হীরে-মুক্তোর ঝিলিক, জোনাকির গড়ানো আলোতে,
ধানসিঁড়িকে বয়ে যেতে দেখি ঘ্রাণ-ফুলের ব্যাপক সম্ভারে,
হাজির গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপি-গোলাপ।
সোনা-ছোঁয়া দিনের শুরুতে দারুণ এক অভাবিত উদ্ভাস
রূপসীর দুরুহতম বাঁকে-বাঁকে,
মধুগন্ধী তিলোত্তমা এবার মাধবীর বেশে;
ছুঁয়ে যাওয়া এই রঙিন মনোরম সুন্দরের স্থির স্রোতের
গা-ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছি এই জলসিঁড়িতে।
ব্যাধিগ্রস্ত কিলবিল শুঁয়োপোকাদের মরণ চিৎকার শুনে-টুনে-ও
রূপসী নদীটি বয়ে যায়, একরাশ অবজ্ঞা ছুঁড়ে।
এই মায়াবী সুবেহ-সাদেকে আষাঢ় বৃষ্টির কেকা-ধ্বনি নয়
কুহুতান ভেসে আসে হৃদয়ে স্বপ্ন-বীণার তান তুলে,
ধানসিঁড়ির স্ফটিক জল বয়ে যায় দূর-নিরুদ্দেশে
অবিনাশী-স্বপ্ন-পরীদের দেশে।
২১টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
ধানসিঁড়ি বয়ে চলুক।।আর নিয়ে যাক সাথে করে প্রাণের আকুলতা,তার সৌন্দর্যময়তা,তার কলতান।।মুখরিত হোক চারদিক।প্রকৃতি তার গতিপথে আপন ছোঁয়া রেখে যায়।।আমাদের চলার পথটাও গতিময় হোক।।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি লেখকের থেকে কয়েক কাঠি এগিয়ে
ধানসিঁড়িকে নিয়ে, লেখক নিজেও এত সুন্দর করে ভাবতে পারেনি!!
দারুণ করে বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
তাই নাকি?তো হয়ে যাক এক কাপ চা!!
শিরিন হক
অনুভূতির জাল বুনেছেন লেখার প্রতিটি শব্দের সাথে।প্রানের আকুলতায় প্রকৃতির রুপ,নদীর প্রতি ভালোবাসা মুগ্ধতায় ভরা।
ছাইরাছ হেলাল
প্রিয় নদীটিকে ভালবাসি বলেই এই আনন্দ-উচ্ছাস।
ভাল থাকবেন আপনি।
শিরিন হক
নদীর প্রতি ভালোবাসা সবার আছে। সে যদি হয় ধান সিঁড়ি। চির অম্লান হোক আপনার ভালোবাসা।
ছাইরাছ হেলাল
জলা-জঙ্গলার মানুষ হেসেবে এ প্রীতি স্বাভাবিক বলেই জানই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
রূপসী নদীটি বয়ে যাক তার আপন সৌন্দর্য নিয়ে,
ছাইরাছ হেলাল
আপনাপন সৌন্দর্য-নিপুণতা নিয়েই রূপসী নদীটি বয়ে যাবে।
মাসুদ চয়ন
প্রকৃতির নিগুঢ় সান্নিধ্য সবসময় ভালো লাগে।তেমনি সুন্দর সাবলীল কাব্য মূর্ছনা।ভালোই উপভোগ করলাম।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি নিজগুণেই উচ্ছল-উজ্জ্বল। তাই তার মূর্ছনা অমলিন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
ব্যাধিগ্রস্থ কিলবিল শুঁয়োপেকাদের মরণ চিৎকার শুনে-টুনে-ও
রুপসী নদীটি বয়ে যায় একরাশ অবজ্ঞা ছুঁড়ে।
ধানসিঁড়ি বয়ে চলুক এমন করেই।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, এভাবেই বয়ে যাক এ নদীটি, এ কামনা আমার/আমাদের।
সাবিনা ইয়াসমিন
নদী বয়ে যায় আপন গতিতে
সাধ্য কার রুখবে তারে !
পরজীবি নিকৃষ্ট কীট?
সেতো ভাসমান শ্যাওলায় অধীনস্থ।
ধাঁনসিঁড়িতে কিছু পিরানহা মাছ ছেড়ে দিলে কেমন হয়?
ছাইরাছ হেলাল
বাপ্রে!! এ দেখছি রণ-দেবীর বেশে!!
এ মাছের চাষ সবার জানা থাকে না, আপনাকে বেশ মানিয়ে যাবে,
একটু শুরুটা যদি নির্দেশে রাখতেন!!
যদিও কুহুতান এখনও ভেসে এসে এই অবেলায়-ও!
শাহরিন
ধানসিঁড়িটির অস্তিত্ব থাকবে এতো কবিতা লিখলে? আমাকে কেন এই নদী দেখানো হলো না আমি জানতে চাই!!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ধানসিঁড়ি বলে কিচ্ছু নেই, সব গুজব।
আর ছিটেফোঁটা যদি কোথাও কিছু চোরাগোপ্তা ভাবে থাকেও, এত লেখায় বিরক্ত
হয়ে ও-পথু কেউ হবে না, তাই ভাগাভাগির কিছু থাকবে না, কিছু কমেও যাবে না।
ওসব নদী-ফদি ভালু না, জোক-সাপ থাকে, এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
শাহরিন
আমি ওই নদী সরজমিনে দেখতে চাই, যদি লেখার সাথে মিল না পাই তাহলে দুদকে থুক্কু সাইবার ক্রাইমে মামলা হপে।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা তো শ্রেফ কল্প-ভাবনা মাত্র,
বাস্তবতা!! দূরের অগম্য।
তবে আপনি কবি হলে বা কুন কবির আত্মীয়া হলে কথা ভিন্ন।
ধানসিঁড়ি আপনার দোরগোড়ায় হাজির হয়ে যাবে ডাক পেলে।
রেহানা বীথি
নদী আপন বেগে পাগলপারা…..
আপনার কবিতা পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ লাইনটি মনে এলো।
ভীষণ ভালোলাগা জানালাম।
ছাইরাছ হেলাল
কীসের সাথে কী!!
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।