকুন সবসময়
রেজওয়ানা কবির
স্বপ্ন যার যেমন ইচ্ছা তেমনই দেখতে পারে।আপনার স্বপ্নে অনেক অনেক খাবারের আয়োজন আপু খুব ভালো লাগল, কিন্তু আমি বিরিয়ানি কম খাই।সবার আলাদা আলাদা রেসিপি আর আমার😭😭এইজন্য আমি আপনার স্বপ্নে খাওয়াদাওয়া করি নি। আর অর্নব কে এইটা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। জয়পুরহাট আমি আগেও গিয়েছি, আপনার স্বপ্নে সোনেলার সবার সাথে গিয়ে ভালো লাগল।ভালো লিখেছেন, নিজের মত করে। শুভকামনা আপু।
বন্যা লিপি
রেজোয়ানা কবীর@ অনন্য অর্ণব হলের ব্লগার ত্রিস্তান। যিনি এখন ব্লগে একরকম আসেনই না বলা চলে। অর্ণব আর সুরাইয়া দুজন খুব ভালো বন্ধু।
রেজওয়ানা কবির
ও আচ্ছা ধন্যবাদ বন্যা আপু।
সুরাইয়া পারভীন
রেজোওয়ানা আপু আবার যদি কখনো জয়পুরহাট আসেন অবশ্যই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ
ভালো থাকুন সবসময়
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার স্বপ্ন লিখলেন, বেশ মজা করে পড়লাম,
হাসি আনন্দ উল্লাসে মেতে।
ধন্যবাদ প্রিয় দিদি, ভালো থাকবেন শুভ কামনা ।
আকাশনীলা
স্বপ্ন গল্প পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
ভালো থাকুন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
সুরাইয়া কামডা কিন্তু ভালো হইলোনা আমি ও স্বপ্নে দেখেছি সবার স্পেশাল রেসিপিতে ভাগ বসালে আমার অসুখ সেরে যাবে। সব ভালো খাবার গুলোই আমার চাই শুধু মাছের ঝোলে হবে না। আর কে কি করবে জানিনা আমি তোমার বাড়িতে বেড়াবো অনেক দিন মনের আনন্দে। অমন শেফের হাতের মজার মজার খাবারের সুযোগ কে হাতছাড়া করে বলো। আপুর স্বপ্ন গল্প পড়ে স্বপ্ন মনে হলোনা। এতো দরদ মেশানো আতিথেয়তা ফুটে উঠেছে লেখায় সত্যি অনবদ্য। আমি যেন তোমার বাড়িতে বসে উপভোগ করলাম পুরো সময়টা।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল স্বপ্ন গল্পের জন্য এবং তোমার জন্য।
খাওয়া কিন্তু উসুল করবো বাস্তবে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার নলীটা আপনাকে দিলাম। আহারে! বেচারী আমাশয় রোগী এভাবে পাতলা ঝোল!!!! কান্দন বেড়াইল!
আর আমার আয়োজনের সকল আইটেম চাই। কারন আমি খাই বেশি। পরিবারের ছোট হওয়ায় কাজের চেয়ে মুখ চলে সারাক্ষন।
আমি গেলাম “হোটেল নাজ গার্ডেন” এ খেতে।
খাদিজাতুল কুবরা
রুকু আপু খাওয়া দাওয়া থুইয়া তুমি আমার পিছনে লাগলা কেন। আমি একটু খাইতে পছন্দ করি। এরম করলে সুরাইয়ার বাড়ি বেড়ানো শেষে তোমার বাড়ি রওনা দিবো কিন্তু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হুম তো কখন বললাম এসো না। আসার সময় যা যা আমার জন্য নিবা ঠিকঠাক গুনে নিও। নোয়াখালী থেকে আসতে অনেক টাকা লাগবে পকেটও চেক করে নিও কিংবা কার্ড সাথে নিতে ভুলোনা।
আকাশনীলা
হা হা হা হা
রুকু আপু আপনি তো হেব্বি মজার মানুষ গো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আকাশনীলা
আচ্ছা বেশ আপনি আপনার ইচ্ছে মতোই সব গুলো আইটেম খেয়ে নিবেন এতে যদি সুস্থ হয়ে যান সে তো অনেক ভালো কথা বলুন। কোবরা আপু যদি কখনো সম্ভব হয় অবশ্যই আসবেন জয়পুরহাটে। ভালোবাসা রইলো
ভালো থাকুন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
দাওয়াত পেয়ে আপ্লূত হলাম আপু।
ইনশাআল্লাহ আশা রাখছি যেন আমাদের দেখা হয়।
মনির হোসেন মমি
মমি ভাইয়া ও ইঞ্জা ভাইয়ার জন্য সব আইটেম ই থাকবে। উনারা নিজেদের পছন্দ মতো খাবেন।
একসিলেন্স আইডিয়া।এতো সুন্দর বাস্তব স্বপ্ন দেখলেন কিছু হিসাব ছিলো-এই যে এতো রকমের রান্না কতজন মিলে রাধলেন? একা কী সম্ভব?কত দিন ছিলাম তাও স্প্ট নয়-আসলে স্বপ্ন এমনি হয় কখন কোথায় কোন দিক নির্দেশনা থাকে না।
বর্ননা উপস্থাপনায় দারুণ দক্ষতা।
।
আকাশনীলা
আরে ধুর! রান্না বান্না সবটায় তো স্বপ্নে
এতো হিসেব নিকেশ না করে মজা করে খেয়ে নিন ভাইয়া😁😁
বন্যা লিপি
এই তাহলে তোমার সেই সত্যি দেখা সত্য স্বপ্ন? বাহ্…স্বপ্নও এত গোছানো? আর আমি খালি ইলিশপোলাও চ্যাপা শুঁটকি খাব? আর বাকীগুলা অন্য সবাই? হবে না। আমি সবার ভাগে ভাগ বসাবো। দেখি আমাকে কেউ বাঁধা দেয় কিনা? এত্ত এত্ত খাবার একলা রানলা কেমনে সেই ভাইবাই তো মাথা চক্কর দিতাছে। অবশ্য স্বপ্ন তো! সবই সম্ভব। জয়পুরহাটে যাব আর ২/৩দিন থাকব না তাই হয়? পোষাবে অল্প সময়ে বেড়িয়ে? ভালো লিখেছো।শুভ কামনা।
আকাশনীলা
চলে আসুন আপু সপ্তা খানেকের জন্য। বোনের বাড়ি বলে কথা। স্বপ্ন গল্পই তবে বানানো হয় যেমনটা দেখেছিলাম তেমনই লিখেছি। উঁহু স্বপ্নেই তো রেঁধেছি😀😀
ছাইরাছ হেলাল
খালি খাওনা আর খাওন !! যারা খায়-টায় তাদের জন্য ঘুরন্তিস তো কিছু পাইলাম না।
তবে স্বপ্নে স্বপ্নে দাওয়াত আর খাওয়া !! এই তরিকা খুব সহজ !!
তবে সব লেখায় ই হপ্পন কেন থাকতেই হবে এটি আমার বুঝে আসেনি।
কষ্ট করে এবারে সত্যি সত্যি দাওয়াত দিয়েই ফেলুন। দেখি না কী কী হয়!!
আকাশনীলা
অবশ্যই ইচ্ছে আছে ভাইয়া
স্মৃতি সত্যিই দাওয়াত দিয়ে আনার
জানি না এটা আদৌও সম্ভব কিনা
যদি কখনো সুযোগ আসে
স্বপ্ন সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ
হালিম নজরুল
এতকিছু রান্না করেছো যে সোনেলার কারো আগামী এক বছরে আর অন্য কারো বাসায় দাওয়াত খাওয়া লাগবে না। তবে পানবিবির পান কই! ম্যডাম মাইন্ড করলে তো খবর আছে!
সুরাইয়া পারভীন
ও মা আপনি পান বিড়িও খান!
এই দিনের জন্য সব ছাড়। পান বিড়ির ব্যবস্থাও করবো নি😁😁
ভালো থাকুন সবসময়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবার জন্য আলাদা আইটেম কেন করলেন! শুধু কালো ভূনাটা আলাদা করলেই তো হতো। এমন কম খেলে চলবে কেমনে সবার! আরো কয়েকদিন ঘুরতে হবে জয়পুরহাটে। নাজমুল ভাইয়ের বিষয়টা সুরাহা কে করবে দেখি? বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
রোকসানা খন্দকার রুকু
দিদি কালো ভুনা আলাদা কেন?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওটা যে আমি খাইনা তাই আপু ☹️☹️
সুরাইয়া পারভীন
ঠিকই তো। কিন্তু স্বপ্ন যেমন দেখেছি তেমনই লিখেছি
দিদিভাই। আমরা সবাই মিলে তার সুরাহা করবো 😁😁
ভালো থাকুন সবসময়
রেহানা বীথি
সত্যিই, খুব গোছানো সুন্দর স্বপ্ন, আপনার রান্নার মতোই আপু। রহস্যটা বুঝলাম না, গরুর মাংসের ভুনা যে আমাদের সবচেয়ে প্রিয়, তা জানলেন কেমন করে? আপনি কি জাদু জানেন আপু?
ঠিকই তো, ছোটবোনের বাড়ি গিয়ে দু’দিন না বেড়ালে হয়? যে বোনের রান্নার হাত এত ভালো!
সুরাইয়া পারভীন
কোনো কথা হবে না। বোনের বাড়িতে সপ্তাহ খানের জন্য চলে আসেন। সে আমি জানি😁😁
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
ভালো থাকুন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
সময় বদলে গেছে। আমরা এখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। লোককে খাওয়ানো কঠিন কাজ॥ সবাই করেও না।
ভালো মনের মানুষরা খাওয়াতে পছন্দ করেন। আপনিও সেই দলে পড়ে গেলেন।
নলী আমার পছন্দের। সেজন্য ধন্যবাদ।
আমিও ভাবি কেউ কাউকে চিনিনা অথচ আড্ডা, মজা, দুষ্টুমি সবই হয়। আল্লাহ ভালো দিন দিক আমরা যেন সত্যিই এমন মজা করতে পারি।
শুভ কামনা ও ভালোবাসা রইল ছোটআপু।
সুরাইয়া পারভীন
ইনশাআল্লাহ আপু। সত্যি সত্যিই একদম এমন মজা করবো আমরা সবাই মিলে। আমার বাড়িতে এসে কেউ অভুক্ত যায় না আপু। আমি আমার সাধ্যমত খাওয়ানোর চেষ্টা করি
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্ন না হয়ে সত্যি হলে কিযে মজা হতো
নানান খাবার স্বপ্নপুরি সবই দেখা যেতো।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আমিও চাই দাদা
এই স্বপ্ন গুলো সত্যি হোক
ভালো দিন আসুক
আমরা আবার মজা করবো এক সাথে
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো
শামীম চৌধুরী
ইশশশশশ…!! তিতলিটাও আর সময় পেল না। এমন সময় ডেকে উঠলো সবই ভেস্তে গেল।
আমার আদরের ছোট্ট বোন যে আমার লাইফস্টাইল মোডিফায়ারের কথাটা মাথায় রেখে মোরগের রোষ্ট করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আমি কিটো করি না আপু। আমি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগমুক্ত সুস্থ জীবন গড়ে তুলছি। আপনার হাতের রান্না এতই এতই মজা লেগেছিলো যে তখন বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলাম আমি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে আছি। আপনাকে না দেখিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কিন্তু সবই খেয়েছি। আহা…. কি যে স্বাদের রান্না ছিল। স্বপ্নটা যদি বাস্তবে হতো তবে কতই না মজা হতো।
দারুন একটা স্বপ্ন দেখালেন আপু।
খাবার চলুক অবিরত। হোক না স্বপ্ন।
সুরাইয়া পারভীন
আমি চাই দাদাভাই
এই স্বপ্ন সত্যি হোক
এতো খাওয়াতে না পারলে কিছু তো খাওয়াতে পারবো
সাথে থাকবে অজস্র আনন্দ উল্লাস মজা
ভালো থাকুন সবসময়
মোঃ মজিবর রহমান
হেলাল ভাই ও শামীম ভাই চিকন তাই চিকেন রোষ্ট।
কোবরা আপু একাই বোয়াল মাছ সাবাড় করবে?
স্বপ্ন দারুন হইছে।
সবাই খাওয়াল আমি পারি নাই।
সুরাইয়া পারভীন
আপনিও স্বপ্নেই খাওয়ান
হা হা হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল
মোঃ মজিবর রহমান
স্বপ্নই তো দেখি নারে ভাই। তাই কল্পনায় আসেও না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আরজু মুক্তা
এবার কে সত্যিই খাওয়াবেন, তা বলেন। স্বপ্নে খাওয়া আর ভালো লাগেনা।
কুবরাকে দই এর ভাগটা দিলাম। বেচারি অসুস্থ।
আর জয়পুরহাট কবে আসছি, সেটা বলেন? ওখানে কবিতা সম্মেলন হবে। গেলে দেখা হবে। ইনশাল্লাহ্
সুরাইয়া পারভীন
আপু সত্যিই আসবেন? কবে আসবেন বলেন
অবশ্যই অবশ্যই দেখা হবে
আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম
এলে অবশ্যই বাস্তবে খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ
আলমগীর সরকার লিটন
কত সুন্দর লেখেছেন আপু অনেক শুভ কামনা জানাই
সুরাইয়া পারভীন
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন সবসময়
তৌহিদ
সত্যি মনটা ভরে গেলো। আপুর বাসায় দাওয়াত আর ঘোরাফেরা এমন হলে বেশ হতো। খানাপিনার লিস্টি দেখে চক্ষু চড়কগাছ! কবে খাওয়াবেন তাই বলেন?
স্বপ্ন সত্যি হোক এটাই চাওয়া। শুভকামনা আপু।
সুরাইয়া পারভীন
পৃথিবীর অসুখ সেরে যাক
সোনেলার সবাইকে বাসায় আমন্ত্রণ জানাবো ইনশাআল্লাহ
ভালো থাকুন সবসময়