‘সে’ এক্ষণ লিখছে না!!

ছাইরাছ হেলাল ২৭ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ০৮:৪৪:০০পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য

‘সে’ কে জিজ্ঞেস করি, এবার কী লিখবে?

ভুত-চমক মেরে বলে আমি আবার কবে লিখলাম? কখনও কিচ্ছুটি লিখেনি/লিখছি না/লিখবও-না,
কস্মিন কালেও কিছু লেখার কথা ভাবিনি, দিব্যি দিচ্ছি।

এ দেখছি ভাঁজা-মাছেও অরুচি! বেড়াল তপস্বী!!
ঐ-যে-সবাই ঘোষণা দিয়ে পুরুত ডেকে যজ্ঞের আয়োজন, সে এক দক্ষ জজ্ঞ কাণ্ড!! লেখক/কবি হবেই হবে!! কেউ কেউ আবার পূজো শেষের আগেই কিছু একটা হয়ে বসে আছে!! এই অকুতভয় (বাহ্যত) লিখিয়েদের সাধুবাদ, ক্ষণজন্মা এরা, জাতি এদের জন্য মুখিয়ে (গালাগালি না) থাকে অপার আগ্রহে,
অধির হয়ে (আমারা)।

তা বটে, তা বটে, সে তো কাক-চোখের মতই পরিষ্কার, ওদের ব্যাঘ্র (বাচ্চা নয়, সোমত্ত) হুঙ্কারে মাটি কাঁপাকাঁপা হচ্ছে; অবশ্য ওদের এ সব দেখে-টেখে সাধ জাগে গোটা-গোটা করে কিছু একটা লিখে-টিখে ফেলি। কিন্তু ক্ষীণ বক্ষে সদম্ভ হুঙ্কারের তীব্র আওয়াজ তুলতে পারছি না, নিজেকে নিজের হুঙ্কার শুনিয়ে লেখাদের সাথে ভাও/ভাব!! তাও করা যাচ্ছে না, তবে মালকোঁচা মেড়ে চুলে ঝুটি বেঁধে ডঙ্কা বাজিয়ে লণ্ডভণ্ড হাওয়ার সোরগোল তুলে দুষ্টু-দুষ্টু ভাব নিয়ে সব কিছু ভেঙেভুঙে অপূর্ণ সাধ পূরণ,
কোন এক নিশার-নিশীথে ঠিক-ই করে ফেলব, জলজ্যান্ত কথা দিচ্ছি;

আই-ঢাই করে কথার ভুয়া জাল মেলে/ফেলে চালশে-চোখে আর যা হোক লেখা/লিখি হয় না (কবিতা!! তা তো দূর অস্ত), ও সব ঢের দেখা আছে, লেখার গুড়ে বালি না, স্রেফ চামচিকের বিচ্ছিরি গন্ধ। লেখারা থাকে পাতার শিরায় শিরায় সুউচ্চ গাছের মগ ডালে, মাটিতে বসে কান্না-কুহকের মিতালিতে কাজ হবে না। যতই কস্তাকস্তি হোক, সবই বিফল!! লেখারা যতা-তার সাথে খেলে না, খেলে দিছে খেলে দিছে বলে পুচ্ছ নাচালে লেখা-প্রেম হয় না। কলমে কামড় বসালে কলম ভাঙ্গে, মুখে কালি মেখে যায়, লেখারা পালায়, দূর হতে দূরে, বহু দূরে!!

অতএব
গহীনের গভীর কোন গিরি খাদে লুকিয়ে নখ খুটে খাওয়াই উত্তম, বুড়িয়ে যাওয়া বেশে;
অবশ্য কে-ই-বা শোনে কার মঙ্গল-গাঁথা! পাকে-চক্রে গোত্তা খাওয়া নারী/পুরুষ।

পরকীয়া!
নয় এত সহজিয়া,
নয় খুঁটে খাওয়া খড়কুটো
বোঝা-না-বোঝার পায়েসান্ন!

চলিবে…………………….

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ