সময়ের চিত্রশিল্পী

আবু জাকারিয়া ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, শুক্রবার, ০৪:৪৭:৩৫অপরাহ্ন গল্প, সাহিত্য ৮ মন্তব্য

।।।সময়ের চিত্রশিল্পী।।।

আবির মাহমুদ একটা চিন্তায় পরে গেল। এক ডাক্তার তাকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে বলেছেন, আপনি আর ৫ বছর বাচতে পারেন। এমন নিষ্ঠুর ডাক্তার আবির মাহমুদ জীবনে কমই দেখেছেন যে রোগীকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর সরাসরি মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়। আসলে ওই ডাক্তাটি এমনই, সরাসরি সব কিছু বলেদিতে পছন্দ করে। তবে তার উপর মানুষের একটা ভরসা আছে, কোন রোগীকে সে যদি বলে, আপনার রোগটা এতদিনের ভিতর সেরে উঠবে, তবে তাই হয়েছে। তার কথার এদিক ওদিক হওয়ার উদাহরণ খুব কমই শোনা গিয়েছে।
আবির মাহমুদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা যে তার দশ বছর পর মৃত্য ঘটতে যাচ্ছে। সে একজন নাম করা সৌখিন বিজ্ঞান চিত্রশিল্পী, কত কিছু আকার বাকি আছে, কতকিছু দেখার বাকি আছে তার অথচ বেকুব ডাক্তার তাকে ৫ বছর বাচার কথা বলেদিয়েছে । আবির মাহমুদ কিছুতেই ছবি আকায় মন দিতে পারছেন না। বার বার মৃত্যুর কথা শরনে আসছে তার। তার সহকারী জুবায়ের বলল, স্যার আপনার মন খারাপ কেন, কি হয়েছে? আবির মাহমুদ লুকানর চেষ্টা করল ব্যাপরটা, না কিছু হয়নি। জুবায়ের বলল, স্যার আমার মনে হচ্ছে আপনার কিছু হয়েছে, বলুননা কি হয়েছে? আবির মাহমুদ বললেন, কিছু হয়নি। চারপাচদিন ধরে একটাও ছবি আকতে পারলেননা আবির মাহমুদ। সাংবাদিকরা ছবি নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছে। জুবায়ের বলল, স্যার আপনার কি হয়েছে, বলুন প্লিজ। আবির মাহমুদ বলল, আমার কিছু হয়নি। তুমি চুপ থাক। জুবায়ের বলল, সাংবাদিকরা ছবি নিতে এসেছে, কি করব? আবির মাহমুদ বললেন, এলিয়েনের ছবিটা দিয়ে দাও। জুবায়ের বলল, কিন্তু এলিয়েনের ছবির কাজতো এখনও শেষ হয়নি। আবির মাহমুদ বলল, যা হয়েছে তাই দিয়ে দাও। জুবায়ের আধা সমাপ্ত এলিয়েনের ছবিটা সাংবাদিকদের দিয়ে দিল। সাংবাদিকরা ছবিটা পেয়ে খুশিতে দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে গাড়িতে উঠে ফো ফো শব্দে চলে গেল। পরের দিন আরো একদল সাংবাদিক ছবি নেয়ার জন্য জড় হল। জুবায়ের বলল, স্যার এখন কি করবেন, সাংবাদিকরা ছবি নিতে এসেছে। আবির মাহমুদ রেগে গিয়ে বলল, কি আর করবে, তুমি নিজে কতগুলো ছবি একে দিয়ে দাও।
জুবায়ের হাসল, বলল, স্যার আমি কি ছবি আকতে পারি নাকি? আবির মাহমুদ বলল, যা পার তাই একে দাও। জুবায়ের চারপাশটা ছবি একে সাংবাদিকদের দিল। সাংবাদিকরা বলল, ছবির মান এত খারাপ দেখাচ্ছে কেন? জুবায়ের বলল, স্যার এখন নতুন স্টাইলে ছবি আকতে শুরু করেছেন, পুরানো সব স্টাইল বাদ দিয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকরা ছবি নিয়ে চলে গেল। জুবায়ের বলল, স্যার আমার আকা ছবি একটুও ভাল হয়নি, তারপরও সাংবাদিকরা নিয়ে নিয়েছে। আবির মাহমুদ বললেন, ওরা বুঝতে পারেনি যে ছবি গুলো তোমার আকা। জুবায়ের বলল, তা কি করে বলব স্যার, ছবিগুলো ওদের কাছে দিলাম, আর নিয়ে চলে গেল। শুধু বলল, ছবির মান এত খারাপ কেন। আমি কি বলেছি, জানেন স্যার। আবির মাহমুদ জুবায়েরের দিকে তাকিয়ে বলল, কি বলেছ?
জুবায়ের বলল, স্যার আমি বলেছি, স্যার নতুন স্টাইলে ছবি আকতে শুরু করেছে। আবির মাহমুদ মুচকি হাসল। জুবায়ের কয়েকদিন পর এই প্রথম আবির মাহমুদককে হাসতে দেখল। জুবায়ের বলল, স্যার আপনি হঠাৎ করে ছবি আকা ছেড়ে দিলেন কেন? আবির মাহমুদ বলল, মনটা ভাল নেই জুবায়ের। জুবায়ের বলল, কেন স্যার? আবির মাহমুদ বলল, আচ্ছা জুবায়ের বলতো আমি ছবি আকি কেন? জুবায়ের বলল, টাকা কামাই করার জন্য। আবির মাহমুদ বলল, আমি টাকা কামাই করার জন্য ছবি আকিনা, আমি ছবি আকি শখ করে। জুবায়ের বলল, কিন্তু স্যার হঠাৎ করে ছবি আকা ছেড়ে দিলেন কেন? আবির মাহমুদ বলল, ওইযে বললাম না, মনটা ভাল নেই। ৫ বছর পর আর ছবি আকতে পারব না। জুবায়ের বলল, কেন স্যার, বৃদ্ধ হয়েগেছেন তাই। আবির মাহমুদ বলল, হ্যা। ডাক্তার বলেছে আমি ৫ বছরের বেশি বাচবনা। জুবায়ের চেচিয়ে বলল, স্যার কোন ডাক্তার বলেছে একবার বলুন, ওকে রামধোলাই দিয়ে ছাড়ব। আবির মাহমুদ বললেন, রাম ধোলাই দিলে কাজ হবেনা, ডাক্তার ঠিক কথাই বলেছে। নামকরা ডাক্তার সে। জুবায়ের বলল, স্যার তার যন্ত্রপাতিতে ভুল থাকতে পারে, এমনকি লাইফ টাইম স্কেল ভূল হতে পারে। আবির মাহমুদ বলল, তা হবেনা, ডাক্তার তিন চারটা লাইফ টাইম মেসিন ব্যাবহার করে হিসাব করে দেখেছেন। তার কথাই ঠিক, তাছাড়া আমিওতো বৃদ্ধ হয়েগিয়েছি। ৫ বছর পর মারা না গেলেও বার বছর পরত মরতে হবে। বার বছর না হোক পনের বছর পরেত মরতে হবে। জুবায়ের কোন কথা বলল না, চুপ করে দাড়িয়ে রইল। আবির মাহমুদ বলল, ৫ বছরের মধ্যে মারা যাব এটা কোন দুঃখ না। দুঃখ একটাই। জুবায়ের অবাক হয়ে তাকাল আবির মাহমুদের দিকে, কি দুঃখ স্যার? আবির মাহমুদ বলল, দুঃখ ৫ বছর পর আমার আর ছবি আকা হবেনা। জুবায়ের বলল, স্যার আপনি ছবি আঁকতে এত ভালবাসেন? আবির মাহমুদ বলল, তুমিতো জান ছবি আকা আমার নেশা। সারা জীবন ছবি আকব বলে বিয়েও করিনি। জুবায়ের বলল, স্যার একটা বুদ্ধি আছে, আপনি চাইলে ৫ বছর পরে কেন হাজার বছর পরেও ছবি আকতে পারবেন। আবির মাহমুদ অবাক হয়ে তাকাল জুবায়েরের দিকে, কি বুদ্ধি জুবায়ের? জুবায়ের বিজ্ঞের মত বলল, স্যার লাইফ কন্ট্রল ক্যাপসুল ব্যাবহার করতে পারেন। টাইম দিয়ে রাখবেন যখন উঠতে চান, তারপর উঠে ছবি একে আবার টাইম ফিক্স করে ক্যাপসুলের ভিতরে ঢুকে পরবেন। আবার উঠবেন আবার ছবি আঁকবেন। এভাবে হাজার বছর ধরে ছবি আকতে পারবেন। নতুন নতুম জিনিস পাবেন ছবি আকার জন্য। আবির মাহমুদ কিছুক্ষন চুপচাপ থেকে ভাবল, তারপর বলল, এটাতো কখনও ভাবিনি। ভাল একটা বুদ্ধি দিয়েছিস তুই।
জুবায়ের বলল, ঠিক স্যার। বুদ্ধিটা কার সহকারীর দেখতে হবেত। আবির মাহমুদ আবার মুচকি হাসলেন, বললেন, তাহলে কালকেই ক্যাপসুলটা কিনে আনব কি বলিশ? জুবায়ের বলল, না স্যার। আবির মাহমুদ বলল, কেন? জুবায়ের বলল, আপনি ক্যাপসুলের ভিতর চলে গেলে আমার কি হবে? আমিত আপনাকে আর জীবনেও দেখতে পাবনা। আবির মাহমুদ বলল, আমার ছবিগুলোতো দেখতে পাবে, ওগুলো দেখে দেখে প্রাক্টিস করবে। দেখবে, তুমিও একসময় বড় বিজ্ঞান চিত্র শিল্পি হবে। তখন সাংবাদিকরা তোমার বাসার সামনে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করবে। জুবায়ের হেসে বলল, তা কি কোনদিন সম্ভব। আবির মাহমুদ বলল, প্রাক্টিস করলে অনেক কিছু সম্ভব।

২.
আবির মাহমুদ জুবায়েরকে নিয়ে ক্যাপসুলের শো রুমে আসল ক্যাপসুল কিনতে। শোরুমে কয়েকটা রোবট ক্যাপসুল বিক্রির দায়িত্ব পালন করছে। একজন আছে মানুষ। সে চেয়ারে বসে বসে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে। একটা কালো রংয়ের রোবট এসে আবির মাহমুদের পাশে দাড়াল, স্যার আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি? আবির মাহামুদ হা করে তাকিয়ে রইল রোবটার দিকে, এমন ভাব, মনে হয় তিনি এর আগে কখনও এমন কালো রোবট দেখেননি। জুবায়ের বলল, স্যার একটা ক্যাপসুল কিনবেন, দেখান যাবে? রোবটি বলল, হ্যা, কেন নয়। চলুন দেখাই। আবির মাহমুদ রোবটিকে বললেন, আপনার নাম কি? রোবটি বলল, আমার নাম ব্লাক। রোবট ব্লাক আবির মাহমুদকে ঘুরে ঘুরে ক্যাপসুলগুলো দেখাতে লাগল। নামের সাথে গায়ের রংয়ের ভাল মিল আছে ব্লাকের। ব্লাক একটা ক্যাপসুল দেখিয়ে বলল, এটা মেনুয়াল ক্যাপসুল। অর্থাৎ আপনি মেনুয়ালি যে টাইম সেট করবেন সেই টাইম অনুযায়ী আপনাকে জাগিয়ে তুলবে। আপনি যদি মেনুয়ালি ১০০ বছর সেট করে রাখেন তাহলে এট আপনাকে ১০০ বছর পর জাগিয়ে তুলবে। জুবায়ের বলল, আর কোন প্রকার থাকলে স্যারকে দেখাতে পারেন। ব্লাক আরেকটি ক্যাপসুল দেখিয়ে বলল, এটা অটোফিক্সড ক্যাপসুল। অর্থাৎ এগুলোতে সময় ২৫০ বছর নির্ধারন করা আছে। এই ক্যাপসুলটি ২৫০ বছর পর পর আপনাকে জাগিয়ে দিতে পারবে। আবির মাহমুদ মেনুয়াল ক্যাপসুলটা কিনে নিয়ে বাসায় ফিরলেন।

৩.
স্যার আপনি কিশের ছবি আকছেন?
আবির মাহমুদ বললেন, রোবট ব্লাকের। যতগুলো রোবট দেখলাম তার মধ্যে রোবট ব্লাককে অন্যরকম মনে হয়েছে।
জুবায়ের বলল, কেন স্যার?
আবির মাহমুদ বলল, এর আগে এত কালো রোবট কখনও দেকিনি। জুবায়ের বলল, আমিও দেখিনি। আসলে ওরা কাল রোবট বানাতে চায়না। কারন কালো রোবট অল্প আলোতে চোখে পড়েনা, তাই চাহিদা কম, কি বলেন স্যার।
আবির সাহেব মাথা নাড়লেন, হ্যা।

আবির মাহমুদ ব্লাকের ছবি একে ফেলেছেন। জুবায়ের বলল, দারুন হয়েছে স্যার। এটাকি সাংবাদিকদের দিয়ে দেব? আবির মাহমুদ বললেন, দরকার নেই। এটা আমার রুমের মধ্যে যত্ন করে রেখে দাও। জুবায়ের রোবট ব্লাকের ছবিটা যত্ন করে রেখে দিল। আবির মাহমুদ বললেন, আর সাংবাদিকদের বলে দিও, আমি ৫০০ বছরের মধ্যে আর কোন ছবি আকব না। জুবায়ের মাথা নেড়ে বলল, ঠিক আছে স্যার। আবির মাহমুদ ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বলল, জুবায়ের আজ কত তারিখ?
জুবায়ের বলল, স্যার ২২৩৩ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখ। আবির মাহমুদ বলল, ৬ তারিখে আমি ক্যাপসুলে প্রবেশ করব, ওইদিন আমার জন্ম দিন। জুবায়ের বলল, কত বছর থাকবেন ক্যাপসুলে। আবির মাহমুদ বলল, ৫০০ বছর।
জুবায়ের বলল, তাহলেতো আপনার সাথে আর কোনদিন দেখা হবেনা।
আবির মাহমুদ বললেন, কেন?
জুবায়ের বলল, ডাক্তার বলেছে আমি আর ৪০ বছর বাচব।
আবির মাহমুদ অবাক হয়ে বললেন, কোন ডাক্তার?
জুবায়ের বলল, আপনাকে যে ডাক্তার পরিক্ষা করেছিল সে।
আবির মাহমুদ বলল, তুমি তাহলে আগেই জানতে?
জুবায়ের মৃধু মাথা নেড়ে জবাব দিল, হ্যা।

৪.
২২৩৩ সালের জুলাই মাসের ৬ তারিখ। বিজ্ঞান চিত্র শিল্পী আবির মাহামদের জন্মদিন। আবির মাহমুদ মেনুয়ালি ৫০০ বছর সেট করে ক্যাপসুলের ভিতরে ঢুকলেন। জুবায়ের বিদায় জানাল।
ক্যালসুলের মধ্যে আবির মাহমুদের শরীর আস্তে আস্তে জমে পাথরের মত হয়ে গেল। তার চোঁখ দুটো বন্ধ হয়ে গেল ধিরে ধিরে।
ঠিক ৫০০ বছরের মাথায় আবির মাহমুদের শরীর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করল। আবির মাহমুদ ক্যাপসুলের ভিতর আস্তে আস্তে চোঁখ খুলে তাকালেন। ক্যাপসুলের দরজা আস্তে আস্তে ওপেন হয়ে গেল। তিনি ক্যাপসুল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলেন। রাস্তায় গিয়ে দেখলেন পৃথিবীর পরিবেশে অনেকটা আগের মতই আছে, তবে রাস্তাঘাটে মানুষের চেয়ে রোবটের সংখাই বেশি। আবির মাহমুদ পুরো এক বছর সমস্ত পৃথিবী ঘুরে ঘুরে অসংখ্য ছবি আকলেন।
এবার তিনি ৫ হাজার বছর সেট করে ক্যাপসুলের ভিতরে প্রবেশ করলেন। ৫ হাজার বছর পর ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এসে দেখলেন মানুষ জাতীর শারিরীক গঠনে অদ্ভুত কিছু পরিবর্ত হয়েছে। মানুষের উচ্চতা কমে গেছে আর মাথাটা অনেক বড় দেখাচ্ছে। আর সব খানে রোবটের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে ঠিকমত হাটা যায়না রাস্তা দিয়ে। তাছাড়া নতুন নতুন অনেক প্রযুক্তি আবিস্কার হয়েছে। আকাশে অনেক কৃতিম উপগ্রহ ভেসে বেড়াচ্ছে। আবির মাহমুদ এক বছর ধরে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে অনেক ছবি আকলেন। ছবিগুলো আলমারিতে আটকে রেখে আবার ১০ হাজার বছর সেট করে ক্যাপসুলের ভিতরে প্রবেশ করলেন।
১০ হাজার বছর পর আবির মাহমুদ দেখলেন পৃথিবীর কোথাও কোন মানুষ নেই, আছে অসংখ্য রোবট। রোবটারাই পৃথিবী পরিচালনা করছে। আবির মাহমুদ সমস্ত পৃথিবী ঘুরে বিভিন্ন প্রকার রোবটের ছবি আকলেন।
এবার তিনি ১২ হাজার বছর সেট করে ক্যাপসুলের ভিতর ঢুকলেন। ১২ হাজার বছর পর আবির মাহামুদ পৃথিবীকে যেন চিনতে পারলেন না। পৃথিবীর সব খানে রোবটের তৈরী উন্নত প্রযুক্তির ছোয়া। আবির মাহমুদ সবকিছু ঠান্ডা মাথায় একে ফেললেন।
এবার তিনি ১৫ হাজার বছর সেট করে ক্যাপসুলের ভিতর প্রবেশ করলেন। ১৫ হাজার বছর পর আবির মাহমুদ যখন ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে আসলেন, দেখলেন পৃথিবীতে কিছুই নেই। সব মরুভূমিতে পরিনত হয়ে গেছে। তার বুঝতে বাকি রইলনা যে রোবটে বোবটে যুদ্ধ হয়েছিল। যার কারনে পৃথিবীর এই অবস্থা। আবির মাহমুদ শুন্য মরুভুমির ছবি আকলেন, আকলেন পৃথিবীর ধংসাবশেষ। তার একবছরের মাথায় তিনি ছবি আকতে আকতে মারা গেলেন। তার আকা সমস্ত ছবি তার ঘরের আলমারির মধ্যে পরে রইল।

৫০ হাজার বছর পরের কথা। ভিন গ্রহ থেকে একদল বুদ্ধিমান প্রানী এলিয়েন এসে পৃথিবীরে বাস করতে শুরু করল। দুইটা এলিয়েন, একটা ছোট আরেকটা বড়, আবির মাহমুদের আকা ছবিগুলো খুজে পেল। ছোটা এলিয়েনটা বলল, কুংকাংকিংপুংপাংপিং অর্থাৎ এসব উন্নত প্রযুক্তির ছবিগুলো কে একেছিল?
বড় এলিয়েনটা বলল, পিউপিউপিং টোং টোং অর্থাৎ এই গ্রহের কোন চিত্রশিল্পী ।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ