
সূর্যোদয় দেখবো বলে বসে আছি
অফুরন্ত সময়ের কোলে, নিরুত্তাপ নিরুত্তরে,
অপেক্ষা-প্রহর শেষে;
দেখাবে বলে কথা দিয়েছিল
ভাঁজ খুলে খুলে, নীলাকাশ সাক্ষী রেখে,
ফিরবে, ফিরে আসবে সোনাঝুরি-বনে
পাখিদের কলকাকলিতে;
বদলানোর কথা বলে এতটা বদলে যাবে!
তিন তিনটে সত্যি ভেঙ্গে ফিরিয়ে দেবে!ভাবিনি,
ঐ দেখো অপেক্ষার নদী-তীর এখন ও দাঁড়িয়ে
সূর্যি ওঠা দেখবে বলে।
অকস্মাৎ ছুটে এলো কালো কালো মেঘ-দল
আকাশ ছেয়ে-ছেয়ে,
বৈশাখী মেঘে-ঝড়ের ওলট পালট বৃষ্টি,
অন্তর্দেশের একান্ত চাওয়াটুকু মুহূর্তেই বিলীন;
জ্বলন্ত-খুন বয়ে চলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বলাময়ী ধমনীতে
ক্লান্তির সুখের-অসুখে,
দপ করে নিভে যাবে!মূর্ছা যাবে খেলাচ্ছলে!
বেঘোরে তাপিত রমণ-গাথার উদ্যানে!
নিঃশব্দের মেঘ মেদুরতায়!
তা কিন্তু মোটেই নয়।
ছবি নেটের।
৩০টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
কিছু কবিতা পাঠকের হৃদয়ের কথা বলে,বলে জীবনের কথা।
কিছু কবিতা পাঠক হৃদয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কথা দেওয়ার ক্ষণে
এই কবিতার মন্তব্য করতে পারছি না। বুঝতেই পারছি না কি মন্তব্য করবো।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী! এমুন হয়-ট্য় নাকী!
লিখক তো নিজ মনে এমনি এমনি বলে, যা মনে চায়।
বুঝছি পাঠক হওয়া লাগবে!
মজা নিলাম, শুধু শুধুই।
নিজের লেখা নিয়ে বিচিত্র অনুভুতি তৈরি হয়। অন্যদের কথা তো জানিনা,
বুদ বুদ দেখেছেন, পানিতে, ক্রমাগত তৈরি হতে থাকে, ছোট বড়, দ্রুত, অতি দ্রুত বা একটু ধীরে,
কোনটি সাথে সাথে মিলিয়ে যায়, কোনটি আবার কিছুক্ষণ থেকে থেকে শেষ হয়। এখন যেমন এর পরের তৃতীয় লেখাটির
শেষের অংশটি কী হবে তাই ভাবছি।
ধুর, কী না কী লেহি!
চোখ খেয়ালে রাখবেন, মা মনিকে-ও।
সুরাইয়া পারভীন
হয়তো বুঁদ বুঁদ একসময় মিলিয়ে যায়
তবে তার রেশটুকু রয়ে যায় যুগ যুগ
চোখের অবস্থা একদম ভালো না। বিচ্ছিরি রকমের যন্ত্রণা হচ্ছে।
মেয়ে ঠিক আছে।
ছাইরাছ হেলাল
বলেই ফেলি, বুদ বুদ বলতে, আমার মাথায় সারাক্ষণ লেখালেখি গুলো বুদবুদের মত তৈরি হতে থাকে,
হঠাৎ হঠাৎ কোন কোনটা কেয়ারে নেই বা নেই না, কত শত যে হারাচ্ছে গুনে রাখিনা।
আবার, এক লাইন দু’লাইন কত লিখে রেখেছি, যার প্রতিটি-ই এক একটি লেখা!!!
আহা! আমি জানি চোখের কষ্ট কী কতপ্রকার,
সাবধানে রাখুন চোখ-কে।
সুরাইয়া পারভীন
আহ্ আচ্ছা!
আমি তো ভাবলাম….🙈🙈
থাক আর ভাবাভাবিতে কাজ নেই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
তিন সত্যি করে যারা , তারাই কথা দিয়ে কথা রাখেনা। সব অপেক্ষায় থাকে , শুধু সে আর ফিরে আসে না। জ্বলন্ত-খুন টুনের মধ্যে আবার ঢুকলেন কেন? আপনার সবগুলো ই শ্রেষ্ঠ তারমধ্যে এটা অন্যতম ভালো লাগা হয়ে থাকলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
এখানে খুন বলতে অন্তর্জ্বালা বলতে চেয়েছি।
গুণী পাঠকের প্রশংসা শুনলে আনন্দিত হই অবিরত।
ভাল থাকবেন।
তিন সত্যি হয়ত কথা দিয়ে কথা না-রাখার বাহানা মাত্র!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এতো প্রশংসা কুতায় রাখি, দিশা খুঁজে না পাই। এটাই সত্যি তিন সত্যি হলো কথা না রাখার বাহানা। ধন্যবাদ ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
সত্যকে তো সত্যের মত-ই স্বীকার করতে চাই।
বাহানা না করেই!!
হালিম নজরুল
সৌরালোকের প্রতশ্রুতি দিয়ে প্রতিজ্ঞাভঙ্গ!
ও হে কালোমেঘ সরে যা।
কবিকে শান্তি দে।
ছাইরাছ হেলাল
বনলতা সেন মরে ভূত হয়ে কোথায় ড্যাং ড্যাং করছে কে জানে!
আহা, পাঠক-কবি বলেই ইশারায়ে কাফি!
নরাপদে থাকুন।
হালিম নজরুল
হা হা হা লাভ ইউ কবি।
শামীম চৌধুরী
পাখিদের কলকাকলিতে; বাক্যটি পড়েই আনমোনা হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে ওরা কলকাকলি করছে না আমাকে ডাকছে। খুব সুন্দর হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
পাখি ভাও বলেই সে পাখির ডাক শুনতে পায়।
ভাল থাকুন।
মামার অপেক্ষায় আছি, পাই টু পাই বর্ণনা চাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
“সূর্যোদয় দেখবো বলে বসে আছি
অফুরন্ত সময়ের কোলে, নিরুত্তাপ নিরুত্তরে,
অপেক্ষা-প্রহর শেষে;”
আমি ও আছি আপনার পরে
সহজবোধ্য কবিতা হলো বহুদিন পরে।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সব সময়-ই মন দিয়ে পড়েন।
প্রকৃতি-প্রাণ মানুষ আমি, ফটোগ্রাফির বিষয় প্রকৃতি।
ভাল থাকবেন আপনি।
কামাল উদ্দিন
গানটা শুনে মনটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। সোনাঝুরি বলতে কি সোনালু ফুলের কথা বলেছেন ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
হঠাৎ করেই গানটি শুনতে শুরু করলাম, তখন এই লিখাটিও লিখতেছিলাম,
সোনাঝুরি নামটি সেখান থেকেই নেয়া। এটিই সনালু কী না তা জানি না। সে আপনি ভাবতে থাকুন।
ভাল থাকবেন।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
চমৎকার ভাবাবেগ। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
শ্রুতিমধুর লেখা
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন।
তৌহিদ
আহারে! তিনসত্যি ভেঙে গেলো!! সূর্যোদয় দেখা হয়েছিলো কি?
ছাইরাছ হেলাল
ঝড় এলে কি সূর্য দেখা যায়!
সাথে যদি থাকে মেঘ-বৃষ্টি।
ধন্যবাদ।
অবুঝ দেবু
সূর্যোদয় দেখবো বলে বসে আছি
অফুরন্ত সময়ের কোলে, নিরুত্তাপ নিরুত্তরে আহ্।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,
তবে কপি-পেস্টের পর কষ্ট করে মাত্র দুটো অক্ষর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ফাঁকিবাজি দিয়েই শুরু করে দিলেন! স্যার;
অবুঝ দেবু
না ভাই সত্যিই আপনার লেখার কোন তুলনা হয় না। হুম এটা সত্য আমি কিছুটা ফাঁকিবাজ আরাম প্রিয় মানুষ। তাই বলে কিন্তু ভাই আপনার লেখা পরতে কখনো ফাঁকিবাজি করা হয়ে উঠেনি।
ছাইরাছ হেলাল
হুম, মনে থাকে যেন, পৃথিবীতে এমন ল্যাখক কিন্তু এক পিচ।
তা এর পর-ও কিন্তু লেখেছি! অলস বলে পড়ার সময় পান নি! বুঝতে পারছি!
সময় করয়ে পড়ে নেবেন, অলসতার ডানা একটু গুটিয়ে, স্যার।
লক ডাউন প্লিজ।
জিসান শা ইকরাম
অপেক্ষা প্রহর শেষে সুর্য উঠবেই,
তিন সত্যি বলে কথা,
ছাইরাছ হেলাল
উঠুক উঠুক,
মিথ্যের তিন সত্যি নিয়ে।