সেই মেয়েটি

সুপর্ণা ফাল্গুনী ১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:০০:১৩পূর্বাহ্ন কবিতা ৩১ মন্তব্য

শিশুকালে মেয়েটি পুতুল খেলতে, সাজাতে খুব ভালোবাসতো;
গাছে-গাছে , শাখায় -শাখায় পুষ্পরঙে মন উচাটন
হয়ে যেতো –
নরম পাপড়িতে স্পর্শের আকুলতায় অধীর আগ্রহে বন-বাদাড়ে ছুটে যেতো।
রঙ-বেরঙের পাখির ডানায় উড়বার অভিলাষে মাঠ-ঘাটে চঞ্চলতা দ্বিগুন হতো;
রংধনুর রঙে-বর্ণে নিজেকে সাজাতে-ভাবতে কত শত আঁকিবুঁকি চলতো।

কৈশোরে মেয়েটির দু’বেনীতে লাল-হলদে ফিতায় প্রজাপতি বাসা বাঁধতো ;
অধরঞ্জনীতে ঠোঁট রাঙাতো , কাজলের কালোতে চোখ নজরবন্দি থাকতো।
আলতা-রাঙ্গা পা’দুখানি, ঠোঁটের মিষ্টি-বাঁকা হাসিতে রক্তিম-আভা ছড়াতো;
ধীরে ধীরে বেড়ে উঠলো- কৈশোর পেরিয়ে ষোড়শী পূর্ণ দেহে যৌবন হাসতো।
লতানো যৌবনটা শূণ্যতা অনুভব করে অহর্নিশি পুরুষালি আশ্রয় খুঁজতো;
দূর্বার আকর্ষণে চঞ্চলা আঁখিতে একদা এক রাজপুত্রেরছবি ভাসতো।
হৃদয়ের আঙিনায় প্রকৃতির ষড় ঋতু অষ্টপ্রহর আসা-যাওয়া করতো;
অকস্মাৎ দূর গাঁয়ের এক মেয়ে রাজপুত্রের হাতে হাত
রেখে হেসেখেলে বেড়াতো।
তাই দেখে নীরবে-নিভৃতে মেয়েটি অশ্রুজলের প্লাবনে
কেঁদেই ভাসতো;

অব্যক্ত ভালোলাগা, চাওয়া-পাওয়া নিমেষেই চাপা পড়লো, হলো বেদনাহত।
বুকের চাওয়া পাওয়া গুলো যাতনা-বেদনার নীলে ক্ষয়ে
ক্ষয়ে হারিয়ে যেতো;
আলতা-রাঙ্গা পা দু’খানি হলো ধূসর, ঠোঁটের মিষ্টি হাসি
বোবা-কান্নায় বিবর্তিত।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ