
সোনেলার জন্ম মাস।আমার অনলাইন জগতে এক অবিস্বরণীয় মাস। এ মাসে সোনেলার জন্ম না হলে হয়তো আমি বুঝতাম না সাহিত্য কি,সাহিত্যের ডালপালাগুলোর সাথে নিজেকে কি ভাবে সংযুক্ত করা যায়-আপণ মনের সাহিত্য সীমানায়।হয়তো ডায়রীর লেখাগুলো ডায়রীতেই নীরবে অসন্তুষ্টিতে অপ্রকাশিত রয়ে যেত।আর বন্ধুত্ব!সেতো বাল্যকাল,স্কুল-কলেজ এর বন্ধুদের পরিধির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকত।অনলাইন জগতে না এলে বিস্তৃত হতো না ফেবুকে অধিকাংশ চেনা-অচেনা ২০০০ হাজার ওভার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব।আর এ সব হয়েছে সব সোনেলার কল্যায়ণে।
আমি কেন সোনেলায় এলাম বা এতোটা বছর যাবৎ এখনো কেন লিখছি,কেনো আছি আর কেনো বা থাকব।তার মুল কারন হল দুটো।একটি হল ব্লগে ব্লগ পোষ্টের খুটিনাটি বানান এবং বাক্যের ভুলত্রুটি হত যা ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে আমার কাঁচা হাতের লেখার মান উন্নয়ণ ঘটানোর আন্তরিকতা ছিলো অমায়িক।
দ্বিতীয় কারন হল- এ ব্লগ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে,মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে ব্লগ কর্তৃপক্ষ রাজাকার বিরোধী কথা বলার সাহস যোগায়।যার প্রমান ব্লগে অসংখ্য রাজাকার বিরোধী পোষ্টগুলো।এ ছাড়াও এ ব্লগের সামাজিক অবক্ষয় সহ সমসাময়িক বিষয়ে দেশের স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে ব্লগ নীতিমালা মেনে যে কোন প্রতিবেদন পোষ্ট করা যায় আর গল্প কবিতাতো আছেই।
২০১৩ সাল এ শুরুতে সোনেলায় বলা যায় আমি অনেকটা আনকোরা টাইপে একজন সাধারণ লেখক হিসাবে সিনিয়র ব্লগারদের সাথে ব্লগিং করছি।তখন এ দেশে ব্লগ এর বেশ রমরমা পরিবেশ ছিলো-সামু ছাড়াও ছিলো প্রথম আলো, নক্ষত্র,টুডে,আমার ব্লগ,জলছবি বাতায়ন,জোনাকী,চলন্তিকা,নকশা,বাংলা কবিতা ডট কম,প্রিয় ডট কম,রুদ্রা আমীনের বন্ধুব্লগ,ঘুড়ি ব্লগ,বৈঠা ব্লগ,বিডিনিউজ২৪,শব্দনীড় সহ আরো অসংখ্য ব্লগ।যেগুলোর মধ্যে অনেক হারিয়েও দু’চারটা ব্লগ এখনো স্ব-মহীমায় অনলাইন জগতে টিকে আছে।তাদের মধ্যে অন্যতম আমি বলবো প্রথম কাতারে আছেন আমাদের এ সোনেলা ব্লগটি যা এখনো গর্বের সহিত অনলাইন জগতে বেশ দাপটের সহিত টিকে আছে।এর মুলে ছিলো সোনেলায় ব্লগারদের প্রতি এডমিনদের অতুলনীয় ও অকৃত্রিম ভালবাসা।আর কিছু ব্লগারদের এ ব্লগে লেগে থাকার আগ্রহতা।
প্রথম দিকের এ ব্লগের বেশ কয়েজন ব্লগার তারঁ তাদের লিখুণির ধাচে হউক আর কর্মগুণে হউক আজ তারা জীবনে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বেশ প্রতিষ্ঠিত।সোনেলা ব্লগ তাদের সফলাকে জানায় অভিবাদন অভিনন্দন ও শুভ কামনা।তাদের একজন সহ ব্লগার বন্ধু হিসাবে তাদের সাফল্য সম্পর্কে বলার সেই অধিকার রাখি।
২০১৪ সালে সোনেলার প্রথম মিলন মেলা হয়েছিল,হয়েছিলো বহু কথা আর চা চক্রের জমজমাট আড্ডা।সে সময় ব্লগে আমি নতুন কিন্তু পুরাতনদের ব্লগে লেগে থাকা, ব্লগ এর ভেতরে কি যেন এক আনন্দ উচ্ছাস ছিলো তা বলার মত নয়।
সোনেলায় সে সময় অসংখ্য বড় বড় ব্লগারদের মধ্যে আমি যে দু’চার জনকে সামান্য হলেও চিনি জানি তাদের মধ্যে নীলকণ্ঠ জয়, নীল সাধু, নীতেশ বড়ূয়া, মূর্তজা হাসান সৈকত, মিথুন মিঠু, রিমি রোন্মান, চারু মান্নান, রুদ্রা আমীন,সঞ্চয় কুমার,কবি নূরুন্নাহার শিরিন, শাহ আজিজ,অরণ্য,মারজানা ফেরদৌস রুবা,বন্দনা কবীর,জাঈদ পাগলা,তীর্থক আহসান রুবেল,জিয়া ভাই সহ আরো অনেকে। এছাড়াও আরো ছিলেন যারা এ ব্লগ দিয়ে পরিচিতি পেয়ে ব্লগের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে মলম পার্টি মানে বগলদাবলগ এ যোগ দিয়েছেন।সেই সব বেঈমানদের নাম মুখে আনতেও যেন পাপ তাই আর বললাম না-কারন দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ।
ব্লগটিকে যারা সে সময় বেশ জমিয়ে রাখতেন তাদের মধ্যে নীলকণ্ঠ জয় অন্যতম।তার একটি আড্ডা পোষ্টে ব্লগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মন্তব্য পড়েছিলো যার রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙ্গতে পারেননি-মন্তব্য সংখ্যা ছিল-৩২১টি।বলা বাহুল্য তারঁ প্রতিষ্ঠিত ছিন্নমুল সুবিদা বঞ্চিন শিশুদের একটি স্কুল স্বপ্নপুর এ আমি ও মজিবর ভাই ও অংশ অগ্রহণ করেছিলাম।সে এখন সরকারী একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
নীল সাধু।সামুর পর সে জনপ্রিয় ব্লগ প্রথম আলোর মডারেটর ছিলেন।এর মধ্যে সোনেলায়ও আসতেন নিয়মিত।দেশের অনলাইন আর আক্ষরিক জীবনেও সুবিদা বঞ্চিত শিশুদের কল্যায়ণে গড়ে উঠা একটি সাহিত্য ও মানবতা সংগঠন “এক রঙ্গা এক ঘুরি’ নামের সংগঠনটির তিনি প্রতিষ্ঠাতা।দুএক দিন আগেও এ সংগঠনের পক্ষ হতে “জাপান বই মেলা” জাপান হতে ঘুরে এলেন।তার লেখাগুলোর কূর্চিকে নিয়ে লেখা আমাকে বেশ ভাবায়।
কবি নূরুন্নাহার শিরীন বহু জনপ্রিয় কবিতার জনক।মূর্তজা হাসান সৈকত তারঁ কবিতার বেশ কয়েকটি সিডি বের হয়েছে।নীতেষ বড়ূয়া ব্যাক্তি জীবনে বেশ ভাল আছেন।মিথুন মিঠু এখনো ভবঘোরে কি না জানি না।
রিমি রোন্মান সেতো আমাদের সোনেলা ব্লগের আরেক রত্ন।আমেরিকায় প্রবাস জীবনে থেকেও সোনেলাকে ভুলেননি এখনো।তার লেখা দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলোতে প্রায় প্রকাশিত হয়।তিনিঁ সোনেলার এমনি কৃতজ্ঞ ব্লগার প্রকাশিত তার বইগুলোতে সোনেলার নামটিও যুক্ত করেছেন।তিনিঁ এখনো আমাদের মাঝে ব্লগিং এ সমান তালে আছেন।
শাহ আলম বাদশা ও চারু মান্নান।হালের জনপ্রিয় কবি।প্রকাশিত হয়েছে তাদের বেশ কয়েকটি কবিতার বই।বন্দনা কবীর প্রকাশিত হয়েছে তার অসংখ্য বই।তিনিঁ সোনেলার বিভিন্ন মিলন মেলায় অংশগ্রহন করে আমাদের কৃতজ্ঞ করেছেন।মারজানা ফেরদৌসী রুবা-চলমান ব্লগার ফেবুকার ও সমাজকর্মী।তীর্থক হাসান রুবেল-সম্ভবত এস এ টিভির একজন প্রোগ্রামার।মাঝে মাঝে সোনেলায় বেড়াতে এসে ভালবাসায় আমাদের সিক্ত করেন।শাহ আজিজ-দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত প্রবীন চিত্র শিল্পী।জাঈদ পাগলা-চলমান সহ ব্লগার ও ব্যাবসায়ী।জিয়া ভাই আজকের বোকা মানুষ নামের আইডি-বেশ লেখেন তিনি,যদি আমি ভুল না করি তবে সে সম্ভবত আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার এম ইঞ্জা ভাইজানের বন্ধু।সঞ্চয় কুমার-এক সময়কার তুখোর ব্লগার যার বেশীর ভাগ লেখাই ছিলো গবেষনামুলক।ছিলেন আরো যারা বন্ধু হয়ে সোনেলার ধান সিড়িঁটির ধারে তাদের মধ্যে আমার মনে এখন যে নামগুলো আসছে তারা হলে, নাসির সারোয়ার-বেশ কয়েক বার মিলন মেলায় সঙ্গ দিয়েছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল মননে।সুমন,ছন্ন ছাড়া,অভি, অলিভার,কলকাতার তাপস কিরণ রায়,হতভাগ্য কবি,প্রজন্ম’৭১ ,নিশিথের নেশাচোর ,মরুভূমির জলদস্যু, রিমঝিম বর্ষা ,বনলতা সেন,জাহিদ,এই মেঘ এই রোদ্দুর, দাদু ভাই,আলমগীর,প্রিন্স ,বাইরিক শুভ্র,অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম ,স্বপন দাস ভোঁরের শিশির, অরণ্য ,কবি মোকসেদুল, ,পারভীন ,সাত কাহন, সীমান্ত উম্মাদ রকিব লিখন মেহেদী হাসান ,জসীম উদ্দিন মাহমুদ স্বপ্নচারী কানিজ ফাতেমা লাভা হলুদ পরী সাদা নাক ফুল ,শিশির কনা আফ্রি আয়েশা তামান্না রুবাইয়াত রাতুল অরণ্য জুয়েল যাযাবর স্বপ্ননীলা মানিক পাগলা খেয়ালী মেয়ে অস্পরা কৃন্তনিকা সহ আরো অনেকে।ভোঁরের শিশির এর একটি যুগান্তকারী লেখা।
যার কথা স্বরণ না করলে সোনেলার জন্ম দিনটা পরিপূর্ণ হয়না তিনি হলেন আমাদের শিপু ভাই।যিনি সোনেলার বিপদে আপদে সব সময় আমাদের ছায়া দিয়ে রাখতেন।তিনিও লিখতেন এ ব্লগে।যদিও তিনি এখন বেশ ব্যাস্ত তার রাজা ব্রিক্স এর ব্যাবসা নিয়ে তবে সোনেলা তাকে ডাকলে তিনি না এসে পারেন না।
রুদ্রা আমীন- তার সম্পর্কে যত বলব তত যেন কম হয়ে যাবে।সে সময় বন্ধুব্লগ প্রতিষ্ঠা করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।এরপর নববার্তা একটি অনলাইন পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন যা এখনো প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকাগুলোর শীর্ষকাতারে।তিনি আমাদের সোনেলাকে ভালবেসে এখনো চলমান ব্লগার তিনি তার পোষ্ট করে যাচ্ছেন।
তাই ব্লগ থেকে কিছু অর্জন করতে হলে আপনাকে ব্লগে লেগে থাকতে হবে আর এই লেগে থাকার মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক ধৈর্য ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি।আরো একটু ব্যাখ্যা দিয়ে যদি বলি তবে বলতে হয় এখানে আমরা ব্লগিং করতে এসেছি গ্রুপিং করতে আসিনি।আর এক জন “লেখক” হিসাবে মনে ধারণ করেই কোন সাহিত্য ব্লগে আইডি খুলতে হয়।প্রকাশিত আপনার আমার লেখাগুলো ভাবতে হবে পাঠক তার নিজস্ব মতের উপর ভিত্তি করে মতামত দিবেন তাতে লেখার পক্ষেও আসতে পারে কিংবা বিপক্ষে। তবে হ্যা একজন সাধারন লেখক হিসাবে এইটুকু বলতে পারি তার পোষ্টে মন্তব্য কারীর মন্তব্যে বিষয়ে সহমত এর ম্যাজোরিটির পরিমান যদি বেশী থাকে তবে লেখককে অবশ্যই মেনে নেয়া উচিত অন্ততঃ নিজেকে শুধরানো জন্য হলেও।কারন দশ জন যাকে ভাল কয় তারে নাকি আল্লায়ও ভাল কয়।
তাই আর কোন সুযোগ নেই আমি কি হনুরে বলার,,,এখানে আমাদের এ সোনেলা ব্লগটি প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের নজঁরে পড়ে।অগণিত সার্চ হয় গুগল থেকে আমরা ছাড়াও সার্চ করে তারাঁ আমাদের লেখাগুলোও পড়েন।তাই মন্তব্যগুলোতে হওয়া চাই ভাষা ব্যাবহারে শালীনতা।বিতর্কীত লেখায় মন্তব্যের সংখ্যার দিক দিয়ে লেখক তার লেখায় হেরে গেলে আর তার ইগোর কারনে দশ জনের না বোধক মন্তব্যেও যদি বলেন “তাল গাছটিই আমার” তবে সাফ কথা “ চলে যান ব্লগ সমাজ থেকে।সামাজিকতায় আন্তরিকতার যার ঘাটতি আছে সে কোন ভাল লেখক হতে পারে না কারন লেখকের লেখা উঠে আসে সমাজ থেকে আর বিজয়ী মন্তব্যকারী দশ জনের জ্ঞানের কাছে আপনি অতি নগণ্য।ভাবতে হবে জ্ঞান আহরণ প্রতিনিয়ত অর্জন করছি তবেই আপনি আমি লেখক বলতে পারব।
কিছু লেখকের আপেক্ষপ থাকে তার লেখায় কেন এতো কম মন্তব্য পড়ে।সে ক্ষেত্রে আমার মত হল আপনি আমি আমাদের পোষ্টগুলোতে তখনি বেশী বেশী মন্তব্য আশা করতে পারি যখন লেখাটা মন্তব্য পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবে সে ক্ষেত্রে লেখার বিষয় বস্তু নিয়ে মন্তব্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠতে পারে।সে ক্ষেত্রে মন্তব্য বেশী পাওয়ার অধিকার আদায়ে আপনি আপনার মন্তব্যের প্রতিত্তোরে যে কোন মন্তব্যে কৌশলগত ভাষায় তার মোকাবেলা করতে হবে।আরো একটি বিষয় হল গিভ এন্ড টেক।আপনি আমি মন্তব্য আদান প্রদানে লেখকের সংখ্যা বাড়াতে পারব যাকে খাস বাংলায় বলে আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক তৈরী যত বেশী হবে তত বেশী মন্তব্য আসবে আপনি আমার পোষ্টগুলোতে।আর আমি আপনি যদি ভাবি ব্লগে পোষ্ট দিয়েই খালাস তবে আর যাই হোক মন্তব্যের জন্য আপনি আমি পস্তাবই।
সব চেয়ে অবাক হই তর্কে হেরে যাওয়া ব্লগারদের কান্ডহীন কর্মকান্ড দেখে।তর্ক বিতর্কের শেষ পরিনতি এসে গিয়ে পড়ে ব্লগের উপর।অনেকে ব্লগ বিমুখ হয়ে পড়েন।অনেকে রাগ বা ইগোর কারনে নিজের স্বপ্নে গড়া ঘর নিজেই ভেঙ্গে দিয়ে সকল সম্পর্কের ইতি ঘটান।আমার প্রশ্ন হল এ ক্ষেত্রে ব্লগের কি দোষ? ব্লগ কি আপনার ভাড়া ভাতে মুখ দিয়েছে ? তর্ক করেছেন আপনার সহ ব্লগারদের মত-অমতের সাথে এখানে ব্লগ কি করবে ? ব্লগের নিকটতো তার সকল ব্লগারই সন্তান তুল্য।তবে হ্যা ব্লগ কর্তৃপক্ষ দেখবেন আপনি আমি যে তর্কে মেতেছি তা ব্লগ নীতিমালায় ঠিক না বেঠিক।সে ক্ষেত্রে ব্লগ কর্তৃপক্ষ আপনার আমার বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
স্বর্গের মেঘপরী
সোনেলা ব্লগের বেশ জনপ্রিয় ব্লগার ছিলেন তিনি।বয়স তেমন নয় হঠাৎ এক রোড এ্যাকসিডেন্টে তার অকাল মৃত্য হয়।আমরা সোনেলা পরিবার সেসময়ও শোক বার্তা প্রকাশ করেছি এবং এখনো আসছে সোনেলা জন্ম বার্ষীকিতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তাই সোনেলার জন্ম মাসে নতুন/পুরাতন যারা ব্লগে ব্লগার আছেন আপনাদের সহ ব্লগার হিসাবে আপনাদের নিকট আমার আবদার -যে ঘরটি আপনি স্বযতনে বাধঁবেন তাকে ছেঁড়ে যেতে একটু হলেও ভাববেন- এ ব্লগে আর সবার মত আপনার আমারও লেখার অধিকার আছে।ইতিমধ্যে সোনেলায় বহু নতুন ব্লগার নিবন্ধিত হয়েছেন।রীতিমত তাদের মধ্যে হতে বেশ কয়েকজন ব্লগটিকে ভালবেসে আলোচনায় এসেছেন তাদের লেখার লিখুনির মধ্য দিয়ে।একদিন এ পদ শুন্য হবে নতুনরা ধরবে তারঁ হাল।প্রজন্মের পর প্রজন্মরা যেন বেধেঁ রাখেন সোনেলাকে শক্ত খুটির বাধনে।
অস্বীকার করার উপায় নেই ব্লগে নতুনদের মধ্যে বেশ অভিজ্ঞ প্রদীপ চক্রবর্তী,নাজমুল হুদা, আরজু মুক্তা আপু, বীথি আপু, নায়িমা জাহান,সঞ্চয় মালাকার,মোস্তাফিজ, পাখি বিশেজ্ঞ প্রিয় শামীম ভাই,মোহাম্মদ দিদার,মাসুদ,সোয়েব,হৃদয়ের কথা,মছুম হাবিবী, অভিজ্ঞ ব্লগার শবনম মোস্তারী,অশোকা মাহবুবা,সোনালী বোন শিরিন হক,অভিজ্ঞ লেখক দালাল জাহান,রাফি আরাফাত,প্রিয় লেখক শফিক নাহোর-,সিকদার সাদ রহমান,খুরশীদা খুশী,হাফেজ আহমেদ রাশেদ,প্রিয় শাফিন আহমেদ,সেলিনা মাওলা,রোবায়দা নাসরীন,অপু রায়হান,রাজু চক্রবর্তী,স্বপ্ন বিহীন মানুষ সহ আরো যারা আছেন তাদের হাত ধরেই আগামী সোনেলা চলবে বীর দর্পে।তাদের প্রতি অনুরোধ বা আবদার থাকবে, ব্লগকে ভালবাসলে ভালবাসুন মাকড়শা এর জালের মত।মাকড়শা যেমন করে জাল বুণিয়ে নিজেকে রক্ষা করে শত্রুর আক্রমনের হাত হতে তেমনি ব্লগে লেগে থাকুন মাকড়ঁশার জাল হয়ে।এক দিন অবশ্যই উপরে বর্নিত বেশ কয়েকজন সোনেলার সোনালী ব্লগারদের ন্যায় আপনাদের জীবনেও নিশ্চয় বয়ে আসবে সফলতা।
সবাইকে ধন্যবাদ
শুভ হউক সোনেলার জন্ম বার্ষিকী
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ব্লগিং জগতের সুন্দর একটি ইতিহাস বর্ণনা দিলেন। সবাই নিজ নিজ আলোয় আলোকিত। এই মিলন জিবনে অনেক কিছু আমার।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।হুম অর্ধেক আপনার অর্ধেক আমার।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা। সব আমাদের। সকলের
তৌহিদ
অসাধারণ একটি লেখা মমি ভাই। এতো এতো লিংক সংযোজন করে সোনেলার পরিচিত ব্লগারদের তালিকা এক পোষ্টে নিয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয়!! তবে নতুনদের নিয়েও কিছু লিখলে আরও ভালো হতো আমার মতে। এ বছর যারা সোনেলায় এসে নিজেদের প্রমান করছেন যোগ্য লেখক হিসেবে।
মলম পার্টি নাজমুল হুদার দেয়া এ নামটি দেখছি জনপ্রিয় হয়ে গেলো!!
ভালো থাকবেন ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি। নতুন নাম সো করে বিস্তারিত লিখতে আরো কিছু সময় লাগবে …তবে অস্বীকার করার উপায় নেই ব্লগে নতুনদের মধ্যে বেশ অভিজ্ঞ প্রদীপ চক্রবর্তী,নাজমুল হুদা, আরজু মুক্তা আপু, বীথি আপু, নায়িমা জাহান,সঞ্চয় মালাকার,মোস্তাফিজ, পাখি বিশেজ্ঞ প্রিয় শামীম ভাই,মোহাম্মদ দিদার,মাসুদ,সোয়েব,হৃদয়ের কথা,মছুম হাবিবী, অভিজ্ঞ ব্লগার শবনম মোস্তারী,অশোকা মাহবুবা,সোনালী বোন শিরিন হক,অভিজ্ঞ লেখক দালাল জাহান,রাফি আরাফাত,প্রিয় লেখক শফিক নাহোর-,সিকদার সাদ রহমান,খুরশীদা খুশী,হাফেজ আহমেদ রাশেদ,প্রিয় শাফিন আহমেদ, আরো যারা আছেন তাদের হাত ধরেই আগামী সোনেলা চলবে বীর দর্পে।
তাদের প্রতি এডমিনদের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তৌহিদ
হ্যা ভাই ঠিকই বলেছেন। সোনেলার সুশীতল ছায়ায় সবাই একসাথে থাকুক এটাই কাম্য।
ছাইরাছ হেলাল
নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই,
এমন পরিশ্রমী লেখা আপনাকে দিয়েই সম্ভব।
মনে হয় এই তো সেদিন!
মেঘ পরী ভাল থাকুক পরীর দেশে। ওকে মনে পড়লে প্রাণ হু হু করে ওঠে।
মনির হোসেন মমি
হুম ধন্যবাদ ভাইয়া। আমীন।
নিতাই বাবু
এতো সুন্দর করে সোনেলা এব সোনেলা আয়োজিত আড্ডা নিয়ে বর্ণনা দিলেন, তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারছি না, মনির দাদা। তবে আমি অধম আপনি বা আপনাদের সাথে বেশি আড্ডা দিতে পারিনি বলে দুঃখপ্রকাশ করছি।
মনির হোসেন মমি
ধুর দাদা কি যে কন!আপনিতো আমাদের দিলের ভেতরেই আছেন আজ না হয় কাল হবে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
চমৎকার লেখনী দাদা।
এতো সুন্দর করে উপমা যা আপনার দ্বারা সম্ভব।
লেখায় একরাশ মুগ্ধতা রাখছি।
প্রিয় সোনেলার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা…
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনারা হলেন ব্লগের প্রান।আপনাদের নিয়ে আবারো কোন এক মিলন মেলায় মেতে উঠব সেই আশা রাখি।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলা নিয়ে আমার ভবিষ্যত পোস্ট গুলোর সারসংক্ষেপ দিয়ে দিলেন আপনি। আমার খাটুনি ৭৫% কমিয়ে দিলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মনির ভাই।
স্মৃতিক্রান্ত হয়ে গেলাম আপনার লেখা পড়ে।
মেঘ পরীকে নিয়েই আমার পরবর্তী পোস্ট হবে।
শুভ ব্লগিং
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও ভালো থাকবেন মনির ভাই।
শুভ কামনা।
হৃদয়ের কথা
অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। এত লিংক কতদিন বসে সংযোজন করেছেন! অনেক কস্ট করেছেন এই পোস্টের জন্য৷ ধন্যবাদ মনির ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল। সাথেই থাকুন।
আরজু মুক্তা
মুগ্ধতা কাজ করছে। যাদের পরিশ্রমে আজকের এই সোনেলা। আমরা কি পারবো তাদের মতো হতে?
ইতিহাস তিক্ত হলেও সত্যি!
মনির হোসেন মমি
কেন নয়,আপনারা আছেন বলেইতো সোনেলা এখনো সমহীমায় এগিয়ে চলছে। আপনাদের জন্য আমাদের শুভ কামনা থাকবে সব সময়। শুভ ব্লগিং।
সঞ্জয় মালাকার
অসাধারণ লেখা দাদা… আর
এতো সুন্দর করে উপমা যা আপনার দ্বারা সম্ভব।
লেখায় একরাশ মুগ্ধতা রাখছি।
প্রিয় সোনেলার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
মনির হোসেন মমি
সোনেলার আগামী কান্ডারী আপনারা আপনরাই সোনেলাকে এগিয়ে নিবেন।এই আশা ব্যাক্ত করছি। শুভ ব্লগিং।
সঞ্জয় মালাকার
শুভ ব্লগিং দাদা,
মোস্তাফিজুর খাঁন
😯 সুন্দর গোছানো লেখা, যেন সোনেলা বার্তার মুভি দেখছি ।
সত্যিই অসাধারন । 🌹
মনির হোসেন মমি
মোস্তাফিজ ভাইয়া একটি অনুরোধ সোনেলায় লেগে থাকুন।আগামী সোনেলা জেগে উঠুক আপনাদের হাত ধরে। শুভ ব্লগিং। ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা আড্ডা বা মিলন মেলার ছবিগুলো দেখলে আমার ইক্টু ইক্টু হিংসে হয়। আর রাগও হয়। কেন যে আগে এলাম না! তাহলে মাঠের ঐ গোল জমায়েতে আমার ছবিটাও থাকতো। আবার সেদিন যখন লাঞ্চ টেবিলের ছবি দিলেন, তখন পুরোই ক্ষেপেছিলাম আপনার উপর। কি হতো যদি খাওয়ার আগে একটু ডেকে নিতেন? আমি নাহয় একটু বেশিই খেতাম। আপনাদের খাবারে কম পরতো, তবুও আমার একটা ছবি থাকতো 😭😭
বড় ভাই, ছোট্ট ভাই সব খালি নামেই হলেন, খাওয়া-দাওয়ার টাইমে ঠিকই ভুলে গেলেন। আর ইঞ্জা ভাইজানতো খেয়েদেয়ে পাতিল নিয়েই ছবি তুলেছিলো। এমন একজোড়া ভাই কি আমি চেয়েছিলাম? 😱😱
মনির হোসেন মমি
এরই নাম কপালের নাম গোপাল আর ইঞ্জা ভাইজানতো রাজ কপাল ডেগতো তারই প্রাপ্ত হা হা হা। ধন্যবাদ বড় আফা।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখাটি অত্যন্ত আবেগময় আর ঘটনাবহুল। আমাদের ব্লগে এত এত ব্লগার ছিলো/ আছে ভাবতেই আনন্দিত হই। হয়তো বাস্তবিক জীবনের ব্যাস্ততায় অনেকেই আসেন না বা লেখা দিচ্ছেন না, তবুও বিশ্বাস করি এরা এখনো সোনেলাকে ভালোবাসেন আর মনে রাখেন।
সোনেলার সকল সম্মানিত ব্লগার ও পাঠকদের প্রতি শুভেচ্ছা। যাদের কারনে সোনেলা আজ এত আলোকিত, উজ্বল।
চমৎকার লেখাটি দেয়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ মমি ভাই। 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
তারা লেখা না দিলেও অনেকে সোনেলাকে নিয়ে গর্ব করেন এখনও।অনেকে বলেন কত ব্লগতো আইলো গেল আমাদের সোনেলা এখনো টিকে রইল। তারা ব্লগে না আসলেও ভিজিট করেন সোনেলার লেখাগুলো পড়েন।আমিতো এ পোষ্টে সামান্য ক’জনকে উপস্থাপন করছি যাদেরকে আমি চিনি এবং বিশ্বাস করি তারা এখনো সোনেলার শুভাকাখ্ঙি আছেন।
রেহানা বীথি
এত সুন্দর করে লিখলেন! আর সবার নাম মনে রেখে উল্লেখ করা, আমি সত্যিই আনন্দিত এবং মুগ্ধ। শুভকামনা ভাইয়া, ভালো থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপনাকেও।মনে রাখবেন আসছে সোনেলার সব গৌরব আসবে আপনাদের কলমের খোচায়।সেই জন্য শুভ ব্লগিং।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সবমিলে অসাধারণ লিখেছেন। খুব ভালো লেগেছে। জানলাম অনেক কিছু।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আসছে মিলন মেলায় আপনার উপস্থিতি কাম্য।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ফ্রি থাকলে আসবো ইনশাআল্লাহ।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।