অন্ধকারের অনন্ত-নিদ্রাই যদি জীবনের সার-বস্তু!
কী আর হবে এতো সব ভেবে-ভুবে!!
উড়িয়ে দেব জীবন-ফানুস অগ্নি-বিহীনতায় ভর করে;
হিসেবের খাতার একরাশ যোগ-বিয়োগ
কাটাকুটি, এক ঝটকায় ঠেলে-ফেলে
ভীম-বেগে জেগে উঠলে কেমন হয়? কী হয়?
শহুরে-আদিখ্যেতার নিত্য টানাপড়েন
রাজ-পথ গলি-পথ গলি-গুপছিতে অযুত সম্ভাবনার
অশ্বডিম্বের কাব্য-কথন!
শরমের মুণ্ডু ফাটিয়ে এক চিলতে জ্যোৎস্না-মশারির
ফাঁক গলিয়ে ভাষাতীত ভয়ের আতঙ্কিত জীবন।
চোরাগোপ্তা হামলায়।
শুমার করে দেখেছি মোক্ষলাভের নুন্যতম আশার রেখায়
দিব্যজ্যোতি চকিতে কোথাও ঝলক তুলছে না।
অতএব অনাবৃত জ্ঞানাতীত মস্তকে, সুপ্রভাত
হে নিঃশব্দের দেবতা দূরের কুহক, রমণীয় বেশে।
২৬টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
খুব ভালো লাগলো হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শাহরিন
তারপরও মানুষ আশা নিয়ে বেচে আছে থাকবে অনাদিকাল পর্যন্ত।
শেষ আছে জেনেও শুরু করা…..
ছাইরাছ হেলাল
বলতে চাচ্ছেন, আশাই জীবন, কিন্তু কিছুই তো ঠাহর হচ্ছে না,
পোড়া চোখে।
আপনি তো দেখছি ভালই মন্তব্য করতেছেন আজকাল,
কিছু লিখে ফেললেই পারেন।
শাহরিন
চোখের আর কোন বাধা মানা যাবে না, চোখকে বলেন ভালো হ সময় থাকতে নয়তো কিন্তু খবর আছে!!!
আমি মাঝে মাঝে ভাব ধরি সেটা বুঝে গেলেন!!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার হুঁশিয়ারী যথা স্থানে পৌছে যাবে নিশ্চয়ই।
উহ্, ভাব ধরার কিচ্ছু নেই, লিখতে শুরু করুন।
মাসুদ চয়ন
হিসেবের খাতার একরাশ যোগ-বিয়োগ
কাটাকুটি, এক ঝটকায় ঠেলে-ফেলে
ভীম-বেগে জেগে উঠলে কেমন হয়? কী হয়?
জীবনের প্রকৃত দর্শন।প্রানবন্ত প্রয়াস ছিলো দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
জীবন নানা ভাবে আমাদের হাতছানি দেয়,
শুধু খেই হারিয়ে বিভ্রান্ত হতে থাকি, সত্য উচ্ছাসের আশায়।
রেহানা বীথি
কী আর হবে এতোসব ভেবে ভুবে!!
অপূর্ব লাগলো।
চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন জেনেছিলাম, এখন কেমন আছেন ?
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর ইচ্ছেতে এখন ভাল আছি।
ভাবাভুবি খুব করেই বাদ।
নিতাই বাবু
আপনার লেখা কবিতাটি পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
জীবন সেতো পদ্মপাতার শিশিরবিন্দু।।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনকে অমন সুন্দর করে দেখতে পারলে মন্দ কী,
হোক তা ক্ষণিকের।
ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
জীবনকে সুখ দুঃখের মাঝে উপভোগ করাটাই বড়।
জিসান শা ইকরাম
একদিন ঝকঝকে সোনালী রোদ উঠবে
আলোকিত হবে এই জনপদ, জনপদের মানুষ
রমনীয় ভালবাসার মাঝে আমরা আমাদের খুঁজে পাবো
আশারা হাঁসবে যখন।
তেমন ভোরের অপেক্ষায়,
ছাইরাছ হেলাল
অনিন্দ্য ভোরের প্রত্যাশা আমাদের সবার মনেই থাকে,
পাই বা না-পাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি এই লেখা বুঝিনি। ভেবেছিলাম অন্যদের কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারবো কি লিখেছেন। তাও হলোনা। সবাই নিজে নিজে বুঝেই কমেন্ট দিলো !!
মহারাজ, আপনিই শেষ ভরসা। বুঝিয়ে দিয়ে কৃতার্থ করুন। কাল রাত থেকে ছয়বার এলাম এই লেখায়, রেজাল্ট জিরো 🙇
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কবিতা-জি, আমি তো এমনি এমনি-ই লিখি, তাই সব কিছু গুছিয়ে/বুঝিয়ে লিখতে-ও পারি-না,
তবে একটু বিষয় বুঝতে পারছি, এখানে কোন ধানসিঁড়ি নেই তাই আপনি ঠিক মেলাতে /মিলিয়ে নিতে পারছেন না।
সমস্যা নেই সামান্য একটু ধানসিঁড়ি জুড়ে নিন/দিন, সব ফকফকা হয়ে যাবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা… তাহলে এই কথা !!
ধানসিঁড়ির বুক দখল করেছে পিরানহারা,
তীক্ষ্ম দাঁতে কচকচ করে চিবিয়ে খাচ্ছে ধানসিঁড়ির হৃৎপিণ্ড,
সবই হচ্ছে অন্ধকার রাতের তিমিরে,
ভোরের অপেক্ষা, সূর্যের কিরণে পালিয়ে যাবে পিরানহার দল…
একদিন প্রভাত আসবেই
প্রভাত দেবতার হাত ধরে।
ছাইরাছ হেলাল
পিরহানা তাড়ানোর দায়-দায়িত্ব!
সে তো আপ্নার-ই বৃহৎ স্কন্ধে,
অতএব নো চিন্তা, ভোর আসবেই।
প্রভাত সূর্যের হাতছানি সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
মনির হোসেন মমি
কি আর হবে আমি মন্তব্যে আগে না পরে,,সবিইতো একদিন হবে অসার।
বুঝেছি কি কবি?
ছাইরাছ হেলাল
এক দম সহি!
জীবন শুধুই এক মুঠো অসার ধুলো।
মোঃ মজিবর রহমান
অন্ধকারের অনন্ত-নিদ্রাই যদি জীবনের সার-বস্তু!
কী আর হবে এতো সব ভেবে-ভুবে!!
উড়িয়ে দেব জীবন-ফানুস অগ্নি-বিহীনতায় ভর করে; এখানে প্রথম লাইন অনেক ভাবনার। তাঁর কিবা হবে হোকনা!!! চলেছেই চলুকনা। তা কি সম্ভব কবিমশায়। শেষতক যেতেই হবে!! রমনীর ভালোবাসায় আসক্ত হতেই হবে সব আনন্দ কি পাওয়া যায়???
তবে আপনার ভাবনা ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম!!
সব ঠিক-ঠাক আছে তো! শরীর মন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
শরীর ভাল আল্লাহ ভাল রেখেছেন।