সানিয়া (Sanya) ভ্রমণ

ইঞ্জা ৩ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ০১:১৮:২১অপরাহ্ন ভ্রমণ ২৪ মন্তব্য

 

 

 

পর্যটন শহর সানিয়া হলো চায়নার এক দ্বীপ, এই দ্বীপ তাইওয়ানের একদম কাছে, এই দ্বীপে পাহাড় সমুদ্র মিশে একাকার।
এই সানিয়াতে ২০১০ আমন্ত্রণ পেলাম ডিলার কনভেনশনে, ডংফেং শোকোন আয়োজিত এই কনভেনশন হবে তিন দিনের আলিশান প্রোগ্রাম, আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাত স্টার মার্কা হোটেল রয়াল অর্কিডে যা বিশ্বের বৃহত চেইন হোটেলের একটা অংশ।
ইমেল পাওয়ার পরই বিষয়টা জানালাম কোম্পানির সিইওকে, উনি বললেন "ওকে আপনিই চলে যান"।
আমি বুঝালাম এমন একটা প্রোগ্রামে আপনি না গেলে কেমনে হয়?
উনি দোনোমনা করে রাজি হয়ে গেলেন, উনাকে ডিটেলস পাঠিয়ে দিয়ে ভিসা সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা নিলাম পরের এক সপ্তাহে, উনি ঢাকায় এসে আমি সহ ভিসা নিলাম, এরপর চায়না সাউদার্ন বিমানের টিকেট কাটা হলো।
নির্ধারিত দিনে আমরা চায়না সাউদার্নে চেপে বসলাম গুয়াঞ্জু প্রদেশের উদ্দেশ্যে আমাদের সময় রাত একটায়।

পরদিন ভোরে পোঁছালাম গুয়াঞ্জু শহরে, এইখানে আমাদের সিকিউরিটি চেকইন করে নিলাম, লাগেজ কালেক্ট করে বেড়িয়ে এসে লিফটে চড়ে আভ্যন্তরীন ডেস্কে গিয়ে সানিয়ার বোর্ডিং পাশ নিলাম, আমাদের ফ্লাইট সকাল এগারোটায়, লাগেজ গুলো বোর্ডিং পাশ নেওয়ার সময় দিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু সাথে আছে হ্যান্ডব্যাগ।
এরপর গেলাম স্টারবাক্সে, কিছু খেতে হবে আমাদের, দুজনের জন্য স্যান্ডুইচ এবং মোকাচিনো কফি অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কিছুক্ষণের মধ্যে খাওয়া এসে গেলে ওগুলো দিয়েই সকালের ব্রেকফাস্ট করলাম, খাওয়া শেষে নির্ধারিত গেইটে প্রবেশ করে সিকিউরিটি চেক শেষে আমাদের জন নির্ধারিত গেইটের সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম, সময় হয়ে এলে আমাদের ডাক পড়লো বিমানে প্রবেশের, আমরা বোর্ডিং পাশ দেখিয়ে বিমানে প্রবেশ করে গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে গেলাম।

দুপুর দুইটার পর আমরা সানিয়ার আকাশে পোঁছে গেলাম, একদিকে বড় বড় পাহাড় এবং অন্যদিকে চায়না সি এক মহোময় সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, পাহাড়ের ভাজে ভাজে সুন্দর সুন্দর ঘর বাড়ী দেখা যাচ্ছে, বিমান পুরা সানিয়া শহর এক রাউন্ড দিয়ে ডাইভ দিলো নিচে নামার জন্য, দূর থেকে সামনে দেখে ভয়ই পেলাম বিমানের ডাইভ দেওয়া দেখে, কারণ সামনে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে বড় বড় পাহাড়, পরে লক্ষ্য করলাম আমাদের বিমান সেই প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে সামনের ল্যান্ডিংয়ের দিকেই এগুচ্ছে, কিছু সময়ের মধ্যে মাটি ছুঁয়েই ল্যান্ড করে সামনে দিকে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে স্পিড স্লো করে বিমান বন্দরের দিকে বাঁক নিয়ে এগিয়ে গেল।
বিমান থেকে নেমে আমাদের লাগেজ কালেক্ট করে বেড়িয়ে এলাম এক্সজিট দিয়ে, বেড়িয়েই ভড়কে গেলাম, সামনে প্রচুর সাংবাদিক ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলছে, কয়েকজন ভিডিও করছে, ভাবলাম কি ব্যাপার কোন মন্ত্রী মিনিস্টার আসছে নাকি আমাদের সাথে, সামনে তাকিয়ে দেখি ইস্টেফেন (ডংফেং শোকোনের এশিয়া ম্যানেজার) এগিয়ে আসছে আমাদের রিসিভ করতে, আমাদের সাথে হ্যান্ডসেইক করে আমাদের লাগেজ পোর্টারকে বুঝিয়ে দিলো এবং আমাদেরকে নিয়ে দাঁড়ালো পোজ দিতে, বুঝতে পারলাম সাংবাদিকরা অন্য কারো জন্য নয়, আমাদের জন্যই রাখা আছে, পোজ দেওয়া শেষে আমাদেরকে নিয়ে এগিয়ে গেলো গাড়ীর উদ্দেশ্যে, গাড়ীতে উঠার পর আমাদের নিয়ে চললো হোটেলের উদ্দেশ্যে।

চলবে।
ছবিঃ গুগুল।

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ