বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ, দেশের শতকরা ৮৮.২ ভাগ মানুষই মুসলমান। আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন নিজেদের ধর্মকে মুখে মুখে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করলেও কার্যক্রমে তার ভিন্নতা লক্ষ্য করছি সবাই। জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে ধর্মকে খুঁটি বানিয়ে কিছু মানুষের ফায়দা লোটার অপচেষ্টায় বলি হচ্ছে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। কেন এই সহিংসতা? কারা ছড়াচ্ছে? আদতে কি এটিও অসাম্প্রদায়িকতা নয়?
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যেখানে ৮০ ভাগের বেশি মুসলমানের বসবাস সেখানে সেই মুসলমান কর্তৃক এমন সহিংসতার পেছনে কে বা কারা রয়েছে সেটা ভাবা দরকার বৈকি! তাহলে কি বলা যায় যে বা যারা এসব করছে সেসব প্রত্যেক মানুষের ভিতরে অসাম্প্রদায়িকতা বিরাজ করছে না? পূজামন্ডপে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, কে করেছে? একদল মুসলমান। পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানো হচ্ছে, কে করেছে? একদল মুসলমান। হিন্দুদের উপর হামলা করছে একদল মুসলমান। দেশে এসব সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কেন? কেন আমরা একে অন্যকে তাদের নিজেদের ধর্ম যার যার মতো পালন করতে দেইনা? একজন মুসলমান হয়ে এসব খবরে আমি নিজেই আজ লজ্জিত। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে এমন সহিংসতা করার কথা কোথায় বলা আছে?
গত শুক্রবার বিকেলে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিপ্লব চন্দ্র নামক একজনের ফেসবুক আইডি থেকে আল্লাহ্তায়ালা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ গালাগাল করে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ পায়। এটির স্ক্রিনশট তার কয়েকজন বন্ধুর কাছে ম্যাসেজ হিসেবেও যায়। একপর্যায়ে কয়েকটি আইডি থেকে ম্যাসেজগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে কয়েকজন ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। এ অবস্থায় বিপ্লব চন্দ্র স্থানীয় থানায় নিয়ে নিজে গিয়ে তার আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাকে নিজেদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেন।
আল্লাহ্ ও রাসুলকে নিয়ে কটুক্তির বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইতে থাকে। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। তারা স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে থাকে। সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে সেখানে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সহিংসতা যাতে না ছড়ায় এজন্য ভোলা পুলিশ সুপার নিজেই সেখানে যান। ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজাকে পুলিশ অনুরোধ জানান বিক্ষোভ মিছিল না করার জন্য। ইমাম শুধুমাত্র দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত করেন।
কিন্তু এরই মধ্যে কিছু মানুষের ইমামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো জড়ো হতে থাকে। সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হয় তারা। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ওই মসজিদের ইমামের ঘরে আশ্রয় নেয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। হঠাৎ গুজব ছড়ায় পুলিশ মাওলানা মুহিবুল্লাহ নামক একজনকে আটক করেছে যাকে পীর হিসেবে মানেন সবাই। এ খবরে উত্তেজনা সহিংসতায় রূপ নেয়। ঈদগাহ মাঠ ও এর আশেপাশের এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয় এবং পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে অকালেই প্রাণ হারান চারজন। এ নিয়ে ভোলা জেলায় এখন থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে সভা-সমাবেশের অনুমতি না নিয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে এরূপ বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেননা কেউ। আর যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর তাই পুলিশ অনুমতি দেয়নি সমাবেশ করার এবং পুলিশ আত্মরক্ষার্থেই গুলি করেছে। ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এবং হত্যা-সহিংসতার খবরে দেশের সকল টিভি চ্যানেল অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া এখন সরগরম। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে পুরো দেশে।
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে আমাদের দেশে বহু আলোচনা হচ্ছে, তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে। আমরা বুঝতে চাইনা নাকি পারিনা- আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি, মেধা, সততা সবকিছুই প্রগতিশীল হওয়া সত্ত্বেও কেন শুধুমাত্র এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি? লক্ষ্য করলে দেখবেন, দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িকতা নেই বরং সব ধর্মের কিছু নেতৃবৃন্দ ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে অসম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করছে বারবার।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, ভোলায় যে হিন্দু ছেলেটির ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে সেটা নাকি একজন মুসলমানই করেছে। পুলিশ বিবৃতিতে তাই বলেছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন থাকায় এ নিয়ে মন্তব্য করছিনা তবে যেহেতু মুসলমানদের মূল জায়গায় আঘাত করা হয়েছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আঘাত লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যেহেতু একজন হিন্দুর আইডি থেকে ছড়ানো হয়েছে তাই এই সহিংসতায় গায়ে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লেগেছে যা আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে- ধর্মান্ধতার সুযোগ সন্ধানী কিছু মানুষের এমন কর্মকাণ্ডে উন্নত বিশ্বের কাছে বারবার লজ্জিত হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে এবং এটাই অন্যতম কারন।
ভোলা সহিংসতার পেছনেও কিন্তু সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস। স্ট্যাটাসটি সত্য কিন্তু কে দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিপ্লব যদি সেটি নিজে দিয়ে থাকে বা যেটা শোনা যাচ্ছে যে আইডি হ্যাক করেছে সে যদি মুসলমানও হয় তদন্ত করে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। লক্ষ্য করুন, ফেসবুক স্ট্যাটাসকে ঘিরে এখানেও গুজব ছড়িয়েছে, দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কু-বাতাস ছড়িয়ে পড়ছে যা পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সঠিক খবর যাচাই করুন, গুজবে বিশ্বাস করে কোন হঠকারী সিদ্বান্ত নেবেন না। তার এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের কিছু ঘটনা- ক্যাসিনো কান্ড, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগের দুর্নীতি, বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও এসব খবরে এমনিতেই দেশের জনমনে নানান উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর রাসূলের নামে কটুক্তি ছড়িয়ে সহিংসতা ছড়ানো- এটি অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়তো? প্রশ্ন থেকেই যায়। যার সমাধান একটি আইনী প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে যাবার কথা, তৌহিদী জনতার ব্যানারে সাধারণ জনগণকে উস্কিয়ে দিয়ে কারা এই সহিংসতার সৃষ্টি করেছে? দেশের সরকারের বদনাম করার জন্য হতে পারে কি? অসম্ভব কিছু নয় কিন্তু!
দেশে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এখন একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য সকল ক্ষেত্রেই এই ব্যাধি আমাদের আক্রমণ করে চলেছে। আমরা সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেকেই কোন না কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। কেউ ছাত্র, শিক্ষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, কেউ রাজনৈতিক নেতা এরা সবাই এক একটি সম্প্রদায়। এবার ভাবুন এই সাম্প্রদায়িকতার উৎপত্তি কোথায় আর এর বিনাশে অসাম্প্রদায়িক এসব কর্মকাণ্ড কারা করছে? ছাত্র নিয়ে রাজনীতি ফলাফল- হত্যা, শিক্ষক নিয়ে রাজনীতি ফলাফল- শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস, নেতাদের নিজেদের দলীয় রাজনৈতিক দলাদলি ফলাফল- দুর্নীতি, ধর্মীয় মানুষের মধ্যে হানাহানি ফলাফল- নিজেদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ। মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, নীতিবোধ, নৈতিকতা শব্দগুলি আমাদের ধারণ করার কথা ছিলো মানব জীবনে অথচ এসব শোভা পাচ্ছে বইয়ের পাতায়।
যখনই কোন সম্প্রদায় আমাদের ভাবনার কারণ হয় তখন সাম্প্রদায়িক শব্দটি অসম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে বারবার। সম্প্রদায় হতে হবে নিরপেক্ষ, কোন ধর্মের বা বর্ণের বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে আক্রমণ করে এসব অসম্প্রদায়িক কর্মকান্ড আমাদের পুরো সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ এবং অসাম্প্রদায়িকতা রোধ করার দ্বিতীয় কোন উপায় অবশ্যই আর কিছু হতে পারে না।
অনেকদিন আগে শান্তির বার্তায় এ কেমন অশান্তি! শিরোনামে একটি লেখায় একবার বলেছিলাম - গেঁয়ো সামাজিক রোশানল আর ধর্মের গ্যাঁড়াকলে, “মানবতা” নামক শব্দটিকে এখন আমি লিপিবদ্ধ করছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় পাতায়….
ভোলার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার এই ঘটনায় আমার কথাই সত্যি বলে প্রমাণিত হলো।
(ছবিঃ সংগৃহীত)
৩৩টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মেসেঞ্জারে ওই বক্তব্যের ‘স্ক্রিনশট’ ব্যবহার করেই বোরহানউদ্দিনে উত্তেজেনা সৃষ্টি করা হয়।
এরপর রোববার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে ‘মুসলিম তাওহিদী জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয় এবং এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শত শত মানুষ।
রোববার বেলা পৌনে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা সদরে দফায় দফায় ওই সংঘর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রসহ চারজন নিহত হন, আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের দিকে গুলিও ছোড়া হয়; তাতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন বলে পুলিশ সুপার জানান।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলছেন, ওই অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাকড’ হওয়ার বিষয়ে স্থানীয় আলেমদের জানিয়ে আগের দিনই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু তারপরও ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক জড়ো করা হয় সেখানে।
ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়টি পুলিশ বুঝিয়ে বলার পরও কারা স্থানীয় জনগণকে উসকানি দিল, কারা জমায়েতের আয়োজন করল- সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
খবরটা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে সংরক্ষিত।
আমারা সংখ্যালঘু, তাই লঘুচাপের শিকার। তাও আবার একবার নয় দুবার নয়, যুগে যুগে। আপনাদের ধর্মীয় শ্লোগানের জাঁতাকলে আমরা সংখ্যালঘুরা ধূলিসাৎ!
তৌহিদ
দাদা আপনিও কিন্তু একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকেই সমর্থন করলেন আপনাদের শব্দটি ব্যবহার করে। যে কোন ধর্মের সাধারণ মানুষ কখনওই সহিংসতায় জড়ায় না। সু একজন থাকে উষ্কানীদাতা। বাকী সবাই হুজুগে মাতে। ঘটনা যেই ঘটাক আইনের আওতায় আনতে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
সময় খুব খারাপ যাচ্ছে সরকার যদি কিছু ফুল করে দেশ উচ্ছছুন্নে যাবে তৌহিদ ভাই।
বর্তমানে যে ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে আবার ২০১১ মনে হচ্ছে। তবে ‘১১ ন্যায় সরকার জনসমর্থন পাবে বলে বিশ্বাস হইনা।
তৌহিদ
দেশের এইই ক্রাইসিস ইচ্ছেকৃত তৈরী করা ভাই। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ছোট করাই এর উদ্দেশ্য।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা বলে লাভ নাই। এইসব জঞ্জাল সরায়ে এগোতে হবে। তানাহলে বিপর্যয় হবে। এখানে আত্বীয় আদর চল্বেনা। সাধারন মানুষ কত মার খাবে!!!
মোঃ মজিবর রহমান
সরি ভুল হবে ফুল নয়
তৌহিদ
বুঝতে পেরেছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ফেসবুক বন্ধ করাই ভাল আমাদের দেশে। চীন ও পাকিস্তান এটা নেই দেশ বা সমাজ নস্ট হচ্ছে? একদম না। বরঞ্চ ছাত্র ছাত্রি তাদের পড়াশোনায় আরো মনযোগি হবে।
কিন্তু আমাদের দেশ কুচক্রিমহল খুব খারাপ। তা বন্ধ করাই শ্রেয় বলে মনে করি।
তৌহিদ
ফেসবুকে সহিংসতা যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে বন্ধ করাই উচিত। কিন্তু এতে সমাধান কি হবে!! মোবাইল আছে পাশাপাশি। আমাদের ফেসবুক অপব্যবহার বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা মিস্টার বার্গ নেবেনা৷ বলেই দিচ্ছে।
আর মোবাইল আইডেন্টি ফাই করা সহজ কুন্তু ফেবু অত সহজ না।
তাছাড়া দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রি দের ভবিতসত ভেবেই করা উচিত বলে আমার মত।
সুরাইয়া পারভিন
কিয়ামত অতি সন্নিকটে,,,,
তৌহিদ
আল্লাহ্ রহমত করুন।
শবনম মোস্তারী
খুবই দুঃখজনক।একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলেছে। নতুন ঘটনার ভিড়ে পুরনো ঘটনা চাপা পরে যাচ্ছে…☹️
মনে হয় খুব বেশি দিন আর নেই , চীন এর মত আমাদের দেশেও ফেসবুক বন্ধ হতে।
তৌহিদ
আপাতদৃষ্টিতে ফেসবুক বন্ধ হওয়াই উত্তম বলে মনে হচ্ছে। ইস্যুগুলি সব ফেসবুকেই ছড়াচ্ছে।
ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে গুজব ছড়িয়ে কতজন মানুষ মারা গেছিল মনে অাছে?–৪৮ জন।।মসজিদে হামলা হচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে ফটিকছরিতে কতজন মানুষকে পিটিয়ে মারছিল মনে অাছে?–৪০ জন।ফেইক অাইডির ফেইক স্ক্রিনশট বানিয়ে নাসিরনগরে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল মনে অাছে?–১৫কোটি টাকার।পদ্মা সেতুতে কল্লা লাগবে গুজব ছড়িয়ে কতজন মানুষকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল মনে অাছে?–১৪জন।
যার অাইডি থেকে এই ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে তাকে পুলিশ এ্যারাষ্ট করেছে।তার অাইডি যারা হ্যাক করছে তাদের ও ধরেছে পুলিশ৷ কিন্তু গুজবে প্রাণ গেল ৪ জন মানুষের।
গুজব ছড়িয়ে কি লাভ?
ধর্মের নামে হানাহানি আমরা কেউই চাই না।
চাই শান্তি।
হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই তা মুখে নয় কাজে আমরা দেখাতে চাই।
তাই ধর্মের মানুষকে আমরা ভালোবাসতে হবে।
এবং প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান করতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা নয় আমরা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী।
ভালো থাকুক আমাদের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
তাই প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে আমরা ভালোবাসতে হবে।
তৌহিদ
যত গুজব সব অনলাইন মাধ্যমেই ছড়ায়। এদেশে ফেসবুক ব্যবহারে আমরা এখনো সভ্য হয়ে উঠতে পারিনি দাদা। সবারই উচিত নিজ নিজ ধর্মকে পালন করতে দেয়া এবং অন্য ধর্মকে গালিগালাজ না করা। কারন এটি ধর্মীয় অনুভবের বিষয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
সকল সহিংসতার নির্মূল হোক, জীবনের স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক সেটাই চাই।
আসলে প্রকৃত ঘটনা যে কী সেটি বুঝতে পারছি না।
আস্তে আস্তে সব-ই উঠে এসে সত্য প্রকাশিত হবে এর অপেক্ষায় আছি।
তৌহিদ
প্রকৃত ঘটনাই এখন জানার অপেক্ষায় সবাই আমরা। ফেসবুকে এসব অনাচারের খবর আর ভালো লাগছেনা ভাই।
আরজু মুক্তা
শান্তির বার্তা নিয়ে আসুক এক পায়রা।
তৌহিদ
এটাই কাম্য। ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
সময় উপযোগী পোস্টটির জন্য প্রথমেই আপনাকে জানাই সাধুবাদ ও ধন্যবাদ।
ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, অথচ এই ধর্মকে এখন হাতিয়ার বানিয়ে নিরীহ মানুষকে ফাসানো হচ্ছে, মারা হচ্ছে তা দুঃখজনক।
তৌহিদ
ইসলামকে নিজেদের সার্থে যারা ব্যবহার করে তারা কখনওই মুসলিম হতে পারেনা। আমরা গুজবে মাতি, রেশারেশি করি অথচ ইসলামের মূলধারায় কেউ নিজেকে রাখিনা। ফেঁসে যায় নিরহ মানুষ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গুজব একটি সামাজিক ব্যধি। এই ব্যধি মূহুর্তে দেশের শান্তি নষ্ট করতে পারে। প্রাণহানি ঘটাতে পারে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। দোষিকে নির্দোষ আর নির্দোষীকে দোষি বানাতে পারে।
তাই সর্বাগ্রে গুজবের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর গুজবকারিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই।
তৌহিদ
মন্তব্যে ভালোলাগা ভাই। সমস্যা হচ্ছে আমরা আসলটা যাচাই করিনা। আর যারা গুজব ছড়ায় তারা যে নিজেদের স্বার্থেই এসব করে এটাও মানতে চাইনা।
শুভকামনা ভাই।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা ধৈর্য শক্তি বোধয় শূন্যের কোঠা,
শুধু,
হই-হই-রই-রই।
তৌহিদ
যারা হই হই রই রই করে তারা কিন্তু সংখ্যায় বেশি নয় তবুও সকলের বোধদয় হোক এটাই কাম্য।
ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
গুজব বিশ্বাস করে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ, এরা লুটেরা প্রকৃতির এবং কিছুটা সাইকো।
একটা ঝামেলা তৈরী করে এরা নিজেরা নিজেরা পৈশাচিক উল্লাস প্রকাশ করে,
পদ্মা ব্রীজে বাচ্চাদের কল্লা লাগবে, এই গুজব মানুষ বিশ্বাস করেছিল, একারনে মানুষ পিটিয়ে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এসবের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
সমসাময়িক লেখা ভালো হয়েছে,
শুভ কামনা।
তৌহিদ
আসলেই এদের মানসিক সমস্যা আছে। তারা নিজেদের স্বার্থেই এমন আচরণ করে। সাধারন মানুষ হয় এসবের ভুক্তভোগী। তাদের দৃষ্টান্তমমূলক শাস্তি হোক এটাই কাম্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
কিভাবে যে এদের এই মানসিক সমস্যা দূর হবে জানিনা ভাই।
খুব হতাশ হই এসব দেখে।
অনন্য অর্ণব
ধর্ম আর জীবন একে অপরের পরিপূরক। যদি আমি বেঁচে থাকি তো আমার ধর্ম মানতে হবে, কোন মৃত ব্যক্তির জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো যদি আমি ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে জীবনকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিই- তাহলে পৃথিবীতে ধর্ম পালনের জন্য কেউ অবশিষ্ট থাকবে বলে মনে হয় না।
আগে প্রাণ তবে তো ধর্মপ্রাণ। ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
ইসলামে জান বা প্রাণ বাঁচা ফরজ। জানই যদি না থাকে ইসলাম পালন করবে কে তাইনা?
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা ভাই।