সময় উজিয়ে গা ছমছমে বিকেল-সন্ধ্যায় সমুদ্র-ঢেউয়ের কাঁধে চড়ে
ভেসেছিলাম অজানায়, সাথে ছিল শুশুক আর ইরাবতী ডলফিনের দল।
জানা-অজানা প্রাণ-মনের অটুট টান, ভান-ভনিতাহীন প্রগাঢ় দৃষ্টি সৌন্দর্য ছিল,
ছিল ছল-শূন্যতা;
সহসা থেমে গিয়ে নামিয় দিল জন-মানবহীন গাছগাছালির ব-দ্বীপে,
আলতো করে বলে গেল, আসবে আবার একটু পরেই।
রাত জমে জমে ভোর হলো, বৃষ্টিরা হাওয়া মেলে গোল হয়ে ঘুরে বেড়ায়,
গাঢ় সকাল ছুড়ি হাতে রৌদ্রে পৌঁছায়, টগবগে ফুটতে থাকা সজাগ-হৃদ্য়
থিতিয়ে যায়, আগ্রাসী রাতের ভয়, ভর করে শিরা উপ-শিরায়;
চিৎকার চেঁচামেচি করে সমুদ্র ডাকি, ডাকি,
দূরে ফসফরাস জ্বেলে জ্যোৎস্না-বেলুন ছুঁড়ে সাড়া দেয়, কাছে আসে না।
আনন্দ কষ্টের এক অদ্ভুত সম্মিলন-সম্মতির জ্বলন-পীড়ন ছিল, আছে-ও.
৩০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রান–মনের অটুট টান যেখানে থাকে, সেখানে দৃষ্টি ছল–শূন্যতা – ভনিতা হীন রাখতে হয়।
সম্মতির জ্বলন–পীড়নে জ্বালা থাকে,
জল থাকে, প্রত্যাশিত সুখ থাকে,
এ যেনো কষ্টের নিরাময়ে আরেক কষ্ট–সুখের হাত ছানি,
কষ্টের আনন্দ বা আনন্দের যন্ত্রণা…
সমুদ্র থেকে ভেসে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে। নতুন দ্বীপে গড়ে তুলুন নব–সৃষ্টি।
দেখার অপেক্ষায় মহারাজ, শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অভিনন্দন, মন্তব্য-রাজ্যে আপনার সদর্প সগর্ব উপস্থিতির জন্য,
ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।
নয় কোন বরফ-ছোড়া, নয় কোন জল-ঢালা,
ভাঁজ হীন কপাল আর সদা সহাস্য বিচরণ হোক এই সোনেলায়,
এ কামনা সবার, আমার।
আপনার নিত্য নূতন লেখা দেখার অপেক্ষা আমাদের-ও
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার অভিনন্দনে ধন্য হতে খুব চাইছি মহারাজ, কিন্তু কেন যেন পারছি না। আপনি আমাদের মহারাজ ইতো? নাকি অজানা দ্বীপের একমাত্র নাগরিক হয়ে স্বরন শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন !
পরিস্থিতি যেমনই হোক বদলে যাবেন না প্লিজ। আপনার দেয়া বরফ–জল ব্যাতিত আমার সোনেলা জীবন মরুভূমি হয়ে যাবে। সামনে আসছে গরমে অতিষ্ঠ হওয়ার দিন, বরফ ছাড়া আমার চলবে না।
ভালো থাকুন আপনিও আর দুই/ চারটি উপন্যাস পড়তে দিয়ে আমাকেও ভালো রাখুন।
ছাইরাছ হেলাল
অভিনন্দন কম হয়ে গেছে বুঝতে পারছি, তা না হলে নিতে চাইবেন না কেন!!
দেখুন মধু মধু করে এর চাইতে সাধ্যের মধ্যে আর কত্তটুকুই বা বলতে পারি!! স্মরণ হারাইনি বলেই
লেখা সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছি।
জল/ফল নিয়ে চিন্তিত হবেন না, নাক-মুখ অব্দি পৌছুলে শব্দ হবে।
লিখব অবশ্যই। তবে তা কী তা কিন্তু জানি না।
শুন্য শুন্যালয়
ভীষণ সুন্দর লেখা!
একটি রাত পার কিন্তু হয়েই গেছে, টগবগে ফুটন্ত হৃদ্যে টের পাননি বোধহয়। যদিও প্রচন্ড উচ্ছ্বাসে টের পাবার কথা নয়।
সকাল ছুরি হাতে রৌদ্রে পৌছায়, কি সাংঘাতিক কথা! তবে ভাল্লাগছে 🙂
সমুদ্রকে ডেকে যাওয়া, কিন্তু সমুদ্রের ফিরে না তাকানো, জ্যোৎস্নার বেলুন ছুড়ে দেওয়া সবটাই কেমন যেন সম্মোহনের মতো আকর্ষণ করলো। প্রিয়তে বস্।
ছাইরাছ হেলাল
শকুন/চিল চোখ, কিচ্ছুটি এড়ানোর উপায় নেই,
পিঁপড়েটি গলিয়ে যাবে! তা হবে না।
শুনুন, বেহুঁশ হওয়া থাকেই, তার পর ও কথা থেকেই যায়,
বিকেল/সন্ধ্যায় দ্বীপে নামিয়ে দিয়েছে, মাটি কামড়ে ভয়-ডর নিয়ে রাত কাটিয়েছে তাই আর একটি রাতকে
সামনে এগুতে দেখে ভয় (ছুড়ি হাতে রৌদ্রে) পাচ্ছে, তাইতো এই চিৎকার চেঁচামেচি।
বাধিত হলাম।
কিন্তু বস্!!!!!!!!!!!!!!!! কে কার!!
শুন্য শুন্যালয়
কে কার বস হিসাব কষে লাভ নেই, তবে মনে রাখবেন বসেরও বস থাকে।
ডলফিনের ঘাড়ে করে সমুদ্র পারি দেয়া বীরপুরুষের সাহস দেখে অবাক হচ্ছি, এক রাতেই মাটি মুটি খাওয়া শুরু করছে। বছর পাঁচেক থাকলে ডারউইনের ওল্ড ভার্সনের দেখা পাবো।
শকুন, চিল আর কিছু?
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক বলেছেন, বসের ও বস থাকে, যেমন শুনেছিলাম আপনি সোনেলার মডু বস!!
তা কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে মেনেছি/মানছি-ও।
এক রাত যদি হাজার রাতের সমান হয় তাবে মাটি খেতে খেতে তাও শেষ হয়েই যাওয়ার কথা।
এই পাখি-চোখের ঠেলায় অস্থির আবার জিগায় অন্য কিছু!!
জিসান শা ইকরাম
জ্বলন পোড়নে যত সুখ, সহজ প্রাপ্তিতে তত সুখ নেই।
বড় প্রেম সুধু কাছেই টানেনা, দুরেও ঠেলে দেয়।
লেখাটা অনেক বেশি ভাল্লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে পারছি, ঠেলা-ঠেলি চালু থাকবে,
কাছ-দূর ব্যাপার না।
প্রহেলিকা
সমুদ্রতে যাবো যাবোই” বলতে না বলতেই চলে গেলেন, তাও আবার কাঁধে চড়ে বসলেন। সমস্যা সেটা না, লেখক যখন সমুদ্রে সাঁতার কাটে আমরাও তখন প্রতীকিয়তার সমুদ্রে নাকানি চুবানি খাই।
তৃতীয় প্যারাটা বেস্ট! অনেকদিন মনে থাকবে, শব্দ ছবি হয়ে ধরা দিলে যা হয় আর কি। চিত্রকল্প যেন শব্দ দিয়ে এঁকে ফেললেন।
বসন্ত সিরিজ শেষে এবার সমুদ্রের পালা, দেখি সামনে টানানো পর্দার আড়ালে কী আছে!
ছাইরাছ হেলাল
মাঝে-মধ্যে উদয় হলেও আপনাকে আমরা কঠিন সাতারু বলেই জানি, মানি-ও,
লাইফ জ্যাকেট থাকলে শুধু প্রতীক কেন, আসল সমুদ্র-ও সমঝে চলবে।
সমুদ্রে যখন যেতেই হবে, তরা করেই যাই, দেরি করে কাহ কী!!
এগুলাইন নকল/ফকল ধার-ধুর করে লেখা।
সিরিজ-ফিরিজ কিচ্ছু না, ‘যখন যা চায় মন’ এই সূত্র মতে।
আপনি কিন্তু লুক ভালু না।
প্রহেলিকা
এভাবে বলতে নেই, বলতে হয় না। ঘরের ভেতরে অথবা বাহিরে যেখানেই থাকি ঘ্রাণ কিন্তু ঠিকই পাই।
নকল ফকলে খারাপ কিছু দেখসি না বরং ভালোই তো। স্বীকার করি যারা পারেন তাদের যখন যা মন চাইলেই তা হয়ে যায়। সবাই কিন্তু তা পারে না। সমুদ্রের কাঁধে আর না চড়ে গোল করে নিজ পকেটে রাখুন। প্রিয় কোনো কিছু থেকে দূরে থাকতে নেই।
সমুদ্রের গল্প কিন্তু সমাপ্ত করেননি। বাকী রেখেছেন। শেষ করুন।
ছাইরাছ হেলাল
লম্বা নাকের কথা তো জানাতে হবে, আমাদের তো লম্বা চোখ নেই,
ঢোক গিলে সব সাবার করে ফেলব!
ভাঁজ করতে পারলে পকেটেই রাখতাম, কিন্তু তা তো হচ্ছে না;
শেষ তো করতেই চাই, কেমনে কী তা এখন মাথায় নেই, তবুও হতাশ করছি না।
প্রহেলিকা
আপনি হতাশ করতেই পারেন না!
সমুদ্র যখন এত প্রিয় ঝুড়ি থেকে ছবি ব্লগ দেয়া যায়। আগাম ধন্যবাদ দিচ্ছি। হ্যা জানিতো জমানো আছে আপনার কাছে!
ছাইরাছ হেলাল
দেখা যাক কী হয়!
মাহমুদ আল মেহেদী
এমনিতেই সমুদ্র আমার অনেক পছন্দ । আপনার লেখা পড়ে আরো আরো অনেক যেতে ইচ্ছে করছে সমুদ্রের কাছে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সমুদ্রে যাবেন, একা নয়, সোনেলাকে নিয়ে।
অনেক ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
আপনার লেখায় ভাবনার খোরাক পাই। ভীষণ ভালো লাগে। শুভ কামনা, শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ নুতন কিছু ভাবতে পারছেন যেতে।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
সমুদ্র আমার ভীষণ প্রিয়। যতবার তার কাছে যাই ততবার মোহিত হই। আপনার লেখা পড়ে আবারো যেতে ইচ্ছে করছে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই যাবেন, বারে বারেই যাবেন, আমি কিন্তু অনেক করেই যাই সমুদ্রে।
মোঃ মজিবর রহমান
জীবনে জ্বলন পোড়ন আছে মাঝেই ভাল থাকি। ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু পোড়া-পুড়ি না থাকলে জীবন খুব পানসে হয়ে যেত।
ভাল থাকবেন।
রিতু জাহান
সমুদ্রের বুকের মাঝে থেকেও সমুদ্রকে ডেকে ডেকে পাইনি আজ এতোবছরেও। সে সাড়া দেয় না। আজও তার রূপ দেখা হয়নি।
সেও ডাকে না। তাই তো যাওয়াও হয়না।
এই যে এক ডাকা না ডাকার জ্বলন পোড়ন তা জ্বলতেই থাকে তুষের গুনের মতো।
এ লেখায় সমুদ্র দেখছি। শুধু গর্জনই শুনতে পাচ্ছি। স্পর্শের বাইরে শুধু তা।
চমৎকার
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সবারই সমুদ্র থাকে, ছোঁয়া না-ছোঁয়ায়,
আপনি অবশ্যই সমুদ্র পেয়ে যাবেন, এ ডাক সে উপেক্ষা করতে পারবে না।
তাও ভাল আগুন তুস-আগুন হয়ে জ্বলছে, দাউ দাউ নয়।
ভাল থাকবেন ব্যস্ততায়-ও।
মেহেরী তাজ
রবিনসন ক্রুশ হয়ে যাবেন না যেনো! লোকালয়ে ফিরে আসুন । শুশুক হোক বা ডলফিনের পিঠে চড়ে হোক। যদি এরা রাজি না হয় তাহলে সাতরে চলে আসুন। দেখছেন না নতুন কালারফুল সোনেলা এসেছে? আমরা ফিরেছি। আপনি একা ব-দ্বীপে কি করবেন? চলে আসুন চলে আসুন ।
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলার এমন দিনে দ্বীপ তা ব, ফ, দ সে যাই হোক না কেন,
সবার মাঝেই ফিরতে হবে, পানি খেয়ে ঢোল পেট হলেও।
মেহেরী তাজ
আপনি সাতার জানেন না? এই জন্যই বলি কবিতা বাদ দিয়ে সাতার আগে। জানেন তো জীবন বাচানো ফরজ।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের সাথে দেখা হলে সাঁতার শিখতে বলব।
দেখাই তো হয় না!!