
আমাদের সময় সবকিছু এনালগ আর ম্যানুয়েল ছিলো। তাই আমাদের চিন্তা-ভাবনা গুলো ও ছিল নন-ডিজিটালাইজড। চিঠির আদান-প্রদান ছিলো যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম , ল্যান্ডফোন ছিল হাতে গোনা কয়েকটি বাসায়। অবসর কাটতো গল্পের বই, ম্যাগাজিন পড়ে আর রেডিও-টেলিভিশনের অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে। এটাই ছিল বিনোদনের ব্যবস্থা। ছুটির দিনগুলোতে জাতীয় জাদুঘর, শিশুপার্কে যাওয়া তাও বাসা কাছাকাছি থাকার সুবিধার্থে। আর পহেলা বৈশাখ, পূজোর সময় ঘোরাঘুরিতেই সীমাবদ্ধ ছিল আমাদের বিনোদন। বই পড়ার নেশা থেকে নিজেকে একসময় লেখকের স্থানে ভাবতে মন চাইলো, নিজের লেখা বই আকারে ছাপানো হবে , সবাই চিনবে, জানবে। সেই ভাবনা থেকেই একসময় লেখালেখি শুরু করে দিলাম সবার অগোচরে। একসময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে লেখা পাঠানো শুরু করলাম। একদিন একটা কবিতা ছাপানোর ব্যবস্থা হলো আরো কয়েকজন কবির সাথে। মনটা আরো বড় হয়ে গেল আমার স্বপ্ন পূরনের উদ্দেশ্য সফল হবার জন্য। আমার লেখাটি ছাপা অক্ষরে পেয়ে দারুন খুশি হয়েছিলাম। এরপর আর লেখালেখি বেশীদূর আগায়নি পদার্থবিজ্ঞান এর মতো কঠিন বিষয়কে পড়াশোনায় যুক্ত করার জন্য , সাথে আরো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় যুক্ত হওয়াতে। একসময় বাইরের বই পড়াও বন্ধ করে দিলাম সেই সাথে লেখালেখি ও।
আমাদের সময় ফেসবুক ছিলোনা, মোবাইল ছিলোনা ব্লগ তো বহু দূরের বিষয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে এক বন্ধুর অনুরোধে ফেসবুকে একাউন্ট খুললাম, কিন্তু আগামাথা কিছুই বুঝতাম না। ঐ বন্ধুর সাহায্যে অনেক কিছু শিখলাম,জানলাম। আস্তে আস্তে মোবাইলে ফেসবুক চালানো শুরু করলাম। ২০১২ সালে কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে শাহবাগ তখন উত্তাল । ঐ সময় ব্লগারদের নাম প্রথম শুনলাম। তাদের লেখা পড়ার জন্য- কোথায় লিখে তা জানার আগ্রহ হলো । কিন্তু জানা বা বোঝা অজানাই রয়ে গেলো। আর তখন আমি পুরোপুরি চাকুরীজীবী তা-ও হাসপাতালে তাই ছুটি মিলতো না তেমন । সময় পেলেই বাইরে ঘুরতে যেতাম। এরমধ্যে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাসায় বসে রইলাম। সময় কাটছিলো না। হঠাৎ বান্ধবী যূথীর সাথে জবের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ওর গ্রাফিক্স কোর্সে ভর্তি হলাম। সেখানেই ক্লাসমেট হলো আমাদের সবার প্রিয় ইকরাম জিসান মোঃ শামসুল দাদা ভাই। তার আর যূথীর ঠেলায় পড়ে মরিচা ধরা লেখালেখিতে ধার দেয়া শুরু করলাম। কিন্তু কি লিখবো, কিভাবে শুরু করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না! এদিকে ইকরাম দাদা ভাই প্রায়ই বলছে লেখা দিতে। পরে যূথীর সাহায্য নিয়ে একটি লেখা তৈরি করলাম আর ইকরাম দাদা ভাইয়ের সাহায্যে ব্লগে একাউন্ট খুললাম। দাদা ভাই সব করে দিলো। তারপর উনি প্রতিটি পোষ্টে ধাপে ধাপে আমাকে সোনেলার একজন পরিচিত ব্লগার তৈরি করলেন। আজ আমার ভাবতেই ভালো লাগে আমার লেখার জন্য এতো সুন্দর, আন্তরিক প্লাটফর্ম হিসেবে সোনেলাকে পেয়েছি। এখানকার সবাই আমাকে এতোটা আপন করে নিয়েছে, আমার লেখার প্রশংসা করেছে যা আমার কল্পনাতীত ছিল। আমি কখনোই এতোটা আশা করিনি। সব সম্ভব হয়েছে সবার ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণার জন্য। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
হাঁটি হাঁটি পা করে দশ মাসে পড়লো সোনেলার উঠোনে পদচারণা। এখন সোনেলাই আমার একমাত্র ভালোলাগার জায়গা যেখানে না আসলে, লেখা না পড়লে মনটা অস্থির হয়ে থাকে। মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি। সেই মন্তব্য যখন এক দু’লাইনে , গৎবাঁধা ছকে আবদ্ধ দেখি তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তারপর লেখায় বানান ভুল । ইংরেজী ভাষার চর্চা করতে গিয়ে নিজের মাতৃভাষার বারোটা বাজিয়েছি। অথচ এই ভাষার জন্য আমরাই রক্ত দিয়েছি। আমরা কি ব্যর্থ হয়ে যাবো শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে? আমরা কি পারি না এই ভুলত্রুটি গুলো শোধরাতে? আমরা চাইলেই এই দুটো জায়গায় নিজেদের সদিচ্ছায় উন্নতি করতে পারি।
সোনেলার নবম জন্মবার্ষিকীতে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার তাহলেই এই জন্মবার্ষিকী সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।
জয়তু সোনেলা, জয়তু সকল ব্লগারগণ। শুভ ব্লগিং
৪৩টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
প্রথম হাজিরা দিয়ে গেলাম। মন্তব্যে আসছি পরে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল প্রথম হবার জন্য। শুভ সকাল
আরজু মুক্তা
সোনোলা এগিয়ে যাক দীপ্তপদে।
আপনিও ভালো থাকেন। সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন।
শুভকামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম। আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য
ফয়জুল মহী
অনেক অনেক শুভ কামনা ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল
সুপায়ন বড়ুয়া
দিদি পদচারনায় মুখরিত হোক
সোনেলার উঠান।
লেখার মাঝে গেয়ে যান
জীবনের জয় গান।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
প্রদীপ চক্রবর্তী
সোনেলাকে নিয়ে আপনার ভাবনা বেশ ভালো লাগলো।
সোনেলা শিখতে ও বাঁচতে শেখায় সৃজনশীলতা দিয়ে।
শুভকামনা আপনার জন্য,দিদি।
আর আপনার প্রতিটি কবিতা বেশ ভালো লাগার মতো।
শুভ ব্লগিং।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। শুনে খুব ভালো লাগলো যে আমার লেখা ভালো লাগার মতো এটাই অনেক বড় পাওয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
আলমগীর সরকার লিটন
জ্বি আপনিও
শামীম চৌধুরী
যে কোন স্বনামধন্য ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হলে কারো না করো সহযোগিতা লাগে। আর যদি সে প্রতিভাবান হয় তবে অন্যপ্রতিভাবানরাই তাঁকে খুঁজে বের করে। এটাই চিরন্তন সত্য।
আপনার লেখা-লেখির গুন বা অভ্যাসটা লেখা-পড়া বা চাকুরীর কারনে ভাটা পড়ায় ঝং ধরেছিলো যা আপনার লেখায় জানলাম।
প্রতিভা এমন একটা জিনিষ যা লুকানো যায় না। উদ্ভিদের বীজ যেমন মাটির সংস্পর্শে আসলেই অঙ্কুরোদগম হয়। দুটি পাতা থেকে ডাল-পালা গজিয়ে বিশাল একটা গাছে পরিনত হয় ঠিক প্রতিভাও একদিন মানব হৃদয়ে অজান্তেই বিচরন করে। মানুষের সামনে একজন গুনী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
আর সেটা যদি কারো ছোঁয়ায় সঠিক প্ল্যাটফর্মে এনে ট্রেনটি ধরিয়ে দিতে পারে তবে সেই ট্রেনটিই নিয়ে যাবে সঠিক গন্তব্যে।
আপনাকে জিসান ভাই সোনেলা ট্রেনটি ধরিয়ে দিয়েছেন বলেই আপনি আজ নিজের গন্তব্যের ঠিকানায় পৌছে প্রতিভাগুলি ছড়িয়ে দিতে পারছেন।
আমার বিশ্বাস আপনার মতন অনেককেই এই সোনেলা উচ্চ স্থানে নিয়ে যাবে।
দিদিভাই,
আপনি সঠিক বলেছেন,
কোন লেখায় যদি বানান ভুল বা ভাষার মিশ্রন থাকে তবে সেই লেখা যতই সুন্দর হোক না কেন জনসমাদৃত হয় না। পাঠকের কাছে লেখকের পরিচিতি হয় …*।
আমরা যারা লেখার মাধ্যমে আমাদের প্রতিভাকে আলোর মুখ দেখাতে চাই তবে অবশ্যই ভাষা ও বানানের দিকে নজর রাখতে হবে। নইলে সকল পরিশ্রম বৃথা।
সোনেলার জন্ম মাসে আপনার অনুভুতি পেয়ে আপ্লুত হলাম।
শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আপনি খুব সহজ আর সুন্দর করে বললেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
মাত্র নয় মাস!! মিছা কথা কোন ক্যা!!
আমার তো নয় বছর বছরের মত মনে হয়।
আমার কিন্তু বানান ভুলের উপায় নেই, চোখ-পাহারা বসানো আছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
😍😍😍 । তাইলে ঠিক আছে আমি নয় বছর ধরেই আছি। আপনার কথা ফেলে দেই কেমন করে? হুম চোখ-পাহারা মাঝে মাঝে চেক আপে রাইখেন , সার্ভিসিং ভালো দিবো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
শামীম চৌধুরী
মহারাজের কথা। কিভাবে ফেলবেন দিদিভাই?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
তাইতো কথাটা মেনে নিলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদ
অতি অল্প সময়ে আপনি নিজের কর্মগুনে সোনেলায় আপনার অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। আপনার বিচরণ আমাদের উজ্জীবিত করে সবসময়। এভাবেই পাশে থেকে আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে চাই।
সোনেলার জন্মোৎসবে আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার জন্য ও শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় এতদূর আসতে পেরেছি। এই দশ মাসে যা পেয়েছি তার কোন তুলনা হয় না। আগামী তেও এভাবেই একসাথে পথ চলতে চাই। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কে কখন কোথায় জায়গা করে নেয় আগে থেকে বলা মুশকিল। যুথী আপু আপনার আগে এলেন, তার হাত ধরে আপনি সোনেলায় এলেন, অথচ আমরা যুথী আপুকেই নিয়মিত সোনেলায় পাই না। আর আপনি দিনে দিনে আমাদের আপনজন হয়ে গেলেন 🙂
মাত্র নয়মাস, কিন্তু মনেহয় আপনি সব সময়েই এখানে আমাদের মাঝে ছিলেন আছেন। আর এমন মনেহয় সোনেলায় আপনার নিরবচ্ছিন্ন পদচারণার কারণে।
খুব খুব ভালো থাকুন। শুভ কামনা অবারিত 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 💓🌹। আপনাদের সবার আন্তরিকতা, অনুপ্রেরণা আমাকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বেঁধে ফেলেছে। আপনিও নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন, ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি তো ভেবেছিলাম আপনি অনেক পুরোনো।ভুল বললাম,ভালোলাগা থাকলে আপন হতে সময় লাগে অল্পই॥আপনি তার প্রমান।আমার দেখা মতে,কয়েকজন মনোযোগী পাঠকের মধ্যে আপনি একজন।
আন্তরিক মন্তব্যগুলি তার প্রমান।
শুভ কামনা সোনেলা।
শুভ কামনা দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ আপু। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য খানি। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা নিরন্তর।
উর্বশী
পছন্দের মানুষ সব সময় মনের গভীরেই স্থান করে নেয় সবার। আপনি তাদের দলের একজন। সবার মন্তব্য পড়ে তাই মনে হলো। আপনার লেখা তো অতুলনীয়। আর আমার সব লেখার মন্তব্যেই আপনার উপস্থিতি থাকে,এটি আমার জন্য সুখকর ব্যাপার। পাঠক হিসাবে প্রথম সারির একজন ও বটে। ভাল থাকুন, শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবার ভালোবাসাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। লেখক হিসেবে কতটুকু ভালো সেটা আপনারাই বিচার করবেন। অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা অবিরত
সাদিয়া শারমীন
আমি ব্লগে আসতে পারি কম। যখন আসি আপনার লেখা পড়ি।ভালো লাগে। কিভাবে সোনেলায় জায়গা করে নিলেন তার খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ।ভীষণ প্রাণবন্ত লেখা। ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যখনি আসেন আমার লেখা পড়েন এটা শুনে খুব ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
লেখার জন্য আসলে একটি নির্ভার স্থান এবং উপযুক্ত পরিবেশ দরকার হয়।
সোনেলা এমই একটি নির্ভার স্থান যেখানের প্রতিটি ব্লগার একে অন্যের সাথে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ।
আমরা যারা এই উঠোনে বিচরণ করি, তারা প্রত্যেকেই প্রাণ খুলে লিখে যায়, যে কোনো লেখা আন্তরিক ভাবে লিখলে তা ভালো হতে বাধ্য।
আর তার সাথে যদি সহ লেখদের উৎসাহ পাওয়া যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা হয়ে যায়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী সোনেলায় আসার পরে নিজ গুনেই একটি সুন্দর স্থান করে নিয়েছে। এমন কোনো পোষ্ট নেই যেখানে সুপর্ণা ফাল্গুনীর উৎসাহ জনক মন্তব্য নেই। ব্লগিং কেবল মাত্র নিজে লেখা আর নিজের লেখার মন্তব্যের জবাব দেয়া নয়। সাথে সাথে সহ ব্লগারদের লেখা পড়ে উৎসাহ দেয়া ব্লগিং এর একটি বড় গুন।
কিছু কিছু ব্লগারের মন্তব্যে আমিও হতাশ আসলে। লেখায় যদি বিস্তারিত মন্তব্য নাই করেন তাহলে ফেইসবুকে থাকলেই পারেন তারা।
ভালো লেগেছে, নাইস, সুন্দর, এক্সিলেন্ট এমন এক দুই শব্দের মন্তব্য ব্লগে অচল।
আমারো বানান ভুল হয়। চেষ্টা করবো নির্ভুল লিখতে। নির্ভুল বানানে লেখার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অবশ্যই সচেষ্ট থাকব।
শুভ কামনা,
শুভ ব্লগিং।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বানান ভুল হওয়াটা অনেক কারনেই হতে পারে তবে পোষ্ট করার আগে দু একবার দেখে নিলে ভুলের পরিমাণ টা কম হয়। সহজ বানান গুলো মনে হয় বেশী ই ভুল হয় তার কারণ গুরুত্ব না দেয়া। এখানে লেখা মানেই অনেক পাঠক পড়বে, লেখার মূল্যায়ন হবে আর সেটাই আমরা সবাই চাই । তাহলে পাঠকের কাছে আমার মূল্যায়ন টা কতখানি ভালো হবে এমন লেখা দিলে! যে অজ্ঞ বানান সম্পর্কে সে সেটাই মেনে নিবে, ভুল শিখে সে-ও ভুল প্রয়োগ করবে। আর যে বিজ্ঞ সে লেখকের সম্পর্কে খারাপ মনোভাব পোষণ করবে। ক্ষতিটা কার হলো? আমি পরিচিতি চাই, সুনাম চাই লেখক হিসেবে কিন্তু সেটা কি এভাবে সম্ভব? ধন্যবাদ দাদা ভাই। চোখের কি অবস্থা? আশা করি সুস্থ আছেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
সৌবর্ণ বাঁধন
দিদি আপনার গদ্য লিখার হাত খুব সুন্দর। আরো অনেক অনেক লিখুন এই প্রত্যাশা রাখছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি কেন জানি গল্প লিখতে সাহস পাইনা, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন শুভকামনা রইলো। শুভ সকাল
ইঞ্জা
অল্প কয়জন ব্লগারের মধ্যে আপনি একজন যিনি ব্লগে এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন, ব্লগের সেরা ব্লগারদের একজন আপনি এখন, আপনার লেখাতে অনেক সময় মন্তব্য দিতে না পারলেও আমি নিয়মিত পড়ি।
এভাবেই এগিয়ে যান আপু, সাথে আছি আমরা।
শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি জানি আপনি আমার লেখা পড়েন। একসাথে পথ চলতে চাই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো। শুভ সকাল
সুরাইয়া পারভীন
সোনেলায় উঠান অসংখ্য নক্ষত্রদের পদচারণায় উজ্জ্বল
ঝলমলে আলোকিত হোক সব সময় সেই কামনা রইলো সব সময়।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো দিদিভাই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সোনেলার সাথেই থাকুন
বন্যা লিপি
মাত্র নয় মাসে আপনি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন আরো আগে? বাব্বাহ্….আপনিতো সুপার ফাস্ট বায়োনিক ওম্যান!! এবং এই কারনেই আপনাকে নয়মাস নয় সোনেলার জন্মলগ্ন থেকেই সারথি মনে হয়। একনিষ্ঠ ব্লগার বলতে যা বোঝায়। অঙ্গিকারনামা পছন্দ হয়েছে। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য সদা সতর্ক থাকতেই হবে।
শুভ কামনা অবিরাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসা অবিরাম 💓🌹। আশীর্বাদ কাম্য। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
খাদিজাতুল কুবরা
দিদি ভাই এটা অবিশ্বাস্য লাগছে আপনি মাত্র নয়মাস আগে সোনেলায় এসেছেন। আপনার ব্লগিং দেখে বোঝার উপায় নেই। আমি ভাবতাম আপনি অনেক সিনিয়র ব্লগার। দিদি আপনার লেখনশৈলী এবং একনিষ্ঠতা আপনাকে সোনেলার অন্যতম সারথি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। নতুনদের জন্য আপনি দৃষ্টান্ত।
আপনার সব লেখাই পড়ি খুব ভালো লাগে।
সদিচ্ছা থাকা স্বত্তেও বানান ভুল হয়ে যায়। আশা করছি ভুল চোখে পড়লে বলবেন। যেহেতু সম্পাদনার সুযোগ আছে।
আজকের লেখাটিও খুব ভালো লাগলো।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু। সবার ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা আমাকে নিরবচ্ছিন্ন রেখেছে সোনেলার সাথে। আমার লেখা ভালো লাগলো জেনে খুব ভাল লাগছে। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
নাসির সারওয়ার
পদার্থ পড়লে লেখালিখি বন্দ, এটা কেমন কথা! আপনি নিউটনকে নিয়ে লিখবেন! পৃথিবী গোল, নাহ হয় একটু চেপ্টা এসব!!
যাক, লেখালিখির গল্প জেনে নিলাম।
অনেক ভালো উপাস্থনায় অনেক ভালো একটা বিষয় তুলেছেন। এটা একটা বাংলা ব্লগ। এখানে বাংলা অক্ষর দিয়ে লেখাই উত্তম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা আমাদের মনে করিয়া দেবার জন্য।
ভালো থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া শুধু পদার্থ নয় ঐ সময়েই আমার দাদী মারা যায় তাই মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি, আরো অনেক ঝামেলায় পড়ে লেখালেখি বন্ধ করে দেই। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। শুভ কামনা রইলো