টলটলে ভাসমান জলে
সময়ের দীর্ঘ ছায়া খণ্ড-খণ্ড হয়ে ভাসে,
হাস্যোজ্জ্বল ছবির মতো, ক্লান্ত কোলাহল এড়িয়ে;
সুমধুর আলাপনে, নিবিড় অবগাহনে;
প্রীতি চোখে শুধুই এঁকে রাখা স্বপ্নগুলো
মৃদু হাসি ছড়িয়ে ঠোঁটে ঠোঁট রাখে;
এখন-ও এই নিথর হৃদয়ে, উদ্দাম উচ্ছল কোলাহলে,
সুখ-দুঃখের বর্ণিল রংধনু-ধরণীতে ছায়া ফেলে;
হে সঞ্চিত আলো-ছায়া
ফিরে ফিরে এসো হৃদয়ের সোনা-ছায়ায়,
দ্বিপ্রহরের তীব্রতায়।
২২টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
হে সঞ্চিত আলো-ছায়া
ফিরে ফিরে এসো হৃদয়ের সোনা-ছায়ায়,
দ্বিপ্রহরের তীব্রতায়।
এমন আহ্বানে ফিরে আসুক শান্তিছায়া নিয়ে।
দারুণ লিখলেন দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন দেখে অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ কি সুন্দর রংধনুর রঙে সেজেছে কবিতার প্রতিটি লাইন। হৃদয়ের সোনা-ছায়ায় ফিরে ফিরে আসুক আর কবির নিথর হৃদয়ে উচ্ছলতা দিয়ে যাক দ্বিপ্রহরের তীব্রতায়। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যতটা সুন্দর করে বলছেন লেখক এমন সুন্দর দেখতে পেলে কতই না খুশি হতো!
দ্বিপ্রহরের তীব্রতা নিয়ে আসুক এমন সে স্বপ্ন ধরা দিলেই হয়।
আপনি ভাল থাকবেন।
মাহবুবুল আলম
“হে সঞ্চিত আলো-ছায়া
ফিরে ফিরে এসো হৃদয়ের সোনা-ছায়ায়,
দ্বিপ্রহরের তীব্রতায়।”
এই স্তবকটি বেশি ভাল লেগেছে
হেলাল ভাই শুভেচ্ছা জানবে।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়ম করে আপনি পড়েন এটি ই আমার প্রেরণা।
নিরাপদে থাকুন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
প্রীতি চোখে শুধুই এঁকে রাখা স্বপ্নগুলো
মৃদু হাসি ছড়িয়ে ঠোঁটে ঠোঁট রাখে;
এখন-ও এই নিথর হৃদয়ে, উদ্দাম উচ্ছল কোলাহলে,
সুখ-দুঃখের বর্ণিল রংধনু-ধরণীতে ছায়া ফেলে;—– অপূর্ব কাব্যগাথা । ভালো থাকবেন। শুভ কামনা ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
“টলটলে ভাসমান জলে
সময়ের দীর্ঘ ছায়া খণ্ড -খণ্ড হয়ে ভাসে, ”
অসাধারণ উপলব্ধি।
সত্যি তো ভাসমান জলের মতোই জীবন,
আর অতীত স্মৃতি তাতে ছায়া ফেলে।
খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু স্মৃতি চির অমলিন, যা ফিরে ফিরে আসে।
পড়ার জন্য অনেক শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
“হে সঞ্চিত আলো-ছায়া
ফিরে ফিরে এসো হৃদয়ের সোনা-ছায়ায়,
দ্বিপ্রহরের তীব্রতায়। “
করোনা কালে প্রাণ ফিরে পাই
মহারাজের কবিতায়।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এমন সুন্দর মন্তব্য সব সময় ই অনুপ্রেরণা দেয়।
আপনি ভাল থাকবেন ভাই।
বন্যা লিপি
এমনই তো জীবন! সোনাছায়া অবগাহন! আমার তো শিরোনামটার পরে আর মনেই নাই কিছু…….
ছাইরাছ হেলাল
হুট করে সব ভুলে গেলে তো সমস্যা , তবুও যেটুকু মনে রয়ে গেছে সেটাই অনেক।
ধন্যবাদ অনেক।
সাবিনা ইয়াসমিন
আরেএএএ,, এটা কি পড়লাম মহারাজ! আসলেই কি আপনি এই দুষ্টু-মিষ্টি সোনাছায়া নিয়ে বেশ সুখী-সুখী অপেক্ষার মিনি কবিতা লিখেছেন!
নাকি আমার চোখ দুটোই ভুলভাল পড়াচ্ছে!
কেন জানি মনেহচ্ছে এটা একটা রোমান্টিক কবিতা!
দুপুরের ভরপেট ভাত খেয়ে,
আয়েশ করে বালিশে হেলান দিয়ে,
জানালার শিক-আয়না ভেদ করে চোখ-মন যখন দূর-দূরান্তে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে,
তখন এমন ঝাক্কাস কোবতের লাইন মাথায় ঘুরতে থাকে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশস্ত কবি-মন কত কী ভাবতে পারেন , আহা আমরা যদি এমন করে ভেবে বলতে পারতাম
কতই না সৌন্দর্য হতো।
ভাত ঘুমে ঘুমে কতই না আনন্দ ধারা!!
লেখা চাই বেশী বেশী।
নিরাপদে থাকুন।
তৌহিদ
শান্ত প্রকৃতির সাথে রঙধনুরর মায়ায় আবার ঘুমিয়ে পড়বেননা যেন ভাইজান। আহা! কতদিন রঙধনু দেখিনা।
অনেকদিন পরে সহজ সরল মিষ্টি একখান কবিতা পড়ে মনটা ঠান্ডা হয়ে গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
ঠান্ডায় আপনি আবার হাঁচি-কাশি বাধিয়ে বসেন!!
এখনি রংধনু দেখার উত্তম সময়। হেলায় হারাবেন না।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
বিপরীত মুখি আহবান। আলো ছায়া দুটাই কেনো?
আলোকবর্তিকা হোন
ছাইরাছ হেলাল
আল আর ছায়া, একে ছাড়া অন্য যে অচল।
আলোকবর্তিকা হতে চাইলেই কী তা হওয়া যায়!!
ভাল থাকবেন, সাথে থেকে।
হালিম নজরুল
স্বপ্ন ও সফলতার মাঝে তৈরী হোক সেতুবন্ধন, জীবনের আলোগুলো জ্বলে উঠুক দ্বিপ্রহরের সূর্যের মতো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মুখে ফুল সহ চন্দন পড়ুক।
ভাল থাকুন।