মহাগ্রন্থ আল কুরান, জগদ্বাসির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ হতে প্রকৃতই এহসান। যার প্রতিটি হরুফের বাস্তবিক প্রতিচ্ছবি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ)। যার সীরাত-সুরাত, আমাল-আখলাক, মোয়ামালাত-মোয়াশারাত জগৎশ্রেষ্ঠ, অদ্বিতীয় এবং অতুলনীয়। যার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তপ্ত মরুর প্রতিটি বালিকনায় ছড়িয়ে দিয়েছে মহান রাব্বুল আলামিনের একত্ববাদ। পথহারাকে দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের দিশা। যার পবিত্র ছোহবতে বর্বরতার কবর রচিত হয়ে হেদায়েতের নূরে নূরান্বিত হয়েছে জেদী আরবীয়রা। পৃথিবীর বুকে উপহার দিয়েছে হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত উমর (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ), হযরত আলী (রাঃ) এর মতো মহাত্নাগণ। প্রথিবীর বুকে যারা নজির রেখে গিয়েছেন শান্তিময় বাসস্থান প্রতিষ্ঠার। দেখিয়ে গিয়েছেন পাপের কালিমালিপ্ত ধরাকে শান্তিময় ও আলোকিত করে তোলার পিছনে খুব বেশী কিছু লাগে না তাক্বওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন ব্যতীত।
তাইতো, তৃষ্ণার্ত মুসাফির সেই নবী মুহাম্মদের (সঃ) চারিত্রিক অনুকরণ-অনুসরণেই খুজে বেড়ায় হাউজে কাউসারের অমীয় সুধা যা প্রতিটি নবী প্রেমিককে সদা ডেকে বেড়ায় আলিঙ্গনের প্রত্যাশায়। এই মুসাফির আপন সত্ত্বাকে নবি (সঃ) এর প্রেমে কুরবানি দিতে এক মুহুর্তও ভাবে না একথা জেনে যে, তার ক্ষুধা-তৃষ্ণায়, সাজ-সজ্জায়, সফলতা-ব্যর্থতায় নবীর (সঃ) সুন্নতের তাবেদারিই তাকে নিয়ে যাবে মহান মাওলার দিদারে। তাইতো সে উন্মুখ থাকে জীবনের রংগুলোকে রাসুলের (সঃ) রাঙাতে।
৫টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
শিক্ষনীয় পোষ্ট।
তৌহিদ
একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারীকে সুন্নত মানার বিকল্প নেই। সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রকৃত অনুসারীরা পথ পদর্শকের অনুসরণ করেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছাতে পারেন। এতেই শান্তি আসে, আত্মতুষ্টি মেলে।
“তাইতো সে উন্মুখ থাকে জীবনের রংগুলোকে রাসুলের (সঃ) রঙ্গে রঙ্গাতে ”
* রঙ্গাতে= রাঙ্গাতে/ রাঙাতে লিখতে পারেন।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ খুরশীদ আলম
ভুলটুুকু শুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভাল থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
একদমই তাই। নবিজির পদাঙ্ক অনুসরণই শান্তির একমাত্র পথ।
নবীজির জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে এতো সুনিপুণ ভাবে তিনি জীবন যাপন করতেন, যা আজকাল ডাঃ সাহেবরা মানুষকে উপদেশ দিয়ে থাকেন।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।