ক্লান্ত সময়, বিষন্ন মানুষ, জনজীবনে নাভিশ্বাস। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে মানুষ বসবাস করছে এই জনপদে গত ৩ জানুয়ারী থেকে। দেশের ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতা না ছাড়ার লড়াই চলছে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে। আর মাঝে বলি হচ্ছেন সাধারন, বিশেষত: খেটে খাওয়া মানুষ। গত ৪ জানুয়ারী থেকে সারাদেশব্যপী চলছে অবরোধ। আন্ত;জেলা এবং আন্ত:নগর বাস চলাচল বন্দ্ব। ফলত: মানুষের যেকোন কাজে যাতায়াত অনেকাংশে বন্দ্ব। ট্রেন এবং লঞ্চ ছাড়া মানুষের যাতায়াতের মূল বাহন বাসের অধিকাংশই বন্দ্ব। কিছু বাস চললেও কয়েকটি বাসে পেট্রোলবোমা মারার পর এই বাহনে মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে চলাচল করে। সার্বিকভাবে এক বিভীষিকাময় অবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষের দিন কাটছে।
এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির বিবরন দেয়ার কোন শেষ নাই। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ ভরে যাবে তাতে, তবুও শেষ হবেনা এই বিবরন। সেদিকে না গিয়ে এই পরিস্থিতির সমাপ্তি কীভাবে হতে পারে, সেবিষয়ে কিছু আলোকপাত করা যেতে পারে।
বলা হয়ে থাকে, সমঝোতাই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ। বিবদমান দু’টো দলের মধ্যেই হতে হবে এই সমঝোতা। কারন আওয়ামী লীগ কোনমতেই ক্ষমতা ছাড়তে চায়না আর এবার বিএনপি সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য না করা পযর্ন্ত অবরোধ আর এজাতীয় কমর্সূচী থেকে সরে আসবেনা বলে বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়ে আসছে। দুই পক্ষই চরম অনড় অবস্থানে। এই অবস্থায়, দেশ-সমাজ নিয়ে চিন্তাশীল মানুষগনও খুঁজে পাচ্ছেননা কোন পথ। সরাসরিই তাঁরা বলে দিচ্ছেন, দুই দল সংলাপে বসে সমঝোতায় না পৌঁছানো পযর্ন্ত এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের কোন পথ নাই। সঠিক কথা, কিন্তু দল দুটিকে আলোচনায় বসানোটা এবং বসানো গেলেও সেটা থেকে কোন ফলাফল বের করে নিয়ে আসাটা আরো দুরুহ, এবং এমনকী এক কথায় অসম্ভবও বটে।
সব বাতিঘর নিভে গেছে, তা আমি মনে করিনা প্রিয় পাঠক। সংসারে বাবা-মায়ের মধ্যকার ঝগড়া সন্তানরাই মিটিয়ে থাকে। দেশের সুশীল সমাজকে মনে করা হয় দেশের শ্রেষ্ট সন্তান হিসাবে। পৃথিবীর সব দেশেই তা-ই মনে করা হয় উনাদেরকে। এদেশও ব্যতিক্রম নয়। সুশীল সমাজের আলাদা একটা ভাবমূর্তি বহি:বিশ্বের মত এদেশেও রয়েছে, যদিও অধিকাংশই উনারা বড় দু’টি দলের যেকোন একটার সমর্থক। এটা হওয়াটা কোন দোষের বলে অনেকে মনে করলেও তা নয়। কারন কেউ যদি সম্পূর্ন নিরপেক্ষ থাকতে না চান, সেটা তাঁর ব্যাপার। তবে সেজন্য কী তিনি সুশীল হতে পারবেননা! আমি নিশ্চিৎ নই এবিষয়ে। তবে আমার মতে দলকানা কোন ব্যক্তি সুশীল হতে পারেননা। মোট কথা দলকানা হলে, মানে অন্ধভাবে দলের সবকিছুকেই সথমর্ন করলে তাঁকে সুশীল বলা যায়না।
গত ২০শে জানুয়ারী মিডিয়াতে দেখানো হলো, রংপুরে সবর্স্তরের সাধারন মানুষ চলমান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ প্রশদর্ন করে যাচ্ছেন, একে একে মানুষ এসে সেই সমাবেশে যূক্ত হচ্ছেন, অবরোধের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন, ক্রমেই সেই সমাবেশ বড় হচ্ছে। দেশের অন্যান্য শহরে এবং ক্রমান্বয়ে উপজেলাগুলোতেও এরকম সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে। স্বল্পসময়ে সারাদেশে এটা গড়ে উঠতে পারে দেশের সুশীল সমাজ যদি সবর্স্তরের মানুষকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানায়। শাহবাগের মতো প্রকাশ্যস্থানে দাঁড়িয়ে সুশীল সমাজকে সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে এবং সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানাতে হবে আর বিশেষত: প্রিন্ট মিডিয়া কর্তৃক ব্যাপকভাবে তা প্রচার হতে হবে।
অনেকেই সুশীল সমাজ সম্পর্কে নেতিবাচক কথাবার্তা বলে থাকেন, যা খুব একটা বেঠিকও বলা যাবেনা। এঁদের কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে, কমপক্ষে নাই তা নয়। বয়সের ভারে অনেকে কোন ঝুঁকি নিতে চাননা, ভয় পান, হাজতবাস করতে চাননা অনেকে, অনেকে রোগশোকে ভারাক্রান্তও বটে। তবে ইনারা কিন্তু কিছুটা হলেও জ্ঞানী ব্যক্তির পযার্য়েই পড়েন। আন্তরিকতাও আছে এঁদের অনেকের, দলকানা অর্থাৎ দল যা বলে তা-ই সঠিক, এরকম কথাবার্তা এদের অধিকাংশ-রাই বলেননা। দেশের মানুষ ইনাদের সম্মান করেন, ইনাদের কথা শুনবেন অবশ্যই, মানুষের নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তির কথা বলা হবে যেখানে ।
তাই বতর্মান অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য এভাবে কিছুটা হলেও আলোর দিশারী হতে পারে সুশীল সমাজ এবং সম্ভবত: এটা ছাড়া কোন পথ নাই আর।
১৯টি মন্তব্য
শান্তনু শান্ত
এখনকার সুশীল সমাজ সম্ভবত আর সুশীল নেই!!
আজিজুল ইসলাম
সম্ভবত:।
বৃষ্টিহত ফাহিম
আমার মনে হয় সুশীল সমাজের চেয়ে ছাত্রদের বেশি ভূমিকা রাখা উচিৎ। কারণটা আপনিই বললেন, বয়সের কারণে তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আর বিভিন্ন সংকটের সময় কিন্তু অন্যদেশে ছাত্ররাই আগে এগিয়ে আসে। কিন্তু ছাত্র সমাজের এখন যা অবস্থা করা হয়েছে, তা আর নাই বা বললাম।
আজিজুল ইসলাম
ছাত্র-যুবসমাজ ছাড়া খুব কম সংকট-ই মেটে। তাই এই সমাজই সর্বাগ্রে প্রয়োজন। তবে সর্বস্তরের মানুষেরও প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
এই ছাত্-রাজনীতি ছাত্রদের ভাবমুর্তি নষ্ট করে দিয়েছে বলছেন। তবুও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-ছাত্রদল-যুবদল ছাড়াও এদেশে রয়েছে অনেক বড় সংখ্যক এক ছাত্র-যুবসমাজ। এরা কোন দল করেনা, কোন দলের পক্ষেও এদের নেই কোন অবস্থান। তবে এদেরকে দেশের কোন কাজে কোনদিনই ডাকা হয়না, হয়নি সেভাবে। টেন্ডারবাজী, ঘুষ নিয়ে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ, চাঁদাবাজী, ক্যাডার পরিবেষ্টিত হয়ে প্রশাসনকে কাজ করতে না দেওয়া, ইত্যাদি দু:শাসনের জায়গাগুলো ঠিক করে এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আগামীতে প্রধানত: ছাত্রসমাজকেই একটা বিরাট-বিশাল শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে। এটা করতে পারা গেলে এদেশের অবস্থা অন্যরকম হবে।
বৃষ্টিহত ফাহিম
কিন্তু এই ছাত্র-যুবসমাজতা বড় নিরব, এমনকি অনেকে রাজনীতি পছন্দও করে না। বেশিরভাগই দেশের অবস্থা দেখে বিদেশে পারি জমাতে চায়। এটা খুবই পীড়াদায়ক।
আজিজুল ইসলাম
দেশে শুদ্ধ রাজনীতি শুরু হয়নি বলে ছাত্র-যুবসমাজ নীরব। এই সমাজের নীরবতা কাটতে পারে দেশে দু:শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কার্যক্রম শুরু হলে। আজ হোক কাল হোক এই নীরবতা কেটে যাবে বলে দৃঢ়ভাবে আমি মনে করি। কারন এই অবস্থায় দেশ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাকতে পারেনা। একে পরিবর্তিত অবশ্যই হতে হবে এবং হবেও।
হৃদয়ের স্পন্দন
আপনি যে সিষ্টেমে র কথা বলেছেন সেটা সুশীল কিনা সন্দেহ অবরোধের বিপরীতে অবস্থান মানে তিনি বি এন পি সাপোর্ট করেন না । এটাও দলকানা আমার ধারনা। বরং দুই দলের মাঝে সময় ভিত্তিক আলোচনা গ্রহনযোগ্য বলে ধারণা
আজিজুল ইসলাম
অবরোধের বিপরীতে অবস্থান নয়। সমস্যাটা হচ্ছে অবরোধে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। কেন, গত ৬ বছর বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন ছাড়া আর তো কোন আন্দোলন করলোনা। কত সমস্যা গেল দেশে, কোন প্রতিবাদ আমরা দেখিনি বিএনপিকে করতে। মানুষকে পাশে নিয়ে মানুষের সমস্যা মিটানোর জন্য আন্দোলন করলে আজ মানুষকে পাশে পেত বিএনপি। পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতে হতোনা। মানুষই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতো।
হৃদয়ের স্পন্দন
নিসন্দেহে অত্যান্ত ভালো একটা কথা বলেছেন। প্রথমই গত ছয় বছরের ব্যাপারে ক্ষুদ্র একটা কথা বলা যাক . ছোটো একটা কথা বলছি। আপনার সন্তানের জ্বর এলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন আপনি সাথে যাবে ছেলে। পাড়া প্রতিবেশীর থেকে উপদেশ কিংবা পরামর্শ আশা করা যায় . আবার কেউ যেচে আসল আপনি তাকে কটুক্তি করবেন না এটা ভাবাও ভুল
আমি সত্যি বলতে কোনো দল সাপোর্ট করিনা। পেট্রোল মারার বিপক্ষে আবার পাচ জানুয়ারির ও বিপক্ষে
আমার স্পষ্ট মনে আছে। রক্ত দিতে ময়মনসিংহ চড়পাড়া গেছিলাম মে তিন তারিখ। বন্ধুর বাসায় বেড়ালাম চার তারিখ অব্দি। সন্ধ্যায় এসে দেখলাম এনা পরিবহন বন্ধ
লোকাল বাসে ফিরতে রাত হয়ে গেলো প্রচুর . রাত একটায় আমি আবদুল্লাহ্ পুর নেমেছি
রাত নয়টায় ছিলাম গাজিপুরে
চার ঘন্টা লেগেছে এগারো মিনিটের পথ
আবদুল্লাহ পুর এসে দেখলাম ঢাকা মুখি রাস্তা ফাকা। একেকটা গারী আসছে একজন করে চেক করছে। হেটে যাওয়া মানুষ . আর ময়মনসিংহ থেকে আমাকে সি এন জি যোগে তরকারির গারি ইত্যাদি দিয়ে চৌরাস্তা আসতে হয়েছে আমার প্রশ্ন সরকারি দলের অবরোধ বলে কি বাস চলাচল বন্ধ? পৃথিবীর কয়টা দেশে সরকারি দল অবরোধ দেয়?
ভাই সুশীল সম্পর্কে নেতিবাচক না আমি ওদের গালি দেই
সুশীল হতে আগে সুশীলতা জানা প্রয়োজন . পেট্রোলে পুড়বেনা রাস্তায় বাস এনোনা হয়ে গেলো তাহলে অর্থনীতি দেশ এসব কই যাবে?
৫ ই জানুয়ারি যেখানে গিয়েছিলো সেখানেই যাক সমস্যা কি? বাংলায় কোনো সুশীল নাই আছে রতন শীল
খসড়া
সু শীল শাব্দিক অর্থ নাপিত বা নাপ্তে। শিক্ষিত এই গোষ্ঠী ক্ষমতার লোভে নিজেদের উলঙ্গ করে ফেলেছে। আমরা তাদের নিয়ে হাসাহাসি বা গালাগালি যাই করি এর দায় তাদের।তারাই দায়ি।
সঞ্জয় কুমার
সুশিল শব্দটি এখন গালি দেয়ার সমার্থক পর্যায়ে ।
জিসান শা ইকরাম
সুশীল এখন একটা গালিবাচক শব্দ।যেমন রাজাকার একটা গালিবাচক শব্দ।
এড়া আগুনে পুড়ে যাওয়া কাবাব মানুষ হলে, মানবাধিকার লংঘন দেখে না,রিয়াজ রহমানের উপর হামলা হলে মানবাধিকার লংঘন হয় দেখে।
সন্ত্রাসীদের র্যাব দিয়ে মেরে ফেলা সব চেয়ে সহজ সমাধান।বেশী মারা লাগবে না।প্রতি জেলায় কয়েকজন।
আজিজুল ইসলাম
সবাই সুশীল সমাজর লোকজনকে এভাবে গালি দিচ্ছেন কেন বুঝলামনা। সুশীল সমাজের লোকজনতো সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, পেশাজীবি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন, একটু গবেষণা, একটু পড়াশোনার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন আজ অবধি, বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাভাবনা করেন, সমাজকে-রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করেন, করতে চেষ্টা করেন, এসমস্ত লোককে-ই তো আমরা সুশীল সমাজের লোকজন বলে বুঝি। ইনারা কেন আপনাদের গালি খাওয়ার লোক হলেন, বুঝলামনা।
কেন যে আমরা এতো হিংস্র হয়ে উঠছি! প্রতিবেদনটিতে বিএনপির পক্ষে তো কিছু বলা হয়নি, বরং বিপক্ষেই বলা হয়েছে। দুই দলের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে এদেশকে শুদ্ধতার পথে পরিচালিত করা কী কোনদিনই সম্ভব হবেনা?
ব্লগার সজীব
আপনার প্রস্তাবটি ভালো।তবে সুশীল শব্দটির পরিবর্তে অন্য কোন শব্দ ব্যাবহার করা যায় কি? বুদ্ধিজীবী বলা যেতে পারে।
আজিজুল ইসলাম
হাঁ, সুশীল শব্দটির পরিবর্তে অন্য শব্দ ব্যাবহার করা যায়। বুদ্ধিজীবি বলতে অসুবিধা কিছুই নাই। তবে এদের কিছুটা তো জ্ঞান-গরিমা আছে, এটা তো অস্বীকার করা যাবেনা। আর গালি খাওয়ার মত সেরকম কী অন্যায় কাজের সাথে উনারা জড়িত, খুলে বললে ভাল হতো।অন্য প্রায় সব পেশার মত এই পেশাতেও আওয়ামী লীগ বিএনপি এই দুই ভাঁজের বিভক্তি স্পষ্ট। তবুও নির্দলীয় অথবা দলকানা লোক এই পেশাতেই তুলনামূলকভাবে কম।
জনাব ব্লগার সজীব, আমার মনে হয় আগামীতে ফেসবুক, ট্যুইটার এসমস্ত মাধ্যমে এদেশে একধরনের জনগণের মহাজাগরণ হবে। এর ফলে সারাদেশব্যপী যে শক্তির সৃষ্টি হবে, শাসনক্ষমতায় না থেকেও সেই শক্তিই নিয়ন্ত্রন করবে সুশাসনসহ দেশের সকল কিছু ।
হৃদয়ের স্পন্দন
ক্ষমা করবেন . আমি আমার মন্তব্যের জবাব পাইনি
আজিজুল ইসলাম
আপনার মন্তব্যের কী জবাব দেব জনাব! আপনারা গালি দেন, রাজাকার বলেন, আপনাদের মন্তব্যের কোন জবাব হয়না আসলে।
ক্ষমা করবেন আপনিও জবাব দিতে না পারার জন্য।
ছারপোকা
বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে শেষ হবে না ঠিক বলেছেন বিস্তর বিস্তর কাগজ ভরিয়ে ফেললো অন্তরালে রয়ে যাবে অনেক কিছু ।
সমঝোতাই এই
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র
পথ।
মানলাম কথাটাই কিন্তু তা থেকে উওরন হবো না কখনো আমরা এর কারন হচ্ছে আমদের মধ্যে এখন সুষ্ঠ রাজনীতি বিরাজ করছে না ।
বাংলাদেশের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ তা পরিবর্তন হওয়া ছাড়া ।কিছুই পরিবর্তন হবে না ।
আপনার লেখা প্রথম পড়লাম মনে হচ্ছে ভাল এ লেখেছে বাস্তবিক পরিস্থিতি তুল ধরেছেন খুব সুন্দরভাবে ।
আজিজুল ইসলাম
পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে না আসলে পরিবর্তন হবেনা বলে বলছেন আপনি। আসলে পরিবারতন্ত্র এদেশের রাজনীতি শব্ত ভিত গেঁড়ে বসে আছে, একথা সত্যি। তবে সেপর্যন্ত দেশের পরিবর্তন কিছুই হবেনা বলছেন, এটা মানতে পারলামনা।
আসলে প্রয়োজন শুধু একটা শক্তির উদ্ভব হওয়া। ওটা হয়ে গেলে আর কেউ তখন দু:শাসন করতে সাহস পাবেনা। অথবা দু:শাসনমূলক কাজ সম্পাদিত হয়ে গেলেও সেটা সংশোধন করতে বাধ্য হবে। আমার অন্য লেখাগুলি পড়তে পারেন।