সময়ের ফোকাস এখন
হিরো আর নুরু!
তাদের দিয়েই কী শেষ?
নাকি শুরু?
সিদ্ধান্ত যে নিতে হবে রে গুরু।
আলমের হিরোইজমে হিরো যায় হারিয়ে।
রাখাল তার গরুকে, খুঁজে পায় বিদ্যালয়ে।
চারিদিকে কলরব, গোলটেবিল বৈঠক,
অবশেষে দেখা যায় বারোয়ারী নাটক!
মিডিয়া/সংবাদকর্মী দৌড়ঝাঁপ চারদিকে!
যেদিকে ক্যামেরা ছোটে সব সেদিকে।
ধাপেধাপে খবরও রচিত হয় সেদিকেই।
শিক্ষার্থী পাঠ খুঁজে মাহফিলে মাহফিলে
শিক্ষাঙ্গনে আসে কেবল
সনদপত্রের সন্ধানে।
অথচ এখান থেকে সেই মানুষ বের হতো
যে মানুষকে দেখলেই জাতি
সালাম ঠুকে ধন্য হতো।
সেই মানুষ আর নেই,
নেই এখন আর সেই চোখ;
যেচোখে থাকতো অন্তর্দৃষ্টি,
অন্তর্দৃষ্টি থেকেই দূরদৃষ্টি।
আজ তাই চারদিকে,
ডানা মেলে অনাসৃষ্টি!
আমি রুবা, দীনহীন।
ভাবি বসে সারাদিন।
১৪ ডিসেম্বর,
আহ! দিনটি যে ছিলো আমার এ জাতির পঙ্গুত্বের দিন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
২৮/১২/২০১৯
১২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
সময়টা আজ প্রতিক্রিশীলতার !
অখবর খবর হয়
কাপুরুষ ভীরু
মানুষ হয় রাতকানা
হিরু হয় নুরু !
সহমত । শুভ কামনা !
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুভকামনা!
প্রতিক্রিয়াশীলতা যে বিষ ছড়িয়ে বেড়ায় সে বিষ সমাজ সংসারকে নীলে নীল করে তোলে।
মারামারি, কাটাকাটি, খুনোখুনিতেই সব ধ্বংসস্তূপে রুপ নেয়।
ফয়জুল মহী
চমৎকার উপস্থাপন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সমসাময়িক নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা পড়লাম। ধন্যবাদ আপু
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ আপনাকেও।
মনির হোসেন মমি
সমসাময়িক বিষয়ে বেশ দাপুটে কবিতা। জয় হোক মানবতার।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জয় হোক মানবতার।
সুরাইয়া পারভীন
সেই মানুষ আর নেই,
নেই এখন আর সেই চোখ;
যেচোখে থাকতো অন্তর্দৃষ্টি,
অন্তর্দৃষ্টি থেকেই দূরদৃষ্টি।
আজ তাই চারদিকে,
ডানা মেলে অনাসৃষ্টি!
দুর্দান্ত লিখেছেন কবিতাটি। 👏👏
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সেই দিক নির্দেশক আর নেই যারা সমাজকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
খুব মনে পড়ে ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের কথা। কী ক্ষতিটাই না করেছিলো রাজাকাররা নিজ দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করিয়ে।
মোঃ মজিবর রহমান
দিইনা কিছু হতে সৃষ্টি, বিপক্ষে হলেও কালো ঝাপিয়ে পর মার, ধ্বস্ব কর। দলের, নেতার বিপক্ষে হলেই সেই কালো সেই নস্টা পাপিষ্ঠা। ক্ষমতায় থাকলেই তাঁকে ধ্বংসের লিলায় লিপ্ত আমরা। সেথায় দূরদৃষ্টি হয় নিব্রিস্ট জাতি না পাই খুজে ভবিতসতের দূরদৃষ্টি সমপন্ন নেতা বা মানুষ। এখানেই আমাদের সব জলাঞ্জলি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
😔