
যদি ভালোবাসাকে পাল্লায় মাপা যেতো তাহলে হতাশাবাদীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতাম সোনেলার সোনালি ইতিহাসের গভীরতা। সোনেলার মাঠে ফসল বপনকারী সকলের হাত থেকে একমুষ্টি করে আবেগ সে পাল্লায় দিয়ে অনুভব করাতাম এর ভারত্ব। বিবেকের দুয়ারে কড়া নাড়িয়ে তাদের দেখাতাম সোনেলার সতত ডায়েরির পাতায় লেখা বরেণ্য’র জয়গান। শব্দের ঝংকারে কালের অতীত, বর্তমান আর ভবিতব্য বাণী’র কথামালায় সাজানো ফুলদানির ফুলগুলো যেখানে চিরসতেজ অমলিন। সোনেলা জেগে থাকে অন্তরে, বাঁধা দেয় অনৈতিকতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে।
আমরা যা দেখি-শুনি-বুঝি তাই ই প্রকাশ করি সোনেলায়। কিন্তু একবারও কি ভাবি আমাদের প্রকাশিত লেখাগুলোর লালনে, যত্ন-আত্মির যুগোপযোগী ধারায় যারা দিনরাত এক করে নীরবে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে তাদের কথা? আচ্ছা! কখনো কি মনে হয় সকালে ঘুম থেকে উঠে সোনেলায় চোখ মেলে যদি দেখি আমার লেখাটি আর নেই! বা এমন যদি দেখতাম মন্তব্যের ঘরে প্রকাশিত শব্দগুলিতে ঘৃণাযুক্ত বিষাদের নীল অক্ষর শোভা পাচ্ছে কেমন লাগতো তখন?
এসব আমরা দেখতে পাইনা আর তাই অনুভবও করতে পারিনা। এর কারন, আমাদের মনোবেদনার কারন হতে পারে বলে দেখার আগেই সেই শব্দগুলিকে মুছে দেয়া হয়। আমরা যখন নিশ্চিন্তে ঘুমাই সোনেলা আমাদের সন্তানসম লেখাগুলোকে আগলে রাখে পরম যত্নে। সোনেলার নামের পাশে সবুজবাতি জ্বলেনা কারন সোনেলা নিজের প্রচারে বিশ্বাসী নয়। অযাচিত বিড়ম্বনাকে পাশ কাটিয়ে সোনেলা তার উঠোনকে রেখেছে ঝকঝকে তকতকে যাতে আমরা এখানে বিচরণ করতে পারি স্বাচ্ছন্দ্যে। সেই সোনেলাকে ভুলে গিয়ে আপনারা কি করে ভালো আছেন?
আমরা অনেকেই সোনেলায় লেখা দিয়েই চলে যাই, ইচ্ছে হলে এলাম আর গেলাম। আবার লেখায় মন্তব্য না এলেও মন খারাপ করি। পঞ্চাশ, একশত, দুইশততম পোস্টের শুভেচ্ছা না জানালে সোনেলাকে ছেড়ে যাবার কথা বলতে মোটেও পিছপা হই না। একমূহুর্তেও ভাবিনা, যেখানে মায়ের অনেক সন্তানের বিচরণ সেখানে সবদিকে সমান খেয়ালে বেখেয়ালে এদিক-সেদিক হতেই পারে। কখনো কি জানতে চাই- কেমন আছে প্রিয় সোনেলা আর এর মানুষগুলো? নিজেরাই অন্যদের খবর নেই না, তাহলে আমাদের খবর কেউ নেবে এটা কিভাবে আশা করি? আমরা এমন কেন! যে সোনেলা দিনরাত্রি ছায়াসঙ্গী হয়ে ডাকে আমাদের সেই ডাক অনুভব করতে পারি না।
আমি লেখালিখির যৎসামান্য চেষ্টা করছি এবং সত্যি বলছি এখনো লেখক হবার কোন যোগ্যতাই আমার হয়নি। আর তাই সবসময় চেষ্টা করি সকলের লেখা পড়তে, সেখান থেকে কিছু শিখতে। ফাঁকিবাজি উত্তরে কখনওই বলিনা- আমি সবার লেখাই পড়ি কিন্তু আসলে মন্তব্য করার সময় পাচ্ছিনা। কারন যে লেখা কষ্টকরে পড়বো সেখানে পাঠক হিসেবে লেখককেও তা জানান দেয়াটা কর্তব্য বলে মনে করি।
আমরা লিখি, কিন্তু কি লিখি তা অনেকে নিজেরাও বোধকরি বুঝিনা। সোনেলায় বরেণ্য কবিদের মাঝে আমি আজ পর্যন্ত একটা কবিতাও লিখতে পারলাম না এটা আমার কাছে খুবই আফসোসের বিষয়। বর্তমানে অনেকেই দারুণ সব লেখা লিখছেন। আমি পড়ি আর ভাবি কি করে লেখেন তারা! আমিও চেষ্টা করি কিন্তু মনোমত হয়না যা বেদনারও কারন বটে।
আমার টেবিল পূর্ণ পাণ্ডুলিপি দিয়ে তবুও একটা বই ছাপানোর সাহসে কুলায়না। পাছে পাঠক হাসাহাসি করুক! এই অপমান কিছুতেই সহ্য হবেনা আমার। তাইতো লিখে যাই সোনেলায়। সোনেলার পাঠক আমার লেখায় একটি করে ভুল ধরবেন আর আমি লিখিয়ে হিসেবে একধাপ এগিয়ে যাবো। একদিন একজনের বানান সংশোধনের কথা বলতেই প্রতিউত্তরে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠা দেখে ক্ষান্ত দিয়েছি। তার আর কি দোষ! আমরা সবাই বাহবা পছন্দ করি। সন্তানসম লেখার ভুলত্রুটি কেউ ধরবে কত্তবড় সাহস!
লেখক এবং পাঠক একে অপরের পরিপূরক জানতাম। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নাম ফাটানোর তাগিদে পাঠক গোল্লায় যাক। লেখক সমাজে স্ট্যাটাস সিম্বল অর্জনের তাড়নায় প্রিন্ট মিডিয়ায় নিজের নাম প্রকাশের লক্ষ্যে নিজেই নিজের প্রচারণা চালানো একটা ট্রেন্ড হয়েছে এখন। লিখেই যাচ্ছি আর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কেউ কেউ বলছেন- চমৎকার লিখেছেন ভাই। তা ভাই, কি চমৎকার লিখলাম সেটা যদি বলতেন সত্যি বলছি উপকৃত হতাম।
আজ সোনেলায় নিজের তিনশততম পোষ্ট লিখে পারতপক্ষে আমার খুশি হবার কথা অথচ মন ঠিক তেমন একটা ভালো নেই। আর এ কারনেই এতশত অকথা লিখলাম। সোনেলার যে উঠোনে আমি লেখকদের শব্দ নিয়ে পক্ষ প্রতিপক্ষের মতন একে অন্যের লেখায় প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার মধুর সমারোহে সামিল হতে দেখেছি ইদানীং তা যেন এক বিরানভূমি! সবজায়গা ঘুরেবেড়িয়ে শুধুমাত্র সময়ের দোহাই দিয়ে কেন অনেকেই সোনেলা বিমুখ? ভালোবাসার একচিলতে আকাশে কালোমেঘের ঘনঘটা কিসের তা জানতে চাই।
ভালোবাসলে একে অপরের প্রতি অধিকার জন্মায়। আর সে কারনেই সোনেলা ব্লগে নিবন্ধিত সকল লেখক পক্ষান্তরে পাঠকের কাছে এই জানতে চাওয়াটা আমার অধিকার। ভালো থাকুন সকলেই।
৩১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
প্রথমেই আপনাকে ট্রিপল সেঞ্চুরি পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
মনের আনন্দে আরো আরো পোষ্টের সেঞ্চুরি করুণ, আন্তরিক ভাবে এটি চাই।
শুভেচ্ছা পোষ্ট পাওনা রইল। মন ভালো না থাকায়, অনেক কিছুই আজকাল মিস করে ফেলি।
সোনেলা একটি আবেগ আর ভালোবাসার নাম।
আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে ব্লগাররা কম আসেন ইদানিং, তবে পাঠক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে সোনেলার। আপনি আপনার প্রথম দিকের পোষ্ট দেখুন, দেখবেন প্রতিদিনই কিছু পাঠক আপনার লেখা পড়ছেন। আমাদের কাছে পাঠকই তো গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লেখাটি কত জন পাঠকের কাছে পৌছাচ্ছে এটিই আসল কথা।
এটি ঠিক যে একটিভ ব্লগারদের অংশগ্রহন কমে গিয়েছে। এটির মূল কারণ হচ্ছে একটিভ ব্লগারদের নিয়ে মনে মনে আমরা একটি গ্রুপ বানিয়ে ফেলেছি। একটি ব্লগে পুরাতন ব্লগার একসময় কমে যায়, নতুনরা এসে সে স্থান পুর্ন করেন। আমরা নতুনদের প্রতি তেমন যত্নশীল নই, এটিই সত্যি।
ব্লগ বাড়িটি আমার নিজস্ব- এই ধারনার উপর স্থির থাকতে পারছি না আমরা। লাভ এর হিসেব করি, ব্লগে লিখে কি হবে? এমন ভাবনাও ভাবছি আমরা। এরচেয়ে ফেসবুকই তো ভালো- লেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাইরেক্ট একশন। পচা ভাত আর পচা তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দিলেও সবাই বন্ধুত্বের কারনে – ওয়াও অসাম রান্না হয়েছে বলে প্রাপ্ত মন্তব্যে ঢেকুর তুলি।
ব্লগে লেখার উপকারিতা কি – এটি আমরা জানিই না বলতে গেলে।
সোনেলাকে ঠিক রাখার জন্য নিরন্তর খেটে যাওয়া মানুষদের খবর রাখার সময় কই আমাদের?
ভালো থাকবেন ভাই,
শুভ কামনা রাশি রাশি।
তৌহিদ
সব আমার মনের কথা বললেন ভাই এরপরে আরকিছু বলার থাকেনা।
যতদিন বেঁচে থাকবো সোনেলায় নিজের কলম চলবেই ইনশাআল্লাহ। পাঠক নেই একথা যারা বলেন এবং মনে মনে বিশ্বাস করেন তাদের জন্যই আজকের এই লেখা। তারা আসলে ইন্সট্যান্ট মন্তব্যে বিশ্বাস করেন এবং বাহবা পেতেও। আসলে ব্লগের পাঠক যে বেশীরভাগ গুগোল সার্চ থেকে আসে সেটা তারা বুঝতে চান না বা আমরাই তাদের বুঝতে পারিনি। আশাকরি তারা শিঘ্রই ফিরে আসবেন।
নতুন যারা আসছেন তারা অনেক ভালো লিখিয়ে। একটু গাইডলাইন আমাদেরই দেয়া উচিত কিন্তু সিনিয়ররা অনুপস্থিত তাই বিষয়টি কষ্টসাধ্য হচ্ছে এই আর কি!
নিত্যনতুন ব্লগার সবসময়ই আসবেন। তাদের সাদরে গ্রহণ করা কর্তব্য। কখনোই লেখা এবং মন্তব্য আমি তুমিতে এবং নিজেদের ভালোলাগার গ্রুপিং এর মতো সীমাবদ্ধতা আনা উচিত নয়। এতে নিজের সংকীর্ণতাই প্রকাশ পায় যা সবার বোঝা উচিত।
আপনিও ভালো থাকুন ভাই। আপনার সব ঝামেলা মিটে যাবে অচিরেই। আমরা প্রাণখোলা হাসিখুশি জিসান ভাইকে ফেরত চাই ব্লগে।
শুভকামনা জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপ্রাণ চেষ্টা করছি প্রাণ খুলে হাসতে,
দোয়া করবেন।
তৌহিদ
অবশ্যই ভাই।
নাজমুল আহসান
আমি নিজে কখনোই সেই অর্থে নিয়মিত ব্লগার ছিলাম না। তারপরও সোনেলার সাথে ছিলাম, থাকব ইনশাআল্লাহ।
ব্লগে উপস্থিতির ব্যাপারটা আসলে নানান কারণে হয়ে ওঠে না। নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারি। তারপরও অনেকেই (বিশেষ করে আপনি) যে ব্লগে সময় দিচ্ছেন, সোনেলাকে জমজমাট রাখার চেষ্টা করছেন, এটা আমাকে অভিভূত করে। সোনেলা আজ সেরা বাংলা ব্লগে পরিনত হয়েছে, এটা পুরোটাই আপনাদের কৃতিত্ব।
তিনশত পোস্টের জন্যে আন্তরিক অভিবাদন গ্রহণ করুন।
তৌহিদ
আপনার ব্যস্ততা অনুভব করতে পারি ভাই। আসলে আমিও কোন অর্থেই লেখক নই। ভালোলাগে তাই দু চার লাইন লিখি।
আর সোনেলা এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে আছি যতদিন আছে প্রাণ।
আপনার মন্তব্য দেখবো ভাবনাতেও আসেনি আমার, আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ অশেষ।
বন্যা লিপি
তিনশত পোষ্ট : অর্থাৎ রাশি রাশি শব্দের বিচরন রেখেছেন এই সোনেলার ডায়রীতে। অভিনন্দন আপনাকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু কিছুই বলছি ন। কারন
বন্যা লিপি
তিনশত পোষ্ট : অর্থাৎ রাশি রাশি শব্দের বিচরন রেখেছেন এই সোনেলার ডায়রীতে। অভিনন্দন আপনাকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু কিছুই বলছি ন। কারন কারোরই কিচ্ছু যায় আসে না বলাবলিতে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
জানেনতো অপাত্রে দান করতে নেই। কেউ নিজে গড্ডালিকায় গা ভাসাতে চাইলে জোর করার কিছু নেই। শিক্ষা নেয়ার মানসিকতা সবার থাকেনা। সো চিল আপু। ☺
তৌহিদ
আপনারা সাথে থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন বলেইনা পারছি। ধন্যবাদ দিলেও কম হবে আপু।
পপি তালুকদার
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই।অনেক অনেক ধন্যবাদ কিছু বিষয় গভীর ভাবে চিন্তা করি নাই আগে। সে বিষয়ে অবগত হয়ে ভালো লাগছে সাথে সাথে উপকৃত হয়েছি।সোনেলার প্রতি রইল আমার কৃতজ্ঞতা যে আমাকে লিখতে উৎসাহিত করছে প্রতিনিয়ত।শুভকামনা রইল।
তৌহিদ
এই লেখা পড়ে যদি আপনার উপকার হয় তাহলে আপনার মতন লক্ষী পাঠককে শুধুমাত্র ধন্যবাদ দিলে তা কম হয়ে যাবে। পাশে থাকুন, সোনেলার সাথেই থাকুন আপু।
শুভকামনা সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
একজন সত্যিকারের কালপুরুষের তিনশততম পোস্ট হয়ে গেল। তবে আমি যখন নতুন এসেছিলাম তখন জমজমাট একচা বব্যাপার ছিল ব্লগারদের নিয়ে। এখন তা নেই। তারপরও আপনাকে দেখেছি অনেক কষ্ট করেছেন॥ প্রত্যেকটা মানসম্মত লেখা দিয়ে ভরিয়েছেন সোনেলার উঠোনে॥
শুভ কামনা ও ভালোবাসা অবিরাম ভাই।🌹🌹❤️❤️😍😍🥰🥰
তৌহিদ
সোনেলা আমাদের সকলের অত্যন্ত সফট কর্নার। এর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যায়, সেজন্যই চেষ্টা করি প্রতিদিন ব্লগে আসতে।
ব্লগ এখনো জমজমাট আছে। যদি গুগল সার্চের পাঠকদের সংখ্যা দেখতে পেতেন তাহলে বুঝতেন আমরা যারা নিয়মিত ব্লগাররা ব্লগে আসি এবং মন্তব্য করি তার চেয়ে গুগল সার্চ থেকে আসা পাঠকের সংখ্যা অনেক বেশি। কাজেই আপনার লেখা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পড়ছে সবাই এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
নিয়মিত ব্লগে থাকুন, শুভকামনা সবসময়।
তৌহিদ
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথমেই তিনশত পোষ্টের জন্য অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🌹🌹🌹🌹🌹🌹। ট্রিট কবে দিবেন সেইটা বলেন? সোনেলার একজন হতে পেরে গর্বিত, ধন্য, আনন্দিত। নিন্দুকেরা যে যা বলুক তাতে কিছু যায় আসে না। জয়তু সোনেলা। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভ সকাল
তৌহিদ
অনেক ধন্যবাদ দিদিভাই। যেদিন দেখা হবে সেদিন ই ট্রিট দিবো। সোনেলা প্রতি আপনার অনুভূতি দেখে মুগ্ধ হই। এভাবেই সাথে থাকুন সবসময়।
মন্তব্যের জন্য আবারো অনেক ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা ভাই — “আজ সোনেলায় নিজের তিনশততম পোষ্ট লিখে পারতপক্ষে আমার খুশি হবার কথা অথচ মন ঠিক তেমন একটা ভালো নেই। আর এ কারনেই এতশত অকথা লিখলাম”। আপনি প্রশ্ন রেখেছেন — “সবজায়গা ঘুরেবেড়িয়ে শুধুমাত্র সময়ের দোহাই দিয়ে কেন অনেকেই সোনেলা বিমুখ? ভালোবাসার একচিলতে আকাশে কালোমেঘের ঘনঘটা কিসের তা জানতে চাই।—- আমার কৈফিয়ত হচ্ছে, গেল বছরের ১৭ মে এবং ২৩ রমজানে আমি কোভিড আক্রান্ত হই। এবং ১৬ জুন’২০ তারিখে আমি ৩১ দিন পর জ্বরমুক্ত হই। আমার জীবনে যে যন্ত্রণা এসেছে তা থেকে এখনো পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। তাই আমি অনিয়মিত হয়ে পড়েছি। এখন দেখছি অনেক পুরানো বন্ধু এখন অনুপস্থিত আবার সুখের বিষয় হচ্ছে অনেক নতুন বন্ধু যোগ হয়েছে। আসলে পার্স্পরিক সম্পর্ক, ভ্রাতৃত্ব সৌহার্দ্য প্রকাশের একটা সুন্দর প্ল্যাটফরম হচ্ছে সোনেলা। আসুন আমরা সবাই আন্তরিকভাবে নিজেদের আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করার পাশাপাশি অন্যদের লেখায় মতামত দেই। আবারো শুভ কামনা রইলো তিনশততম লেখার জন্য। সুস্থ আর ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
ভাই করোনা আসলে আমাদের অনেকেই অনেক পিছিয়ে দিয়েছে নানা ক্ষেত্রে। আশাকরি এখন ভাল আছেন। নিয়মিত লিখছেন দেখে ভালো লাগছে। এভাবেই সাথে থাকুন ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
সত্যি চোখে পানি এসে গেলো চোখে, এ যে আমারই যেন আমারই বিশাল প্রাপ্তি, এক এক করে তিনশততম পোস্ট কম কথা নয় ভাই।
এইতো সেদিন কথা বললাম সোনেলায় আসার জন্য, আজ তা বিশাল মহিরুহ হয়ে উঠেছেন সোনেলার উঠোনে, এভাবেই সবাইকে ভালোবাসার মাঝে আঁকড়ে ধরে রাখুন এই শুভকামনা রইলো ভাই।
ভালোবাসা জানবেন ভাই। ❤️🌹
তৌহিদ
সত্যি দাদা এই লেখা যখন লিখছি তখন আপনার কথাই মনে হচ্ছিল। মনে হল এই তো সেদিন আপনি আমাকে সোনেলার কথা বললেন। দেখতে দেখতে সময় কিভাবে পেরিয়ে গেল টেরই পেলাম না।
আমার আজকে পর্যন্ত আসার পিছনে আপনাদের সকলের অবদান অনস্বীকার্য। দোয়া রাখবেন ভাই। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ভাই আমি আপনাকে নিয়ে গর্বিতবোধ করি। ❤️
তৌহিদ
আমিও দাদা!
মনির হোসেন মমি
তিনশতম পোষ্টে অভিনন্দন এবং শুভেচচ্ছা রইল। আপনার লেখার মান নিয়ে বলা বাহুল্য।আপনার প্রতিটি লেখাই প্রিন্টমিডিয়ায় প্রকাশতুল্য। নিজেকে কাচা ভাবাটা ঠিক নয়।
ব্লগের সময় দেয়ার ব্যাপারে কিছু না বললেই নয়।
ব্লগটা শুরু হয়েছিলো নয় বছর আগে-সেেই সময় হতে এ পর্যন্ত কত শত শত ব্লগার এলো আর গেল তা বোধ করি ব্লগের কিছুুই আসে যায় না-ব্লগ চলবে তার আপণ গতিতে চলে যাওয়াকে যেতে দিয়ে নতুনদের স্বাগতম জানিয়ে।যারা ব্লগটিকে পরিচালনা করছেন তাদের বেলায়ও তাই শুধু মাত্র সত্বাধারীদের ছাড়া অন্যরা স্থায়ী হতে হবে এমন ধারণাও ভুুল।তাই এ বিষয়ে আমার কোন কালে কোন সময়য়েই অভিযোগ ছিলো না-থাকবেও না।
এবার নিজের ব্লগে সময় দেবার অপরাগতার কথা বলি-
আসলে কর্ম ব্যাস্ত,মানষিক টেনসন ,এবং লেখার মাধ্যমের সাধ্যের কারনে ঠিকমত সময় দিতে পারছিনা।যতই সুযোগ হয় ব্লগে চোখ রাখি।আর ব্লগ এবং ফেবুকে ঢুকতে সমান সময় অর্থ মাধ্যমের পার্থক্য থাকে।সুতরাং একজন অনিয়মিত ব্লগার হিসাবে সরি টু সে।
আবারোও লেখায় ভাল লাগা জানিয়ে তিনশতম পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
তৌহিদ
আসলেই লেখালেখি করতে আমি ভালোবাসি বলেই লিখি নিজের মত করে। সোনেলা হচ্ছে লেখা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম আমার কাছে। কিছুটা দায়বদ্ধতা থেকেও সোনেলায় নিয়মিত আসার চেষ্টা করি ভাই।
করোনাকালীন সময়ে আমাদের অনেকেরই নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সব সমস্যা মিটিয়ে তবেই আসুন এটাই কামনা।
ব্লগে নিত্য নতুন ব্লগার আসবেন এবং অনেকে যাবেন। তবে যারা অনিয়মিত তারা সকলে ফিরে আসুন এটাই অনুরোধ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।
আরজু মুক্তা
অভিনন্দন। অভিনন্দন। অভিনন্দন।
ভালোবাসা কি পাল্লায় মাপা যায়? যে ভালোবাসে আমি তাকে তিনগুণ দেই। এর বেশি কিছু বলার নাই।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি। শুভকামনা ভাই।
তৌহিদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসাকে যদি পাল্লায় মাপা যেত তাহলে সকলে দেখতে পেতো সোনেলা প্রতি আমাদের অনুভূতিগুলো কতটা গভীর।
আপনিও ভালো থাকুন সব সময়
ছাইরাছ হেলাল
অভিনন্দন, দীর্ঘ পথ চলায় সাথে থাকার জন্য, সাথে রাখার জন্য ও।
সহজে বলি, ভালোবাসাবাসি জোর করে হয় না, নেয়া-ও যায় না, আর হিসেবে করে-ও এর দেয়া-নেয়া হয় না।
সময়-স্রোতে আসা-যাওয়া-ই নিয়তি, এ সব কিছু নিয়েই আমরা সোনেলায় থাকি, সোনেলায় বাঁচি।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপনাকেও। শত ভুল-ভ্রান্তির পরেও আমাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে ব্লগমুখী হতে সাহায্য করেছেন। এর জন্য কৃতজ্ঞতা সবসময়। এভাবেই পাশে থাকবেন ভাইজান।
শুভকামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
“ভালোবাসলে একে অপরের প্রতি অধিকার জন্মায়”
চমৎকার বলেছেন! এমন বক্তব্য যিনি/যারা ধারণ করেন তারা এর গুরুত্ব শতভাগ কাজে লাগান।
তিন শত সিঁড়ি অতিক্রম করা সহজ কথা নয়, আপনি সফলতার সাথেই পাড় হয়ে গেছেন, আরও অনেক অনেক সিঁড়ি অতিক্রম করার সাফল্য গাঁথা রচিত হোক এই শুভ কামনা দিলাম। অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা অবিরাম 🌹🌹
এই শীতে একটা পিঠার ট্রিট কি আমরা পাবো না শতস্পর্শি ভাই? 🤔
তৌহিদ
সহব্লগার হিসাবে আপনাদের পেয়ে আমি গর্বিত আপু। আসলে আমরা যারা ব্লগে থাকি নিয়মিত তারাই অনুভব করি এই ব্লগকে নিয়ে আমাদের এ
কেমন অনুভূতি কাজ করে।
সফলতা এবং ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়েই একসাথে সামনে এগোতে চাই। দেখা হলে অবশ্যই দিব আপু। ভালো থাকুন আপনিও।
শুভকামনা জানবেন।