খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।
এ ছড়ার সংগে বাংলার, বিশেষ করে নিন্ম বঙ্গের মানুষের পরিচয় ঘটেছিল দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে। পেছনে ফেলে আসা দুঃসময়ের সেই যুগ, প্লাবনভূমির করুন বাস্তবতায় এতোটাই দুঃখময় হয়েছিল, যে স্পর্শের বাইরে থেকেও তা অনুভব করা যায়। অস্তমিত যুগের সেই দুঃসময়ের কথা -ইতিকথা কেবল বাঙলার ইতিহাসের মধ্যেই সীমিত হয়ে থাকেনি। মগ ফিরিঙ্গি, পর্তুগিজ বণিকদের ধর্ষণ, লুট, বর্বরতার কথা ভিনদেশী পরিব্রাজক রাও লিখে রেখে গেছেন তাদের ভ্রমণ বৃত্তান্তে।
আমরা সকলেই জানি, মারাঠা পরিচিতি ছিল বর্গী নামে। এরা ছিল ভারতের মহারাষ্ট্রের অধিবাসী। ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময় এরা বাঙলায় প্রবেশ করে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল।এদের মূল উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন, বাঙালীর গ্রামীন সমাজে এরা ভাঙন সৃষ্টি করেছিল তা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত।
বর্তমানে বার্মা অতীতে আরাকান নামে পরিচিত। এরা পর্তুগীজদের সহায়তায় নদীপথে এসে নদী তীরবর্তী। এলাকার গ্রামগুলো একের পর এক লুণ্ঠন মধ্য দিয়ে বাঙলার মানুষের জীবন অস্থির করে তুলেছিল। তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বহু অঞ্চল যে জনশূন্য হয়ে পড়েছিল।
মহারাষ্ট্র পুরান কাব্যে গ্রামবাসীদের পলায়নের খন্ড পরিচয় পাওয়া যায়। বর্গীদের আক্রমন থেকে জগৎশেঠও রেহায় পাননি। জানা যায় জগৎশেঠের বাড়ি থেকে লুণ্ঠনের পরিমাণ ছিল তিন লক্ষ টাকা। নবাব আলীবর্দী খানকে দীর্ঘ দশ বছর বর্গীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হয়েছিল। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সেদিন পরিণত হয়েছিল বর্গীদের বিচরন ক্ষেত্র।
আঠারো শতকে মধ্যপাদে নদীয়া জেলার কটোয়া অঞ্চলে বৈষ্ণব বৈরাগ্য সাধনার প্র্ণ খোল করতালের ধ্বনি বর্গী অভিযানের প্রতিঘাতে কিছু দিনের জন্য স্থিমিত হয়ে পড়ে। বর্গীদের আক্রমনে নবাব আলীবর্দী খাঁর আরামাগের 'মুবারক মঞ্জিল' ও কেঁপে উঠেছিল। ১৭৪১ খৃষ্টাব্দে ১৫ই এপ্রিল নবাব বর্ধমান শহরে উপস্থিত হন মারাঠাদের প্রতিরোধ করতে। পরদিন সকালে তিনি জানতে পারেন মারাঠারা বর্ধমান শহরকে ঘিরে রেখেছে। আলীবর্দী খাঁ তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ওখানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। অর্থাৎ তার জীবনে নিঃশব্দে একটি বিপর্যায় ঘটে খেল এবং ইতিহাসে তা চিহ্নিত হয়েও থাকল।
এ প্রসংগে গঙ্গারাম লিখেছেনঃ
ঘেরাও হইতে নবাব আইল কাটঞতে
শুনিয়া ভাস্কর তবে লাগিল ভাবিতে।।
ছি ছি ছি হা এ গেল পলাইয়া।
এতদিন বৃথা আসিয়া ছিলাম ঘিরিয়া।।
চলবে,,,,,
Thumbnails managed by ThumbPress
৫৫টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
ইতিহাসকে নিজের লেখায় তুলে আনলেন। এই পোষ্টে জানলাম অনেক কিছু। আরো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
পোষ্ট ভাল হয়েছে আপু -{@
মৌনতা রিতু
আশ্বিন মাসে ভাস্বর গেল পলাইয়া।
চৈত্র মাসে পুনরূপি আইল সাজিয়া।।
জেই মাত্র পুনরূপি ভাস্কর আইল।
তবে সর্দার সকলকে ডাকিয়া কহিল।।
স্ত্রী পুরুষ আদি করি যতেক দেখিবা,
তলোয়ার খুলিয়া সব তাহারে কাটিবা।
এতেক বচন যদি বলিল সর্দার ,
চতুর্দিকে লুটে কাটে বোলে মারমার।
ব্রাক্ষণ বৈষ্ণব যত সন্ন্যাসী ছিল,
গোহত্যা স্ত্রী হত্যা শত শত করিল।
এই পুথিগুলো লিখে রেখে গেছেন গঙ্গারাম।
এই কথাগুলোর মধ্যে তিনি তুলে ধরেছেন মারাঠা বর্গীদঘর বর্বরতা।
বুঝেছেন হাসমুখ ভাই। 🙂
আজিম
পোষ্ঠ ভাল হয়েছে; আগামী পর্বের অপেক্ষায়…
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই।
কাহুকে বাঁধে বর্গী দিআ পিঠমোড়া।
চিত কইরা মারঘ লাথি পাএ জুতা চড়া।
রুপি দেহ দেহ বলে বারে বারে।
রূপা না পাইয়া তবে নাকে জল ভরে।
কাহুকে ধরিয়া বর্গী পখইরে ডাবাএ ফাফর হইয়া তবে কারু প্রান জাএ।
মহারাষ্ট্রপুরাণ কাব্যে এসব পুঁথি কথা লেখা আছে। এর ভাবার্থ ভাবলে গা সত্যি শিউরে ওঠে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক লেখাপড়া করতেছেন দেখছি।
লিখুন।
মৌনতা রিতু
সব এই সোনেলা বাপের বাড়ির দোষ। বুড়া বয়সেও পুঁথি পড়াচ্ছে। চশমা দিবে কে শুনি !
পলায়নের পথে ধৃতদের ভাগ্যে যা জুটতঙ সে সম্পর্কে গঙ্গারাম লিখেছেনঃ
মাঠে ঘেরিয়া বর্গী দেয় তবে সাড়া, হা রে রে রে
সোনা রূপা লুটে আর সব ছাড়া
কারু হাত কাটে কারগ নাক কান
একি চোটে কারু ঘরএ পরাণ
ভাল ভাল স্ত্রী লোক জত ধইরা লইয়া জাএ
আঙ্গুষ্ঠে ধরি বাধি দেয় তার গলাএ
একজনা ছাড়ে তারে আর একজনা ধরে
রমণের ডরে ত্রাহি শব্দ করে।।
এই মতে বর্গী কতো পাপ কর্ম কইরা
সেছ সব স্ত্রী লোকে যত দেয় ছাইড়া।
এই পুঁথির বইটা কেনির পর,
বাংলা একাডেমি থেকে বিবর্তনমূলক ভাষার অভিধানটা আনিয়েছি তিনখন্ডই।
ভাষা কেমতে না বুঝি। বুঝেই ছাড়ুম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাবছি ডরামু কিনা!
মৌনতা রিতু
ক্যান ডরাইবেন ক্যান ? ডর নাই ডর নাই। বরিশাল লইয়া আসতাছি।
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি বরিশালে সারাক্ষণ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মডারেটদের প্রতি অনুরোধ রইলো মৌনাতার জন্যি একজন পার্মানেন্ট চক্ষুর ডাক্তার আর চশমা বরাদ্দ করা হোক।
অজানা রে জানাইবার লাগি তাহার পরিশ্রম সার্থক হোক।
ধন্যবাদ মৌনতা।
মৌনতা রিতু
ঠিকই বলেছো আপু। অলরেডি মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসলাম। রংপুর উলিপুরে ওটা। চশমা চোখে।
জিসান শা ইকরাম
আমরা এই ছড়াটি প্রায় সবাই জানি
খুব অল্প সংখক মানুষ জানি ছড়ার পিছনের কাহিনী।
জানান আপনি
শুভ কামনা।
মৌনতা রিতু
আলীবর্দী খাঁ যখন ছুটে আসে বর্গীদের প্রতিহত করতে তখন গগঙ্গারাম নবাবের বিপুল সেনা নিয়ে লিখেছেনঃ
একে একে জমাদার লাগিল সাজিতে।
ডঙ্কা নাগারা কত লাগিল বাজিতে।।
মুস্তফা খাঁ সমসের খাঁ দুই জমাদার
যার সংগে যার ঘোড়া বিশ হাজার
যেইমাত্র নবাব সাহেব তারকপুরে আইল
ফৌজের ধমক দেইখা বরগি পিছাইল
তবে বরগী পিঠ দিয়া শীঘ্র চইলা জাএ
নবাব সাহেবের ফৌজ পিছে পিছে ধাএ
চমৎকার এক ইতিহাসের বই ও পুঁথি হাতে পেলাম ভাইয়া। আমার তাই ধাই ধাই করে নাচতে মন চাইতেছে। \|/
ও হ্যাঁ সেই সাথে বিবর্তনমূলক ভাষার অভিধানটাও পেয়েছি। একেবারে সোনায় সোহাগা।
জিসান শা ইকরাম
খুবই ভাল জিনিস হাতে পেয়েছ। পুথি দিও মাঝে মাঝে ব্লগে 🙂
মৌনতা রিতু
পুঁথি পড়ার মজা আলাদা। শব্দ খুঁজতে হয়, এই সুযোগে অনেক শব্দ জানা যায়। কি যে মজা 🙂
দিব অবশ্যই।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
ইতিহাস আমার অনেক ভালোলাগে , আপনাকে কিদিয়ে যে ধন্যবাদ জানাবো বুজতে পারছিনা। আপনি নিজের অল্পনাতে লিখেছেন খুব লেগেছে।
মৌনতা রিতু
ইতিহাস তো আমার প্রধান দুুর্বলতা। ঢাকা গেলে আগে ঢু মারি লাইব্রেরিতে। আমার সংগ্রহে আছে অনেক পুরাতন ইতিহাসের বই। সেই রোম সম্রাজ্য, ব্যবিলন সভ্যতা থেকে শুরু করে অনেক বই। মোঘল সম্রাজ্যের সব।
এক সময় অনেক বড় করে এটা সংগ্রস করার ইচ্ছে আছে।
ফিরিঙ্গিদের দেশে খান বাহে কর্ণ ধারে
রাতদিন বয়ে যায় হার্মাদের ডরে।।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
ভালোতো পেয়ে গেলাম আপনাকে। আপনার কাসথেকে ই আমার বই গুলার নাম সংগ্রহ করতে হবে। আমি মাত্র তৃতীয় শ্রেণী প্রজন্ত লেখাপড়া করেছি তাই আমার অনেক কষ্ট হয়েযায় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে। কিন্তু বিস্বাস করুন ইতিহাস আমার অনেক ভালোলাগে।
মৌনতা রিতু
ওকে, অবশ্যই জানবেন। জেরুজালেম বইটা পোড়েন। আমার প্রিয় একটা বই। অনেক তথ্য আছে। যাস্ট অসাধারন একটা বই।
ধন্যবাদ। 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মৌনতা, আমারও ইতিহাস প্রিয় বিষয়। জেরুজালেম বইটা কোথায় পাওয়া যেতে পারে? তোমার ভাণ্ডার দেখে আমি সত্যিই অভিভূত!
শামীম আনোয়ার আল-বেপারী, আপনার স্পষ্টবাদীতা এবং জানার কৌতূহল দেখে শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। আহা! আমার দেশের বর্তমান প্রজন্মের ছেলেপেলেরা যদি এমন বইমূখো হতো। বড় কষ্ট হয় অদের জন্য।
মৌনতা রিতু
আপু যদি কিছু মনে না করো, বইটা তোমাকে পাঠিয়ে দেই। আমি অর্ডার দিয়েছিলাম তাই ওরা দুইটা বই এনেছিল। তুমি শুধু ঠিকানাটা বলে দিও।
তুমি পুঁথি পড়বে ! অনেক পুঁথি আছে আমার কাছে। এর জন্য একটা অভিধান ও কিনেছি।
শামিম ভাইকে তো এই জন্য মন থেকে সেল্যুট জানিয়েছি। জান আপু, আমার মেমনকে জাফর ইকবাল স্যারও বই পাঠায়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাহ! মেনন তাইলে সৌভাগ্যবান।
হ্যাঁ, যেহেতু বাড়তি বই আছে তোমার কাছে তাইলে তো আমার আর খুঁজতে হবে না। অনেক ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
আপু, কালই তোমায় বইটা পাঠিয়ে দিব।
হুম, আপু, মেমন সত্যি ভাগ্যবান। স্যার ওর নামটা স্যারের একটা পোষ্টে লিখেছিল।
মেমন স্যারের একটা ছবি এঁকেছিল, সেই জন্য। দোয়া করিও আপু।
ইঞ্জা
এইসব ইতিহাস আমার জানা ছিলোনা যা আজ জানলাম আর বাকিটার অপেক্ষায় রইলাম।
মৌনতা রিতু
তাইলে তো ভালোই হলো। পুঁথিসহ দিতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাই।
পচ্ছিম দিকেতে রাজ্য দরোয়ার শেষ।
মানুষে মানুষে বেছি খায় আচানক দেশ
দাড়ি মাল্লা ছিল যত ছুইনি টেগুল
সেই দেশেতে সক্কলে বেচে ডাকুর দল।
ইঞ্জা
লিখে যান, আমরাও একটু শিখি। 🙂
মৌনতা রিতু
ভাই লজ্জা দিচ্ছেন। তবে চেষ্টা করব এই লেখাটা সবই উপস্থাপন করতে।
মেহেরী তাজ
ভাবি ইতিহাস ঘাঁটছেন খুব? আপনার সুবাদে আমাদেরও পড়া হবে জানা হবে! চলুক ভাবি…….. 🙂
মৌনতা রিতু
ননদিনি, মনোযোগ দিয়ক পইড় কিন্তু,,, পরীক্ষা কিন্তু সামনে।
পুঁথি শুনতে হইলে মোংলা চল। 😀 🙂 :v
মেহেরী তাজ
পরীক্ষা আসলেই সামনে ভাবি! এই মাসের শেষ সপ্তাহ…….
পরিসংখ্যান ভূত মাথায় চেপে বসছে! ওটাকে আগে তাড়িয়ে বিদায় করি তারপর মংলা আসবো……… .. 🙂
মৌনতা রিতু
জানি তো পরীক্ষা সামনে। ননদিনির খবর আমি ঠিকই রাখি। পরীক্ষা একদম পারফেক্ট চাই। নইলে কানমলা। চিংড়ি মাছেল মালাইকারি, কোরাল মাছ, ফাইলশা মাছ ,,,,, নারকেল পাটশাঁক ভাজি,,, সব রেডি করতে বলেছি মাকে।
মেহেরী তাজ
আমিই তো জানতে পারলাম দুদিন আগে। আপনি কিভাবে জানেন??
উফ এত্তো খাবার…..! আরে আমার ভালো ভাবি। থাংকু ভাবি…..
🙂 \|/
মৌনতা রিতু
ঐ তো জানতে পারছি। কমু ক্যা। সিক্রেট সিক্রেট।
আবু খায়ের আনিছ
পড়ালেখা ভালোই হচ্ছে, আমরাও জানতে চাই ইতিহাস। অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখা শুরু করার জন্য।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ আনিছ ভাই। এই বইটা আমার সংগ্রহের স্রেষ্ঠ্য বই। সাথে বিবর্তনমূলক অভিধানটা।
আবু খায়ের আনিছ
ধার দিবেন প্লিজ!!!! হা হা হা। শুভ কামনা আপু।
মৌনতা রিতু
এইখানে কবি কিন্তু নিরব।
ধার দিমুনা,,,, ;( দরকার হয় একখানা গিফট দিমু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইতিহাস বড়ো ভয়ঙ্কর বিষয় আমার কাছে। কিন্তু এভাবে সহজ-সরল উপস্থাপন দেখে মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে ইতিহাসের ভক্ত হয়ে যাবো।
তবে আপু জ্ঞানী মানুষদের আমার বড়ো ভয়।
এতো জানো তুমি, যাক তোমার জানা বলেই তো জানতে পারছি। -{@
মৌনতা রিতু
ইতিহাস পড়া হল নেশা। আর তুমি যে পড় তা জানি। তোমার ফেসবুকে ব্যবিলনের রানির কথা উল্লেখ আছে। মুই সবই দেখি। :p
মুই জ্ঞানি। ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ধুত্তোরি সেভাবে পড়া হয়না। তাছাড়া ওসব ব্যাবিলনের রানীর কথা তো সকলেই জানে। 😀
জ্ঞানের আটলান্টিক। ঠিক আছে?
মৌনতা রিতু
ব্যবিলনের রাণীর কথা অনেকেই জানেনা। ইতিহাসের মজাই আলাদা। এপিক্যালিপ্ট সিনেমাটা তো দেখেছো। আমার একটা প্রিয় সিনেমা। ওটা কিন্তু সত্যি কাহিনীর উপর নির্মিত।
শুন্য শুন্যালয়
লাইব্রেরীর গুণ আমরা হাতেনাতে প্রমাণ পাচ্ছি 🙂
কিছুই তো জানিনা এইসব ইতিহাসের। কানাকড়ি জানতে পেরে আপাতত চলবে তে অপেক্ষা। এত্তো ধন্যবাদ আপু। বেশি বেশি একলা হয়ে এলোমেলো হয়ে আরো পড়ুন, আরো জানি আমরা। বেশ পোস্ট। -{@
আমি তাহলে আপনার ননদ হই? আপনার চুলের সাইজ কতো? 🙂
মৌনতা রিতু
মাইর মাইর। চুল যা আছে তা হাতের মুঠোয় আসবে। ননদীনি প্রথমেই হুমকি ;(
তোমাকে এত্তো এত্তো আদর ও চিমটি। চলো যাই মোংলা।
সত্যি ভাল লাগবে।
মেহেরী তাজ
আমি কিন্তু আপনার ভালো ননদ। তাই না ভাবি??? 😀 \|/
মৌনতা রিতু
হ ঠিকই কইছ তো। শত হলেও ছোট সোনামনি তুমি।
গাজী বুরহান
কত অজানারে :@
মৌনতা রিতু
রাগ কেন ? ভুল হল কি আমার লেখায় ? ও ভাই ঝেড়ে কাশেন। তবে ভুল হওয়া কথা তো নয়। তথ্য নির্ভর বই ছাড়া তো আমি কিনি না।
গাজী বুরহান
সরি সরি সরি!! আমি আমার নিজের কথা বলছি।
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।
এই গানটা কত শুনেছি, কিন্তু বর্গীরা কে তা জানতামনা। তাই নিজেই আফসোস করতেছি। আপনি যদি ভুল করতেন তাহলে এই রকম মন্তব্য করার প্রশ্নই আসেনা। আসলে মন্তব্য করতে গিয়ে এতটা ভাবিনি।
আবারো সরি..
মৌনতা রিতু
স্যরি কেন ভাই, ভুল আমার হইছে বুঝতে। আরে আমরা আমরা তো। সোনেলা আমাদের পরিবার। আমরা সবাই সেই পরিবারের সদস্য। তাই নো স্যরি। 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রিমি রুম্মান
একজনের পরিশ্রমের ফল ভোগ করছি আমরা অনেকগুলো মানুষ। এমন করে সামনে নিয়ে না এলে এ ইতিহাস পড়া হত না ।
শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
এবার এই বইগুলোর সংগ্রহে লেগেছি। ইন্ডিয়া যাব হয়ত ফেব্রুয়ারির দিকে, তখন কোলকাতা থেকে কিছু বই কিনব। তথ্য নির্ভর বই ছাড়া বিপদ।
তোমরা আপু, ধৈর্য্য নিয়ে পড়ছ এটাই আমার তৃপ্তি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।
বহুল প্রচলিত এই ছড়া তখনকার সময়ের ডাকাত দস্যুদের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হতো। মন্তব্যগুলোর পুঁথিগুলোও পড়তে হবে।
মৌনতা রিতু
পুঁথি দিতে হবে ভেবেছি, অর্থসহ। তুমি ভলগা থেকে গঙ্গা পড়েছো ? হেব্বি আপু। কিন্তু তিনবার পড়ে বুঝেছি।
তুমি বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্নজীবনি লিখছ, সত্যি খুবই প্রশংসনীয়। আমার আছে বইটা। তাছাড়া মেমন শিশু একাডেমি থেকে পুরষ্কার স্বরুপ বঙ্গবন্ধুর অনেক বই পেয়েছে। ও তো গল্প ও লেখে। ওর লেখা মুক্তিযুদ্ধের একটা গল্প আছে। তুমি ভাবরেই পারবে না আজকালকার পুচ্চিরা এসব লিখছে।
মিষ্টি জিন
ইতিহাস বড় ভয় পাই। তবে আপনার এত সুন্দর উপস্থাপনে সেই ভয় কেটেছে।পুথী গুলো অসাধারন ।
মৌনতা রিতু
ইতিহাসে ভয় ! ইতিহাসের মতো মজার জিনিস আর কি আছে । আমি তো পাগল ইতিহাসের বই পড়তে, গল্প পড়তে। আমার তো দিনে কি রাতে এক ঘন্টা লাইব্রেরী রুমে ইতিহাসের বই না ঘাটলে ঘুমই আসবে না।
ধন্যবাদ।