
সোনেলার দিগন্তে ডানা মেলতে পেরে আমি কতোটা পরিপূর্ণ হয়েছি তা প্রকাশ করতে হলে নিজের সম্পর্কে দু’চারটে কথা না লিখলে নয়__
আমার জন্ম ১৯৮৩ সালে,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার একটি ছোট্ট গ্রামে। শৈশব কেটেছে ঢাকায়,কৈশোর নিজ গ্রামে।
আমাদের সময়ে প্রাইমারি স্কুলে পাঠ পরিকল্পনার নিয়ম ছিলো কবিতার প্রথম ৮/১০ লাইন মুখস্থ করতে হতো। তাই বেশিরভাগ ছাত্র- ছাত্রী পুরো কবিতা মুখস্থ করতো না। আমার কিন্তু কবিতা পড়তে বেশ লাগতো। মনের আনন্দে পাঠ্য বইয়ের সব কবিতা মুখস্থ করাতাম। পড়তে বসলে প্রথমে বাংলা বইটি নিয়ে বসতাম। অন্যান্য বিষয় পড়তাম সিলেবাস অনুযায়ী পাশ করার তাগিদে। কিন্তু বাংলা বইয়ের প্রতিটি গল্প কবিতা ভালোবেসে পড়তাম।
উচ্চ মাধ্যমিকে এসে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন একটি গল্পের বই পড়লাম অবশ্যই আব্বাকে লুকিয়ে। উল্লেখ্য যে আমি অত্যন্ত রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে কোন নোভেল পড়ার অনুমতি ছিলোনা।জীবনে প্রথম গল্পের বই পড়ে আমি তখন বইয়ের প্রেমে ডুবে গিয়েছি।এর থেকে ওর থেকে বই সংগ্রহ করে পাঠ্য বইয়ের নিচে লুকিয়ে পড়তাম। মাঝে মাঝে আব্বার হাতে ধরা পড়ে ঝাড়ি খেতাম এমনকি মারও খেয়েছি।
এমনিভাবে এসএসসি পাস করে ঢাকায় ফুফুর বাসায় থেকে কলেজে ভর্তি হলাম। যেহেতু শাসন বারণ নেই, একাডেমিক পড়া ফাঁকি দিয়ে আমি মেতে উঠেছিলাম গল্প, উপন্যাস নিয়ে। ঘাড় গুঁজে পড়তাম_ হুমায়ুন আহমেদ, সমরেশ মজুমদার, ম্যাক্সিমগোর্কি, লেভতলস্তয়, কালমার্কস, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রভৃতি লেখকদের বই। সব লেখকের নাম ও এখন আর মনে নেই।
স্বাধীনতা উপভোগ ভোঁতা হয়ে গেলো কয়েক মাসের মধ্যে। ফুফুর বাসায় আমার খুব একা লাগতো। ফুফু তার বরের কাছে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলেন কয়েক মাসের জন্য। ফাঁকা বাসার আবহে আমার মনটাও ফাঁকা হয়ে গেলো। আমি আমার মাকে খুব মিস করতাম। অতিরিক্ত শাসনের ফলে বাবা-মা’র সাথে আমার দূরত্ব ছিলো অভেদ্য। সেসময় আমার একাকীত্বের সঙ্গী হলো কলম। আমি মাকে লিখতাম প্রতিদিন। কখনো কবিতায়, কখনও ডায়েরির পাতায় আমার একান্ত অনুভূতি। যে কথাগুলো মায়ের সামনাসামনি কখনও বলতে পারতাম না এমনকি আজও পারিনি। এভাবেই লেখার হাতে খড়ি।
পড়াশোনা শেষে বিয়ে হলো আরও বেশি রক্ষণশীল পরিবারে। এটা সম্পূর্ণ আমার অচেনা জগৎ। এ জগতে আমি শুধু একটা ‘চরিত্র’।যখন যে দৃশ্য মঞ্চায়ন করতে হয়েছে করেছি। আমি, আমার বই, কলম ডায়েরি চাপা পড়ে গেছে সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে। এভাবেই কেটেছে চৌদ্দ বছর।ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যেতাম পড়তে না পেরে।
গত বছর আমি ফেসবুক একাউন্ট খুলি এবং নিয়ম কানুন কিছু কিছু শিখি। একদিন একটি পেজে জয়েন করে দেখি গল্প,কবিতা, ছড়া যে যা খুশি পোস্ট করছে। প্রথম প্রথম পড়ে মন্তব্য করেছি।তারপর নিজেও দু’চার লাইন লিখতে শুরু করি।
ব্লগার আরজু মুক্তা আপু আমার লেখায় লাইক কমেন্ট করতেন, আমিও আপুর লেখা পড়তাম। একদিন আপু আমাকে একটা লিংক পাঠালেন। আমি লিংকে ডুকতে না পেরে আপুকে বললাম, আপু বললেন ব্যবস্থা করছি। উনি আমাকে জিসান ভাইয়ার আইডি লিংক পাঠালেন আর এড হতে বললেন। জিসান ভাইয়া আমাকে ব্লগিংয়ের খুটিনাটি সব শেখালেন অসম্ভব ধৈর্য্য ধরে। যে আমি ফেসবুক বুঝিনা ভালো ভাবে, সেই আমাকে ব্লগিং শিখিয়ে তবে ছাড়লেন।
সোনেলায় আমি প্রথম পোস্ট করি “নীল অপরাজিতা ” নামে একটি কবিতা।সবাই আমাকে এবং আমার লেখাকে সাদরে গ্রহণ করলেন। আমার তখন আনন্দে আত্মহারা হওয়ার জোগাড়। সত্যি কি আমি লিখতে পারি? বারবার নিজেকে প্রশ্ন করলাম, উত্তর পেলাম সোনেলার উচ্চ মার্গীয় লেখকরা যখন পছন্দ করেছেন তখন আর ভাবনা কিসের! জিসান ভাইয়া ও খুব উৎসাহিত করলেন। ছোট ছোট বার্তা আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাকে জিসান ভাইয়া বোনের স্বীকৃতি দিলেন আর বললেন নিয়মিত ব্লগার হয়ে ভাইয়ের মান রাখিস!
বেশ কিছু দিন ধরে এল্বু জয়েন্ট ইনজুরিতে ভুগছি তাই ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও ব্লগে নিয়মিত হতে পারছিনা।
ইনশাআল্লাহ লিখতে পারি বা না পারি সোনেলার সোনালী ব্লগারদের সোনাঝরা লেখাগুলি পড়বো এবং সাথে থাকবো। থাকবো নিজের মনের খোরাক যোগানোর তাগিদে।
আমার এ ফ্ল্যাটফর্ম প্রাপ্তির নেপথ্য বন্ধু প্রিয় আরজু মুক্তা আপু। তাঁকে সোনেলার জন্মতিথিতে আমার একান্ত অনুভূতি জানাচ্ছি__আপু আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে এবং ভালোবাসি আপনাকে পথপ্রদর্শক অগ্রজ হিসেবে।
সোনেলায় নবাগতা হয়ে ও আমার প্রাপ্তি ঝুড়ি ভরা। যে প্রিয় ব্লগারগণ আমার অকবিতা গুলো পড়ে মন্তব্য করে উৎসাহ যুগিয়েছেন উনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নাম না জানা সকল পাঠককে যারা আমার লেখা পড়েন। ধন্যবাদ জানাই সাবিনা আপু, বন্যা আপু ইঞ্জা ভাইয়াকে। উনাদের সাথে ইনবক্সে কথা বলে বুঝেছি উনারা কতো আন্তরিক এবং কতো আপন!
সোনেলার সোনা ঝরা দিন অক্ষয় থাকুক!
সাহিত্যাঙ্গনে সোনেলা চির ভাস্বর হোক!
দিগ দিগন্তে সোনেলা ছড়িয়ে পড়ুক!
সোনেলার জয় হোক!
৩৪টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
প্রথমেই আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের জানাতে আমরা আপনার সম্পর্কে জানলাম। ভাবছিলাম আপনি অনেক বয়সী। এখন দেখছি আপনি আমার মেয়ের বয়সী। যাহা হোক,সবচেয়ে ভালো লাগে সেই জায়গাটি যে জায়গায় নিজের জীবন সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলা যায়। সোনেলা আপনার সন্তানের মতন বলেই আত্মপরিচয় খুলে বলেছেন। আমরা কৃতজ্ঞ। আপন না হলে এমনটি কেউ ভাবতে পারে না।
আমি আপনার সব লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। আপনি অনেকের মতন ভালই লিখেন। কবিতাগুলি চমৎকার। সোনেলায় যারা এসেছেন কেউ না কেউ কারো হাত ধরে। আর এটাই নিয়ম। কারন মানুষ একা কিছু করতে পারে না। কারো না কারো সাহায্য লাগে এবং কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতে হয়। সে যেই হোক।
দ্বিতীয়ত
আমি মনে করি একজন লেখক কবি বা সাহিত্যিকের মূল পরিচয় তার ভাষার মিশ্রন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা এবং শুদ্ধ বানান। এ্ই দুটির উপর জোর দখল যে লেখকের বা কবির থাকে তিনি সার্বজনীন সমাদৃত হোন বলে আমার বিশ্বাস। সেই সূত্র ধরেই বলছি যে আপনার লেখায় বানানটি
স্বাদরে হবে না। হবে সাদরে
আর ইলবো নয় এল্বু।
যাক অনুভূূতির প্রকাশ দারুন।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য। আসলে আপনারা অগ্রজরাই তো আমরা নবীনদের শেখাবেন। বানান বলে দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার জন্য রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনাদের মতো সাহিত্য প্রেমী আছেন বলেই
সোনেলার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
ভাল থাকুন। সুস্থ হোন।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ দাদা কবি লেখক কোনোটি ও যদি হতে না পারি সাহিত্য প্রেমি হতে কোনো বাধা নেই।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন দাদা।
তৌহিদ
সোনেলায় আপনার আগমন এবং সোনেলার প্রতি আলনার ভালোবাসা সম্পর্কে জানলাম। অতি অল্প সময়ে সোনেলায় আপনি আপনার অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন। সাহিত্যপ্রেমী হিসেবে সোনেলায় আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই কাম্য।
ভালো থাকুন আপু।
তৌহিদ
আপনার হবে, দুঃখিত আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
কোনো সমস্যা নেই। টাইপিং মিস্টেক
আমার ও ভুল হয়।
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক বড় মন্তব্য পেলাম ভাইয়া। সত্যি আমি আপ্লূত!
আমরা সবাই যেন সোনেলায় কদম কদম হেঁটে দিগন্তে পাড়ি দিতে পারি আজকের দিনে এটাই প্রত্যাশা করি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বন্যা লিপি
দুদিন কথা হয়েছে তোমার সাথে। বুঝে গিয়েছি তোমার আন্তরিকতা। আপনি থেকে তুমি বলার অনুরোধ করেছিলে, বলেছিলাম, তাহলে আমাকেও আপু তুমি করে বলতে হবে। বলেছিলাম, আমরা আমরাইতো!
ঠিক, আমরা আমরাই’তো শব্দটাতে একটা আপন করে নেবার টান আছে।
সোনেলায় তোমার উপস্থিতীের গল্প জানলাম। জানলাম তোমার সম্পর্কে অজানা কিছু। পড়তে চাওয়ার আগ্রহটার সাথে আমার খানিকটা মিল আছে। তবে তোমার মত এত প্রতিকুলতা ভোগ করতে হয়নি। বেশ কয়েকটা জায়গায় আমার সাথে অনেকটা মিলে গেছে তোমার লেখনীর সাথে। সে যাই হোক……তোমার প্রিয় তালিকায় আমার নামটা দেখে আপ্লুত হলাম।
সোনেলা এমনই এক উঠোন ভাল না বেসে পারাই যায়না; এমনি করেই থেকো সুখে দুঃখে আমাদের মাঝে আমাদের হয়ে।
অনেক ভালবাসা জেনো।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু অন্যদের লেখার সাথে মন্তব্যগুলিও আমি পড়ি। আপনার মন্তব্য গুলো পড়ে আপনার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়। মনে মনে খুব টান অনুভব করতাম। আর মনের টান থাকলে আর কি লাগে হয়ে গেলাম বন্ধু, বোন।
আপনি যে আমাকে এতো সহজভাবে আপন করে নেবেন এতোটা আশা করিনি।আশাতীতভাবে আপনার স্নেহ ভালোবাসা পেয়ে আমি যারপর নাই খুশি।আমার বাবা চাইতেন আমি খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করে অনেক বড় কিছু হই। আর এক্সটা পড়তে হলে ইসলামিক বই পড়।কিন্তু আমি সবকিছু পড়তে চাইতাম।
আজকে বাবা নেই। আল্লাহর ইচ্ছেয় আমি সুন্দরভাবে সংসার পড়া লেখার সুযোগ সব পেয়েছি।
সবমিলিয়ে ভালো আছি আপু।
সোনেলায় থাকতে চাই আপনাদের সবার সাথ।
সবকিছুর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা অবিরাম।
সবসময় ভালো থাকুন দোয়া করি প্রিয় আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো লাগলো সোনেলাতে আপনার প্রাপ্তি ও স্মৃতিকথা গুলো জানতে পেরে । এক রক্ষণশীল থেকে আরেক রক্ষণশীল এ প্রবেশ এটি খুবই পীড়াদায়ক। তারপর ও আপনার মতো একজন লেখক পেয়েছি সহযোদ্ধা হিসেবে এটাই বড় পাওয়া। লিখুন বেশি বেশি লিখুন । আমরা আরো সমৃদ্ধ শালী লেখা উপহার পেতে চাই। সোনেলার জয় হোক। শুভ কামনা রইলো
খাদিজাতুল কুবরা
দিদি ভাই মূলত বাঙালি মেয়েদের সংসারের গণ্ডির বাইরে কিংবা সাহিত্যের খোলা আকাশে বিচরণ আজও প্রতিকূল। বহুবচর নিজেকে প্রমাণ করে তারপর নিজের মনকে কিছু দেওয়ার সাহস করলাম। বাঁকা চোখে তাকালেও সরাসরি না বলার জায়গাটি আর নেই।
তাই প্রাণের সোনেলা প্রাঙ্গণে আমরা সহযোদ্ধা জানতে পেরে আপ্লূত হলাম।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানবেন দিদি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এলেন এবং জয় করলেন, আপনাকে দেখে তো তাই ই মনে হচ্ছে।
লিখুন মনের আনন্দে, আমরা সবাই ই আপনার পাঠক।
মুক্তা সে তো আমাদের এখানে আর এক দিকপাল, লেখায়।
সব কিছু জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমার কলমের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
এতো উৎসাহের মর্যাদা যেন রাখতে পারি মনে প্রাণে সেটাই চাই।
ইনশাআল্লাহ পাঠক হয়ে লেখক হওয়ার দুঃসাহসিক অভিযানে এগিয়ে যাবো।
আরজু মুক্তা আপু সত্যি অসাধারণ একজন মানুষ।
সোনেলায় এসে আপনার মত গুনীজনের মন্তব্য আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং একরাশ কাশফুল শুভেচ্ছা জানবেন।
ফয়জুল মহী
অনেক শুভকামনা
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন মহী ভাইয়া সবসময় মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্যে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
রক্ষনশীল পরিবারের কি যে যন্ত্রণা।আপনার মত আমিও বুঝি। জন্ম বছর সহ অনেক কিছুই মিলে গেল তবে আমার বাবা অসাধারণ॥ আল্লাহ আসলে কোন না কোন ভাবে মনের আশা পূরণ করে দেন।প্রথম কৃতজ্ঞতা তাঁর কাছে জানাতে হবে।
অভাবনীয় এক গল্প পড়লাম।চালিয়ে যান।আমরা সাথে আছি ইনশাআল্লাহ।
শুভ কামনা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
রুকু আপু আমি অভিভূত আপনার সাথে আমার জন্মবছর সহ অনেক কিছুর মিল আছে জেনে। আমার আব্বা ও অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। ব্যাপারটা ছিলো এরকম ইসলামিক বই পড়ো অন্য কিছু নয় (ইসলাম ধর্মের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং সম্মান রেখে বলছি)। আমার একটু জানার কৌতুহল ছিলো। বই পড়লে ঘরে বসেই পৃথিবীকে জানা যায়। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানাই তিনি ছাড়া আমি কিছুই নই।
ইনশাআল্লাহ আমরা আমরা পরস্পরকে উৎসাহিত করবো।
অশেষ ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
সোনেলায় আগমন আপনার মুক্তা আপুর হাত ধরে শুনে খুব ভালো লাগলো, আপনি ভালো লেখেন, আপনার প্রবন্ধ, গল্প লেখার হাত ভালো।
আরও বেশি বেশি লিখুন এই কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
ভাইয়া এমন উৎসাহ বৃথা না যায় যেন সৃষ্টিকর্তার কাছে পার্থনা করি।
ভালো লিখতে পারি বা না পারি চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।
সবসময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা নিরন্তর।
ইঞ্জা
শুভকামনা
আরজু মুক্তা
হায় হায়! কি মন্তব্য করবো?
আপনি সুস্থ থাকুন। আপনার বিচরণ ব্লগে সাবলীল হোক। আর কলম চলুক দুর্বার গতিতে। মানুষ তার গুণেই বড় হও।
ভালো থাকবেন সবসময়।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আমার প্রাপ্তির সাথে আপনি রয়েছেন। আপনার মন্তব্য আমার জন্য বিশেষ উৎসাহ। ইনশাআল্লাহ সাথে থাকবো সোনেলার সোনালী উঠোনে।
সবসময় ভালো থাকুন এবং সফল হউন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন লিটনদা সবসময় অনুপ্রাণিত করার জন্য।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সোনেলায় আপনার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে খুবি ভালো উপস্থাপন করেছেন।
আপনি গল্প, কবিতা বেশ ভালো লিখেন।
সোনেলায় আগমন আপনার মুক্তা আপুর হাত ধরে শুনে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা।
শুভ ব্লগিং।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রদীপদা আপনার সুন্দর মন্তব্যে মন সিক্ত। ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা কি লিখবো।
আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে এতো অনেক বড় প্রাপ্তি।
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা অবিরাম।
শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
শুধু কবিতা নয়, ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে লেখাতেও আপনার হাত পটু এটি আমার ধারনা। গল্পও লিখুন। আপনার লেখা গল্প পড়তে চাই।
খাদিজাতুল কুবরা
এতো আন্তরিক উৎসাহের লোভে ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো।
গল্প না পারলেও বিভিন্ন অভিজ্ঞতা স্মৃতিকথা লিখবো।
জিসান শা ইকরাম
জানলাম তোমার লেখক হয়ে ওঠার ইতিহাস।
রক্ষনশীল পরিবেরের মেয়েদের সংসার ছাড়া সাহিত্য চর্চায় অনেক বাঁধা থাকে, যা আমি জানি।
কত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এমন পরিবারে সাহিত্য চর্চা করতে হয়, তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না।
বিয়ের পরে প্রতিকূল পরিবেশ এর মধ্যে থেকে সাহিত্য চর্চা অসম্ভব একটি ব্যাপার।
সোনেলার অনেক জনপ্রিয় ব্লগার বিয়ের পরে স্বামীর বাঁধার কারনে আর লিখতেই পারেননি। কয়েকজনে খুব দুঃখ প্রকাশ করে এখনো লিখতে না পারার কষ্টের কথা জানান এখনো আমাকে মাঝে মাঝে।
তোমার মধ্যে সহজাত সাহিত্য প্রতিভা আছে, নইলে প্রতিকুল পরিবেশে সাহিত্যের প্রতি এত অনুরাগ তোমার জন্মাত না।
লিখতে থাকো সোনেলায় তোমার অনুভুতির সম্পুর্ন প্রকাশ ঘটিয়ে। এখানের তোমার সহ- ব্লগারগন সব সময়ই তোমার পাশে থাকবেন।
আরজু মুক্তা তোমাকে সোনেলাকে চিনিয়ে দিয়ে অত্যন্ত সঠিক কাজ করেছে। খাঁটি সোনা এনেছে সে সোনেলার জন্য।
কবিতা লেখো তুমি। তবে এই যে গদ্য লিখে ফেললে তাও কিন্তু অত্যন্ত ভালো লিখেছো।
সোনেলার সাথে থেকো।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা সেই মহান সত্তার কাছে যিনি আমার অন্তরের ঐকান্তিক ইচ্ছেকে সফল করেছেন।
ভাইয়া আপনার জন্যই আমি ব্লগে লিখতে পড়তে পারছি। ব্লগিং এর নিয়ম না বুঝে আমি তো প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।ভাইয়া এই লেখাটি যখন আপনার ভালো লেগেছ আমি চেষ্টা করবো ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু লিখতে।
আপনার অসম্ভব ধৈর্য্য আর আন্তরিকতার জোরে আমি শিখতে পেরেছি।
আমার সংসার জীবনকে ও।ব্রতের মতো পালন করেছি। কোথাও ফাঁক রাখিনি তাই হয়তো আজকে ওরাও অনুভব করে আমার ভালো থাকার প্রয়োজনীয়তা। এখন পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূলে সাপোর্ট ও করেনা বাধাও দেয়না।
মুক্তাা আপু, আপনি এবং এই সোনেলায় অনেকের উৎসাহ আমার জীবনে বিশেষ প্রাপ্তি।
ধন্যবাদের চেয় ও আপনার পাওনা আমার কাছে অনেক বেশি।
আজকে এই মন্তব্যের প্রতিত্তোরে আপনার ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনার ভালোবাসার মর্যাদা যেন রাখতে পারি আল্লাহর কাছে তাই চাই।
সবসময় আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ এবং সুখেে রাখুন।
সুরাইয়া পারভীন
আমিও কিন্তু অষ্টম শ্রেনী থেকেই পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি চুরি করে উপন্যাস পড়তে শুরু করেছিলাম।
আপনার সোনেলায় আগমন এবং আপনার লেখালেখির জগতে প্রবেশের গল্প শুনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
আর সোনেলার উঠানে বিচরণ করুন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ আপু।
আসলে পড়ার অভ্যেস সহজাত। আর লেখালেখির পূর্বশর্ত পড়া।
আমরা একই প্রাঙ্গণে সবাই সবাইকে উৎসাহিত করবো মনের কথা খুলে লিখবো এই তো চাই।
মন্তব্য পেয়ে আপ্লূত হলাম আপু।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল